শিক্ষা যখন পন্য
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,486 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

 

শিক্ষা যখন পন্য

লেখা: হিমু

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী আছে। ভিন্ন ভিন্ন পন্য সামগ্রী নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চলেছে। কিন্তু, আমাদের দেশে যে সমস্ত পন্য সামগ্রী রয়েছে, সেগুলো বোধহয় কম হয়ে গেছে। তাই একদল ব্যবসায়ী শিক্ষাকেও পন্যের মত বিক্রি করা শুরু করেছে।
শিক্ষা কি কোন পন্য?
না, শিক্ষা কোন পন্য নয়। শিক্ষা বিনিয়োগ, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। কিন্তু, এদেশে শিক্ষার অবস্থান কোথায়?
ক্লাস ফোর থেকে একটা ভাব–সম্প্রসারন পড়ে আসছি, “শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”।
কিন্তু তখন ছোট ছিলাম। বুঝিনি যে, শিক্ষা কিভাবে মেরুদন্ড হয়?
শুধু ৫ মার্কের জন্য মুখস্থ করেছিলাম।
বড় হওয়ার পর যখন আমেরিকা, চীন আর রাশিয়ার মত রাষ্ট্রগুলোর উন্নতির পেছনের কারন খুঁজেছি, তখন বুঝেছি “শিক্ষা”কে কেনো “জাতির মেরুদন্ড” বলে।
যদি আজকে আমাদের দেশের দিকে দিকে দৃষ্টি দেওয়া যায়, দেখা যাচ্ছে দরিদ্র সীমার নিচে আমাদের অবস্থান।
একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, আমাদের দেশেও তো শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সবই আছে। তাহলে আমরা কেনো উন্নত নই? আমরা কেনো দরিদ্র জাতি?
এই প্রশ্নের উত্তর টা আমাদের দেশের শিক্ষা–ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলেই পাওয়া যাবে।
আমাদের দেশে যে সমস্ত সরকারি স্কুল–কলেজ রয়েছে, সেগুলোতে পর্যাপ্ত ভালো শিক্ষকের অভাব। তবে যে সমস্ত ভালো শিক্ষক রয়েছে, তারা ক্লাশে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়না। মাস শেষে সরকারি বেতনের বিনিময়ে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বই শেষ করে থাকে। ছাত্ররা বুঝলো কি না, সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ থাকেনা তাদের।
একটা সময়, সব ছাত্র–ছাত্রীরা টেনশনে পড়ে যায়, রেজাল্ট ভালো করবে কিভাবে? কোন উপায় না পেয়ে প্রাইভেট/কোচিং শুরু করতে বাধ্য হয়।
প্রাইভেটের আবার হরেক রকমের ধরন আছে, সাথে আছে এমাউন্টেরও ধরন। ব্যাচ করে পড়লে এক রেট, একাকী পড়লে আরেক রেট, বাসায় গিয়ে পড়ালে আরেক রেট ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে শিক্ষকটা ক্লাসে হ-য-ব-র-ল’ করে অধ্যায় গুলো শেষ করেছে, সে শিক্ষকটার কাছে যখন প্রাইভেট পড়া হবে কিংবা কোচিং করা হবে, তখন সেই শিক্ষকটাই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটা অধ্যায় শেষ করাবে।
অথচ, এই গুরুত্বটার প্রয়োজন রয়েছে ক্লাসে। কিন্তু ক্লাসের গুরুত্ব টা দেওয়া হচ্ছে বাইরে, এটার দ্বারা বাড়তি কিছু উপার্জনও হচ্ছে।

এই ব্যবসা হচ্ছে সরকারি স্কুল কলেজের ছাত্রদেরকে নিয়ে। অপরদিকে, আরো একদল ব্যবসায়ী শিক্ষা নিয়ে বড় ধরনের ব্যবসা করে চলেছে।
পাড়ায় পাড়ায় কিন্ডারগার্ডেন খুলেছে। প্রাইভেট কলেজ, প্রাইভেট ভার্সিটি খোলা হয়েছে। এই প্রাইভেট স্কুল–কলেজগুলোতে পড়াশোনার জন্য প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা।
অন্যদিকে, যে সমস্ত সরকারি স্কুল–কলেজগুলোতে লেখাপড়ার মান ভালো, রেজাল্ট সচরাচর ভালো হয়, তারাও কোন অংশে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে কম নয়। শিক্ষকদের বেতন সহ যাবতীয় সকল খরচ সরকার ঠিকই বহন করে। তবুও, বিভিন্ন রকম বিল (রুম পরিষ্কার,কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ওয়াইফাই ইত্যাদি ) দেখিয়ে ছাত্রদের থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে থাকে।
ফরম ফিল–আপ, রেজিস্ট্রেশন, ইয়ার চেঞ্জ ইত্যাদির জন্য সরকারিভাবে এমাউন্ট নির্ধারিত করা থাকে। এখানেও শিক্ষকেরা ব্যবসা করে থাকে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে অনেক টাকা বেশি নেয়া হয় ছাত্রদের কাছ থেকে।

এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার এহেন পরিস্থিতিতে ইতিবাচক দিক শুধু একটাই, বড়লোকদের সন্তানেরা শিক্ষিত হচ্ছে।
এছাড়া, আর যা আছে সবই নেতিবাচক।
এই শিক্ষানীতি সব থেকে বড় আঘাত হেনেছে গরিব ছাত্র–ছাত্রীদের উপর। ক্লাসে যা পড়ানো হয়, তা নিয়েই এদেরকে বাড়ি ফিরে আসতে হয়। প্রাইভেট কিংবা কোচিং কোনটাই এদের কপালে জুটেনা। মানসম্মত কোন সরকারি স্কুল–কলেজ কিংবা প্রাইভেট স্কুল কলেজেও পড়াশোনা হয়না এদের।
এদেশের অধিকাংশ মানুষই গরিব। অপরদিকে, প্রকৃত শিক্ষা প্রত্যেকটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার।
সে হিসেবে, একটা স্বাধীন দেশের অধিকাংশ নাগরিক তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
যে জাতির অধিকাংশই প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, সে জাতির উন্নতি কিভাবে সম্ভব?

যে সমস্ত ধনী ঘরের সন্তানেরা লেখাপড়া করে বড় হয়েছে, তারা কি কখনো এই জাতির কথা ভাববে?
অথবা, যে সমস্ত গরিব ছেলে–মেয়েরা কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে, তারা কি ভাববে এই দেশের কথা? কখনোই ভাববে না।
সবার মাথায় সর্বদা একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাবে, কিভাবে টাকা কামানো যায়।
উদাহরণ হিসেবে, ডাক্তারদের দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট।
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে যে ছেলেটা লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়েছে, সে কি আর ২০ টাকা দিয়ে ভিজিট দিয়ে চিকিৎসা করবে? যদিও ইচ্ছা জাগে, তবুও নিজের অতিতের দিকে তাকালেই সেই ইচ্ছাটা হারিয়ে যাবে।
ডাক্তাররা পাঁচশো, হাজার থেকে শুরু করে যে যত পারছে ভিজিট নিচ্ছে। একটা ছোট অপারেশন করাতে গেলেও ২০–৩০ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। গরিবরা বঞ্চিত হচ্ছে ভালো ট্রিটমেন্ট থেকে। চিকিৎসার অভাবে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত জীবন।
এগুলোর পেছনে দায়ী হচ্ছে শিক্ষা ব্যবসায়ীরা।

প্রত্যেকটা ছাত্র লেখাপড়ার পাশাপাশি এটাও শিখে নিচ্ছে, কিভাবে শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করতে হয়।
যাদের কাছ থেকে সততা আর মূল্যবোধের সঠিক পরিচয় শেখার কথা, তাদের থেকে শিখছে কিভাবে একটা জাতির সাথে প্রতারণা করতে হয়।
এরা যখন বড় হচ্ছে, তারাও শিক্ষাকে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে শুরু করবে। শিক্ষাকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করবে। জাতির সাথে প্রতারণা করবে।

শিক্ষকদের এমন নীতি শুধু এই জাতিকেই নিচে নামায়নি। নামিয়েছে স্বয়ং শিক্ষকদের সম্মান–মর্যাদাকে।
কবি কাজী কাদের নেওয়াজের লেখা ‘শিক্ষকের মর্যাদা’ কবিতার একটা চরণ উল্লেখ করা যায়,
“আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”
কবিতাতে, স্বয়ং বাদশাহর উপরে শিক্ষকের স্থান দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সর্বাধিক সম্মান— অধিকার।
অবশ্য, কিছুদিন আগেও শিক্ষকেরা যথেষ্ট মর্যাদা পেতেন, সম্মান পেতেন। ছাত্রদেরকে শাসন করার যথেষ্ট অধিকারও ছিলো।
কিন্তু, যখনই শিক্ষকেরা ছাত্রদের টাকার গোলাম হয়ে গেছে, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে, তখনই তারা হারিয়ে ফেলেছে ছাত্রদেরকে শাসন করার অধিকার, হারিয়ে ফেলেছে তাদের সম্মান–মর্যাদা।
কিভাবেই বা পাবে সম্মান?
সম্মান–মর্যাদা এগুলো শিক্ষকদের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য নয়।

এ দেশে যেই শিক্ষানীতি বর্তমানে চালু আছে, সেই শিক্ষানীতি না বদলালে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। উন্নতির বদলে অবনতির দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।

সরকার মহলকে অতিসত্বর শিক্ষার দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে।
প্রত্যেকটা প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে।
সরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটা সরকারি স্কুল কলেজে, প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাইতে উন্নত শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এমন একটা শিক্ষানীতি এদেশে চালু করতে হবে, যাতে ধনী-গরীব, জাতি–বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সমান শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়।

মনে রাখতে হবে, যেই শিক্ষার উপর ভর করে জাতি দাঁড়িয়ে থাকবে, সেই শিক্ষাকে কোন ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিলে হবে না। গোটা বাঙালী জাতির দায়িত্ব যারা নিয়েছে, তাদেরকেই শিক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকে সু–শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই শিক্ষা আমাদের মেরুদন্ড হতে পারবে; অন্যথায় নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৬ Comments

  1. Tanjina Tania

    এদেশের- এ দেশের বা এই দেশের। ধরনের-ধরণের। আপনি প্রবন্ধের নামের বানানটিই ভুল করেছেন। পণ্য, এটা ণ দিয়ে হবে। লিখেছেন খুব ভালো একটি বিষয়ে। শুভকামনা।

    Reply
  2. সুস্মিতা শশী

    পন্য – এটা পণ্য হবে।
    অপেক্ষায় আছি সেই দিনের যেদিন বাংলার প্রতিটা ছেলেমেয়ে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।

    Reply
  3. Md Rahim Miah

    পন্য-পণ্য
    এদেশে-এই দেশে
    কোন-কোনো
    কারন-কারণ
    কেনো-কেন
    ক্লাশে-ক্লাসে
    দেয়না-দেয় না
    থাকেনা-থাকে না (না আলেদা বসে)
    কিভাবে-কীভাবে
    জুটেনা-জুটে না
    হয়না-হয় না
    বাহ্ একদম বাস্তব ঘটনা ফুটে উঠে। আসলেই শিক্ষাকেই আজকাল মানুষ ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে। পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগল, শুভ কামনা রইল

    Reply
  4. Halima tus sadia

    বর্তমান প্রক্ষাপটে লেখা।
    চমৎকারভাবে কথাগুলো তুলে ধরেছেন।
    আমরা যত বেশি শিক্ষিত হচ্ছি ততই জ্ঞাণ বুদ্ধি লোপ পাচ্ছে।
    টাকা ছাড়া পড়াতে চাই না।আর স্যারদের কাছে প্রাইভেট না পড়ার কারণে অনেক স্যারই নাম্বার কম দেয়।
    যার কারণে গরীব ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ে।
    আমাদের এ বিষয়ে মূল্যায়ণ করতে হবে।
    আমরা যেনো শিক্ষাকে ব্যবসা মনে না করি।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  5. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম।
    সমসাময়িক প্রেক্ষাপট নিয়ে দারুণ একটি লেখা। বেশ ভালো লেগেছে। তবে বানানে বেশ ভুল। পণ্য বানানটা পর্যন্ত ভুল। আগামীতে বানানের প্রতি আরো বেশি সচেতন হয়ে লিখবেন আশা করি।
    পন্য – পণ্য
    কোন – কোনো ল
    কেনো – কেন
    কিভাবে – কীভাবে
    মত – মতো
    কারন – কারণ
    উত্তর টা – উত্তরটা
    ক্লাশে – ক্লাসে
    দেয়না – দেয় না
    থাকেনা – থাকে না
    জুটেনা – জুটে না
    অধ্যায় গুলো – অধ্যায়গুলো
    গুরুত্ব টা – গুরুত্বটা
    কিন্ডারগার্ডেন – কিন্ডারগার্টেন

    আরো বেশ কিছু ভুল রয়েছে। আমি কয়েকটা তুলে ধরলাম। আশা করি শুধরে নেবেন।
    শুভ কামনা।

    Reply
  6. Nafis Intehab Nazmul

    একটা চরম বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
    আজকে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে গেছে টাকার উপর ভিত্তি করে। সবথেকে দামী একটা কথা তুলে ধরেছেন যে, টাকার কারনে গরিবেরা প্রকৃত শিক্ষা পাচ্ছে না। আসলেই তাই।
    শিক্ষকরা হয়ে গেছে ব্যবসায়ী। শিক্ষাকে এ দেশের শিক্ষক রা পণ্য ভানিয়ে ফেলেছে।

    Reply

Leave a Reply to Md Rahim Miah Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *