লেখা : তানজিনা তানিয়া
.
মানুষের প্রতিদিনের কাজকর্মের মধ্য দিয়ে যে আচার- আচরণ ও স্বভাব চরিত্র প্রকাশ পায় তাকে আখলাক বলে। আখলাক অর্থ চরিত্র বা স্বভাব। আখলাক দুই প্রকার। প্রকারভেদগুলো হচ্ছে যথাক্রমে, আখলাকে হামিদাহ্ এবং আখলাকে যামিমাহ্। মানবজীবনের উত্তম গুণাবলিকে আখলাকে হামিদাহ্ বলে। পক্ষান্তরে মানবজীবনের নিকৃষ্ট চরিত্রকে আখলাকে যামিমাহ্ বলে। সন্ত্রাস হলো আখলাকে যামিমাহ্ এর অন্তর্ভুক্ত। সন্ত্রাস হলো ফিতনা ফ্যাসাদের আধুনিক রূপ। সন্ত্রাস অন্যতম একটি সামাজিক ব্যধিও বটে। সন্ত্রাস অর্থ মারাত্নক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা। ভয় দেখিয়ে বা আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের কাছ থেকে কিছু আদায় করে নিলে বা নেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে সন্ত্রাস বলে।
সন্ত্রাসের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাসবাদ বা Terrorism শব্দটির উদ্ভব হয় ফ্রান্সে ১৭৮৯-১৭৯৯ সালে ফরাসি বিপ্লব চলাকালীন। এই সময় গণতান্ত্রিক বিপ্লব চালু এবং জনপ্রিয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে The Regime de La Terreur(Reign of Terror) নামে একটি বিশেষ পরিষদ গঠিত হয়। এরপর ফরাসি বিপ্লব আর তখন থেকেই Terror বা সন্ত্রাস শব্দটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘটনার আকষ্মিকতা ও প্রকৃতি দেখলে অনেকেই সন্ত্রাসবাদকে শনাক্ত করতে পারে, কিন্তু সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থ্যক্য রয়েছে৷ তবে সহজ করে যদি আমি আমার নিজের ভাষায় বলি তবে বলবো যে, আতঙ্কিত পরিবেশ সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিল করাকেই সন্ত্রাসবাদ বলে।
সন্ত্রাস সৃষ্টির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্ষমতার লোভ, ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ, ধর্মীয় ও বর্ণবৈষম্য, দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, দ্রুত আধুনিকায়ন, ছাত্র রাজনীতি, বেকারত্ব, আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়া ইত্যাদি। এবার সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ আরেকটু সবিস্তরে বলি।
সন্ত্রাসীরা ত্রাস ও ভয় সৃষ্টির মাধ্যমে এক ধরণের অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এমন পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে যুক্তি হচ্ছে, ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হলে অন্য দল সংগঠিত হওয়ার সাহস পায় না। তা ছাড়া এর মাধ্যমে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে অন্যকে সজাগ করা সহজ হয়। আজকাল দেশের অলিতে গলিতে অস্ত্রের ছড়াছড়ি। এসব অস্ত্র বিভিন্ন মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। সন্ত্রাস সৃষ্টিতে বাবা মায়ের বখে যাওয়া ছেলেদের ভূমিকাই মূলত প্রধান। আর এদের পাল্লায় পড়ে নষ্ট হয়ে যায় ছাত্রসমাজও। একটা পাড়ায় যদি দুই একজন মাস্তান ছেলে থাকে তাহলে তাদের সাথে মিশে সেই পাড়ার ভদ্র ছেলেরাও মাস্তানি শিখে যায়। সন্ত্রাসীদের মূলত একটা ক্ষমতা থাকে। এদের ভেতর কোনো দয়া-মায়া থাকে না। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। এরা মুহূর্তের মধ্যে ঠাণ্ডা অবস্থা থেকে পুরোপুরি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। তাই এদেরকে সবাই ভয় পায়। আর জনসাধারণের এই ভয়কে পুঁজি করে এরা ক্ষমতাবান হয়ে উঠে। এদের কথার উপর কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ক্ষমতালোভী। মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিখ্যাত দার্শনিকরাও মানব প্রকৃতিকে ক্ষমতালোভী বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ তাই এক পাড়ায় বসবাসরত ভালো ঘরের অধ্যয়নরত ভদ্র ছেলেটির মনেও কোথাও না কোথাও ক্ষমতা লাভের বাসনা লুকায়িত থাকে। তাই তারা যখন দেখে যে সেই মাস্তান ছেলেদের সাথে মিশে ক্ষমতাবান হওয়া যায় তখন তারা সেই মাস্তানদের সাথে মিশে যায়। কেউ কেউ আবার তাদের উগ্র বিলাসিতাকে বাস্তব রূপ দিতে গিয়ে মাস্তান তথা সন্ত্রাস সম্প্রদায়ের সাথে হাত মেলায়। আর এভাবেই সন্ত্রাস ডালপালা মেলে বিস্তার লাভ করে। মূলত সন্ত্রাস সৃষ্টিতে যুবসম্প্রদায়ই বেশি দায়ী। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এর কারণে শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও পূর্বের তুলনায় এর হার এই দুই হাজার উনিশ সাল পর্যন্ত এসে অনেকটাই কমে গেছে। তবুও একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে এই কথা বলা যায় না। সন্ত্রাসের মূল কারণ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও ছাত্র রাজনীতি। দেশের রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর লেজ হিসেবে এক একটি যুব সংগঠন রয়েছে। তরুণ ছাত্ররা নিজস্ব সত্তা হারিয়ে রাজনৈতিক সংগঠনের হাতের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে ছাত্রসমাজ ও যুবসমাজ রাজনৈতিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়৷ বেকারত্বও সন্ত্রাস বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। পড়াশুনা শেষ করে ছাত্ররা যখন কাজ পায় না তখনই বেশিরভাগ ছেলে মাস্তানদের সাথে মিশে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়। যুবক ছেলেদের হাতে অফুরন্ত অবসর সময় থাকা খুবই খারাপ দিক। কারণ এই অফুরন্ত অবসর সময় কাটাতে গিয়েই হোক আর পারিবারিক টানা -পোড়ানের কারণেই হোক, এই সময়টাকে খুব কম যুবকই ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, সন্ত্রাসীরা অপরাধমূলক কাজ করেও আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে অন্যরা উৎসাহিত হয় এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করে৷ এছাড়াও নৈতিক চেতনাবোধের অবক্ষয় ও উগ্র চেতনাও সন্ত্রাস সৃষ্টিতে দায়ী।
আমাদের দেশে সন্ত্রাসের মারাত্নক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। সন্ত্রাসের প্রভাবে সমগ্র জাতি আজ অরাজকতায় ভুগছে৷
অসহায় বাবা-মা এর সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে সন্ত্রাসীতে পরিণত হচ্ছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে হারাচ্ছে মূল্যবান জীবন। ফলে গোটা পরিবার হয়ে যাচ্ছে অসহায় এবং জাতীয় জীবনে গড়ে উঠছে না মেধাবী নাগরিক। সন্ত্রাসের কারণে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। স্বার্থান্বেষী মহলগুলো মুষ্টিমেয় কিছু তরুণকে বিভিন্ন কৌশলে তাদের আয়ত্তে রেখে সন্ত্রাসী বানিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। কতিপয় বিপথগামী তরুণের কারণে যেমন দেশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি সমগ্র জাতি বিরাট ক্ষমতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই সন্ত্রাসবাদ একইসাথে সামাজিক ও জাতীয় সমস্যা।
সন্ত্রাসকবলিত জনপদে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকে না। যখন তখন যে কেউ অপমৃত্যুর শিকার হতে পারে৷ মানুষের সহায়- সম্পদের কোনো নিরাপত্তা থাকে না সন্ত্রাস কবলিত এলাকায়। আইন শৃঙ্খলা ও প্রশাসন পর্যন্ত স্থবির হয়ে যায় এই সন্ত্রাসের কবলে পড়ে। সন্ত্রাসবাদ কেবল সামাজিক উন্নয়নই ব্যাহত করে না। এটি জাতীয় উন্নয়নেরও অন্তরায়।
.
ইসলাম সন্ত্রাস প্রতিরোধে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থেকে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সাথে এই যুদ্ধকে মুমিনদের ইমান রক্ষার যুদ্ধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই বিষয়ে মহান আল্লাহ পাকের বাণী হচ্ছে ” এবং তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয়”।(সূরা আল আনফাল, আয়াত ৩৯)। সন্ত্রাস দমনে ইসলাম তিন প্রকার ব্যবস্থা নিয়েছে। ( ১) শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। (২) কারণ উদঘাটন ও নিরসন (৩)নৈতিকতাবোধ জাগ্রতকরণ। সন্ত্রাসীদের ইসলাম অনুসরণের কথা বলে এবং আল্লাহ ভীতি দেখানোর মাধ্যমে যে কারো মনে আল্লাহ ভীতি সৃষ্টি হতে পারে। আর এ থেকেই সন্ত্রাসীরা তাদের কর্ম থেকে সরে আসতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে কিছু মানুষের মধ্য আল্লাহভীতি খুব কম। পাপকাজে জড়িয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে৷ তখন সুস্থ মানুষজন কেবল বলে থাকে যে, আল্লাহ তুমি হেদায়েত দান করো। যে কোনো সামাজিক বা জাতীয় সমস্যা নিরসনে কারো বা কোনো একক সংস্থার প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। এইসব সমস্যা সমাধানে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। বাস্তবিকভাবে যেসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সন্ত্রাস দমন বা প্রতিরোধ করা যায় সেগুলো সংক্ষেপে বলি৷ বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সন্ত্রাসকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে সর্বত্র। সন্ত্রাসের সাথে দারিদ্র্যতার নীরব সম্পর্ক রয়েছে। তাই দারিদ্র্য নির্মূলকরণ পদক্ষেপ সন্ত্রাস নির্মূলে সহায়ক। সন্ত্রাস নির্মূলে প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্নক মনস্তাত্বিক অভিযান প্রয়োজনীয়। দক্ষ সামরিক ব্যবস্থাও সন্ত্রাস নির্মূলের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে। বাবা মায়েদের সন্তানের দিকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিৎ। তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলা উচিৎ। ছোট খাটো বিষয়ে প্রহার করা যাবে না ছেলে মেয়েদের। তাদের কোনো নেতিবাচক দিককে কেন্দ্র করে বারবার বকাঝকা করা যাবে না। সন্তানের সবচেয়ে বড় আশ্রয় বাবা মা। তাদের কাছ থেকে নিজেদের দুর্বল কোনো পয়েন্টের জন্য প্রহারিত হলে ছেলেমেয়ে ডিপ্রেশনে গিয়ে সন্ত্রাস বেছে নেয়।
সরকারের বিচার বিভাগের বাস্তবিক কর্মতৎপরতা ও সেই সাথে গোয়েন্দা তৎপরতা সন্ত্রাস দমনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত করণ, ছাত্রসমাজের সন্ত্রাস নির্মূল দৃষ্টিভঙ্গি এবং সর্বোপরি সারা দেশের মানুষের একনিষ্ঠ সহযোগিতাই পারে সন্ত্রাসবাদসহ যে কোনো সামাজিক ও জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে।
.
বিঃ দ্রঃ : এই ছোট প্রবন্ধটাও আমি অনেক সময় নিয়ে লিখেছি। কারণ যে বিষয়টা নিয়ে লিখেছি সেটাকে পরিপূর্নভাবে ফুঁটিয়ে তুলতে গেলে রাজনৈতিক কিছু বিষয় আপনা আপনি চলে আসে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাকে সবসময় সচেতন থাকতে হয়েছে যে, সন্ত্রাস নিয়ে লিখতে গিয়ে এটা যেন রাজনৈতিত প্রবন্ধ না হয়ে যায়। যদি রাজনৈতিক বিষয় টেনে আনতাম তবে প্রবন্ধটি আরও প্রাণ পেত হয়তো। কিন্তু বিশেষ কারণে সেটা পরিত্যাগ করতে হলো।
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...




দারুণ লিখেছেন আপু।
সন্ত্রাস দিন দিন বেড়েই চলছে।
কিছু ভালো মেধাবী ছাত্ররাও সন্ত্রাসে জড়িয়ে যাচ্ছে।
যার ফলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
ভালোরা খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মারাত্নক–মারাত্মক
ভালো কিছু কথা তুলে ধরেছেন।
শুভ কামানা রইলো।
আপু, প্রবন্ধটা এক কথায় চমৎকার হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠন্ত বয়সের ছেলে এমনকি মেয়েকে নিয়েও বর্তমান মাতা পিতা চিন্তিত থাকেন, সন্তান ভুল পথে গিয়ে বখে যাবে না তো? সঠিক বন্ধুদের সাথে মিশছে তো? এছাড়াও পরিবারের কোনো সদস্যকে বাইরে যেতে দিয়েও শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে না কেউ। ভয় একটাই কোনো দূর্ঘটনার শিকার হবে না তো? এতোবোর সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে আপনি চমৎকার ভাবে কলম তুলেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তবে প্রবন্ধটির নামকরণ আরেকটু জোরালো বা ভিন্নমাত্রার হলে সার্থকতা পেতো বলে মনে হচ্ছে।
প্রবন্ধটির শেষে বি.দ্রটি প্রবন্ধটির সৌন্দর্য ক্ষুণ্ণ করেছে বলে মনে হচ্ছে।
মারাত্নক- মারাত্মক
শুভ কামনা আপু।
ধরণের-ধরনের
উচিৎ -উচিত
মারাত্নক-মারাত্মক
বাহ্ অসাধারণ লিখেছেন। পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু। আসলেই সন্ত্রাস নিমূল করতে চাইলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবে আপনে যে কারণগুলো উল্লেখ করেছেন সেইগুলো বাদেও অন্য কারণে সন্ত্রাস সৃষ্টি হতে পারে। যেমন :বিনা আপরাধে কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া। তখন সে পরিস্থিতি শিকারে সন্ত্রাসও হয়ে যেতে পারে একসময়, তবে সবার ক্ষেত্রে না। যাইহোক সত্যিই আজকাল বাবা-মায়ে বড় চিন্তিত তাদের সন্তান ভালো পথে চলছে কিনা নাকি খারাপ মানুষের সাথে মিশে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।বানানে তেমন ভুল নেই আপু মাত্র কয়েকটা, অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।