কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন
প্রকাশিত: জানুয়ারী ২২, ২০১৯
লেখকঃ augustmault0163

 2,931 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

অনন্যা অনু

‘আমিনা বেগম’ মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায় এসেছে। চারদিক থেকে পাখির কিচিরমিচির ডাকের সাথে ভেসে আসছে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধুর ধ্বনি। এতিমখানার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা এক সাথে তাদের কচি কণ্ঠে মধুর সুরে কোরআন তেলাওয়াত করছে। ওমরকে দেখে একজন ভদ্রলোক দ্রুত গতিতে তার কাছে এসে বললেন,
–ওমর বাবাজি তুমি? তোমার তো আজ ফ্লাইট হওয়ার কথা! তোমার রাতে ফ্লাইট হবে বললেই তো আমি তোমাকে আনতে যেতাম।
ওমরের চোখজোড়া ছলছল করছে। ছলছল চোখ নিয়েই সে ‘শফিক আঙ্কেল’ বলে একটা ডাক দিয়েই লোকটিকে বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে ছোট বাচ্চার মতো কেঁদে দিলো। শফিক সাহেবও ওমরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।
আজ প্রায় দশ বছর পর তাদের দেখা। শফিক সাহেব ওমরকে থামিয়ে তাকে সাথে নিয়ে একটা রুমে প্রবেশ করলেন। যেখানে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলো কোরআন তেলাওয়াত করছিল। ছেলে-মেয়েগুলো বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো ও ওমরকে সালাম জানাল। ওমর সালামের উত্তর জানিয়ে বলল,
–তোমরা সবাই কেমন আছো?
বাচ্চারা একসাথে বলল,
–আমরা ভালো আছি ভাইয়া।
তারপর ওমর বাচ্চাদের মাঝে তার নিয়ে আসা নতুন জামা-কাপড় ও বিভিন্ন খাবার এবং খেলনা বিতরণ করল। নতুন জামাকাপড় ও খেলনা পেয়ে বাচ্চারা মহাখুশি। এমন সময় এতিমখানার পিয়ন রাজু এসে বলল,
–আঙ্কেল একটা মেয়ে একটা ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে এসেছে, সে আপনার সাথে দেখা করতে চায়। আমি তাকে আপনার রুমে বসিয়ে রেখে এসেছি।
শফিক সাহেব ওমরকে সঙ্গে নিয়ে এতিমখানার অফিস রুমে প্রবেশ করলেন। রুমে ঢুকে তিনি ওমরকে চেয়ারম্যানের চেয়ারটাতে বসতে বললেন। চেয়ারম্যানের চেয়ারের পিছনের দেয়ালে একজন মহিয়সী নারীর ছবি টানানো। ছবির দিকে তাকাতেই ওমরের দু’চোখ বেয়ে অশ্রুকণা ঝরতে লাগলো। এই সেই মহিয়সী নারী, যার স্মৃতি ও আদর্শ বহন করছে এই এতিমখানা।
হঠাৎ পিছনে কারও কথার শব্দে ওমর চোখ মুছে পিছনে তাকালো। ওমর দেখলো শ্যামলা বর্ণের হালকা গড়নের একজন অল্প বয়সী মেয়ে একটা ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়েটি মাথা নিচু করে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল,
–ভাইয়া আমার মেয়েকে আপনার এই এতিমখানায় একটু আশ্রয় দিবেন প্লিজ! আমি নিজের বাচ্চাকে নিজে এতিমখানায় রাখতে এসেছি। আমি এক হতভাগী মা, যে নিজের সন্তানকে নিজের সুখের জন্য এতিমখানায় রাখতে এসেছি।
–আমি আপনার সন্তানকে এখানে রাখতে পারব না। কারণ এখানে শুধু ওইসব শিশুদের রাখি যাদের মা-বাবা কেউ নেই। যাদের দু’বেলা খাবার জোটে না। তাছাড়া আপনাকে দেখে যথেষ্ট ভদ্র ঘরের ও শিক্ষিত বলে মনে হচ্ছে।
–ভাইয়া আমাকে দয়া করেন প্লিজ। প্লিজ আমার সন্তানকে রাখুন।
–তাহলে আপনি এর সঠিক কারণ বলুন। বলুন কেন নিজের সন্তানকে এতিমখানায় রাখতে চান?
–তবে শুনুন, আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা।
আমার নাম প্রতিমা। আমার বাবা একজন পুরোহিত। আমার দুই দাদার আদরের বোন আমি। আমি তখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি। কলেজে পড়া অবস্থায় পরিচয় হয় রাসেল নামের এক মুসলিম ছেলের সাথে। রাসেল অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। লেখাপড়ায়ও ছিল যথেষ্ট ভালো। তার সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়। আমি ওর কাছে ইসলাম ধর্মের কথা শুনতে শুনতে ইসলাম ধর্মের প্রতি একটা টান অনুভব করি। তাছাড়া আমি ও রাসেল একে অপরকে ভালোবেসে ফেলি। আমাদের পরিবার এই কথা জেনে যায়। দুই পরিবারই আমাদের সম্পর্ক মানতে নারাজ। তখন আমরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে ফেলি ও আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আমাদের দিনগুলো বেশ সুখেই কাটছিল। রাসেল পড়াশোনার পাশাপাশি একটা চাকরি করে। আমারও কল সেন্টারে চাকরি হয়ে যায়। আমাদের সুখের সংসারে আরও সুখ নিয়ে আসে আমার প্রেগন্যান্সির খবর। ততদিনে রাসেলের আরও ভালো একটা চাকরি হয়। ও আমাকে এই অবস্থায় আর চাকরি করতে দেয় না। আমার যখন সাত মাস তখন একটা কালবৈশাখী ঝড় আমার সুখের সংসার ভেঙে তছনছ করে দিয়ে গেল। রাসেল রোড এক্সিডেন্টে আমাকে একা রেখে চলে যায় না ফেরার দেশে। তারপর সাত মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে কত অফিসে অফিসে একটা ছোটখাটো কাজের জন্য ঘুরেছি তার কোনো এয়াত্তা নেই। সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কেউ আমার এই অবস্থায় কাজ দিতে রাজি হয় নাই। দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। এভাবেই অভাব অনাটনে কেটে যায় আরও দুই মাস। ডেলিভারি পেইনে আমি ছটফট করি। সবার কাছে সাহায্য চাই কেউ আমাকে সাহায্য করে না। অবশেষে কিছু হৃদয়বান আমাকে একটা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তার জানায় নরমাল ডেলিভারি হবে না, সিজার করতে হবে। আমার কাছে কোনো টাকা না থাকায় তারা অপারেশন করবে না জানায়। আমি আমার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য আমার মায়ের কাছে ফোন দিই। মাকে অনেক কাকুতি মিনতি করি। আমার দুই ভাই আসে হাসপাতালে। আমার বাবা ও পরিবার জানায় এই সন্তান জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে অনাথাশ্রমে দিয়ে আসতে হবে, তা না হলে তারা আমার অপারেশনের টাকা দেবে না। আমি বুকে পাথর বেঁধে আমার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে তাদের কথা মেনে নিই। এবার বলুন ভাই, আমি এছাড়া আর কী করতে পারতাম? আপনার এখানে না রাখলে তারা আমার সন্তানকে হয়তো মেরে ফেলবে।
কথাগুলো শুনে ওমরের দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়ে। সে যেন এই ছোট্ট বাচ্চার মাঝে নিজেকে দেখতে পায়!
ওমরের চোখে পানি দেখে মেয়েটি বলে,
আপনি কেন কাঁদছেন ভাই?
ওমর মেয়েটির কথার উত্তর না দিয়ে বলে,
আপনার বাচ্চা আজ থেকে এখানেই থাকবে। আপনি ওকে রেখে যান। মেয়েটি এবার চোখের জল ছেড়ে বুক ফাঁটা কান্না করে বলে উঠলো, মারে আজ থেকে তোর পরিচয় হলো তুই এতিম। আমি বেঁচে থেকেও তোর কোনো পরিচয় দিতে পারলাম না।
এ কথা শুনে ওমর একটু রাগান্বিত স্বরে বলল,
–কোন পরিচয়ের কথা বলছেন আপনি? ওর বড় পরিচয় ও মানুষ। ওকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা মানুষরূপে সৃষ্টি করেছে। এটাই ওর বড় পরিচয়। তাছাড়া ও একজন মুসলিম পিতা-মাতার সন্তান। ওর মা এখনো বেঁচে আছে। অথচ আমাকে দেখুন, আমি জানি না আমার জন্মদাত্রী কে? জানি না কে আমার বাবা। জানি না আমি মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ নাকি খ্রিস্টানের ঘরে জন্মেছি। আমি শুধু এটা জানি এক আল্লাহ আছেন। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। যার অনুগ্রহে আমাকে মায়ের স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আমার জনম দুঃখী মা আমাকে বুকে আগলে রেখেছে সকল প্রতিকূল পরিবেশ থেকে।
মেয়েটি এবার চোখ মুছে অবাক দৃষ্টিতে প্রশ্ন করল,
–কেন ভাই, আপনার মা-বাবার কী হয়েছিল?
ওমর চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বুকের মাঝে জমে থাকা কথাগুলো বলতে শুরু করে।
আমার মা বলেন আর বাবা বলেন সবই এই যে দেয়ালে টানানো মহিয়সীর ছবি দেখছেন উনিই আমার পৃথিবী। আমার দুর্ভাগ্য আমি এই পবিত্র মহান মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করিনি। আমার মা আমাকে ডাস্টবিনের ময়লা থেকে, একদল কুকুরের মুখ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন। আমার জন্মদাত্রী আমাকে জন্ম দিয়েই ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিল। আমি যখন ডাস্টবিনে ক্ষুধায় হাত-পা নেড়ে নেড়ে চিৎকার করছিলাম তখন একদল ক্ষুদার্ত কুকুর আমাকে ঘিরে ধরে। সেই ডাস্টবিনের পাশের রাস্তা ছিল এই মহিয়সী নারীর কলেজে যাওয়ার রাস্তা। তিনি আমার কান্নার শব্দে ছুটে এসে আমাকে বুকে জড়িয়ে বাড়ি ফেরেন। তখন আমার মা অবিবাহিত। পরিবারের সবার এক কথা কার না কার পাপ তুই এভাবে আমাদের ঘরে তুলতে পারিস না। তাছাড়া তোর এখনো বিয়ে হয়নি। লোকে জানলে তোর বিয়ে দিতে পারবো না। আমার নানির মনে সন্তানের জন্য মায়া হলো, তিনি আমাকে মেনে নিলেন। আমার মা ও নানি ছাড়া কেউ আমাকে আদর করতো না। আমি যখন একটু বুঝতে শিখি তখন আমার নানি মারা গেলেন। আমার মা বড্ড একা হয়ে গেলেন। আমার বয়স যখন ৪ বছর তখন মায়ের বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিয়ে আসতে শুরু করে। একদিন ছেলে পক্ষ আমার মাকে পছন্দ করে বিয়ের পাকা কথা বলছিল এমন সময় আমি মায়ের কাছে গিয়ে মা মা ডাকতে থাকি। আমার মায়ের বিয়েটা সেদিন ভেঙে যায়। তারা আমার মাকে অনেক বাজে কথা বলে। তখন আমার নানা অনেক রেগে মাকে বলেছিলেন,
–এই ছেলেকে কোনো অনাথ আশ্রমে দিয়ে আসো, আর না হলে এখনি এই ছেলেকে নিয়ে আমার বাড়ি ছেড়ে চলে যাও।
মা তার বাবাকে বলেছিলেন,
–বাবা আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।
–একটা কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের জন্য তুমি আমাদের ছেড়ে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে?
–বাবা ওমর আমার ছেলে, ও আমার কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন।
সেদিন আমার মা আমাকে বুকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে অজানা গন্তব্যে। আমার মায়ের এক বন্ধু মানে শফিক আঙ্কেল মাকে নিয়ে একটা এতিমখানায় যায়।
মায়ের সব কথা শুনে এতিমখানার মালিক মাকে ও আমাকে আশ্রয় দেন। মা এতিমখানার ছেলেমেয়েদের পড়াতো। এই সেই এতিমখানা যেখানে আমার ও আমার মায়ের মাথা গুজার ঠাঁই হয়েছিল আমাদের জীবনের খারাপ অবস্থায়। এখানে হেসে খেলে বেড়ে উঠেছে আমার ছেলেবেলা। এভাবে কেটে যায় আরও অনেকগুলো বছর। আমি বড় হই। আমি পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিলাম, তাই স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে লেখাপড়ার সুযোগ হয়। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া দিনগুলোর কথা আমার মা আমাকে বলে। তার আগে আমি জানতামই না আমি তার সন্তান না। তিনি কোনোদিন আমাকে বুঝতেই দেয়নি। আমি বিদেশ গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটা কাজ করি।
এদিকে আমাদের এতিমখানার মালিকের দুরাবস্থা শুরু হয়। তিনি অনেক অসুস্থ হয়ে যান। তিনি এতিমখানা চালাতে ও নিজের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। তখন আমি তাঁর চিকিৎসা ও এতিমখানার দায়িত্ব নিই। বছরখানেক পর তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পূর্বে এই এতিমখানা আমার মায়ের নামে করে দিয়ে যান। আমি পড়াশোনা শেষ করে ওখানেই একটা চাকরি পেয়ে যাই। এতিমখানার খরচ চালাতে আমি ওখানে থেকে যাই। তিন বছর আগে মা রোড এক্সিডেন্টে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। তারপর আর আসতেই ইচ্ছা হতো না দেশে।
মেয়েটা ওমরের কথা শুনে কেঁদে কেঁদে বলে,
আমি নিজের সন্তানকে নিজের সুখের জন্য আলাদা করে দিচ্ছিলাম। আমি মা জাতির কলঙ্ক। ভাই আমাকে এখানে একটা কাজ দেন আমি এখানেই থাকতে চাই।
ওমর খুশি হয়ে জানালো আপনি এখানে থেকে ছেলেমেয়েগুলোকে পড়াবেন। আর আজ থেকে আপনার সন্তানের নাম আমিনা। ওর সব দায়িত্ব আমার

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৩ Comments

  1. halima tus sadia

    খুব সুন্দর একটি।
    ভালো লাগলো।

    মানুষের জীবনে কতো গল্প লুকিয়ে থাকে।
    কেই কি খবর রাখে।
    ওমরের জীবনের গল্পতো কম কষ্টের না।
    তবুও তো হাসি খুশিতে মেনে নেয়।

    বানানে ভুল নেই।

    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  2. Md Rahim Miah

    শুনে -শোনে(যেহেতু চলিত শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার হয়েছে আরেকজনের ঘটনা উল্লেখ করতে)
    বাহ্ বেশ ভালো লিখেছেন। সমাজের বাস্তব চিত্র অনেক ফুটে তুলেছেন। তবে লেখনশৈলী কেন জানে মুগ্ধ করতে পারেনি বুঝলাম না। তবে ঘটনা মুগ্ধ করেছে। আসলে সমাজে এইরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটে। যদিও আমারও এই বিষয়ে গল্প লেখা আছে। যাইহোক শুভ কামনা রইল।

    Reply
  3. আফরোজা আক্তার ইতি

    বাহ! গল্পটা আমার মন ভরিয়ে দিল। হয়তো ঘটনা আর লেখনশৈলী খুব সাধারণ ছিল তবুও গল্পটা এতোটা ভালো চছিল যে আমার মনটাও ভালো হয়ে গিয়েছে।
    এতিমখানা দেখতে খুব সুন্দর হয়। কতশত ছোট্ট ছোট্ট ফুলের বাগান। ফেরেশতা! দেখে কতো ভালো লাগে। কিন্তু তাদের এ হাসির পিছনে যে কত করুণ কষ্ট লুকানো থাকে সে কথা আমরা কতজন জানি? সেখানে তাদের মায়ের স্নেহ থাকে না, অঢেল খাবার পোশাক থাকে না। থাকে না পর্যাপ্ত শিক্ষা। তবুও তারা এরই মাঝে হেসে খেলে বেড়ে উঠে,ফেরেশতা বলে কথা!
    ওমরের জীবনটা কম কষ্টের ছিল না, কত ঝড় সইতে হয়েছে ওকে। ওর মা আসলেই একজন মহীয়সী তাই তো তিনি সাহসিকতা দেখিয়েছেন।
    চমৎকার লিখেছেন।
    শুভ কামনা।

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *