লেখা: Mahajabin Megha Isha
,
চার বছর দাম্পত্যজীবন শোভন ও সাথি এর। এরেঞ্জ মেরেজ এ বিয়ে হয়েছিল তাদের। সাথি একজন অপরূপ সুন্দর নারী বটে,একবার দেখিলে চোখ সরিলেও সেই রুপ হতে সহজে মন সরিবে না। শোভন একটা সাধারণ সরকারি চাকরি করে। মধ্যবিত্ত পরিবার তার।যখন সাথি তার পরিবার হতে দেয়া বিয়ের প্রস্তাব এ রাজি হয় তখন শোভন বিশ্বাস ই করতে পারছিল না যে এতো সুন্দর মেয়ে তার মত একজন সাধারণ, কালো ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে।তাদের একটি ৩ বছর বয়সী মেয়ে ও আছে নাম নবনী। সবে মিলে একটি সুন্দর সংসার।
বিয়ের আগে সাথি এর একজন প্রেমিক ছিল কিন্তু তার সাথে বিচ্ছেদ এর পর ই সে সেচ্ছায় শোভন কে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। শোভন তার বউ সাথি কে অনেক ভালোবাসতো। তার প্রয়োজন এর আগেই তাকে সব কিছু কিনে এনে দিত।
শোভনের সাথির জন্য এ ভালোবাসা শোভন এর মা এর কাছে অতিরিক্ত মনে হতো তাই সে সাথি কে বেশি একটা দেখতে পেত না।
হটাত এক শুক্রবারে শোভন এর বাসায় কলিংবেল বাজে উঠলো।
শোভন ও সাথি সোফা তে বসে ছিল।
সাথি “কে যেন এসেছে ”
শোভন “দাঁড়াও আমি খুলছি ”
শোভন অবাক। একটি লোক খুব চেনা চেহারা। সাথি দাঁড়িয়ে পরল।
“আরে নমিত, তুমি?”
“হ্যা আমি ”
“আসো আসো ভেতরে এসে বসো”
শোভনের সব মনে পরে গেল।
নমিত ই ছিল সাথি এর বিবাহ পূব প্রেমিক।
ঘরে এসে বসলো নমিত। সাথে এনেছে সাথি এর প্রিউ জিলাপি আর নবনি এর জন্য নানা রকমের খেলনা।
নবমি কে কোলে নিয়ে বসেছে নমিত।
“এতো দিন কই ছিলে তুমি নমিত? তোমার সাথে কন্টাক্ট এর অনেক চেষ্টা করেছি “,সাথি।
“লন্ডন এ গিয়েছিলাম, এখন আমি ওখানের ই সিটিজেন “।
এভাবে নানা রকম কথন পথন ঘন্টার পর ঘন্টা চললো। শোভন বেশির ভাগ সময় চুপ ই ছিল। সে বুঝতে পারছিল না এ কি হচ্ছ্র জীবনে।
রাত্রি দিকে নমিত চলে গেল। যাবার পূর্বে সাথি আবারো নমিত কে দাওয়াত দিল।
এভাবে সপ্তাখানেক গেল।
শোভন বাসায় না থাকলে তার বউ এর উপর চিন্তা বাড়তে থাকে।অন্যদিকে শোভনের মা শভোন বাড়িতে এলেই সাথির বেপারে মিথ্যা অপবাদ দিত।
বউকে ভালোবাসতো বলে সে এগুলো কথা মায়ের সামনে এড়িয়ে যেত।
মা প্রায় ই বলতো “দেখিস তোকে ওই মেয়ে শান্তি দিবে না,সারাটা দিন নমিত নামের বেটার সাথে আলাপ আর আড্ডাবাজি”
৪ দিন পর ওদের মেরেজডে।
সাথি ঘুমোচ্ছে। ওর মোবাইলে নোটিফিকেশন আসলো। শোভন ভাবছে সে কি চেক করবে। চেক করে দেখলো নমিত এর মেসেজ। মেসেজ এ লিখা “চিন্তা কোরো না
আমি আছি না? ৪ তারিখ তোমার প্লান অনুযায়ী সব হবে।”
আর আগের সব গুলো মেসেজ ডিলিটেড। শোভন ভেবে পাচ্ছিল না কি হবে ৪ তারিখ ।
তার ভিতরে জলছিল। কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না।সে কি রিভেঞ্জ নিবে?
সে ৩ তারিখ সন্ধায় একপাতা ঘুমের ঔষধ কিনে আনলো এবন সাথি কে আদর করে খায়ে দিল। শোভন ছাড়া কেউ জানেনা আজ সাথির শেষ দিন।
১১ টা বাজতেই শুয়ে পড়লো।
১২ টা বাজতে শোভন এর দরজায় কলিং বেল এর আওয়াজ।
দরজা খুলে দেখে তাদের বন্ধু বানধব, আরও পরিবার পরিজন। নমিত ও ছিল। তার হাতে ছিল বড় একটা কেক
সবাই দরজা খুলতে চিৎকার করে বলে ঊঠলো” হেপি এনিভারসারিইই”
নমিত শোভন এর কাছে গিয়ে বললো “আসলে এগুলো সব ই সাথি এর প্লান ছিল।ও তোমাকে খুব ভালোবাসে। আজকের সারপ্রাইজ পারটি ও অর ই প্লান করা”
শোভন ভেবে পাচ্ছিল না যে এ কি করলো সে। তার ভালোবাসা কে এভাবে হারিয়ে দিল? রিভেঞ্জ নিল একজন নির্দোষ এর সাথে। তার সাথে যাকে সে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে?..
নিজের বিবেক কে হারিয়ে সে নিজের সাথে রিভেঞ্জ নিয়ে ফেলেছে…
সব ই হারিয়ে ফেলেছে শোভন।
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
it was something difftrnt, loved it .
ভালো লেগেছে 🙂
মেরেজ-ম্যারেজ*
প্রিউ-প্রিয়*
হেপি-হ্যাপি*
ওখানের ই- ওখানকারই*
তার ই -তারই*
ইত্যাদি অনেক বানান ভুল। যত্নশীল হোন আপু। আর শব্দসং্খ্যা অনেক কম ছিল।
সাথি এর→ সাথির
মেরেজ এ→ ম্যারেজ
প্রস্তাব এ→ প্রস্তাবে
রাজি ই→ রাজীই
সাথি কে→ সাথিকে
হটাৎ→ ঠ হবে
পূব → পূর্ব
রাত্রি দিকে→ রাতের দিকে
সন্ধায়→ সন্ধ্যায়
আর ভুল ধরিয়ে দিতে পারছি না। দুই লাইনেই কত ভুল!
প্রিয় রাইটার, প্লিজ গল্প বেশি বেশি পড়ুন। বানান দেখুন, চর্চা করুন। এভাবে গল্প লিখতে লিখতেই হবে।
শুভ কামনা।
এই গল্পে বেশি কিছু বলতে পারছি না।????
শোভন এভাবে প্রতিশোধ না নিলে ও পারতো।তাইতো না জেনে না শুনে কিছু করা ঠিক নয়।সত্যতা যাচাই করতে হয়।
বানানে প্রচুর ভুল
মেরেজ–ম্যারেজ
হেপি-হ্যাপি
শোভন এর মা-শোভনের মা
বাজে–বেঁজে
হচ্ছ্রে–হচ্ছে
এবন–এবং
হ্যা–হ্যাঁ
কোরে না–করো না
প্লান–প্ল্যান
নবমি–নবনি
সন্ধায়–সন্ধ্যায়
রাত্রি দিকে–রাতের দিকে
পূব–পূর্ব
সাথি কে—সাথিকে
রাজি ই– রাজিই
প্রস্তাব এ -প্রস্তাবে
সাথি এর–সাথির
কথন পতন+কথোপকথোন
সুন্দর নারী বটে—-এখানে সুন্দরী হবে।
সারপ্রাইজ পারটি ও অরই —-
সারপ্রাইজটি ওরই হবে।
তার ভালোবাসাকে এভাবে হারিয়ে দিল?
এখানে প্রশ্নবোধক হবে না।
বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
শুভ কামনা রইলো।