জান্নাতুন না’ঈম
কাব্য খোর পেত্মী আমি
করি ছন্দের সাধনা,
ঘোর বরিষার নিঝুমা আধারে
খেলি শব্দের বাজনা।
রাত সুনসান,কাটে নির্ঘুম
খুঁজে ফিরি মাঠ-বন
পূর্ণ তিথিতে অমানিশা মাঝে
নদীতীরে ভেজা ক্ষণ।
নিত্য প্রহর যজ্ঞ সাজে
নাচি ধিতাং ধিং
রক্তজবার লালিমা ললাটে
শিউলি ফুলের শিং।
মন্তর পড়া রবির কবিতা
প্রভাতী সুনীল সিদ্ধি সবিতা
মুক্ত শ্লোকের বুলবুল,
বারিসুন্দর মেঘমল্লারে
বয়ে চলে কুলকুল।
বকুল বিজন সুরে অমলিন
পাতার সবুজ স্নিগ্ধ নবীন
চাপার চপল চলা
মালা গাঁথা প্রায়,
হয়ে এলো ভাই,
মুখরিত তালতলা।
তৃষিত মরুর জ্যোতি ছাওয়া ধূলি
শীতল শশীর সুখ অনুভূতি
মণিমুক্তোর কীর্তন;
মসীর মশালে,
হৃদয় আঁচলে,
কালি-সূতো-গেরো বন্ধন।
তপস্যা সে তো নয় যেন-তেন
কঠিন স্তবক সব,
শক্তি পেতে খেতেই হবে
জ্যোৎস্না আলোর শব!
কাব্যখোর পেত্মী তাইতো
রাধি রাধালতা ঝালে ভরে,
কাঁচা কবিতার লাইন যদি পাই
মুখে পুরে নেই বেশ করে!
ভিন্নধর্মী একটা লেখা। শুভ কমনা রইল।
আধারে–>আঁধারে
শুকরিয়া।
শুকরিয়া। অনুপ্রাণিত হলাম।
অাধারে- অাঁধারে
ছোটদের জন্য লেখা একটু সহজ ছন্দময় হওয়া উচিত। ছন্দ থাকলেও অামার কাছে একটু কঠিন মনে হলো ছড়াটা।
শুভ কামনা অাপনার জন্য
ছোটদের জন্য তো না আপু।
অন্যরকম একটা ছড়া পড়লাম। কাব্যরসে ভরপুর ছিল। পেত্নীটা আসলেই কাব্যখোর। কবিতার রেঁধে খাওয়ার জন্য ব্যস্ত। ভালো লাগলো অনেক। ছড়ায় ছন্দমিলগুলো অনেক ভালো লেগেছে।
বানানে কিছু ভুল আছে দয়া করে দেখে নিবেন,সংশোধন করে দিচ্ছি।
পেত্মী- পেত্নী।
বরিষার- বরষার/বর্ষার।
আধারে- আঁধারে।
রাধি- রাঁধি।
অনেক শুভ কামনা।
আপু ধন্যবাদ। আমার কী বোর্ডে ‘পেত্নী’ শব্দটা টাইপ করা যাচ্ছিলোনা সে সময়।
আর “বরিষার” শব্দটা কাব্যে য়ুজ করা হয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ করেছেন।
বানানগুলো কিভাবে ঠিক করবো আপু? আমি কোনো অপশন পাচ্ছিনা।
খুবই মজার কাব্যখোর পেত্নীকে নিয়ে লেখা ছড়া????।তবে ছড়ার ক্ষেত্রে স্বার্থক অন্তমিল সবচেয়ে জরুরী।সেটা এই ছড়াতে পাওয়া যাচ্ছে না।তবে এত্তো সুন্দর ছড়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।শুভকামনা♥
শুকরিয়া।