কবিতা: মায়াবিনী লেখা: ফারহা নূর শেষ বিকালের কোন এক রোদ্র ছায়ায় হেঁটে যাব তোমার বুকের তপ্ত বালুচরে, যদি রেখে যাই পদচিহ্ন তোমার বুকে তবে মনে রাখবে মায়াবিনী? আমি চাই মনে রাখো আমায় আজীবন, তার জন্যই তো আমার এত আয়োজন। এই যে দেখছো, তোমার বুকে রক্তিম কাঁটা পদচিহ্ন; যতবার...
প্রতীক্ষা
আরাফাত তন্ময় রাত্রি যখন গভীর হয় সকলে ঘুমায় আমি জেগে থাকি। খোলা আকাশের বুকে নক্ষত্রের গায়ে লেখা রয়েছে কি-না তোমার নাম আমি খুঁজে খুঁজে দেখি। আমি নীল জল, মরুভূমি, সাগর, পাহাড় আকাশ-পাতাল সব তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি; আকাশের ওই সবচেয়ে উঁচু তারাটিকে পাথর চোখ মেলে দেখেছি তুমি আছ...
আহবান
হাফেজ আহমেদ রাশেদ আমিও হাঁটিনি সেদিন যে আজকের মতো করে, এক কদমের পরেরটা দিয়েছি বারো হোঁচটের পরে। পাখি ছানা প্রথম দিনে উড়েনি ডানা মেলে, শিখেছে উড়াল মায়ের সাথে অল্প অল্প খেলে। জন্মলগ্ন চাঁদের আলোয় করেনি বাজিমাত, অল্প অল্প তার পরেতে জ্যোৎস্নাময়ী রাত। লেখার পূর্বে শিখতে...
ললাট ফিরে অন্তঃদহন
সাইমুম শরীফ . আমি এখনো মানুষ হতে পারিনি, ঘুমের ঘোরে বিভোর আমি এখনো সজাগ হতে পারিনি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে কুড়িটি বছর পার করলাম ; এখনো ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারিনি। আমি এখনো ভালোবাসতে পারিনি, মানুষের মনের গহীনে প্রেমের শিহরণ এখনো জাগাতে পারিনি। কারও স্বপ্নে একচ্ছত্র রাজত্ব...
মা ফাতেমা
শামীমা আক্তার শানু ... শিশুকালে নবীর ঘরে মা ফাতেমা আলো হয়ে, জ্বলতো সারা দিবা-রাত্রি খাদিজা মায়ের কোল জুড়ে। . খেলার ছলে পরস্পরে করতো যদি আঘাত, মা ফাতেমা আদর করে, দিতেন তার সমাধান । . অন্যায়ের প্রতি মা ফাতেমার প্রতিবাদ ছিল ক্রুদ্ধ শ্বাসে, জেগে উঠতেন সচল হয়ে অন্যায়ের...
নির্ঝরা
লেখক:- শেখ আলী (এমদাদ) ধবল শাড়ির আঁচলে লুকিয়ে রাখা এক গুচ্ছ গোলাপ! কপালে জড়ানো কালো টিপ, কাজল লেপটানো দুটি চোখ, আর হাতে পরা কাচের চুড়ি! শুধু তোমার জন্যে। যদিও অভ্যাস নেই তাতে, তবুও প্রিয়তার প্রিয় রঙে নিজেকে সাজাই একটুখানি সুখের আশায়। সুখ! সে তো পাড়ি দিয়েছে, অনেক দূরে।...
ধবল বক
সাব্বির আহমেদ বাবু শিশির বিন্দু সমগ্রতায় আছে ছড়িয়ে ধবল বক নেমে এসেছে কলমিলতার ঝোপে, বিকেলের হলুদ আভায় ছিন্নভিন্ন কলমিলতার বক্ষ, ভ্রুক্ষেপ করার মতো নেই কেউ; সন্তর্পণে শিশির বিন্দু মিশে গেল অতলে। জলার কালচে শৈবাল ঢেউনৃত্যে ভেসে এলো কলমিলতার খুব কাছে, বুঝেনি ধবল বক কেড়ে...
আকুতি
লেখা : সাইফুল কবির সোহাগ , হাওড়ের পাড়ে আজও উড়িয়ে আঁচল কবি অপেক্ষার প্রহর গুনে। সেই ডায়েরিটা খোঁজে পাওয়ার অপেক্ষা! জোছনা'র সময়েও নিরিবিলিতে কাঁদে কবি, তখন বাউলের একতারায় থাকে রাতের হাহাকার ভরা সুর। কবি সেই হাহাকার ভালোবেসে বাঁচে। ঝিলের পাশে নীরবে নিঃশব্দে বসে মাছরাঙা...
দুঃখিনী মা
জুবায়ের আহমদ ছেলে এখন বড় হয়েছে, মাকে গিয়েছে ভুলে । মায়ের এখন ধার ধারে না, জ্বালায় ক্রোধের রোষানলে। শিশুকালে ছিলে যবে, মায়েরই কোলে। বুকে আগলে রেখেছিল, কষ্ট পাবে বলে। বিয়ে করেছো, বউ পেয়েছো, পর করেছো মাকে। ছাড় পাবে না, হবে সাজা রোজ-হাশরে। মাকে তুমি ভুল বুঝো না ওরে...
ব্যক্ত অপারগতা
লেখা– এস এ নুঈম খান . জানো! বেশ কিছু দিন হলো, লিখতে পারছি না কিছুই। না কবিতা, না ছড়া, না গল্প কিংবা প্রবন্ধ। তোমাকে নিয়েও লিখতে পারছি না– গল্প লিখতে পারছি না বলে আফসোস করায় এক বড় ভাই সেদিন বলেছিলেন– "লেখক হওয়ার আগে ভালো দেখক হতে হয়, মানুষকে দেখুন, জীবনকে দেখুন, হৃদয়...
জীবনটা তোর বর্গা দে তো
নাঈমুল ইসলাম গুলজার তোর আকাশে পূর্ণিমা রাত, হাজার তারার চাষ, জ্যোৎস্না রাতে আলোর খেলায় মাতে যে আশপাশ। নেই অভিমান তোর আকাশে, রাগটাও নেই, আর- তোর আকাশে কেউ করে না মুখখানা তার ভার। এমন জীবন তোর থাকে তো হোস না রে তুই যেই! জীবনটা তোর বর্গা দে তো গল্প লিখে দেই। তোর আকাশে...
গুনাহগার
লেখা: শাহাদাত আবিন ভেবেছি যখন নীরবে একাকি বসে, কী হবে পরকালে! তখনই ভয়ে শিউরে উঠেছে লোম কী হিসাব দিবো সময় ফুরালে! মিথ্যায় ভরা ঠোঁট, পাপে কলুষিত হৃদয়। পূণ্য আমার একফোঁটাও নেই, অর্ধেক জীবন হয়েছে ক্ষয় । মনের কথায় পা বাড়িয়েছি, পাপের পথ করে মসৃন । ডাকি তোমার নাম...