#পর্দা
#উম্মে_সালমা_নিশু
আমাদের কিছু বোন আছে যারা পর্দার কথা শুনলেই গরম তেলের কড়াইতে পানি পড়লে যেমন ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে উঠে তেমন করে তারাও ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে উঠে। তারা এতটাই রেগে যায় যে তখন তাদের যষ্টি মধু খাওয়ালেও তা তাদের তেতো মনে হবে। আরে বোন আগে শুনবেন বিবেচনা করবেন তবে তো রাগবেন৷ আপনারা এতটাই রেগে যান যে আমাদের কথাগুলো আপনাদের কানে পৌঁছালেও অন্তরে পৌঁছাতে পারে না। আর সেই জন্যই আপনারা কথাগুলোর মর্মার্থ বুঝেন না আর নিজের মধ্যেও ধারণ করতে পারেন না।
ফেসবুকে আমার কিছু বোন যখন ছবি আপলোড করেন, নানান মানুষ নানান রকম কমেন্ট করে। কেউ বলে আপ্পি তুমি এত সুন্দর কেন!! তোমার চোখ গুলো খুব মায়াবী, তোমার চুলের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, তোমার ফিগার টা খুব দারুণ, তোমার ঠোঁট গুলো যেন…. আমি এসব বলতে পারিনা আপু আমার রুচীতে বাঁধে। এমন কথা যখন কেউ রাস্তায় বলে তখন সেটা হয়ে যায় ইভটিজিং। পারলে তারে জুতা পিটা করে দিবেন। আর ফেসবুকে এসব নোংরা কথা শুনে আপনারা মিটিমিটি হাসেন। তখন এসব নোংরা অসভ্য মনে হয় না!! এ কেমন বিচার?
আপনাদের যুক্তি হলো পর্দাশীন মেয়েরা কি ধর্ষিত হয় না? তাহলে শিশুরা কেন ধর্ষিত হয়?
আপনাদের প্রশ্নগুলো অবশ্যই যৌক্তিক। আমার উত্তর শুনে আপনারা রেগে যেতেও পারেন। তবে প্লিজ রাগলেও রাগটা একটু কন্ট্রোল করে পুরোটা পড়ুন৷ জানেন তো ধৈর্য্যের ফল মিষ্টি হয়৷ আর তাই পুরোটা পড়ুন তবে রাগটা আর থাকবেনা আশা করি।
পর্দাশীন মেয়েরা আর শিশুরা ধর্ষিত হয় আপনাদের মত বেপর্দা মেয়ের জন্যই।
কিভাবে?? তবে শুনুন-
রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় প্রায় বিভিন্ন হোটেলের নানান সুগন্ধি খাবারের ঘ্রাণে আমাদেরও মনের মধ্যে সাধ জাগে ইশ্ যদি খেতে পারতাম!! কিন্তু টাকার অভাবে হয়তো সে খাবার আমাদের কপালে জুটে না, বাড়ি এসে ডাল-ভাত খেয়েই ক্ষুধা মিটিয়ে আমাদের মনকে শান্তনা দিতে হয়।
ঠিক হোটেলের সুগন্ধি খাবারের মত আপনারাও যখন সুগন্ধি মেখে সেজেগুজে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেন তখন সেই বখাটেদের ও ইচ্ছে করে আপনাদের ছিঁড়ে খেতে। কিন্তু আপনারা ক্ষমতাশালী বলে অথবা তাদের সামর্থ্য নেই বলে তারা আপনাদের ছিঁড়ে খেতে পারে না। তাই বাড়ি গিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে নিজেকে শান্তনা দেওয়ার মত সেই বখাটেরাও তাদের যৌন ক্ষুধা মেটাতে যাকে পায় তাকে দিয়েই সাধ পূরণ করে। সে শিশু নাকি পর্দাশীন তা ভাবার অবকাশ তারা পায় না। তারা তখন ক্ষুধার্ত কুকুরের মত শুধু নিজের ক্ষুধা মেটাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এইবার আপনি পুরুষজাতির চৌদ্দগুষ্টি উদ্দার করে ধর্মের দোহাই দিবেন। আপনি বলবেন, পর্দা কি শুধু আমরাই করবো! আল্লাহ তো পুরুষদের ও পর্দা করতে বলেছেন। তাহলে তারা কেন আমাদের দিকে তাকাবে?
এতক্ষণ নিজের পর্দা করা উচিতা তা মনে না হলেও এখন মাইনকা চিপায় পড়ে আপনার মনে হয়ে গেল পর্দার কথা। তবে হ্যাঁ আপু একদম ঠিক কথা বলেছেন। আল্লাহ নর-নারী উভয়ের জন্যই পর্দা করাকে ফরজ করেছেন।
আল্লাহ বলেছেন, মুমিনদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।১
এবার আসি ভাইদের কাছে, ভাই বেপর্দা মেয়ে দেখলে তো পেছনে লেকচার দিতে কার্পণ্য করেন না। কিন্তু নবীর শিক্ষা কি এই যে পেছনে পরনিন্দা বা গীবত করবেন? তখন মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে খারাপ লাগে না আপনাদের?? আল্লাহ তো বলেছেন যে, যদি ভুলবশত একবার চোখ পড়ে কোন বেগানা নারীর উপর সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিন, দ্বিতীয়বার সেইদিকে দৃষ্টিপাত করা মানে আল্লাহর কথার অমান্য করা তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। অথচ আপনারা আরো ভালো করে তাকান কে কেমন পোশাক পড়েছে, কতটা আটা ময়দা মেখেছে! আপনার যদি কারো বেপর্দায় চলা খারাপ লাগে দৃষ্টিকে নত করে তাকে সুন্দর করে বলুন, যে আপু আপনি এভাবে বের হওয়া উচিত হয়নি। আল্লাহ পর্দাকে ফরজ করেছেন যেমন ফরজ করেছেন নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত। আল্লাহর অবাধ্য হলে তিনি কঠিন শাস্তি দিবেন। আমি জানি আপনারা বলবেন, বোন এই কথা বলতে গেলে মেয়েরা আমাদের বলবে আপনারা তাকান কেন? আমাদের জ্ঞান দিতে আসবেন না। পারলে লোক জড়ো করে আমাদের মাইর দিবে। জ্বি ভাই, দুনিয়ার এই সম্মানহানী বা মার কে আপনি ভয় করেন তাই তাদের কিছু বলতে সাহস পান না, অথচ এটা ভাবেন না যে পিছনে এই নিয়ে গীবত করার জন্য, অন্যের সাথে এই নিয়ে আলোচনা করার জন্যেও আপনি গুনাহগার হচ্ছেন। আর দুনিয়ার মার খাওয়ার সহ্য ক্ষমতা আপনার থাকলেও পরকালে আল্লাহর মার সহ্য করার ক্ষমতা কি আপনার আছে একবার সে কথা ভাবুন তো??
আর এক শ্রেণীর পুরুষ আছে যারা নিজের পরিবারের মা, বোন অথবা মেয়ের পর্দার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। রাসূল (সা.) বলেছেন তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য জান্নাত হারাম। তার মধ্যে অন্যতম হলো দাইউস। দাইউস হলো সেই ব্যক্তি যে তার পরিবারে পর্দা প্রথা চালু রাখেনি। পরিবারের সদ্যসের মাঝে বেপর্দা ছিলো, বেহায়াপনা ছিলো কিন্তু সে বাধা প্রদান করেনি। পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য এই শাস্তি পাবে সে।২
আবার আসি আপুদের কাছে। পুরুষেরা তাদের দৃষ্টিকে হেফাজত করছেনা বলে তাদের গুষ্টি উদ্ধার করছেন ভালো কথা। কিন্তু নিজের দিকে তাকিয়ে বলুন তো আপনি কি সত্যি সহিহ ভাবে পর্দা করছেন? আমাদের দাদী,নানী, মায়েরা পর্দা করে চলে। অথচ তাদের যুবতি নাতনীরা, মেয়েরা তাদের সাথে ঘুরে অথচ পর্দা করেনা। আচ্ছা বলুন তো ছেলেরা কি বুড়িদের দিকে তাকাবে নাকি যুবতীদের দিকে তাকাবে?? আপনি যদি রাস্তায় বের হওয়ার সময় ঢিলেঢালা বোরকা পড়েন। ভালোভাবে মুখ ঢেকে হিজাব করেন কোন ছেলে কি করে বুঝবে কোনটা বুড়ি আর কোনটা ছুড়ি!! তাহলে দোষটা কি আমাদের নয়?? আমরা কি সেইভাবে পর্দা করছি নাকি ফ্যাশন বোরকা আর আকর্ষণীয় হিজাব পড়ে বাইরে যাচ্ছি। এভাবে নিজেকে আকর্ষণীয় করার মাধ্যমে কি সত্যিকারের পর্দা রক্ষা করা হচ্ছে?
অনেকের ধারণা আমরা কি জেলখানার বন্দি কয়দি যে আমরা নিজেদের শুধু বন্দি করে রাখবো??
না আপু আমরা মেয়েরা জেলখানার কয়দি নয় বরং আমরা মেয়েরা হীরার চেয়ে দামি তাই আমাদের নিজেদের যত্নে রাখতে হয়। সাধারণ পাথর তো রাস্তায় পড়ে থাকে অথচ দামী হীরাকেই মানুষ যত্ন করে বন্দি করে লুকিয়ে রাখে। এখন আপনি নিজেকে সস্তা ভাববেন না দামী ভাববেন সেটা আপনিই ঠিক করুন।
ইসলামে নারীকে দাসত্ব বা বন্দি জিবনে দেয় নি, বরং নারীকে দিয়েছে সম্মান ও সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা। ইতিহাস ঘাটলে আমরা এর প্রমাণ পাই। জাহেলী যুগে নারীকে অত্যন্ত তুচ্ছ বলে গণ্য করা হতো। এমনকি তাদের আত্মা আছে কিনা এই নিয়েও সন্দেহ পোষণ করা হতো। আর কন্যা শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পরে তাদেরকে জীবিত কবর দেওয়া হতো। ভাবুন তো কত বিভৎস ছিল সেই যুগ। অথচ ইসলাম আগমনের পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ঘরে কন্যা সন্তান থাকে বা তিনজন বোন থাকে, অথবা দুজন কন্যা বা দুজন বোন থাকে এবং সে তাদের ব্যপারে আল্লাহকে ভয় করে তাদের প্রতি করুনা ও
সদ্ব্যবহার করে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ৩
একমাত্র ইসলাম ধর্মই আছে যেখানে নারীরা উত্তরাধিকারী সূত্রে পিতা মাতার সম্পত্তির ভাগ পায় আবার স্বামীর সম্পত্তির ও ভাগ পায়। একমাত্র ইসলামেই নারীদের মর্যাদা দিতে মোহরানার ব্যবস্থা করেছে যে সম্পত্তিতে অন্য কারো কোনো অংশিদার নেই। বিয়ের আগে নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার পিতার এবং বিয়ের পর তার স্বামীর উপর অর্পিত। এমনকি ইসলামে যৌতুক প্রথার কোন স্থান নেই, এমনকি মেয়ের বাবার এক টাকা খরচ করানোরও কোন নিয়ম নেই। বিবাহের অনুষ্ঠান ওলিমার মাধ্যমে স্বামীকে করার নির্দেশ দিয়েছে। আজ আমরা সত্যিকারের ইসলাম থেকে বেরিয়ে গেছি, আর যার ফলে বর্তমানে মেয়ের বাবারা যৌতুক দিতে গিয়ে সর্বহারা হচ্ছেন। এই দোষ কি ইসলামের? নাকি আমাদের? ইসলাম তো আমাদের এই হুকুম দেয় নি, বরং ইসলাম থেকে বের হয়েই আমরা আজ এত অত্যাচারের স্বীকার।
ইসলামে একজন নারী যখন মা তখন তাকে পিতার চেয়ে তিনগুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী করেছে, মায়ের পায়ের নিচে দিয়েছেন সন্তানের বেহেস্ত।
স্ত্রীদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য রাসূল (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম তারা, যারা নিজেদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম। ৪
আর আল্লাহ বলেছেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে জিবনযাপন করবে। ৫
কন্যা, বোন, স্ত্রী বা মা যাই হোকনা কেন, ইসলামে নারীর মর্যাদা যে কতখানি উপরের হাদিস গুলো দ্বারা নিশ্চয়ই তা স্পষ্ট। কোন বোন কি আছেন যে দ্বিমত পোষণ করেন?
এছাড়াও নারীর মর্যাদা নিয়ে রয়েছে আরো অসংখ্য কোরানের বাণী ও হাদিস।
ইসলাম নারীকে যেমন উচ্চ মর্যাদা দিয়েছে তেমনি কিছু দায়িত্বও দিয়েছে। তার অন্যতম একটি প্রধান দায়িত্ব হল যথাযথ পর্দার মাধ্যমে নিজের আব্রু রক্ষা করা। আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে–মূর্খতা যুগের অনুরূপ (বেপর্দা হয়ে) নিজেদের প্রদর্শন করবে না। ৬
কিন্তু যারা নারী স্বাধীনতা নামে বেহায়াপনা করতে চায় তারা এই মর্যাদা কখনো বুঝতে পারবে না। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ অবগত আছেন তাইতো আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই যারা অস্বীকার করে, তাদের তুমি সাবধান করো, আর না-ই করো তাদের কাছে তা একই কথা, তারা তা স্বীকার করবেনা। আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের শোনার ক্ষমতার উপর সিল করে দিয়েছেন। তাদের দৃষ্টির উপরে আছে এক পর্দা। তাদের জন্য আছে প্রচন্ড এক শাস্তি। ৭
বেহায়াপনা ও বেপর্দার জন্য বর্তমানে বেড়েছে ভ্রুণ হত্যার হার এবং জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য জারজ সন্তান। যাদের জায়গা হয় ফুটপাত, ডাস্টবিন অথবা এতিমখানায়। আপনারা কি জানেন, বেহায়াপনার জন্য পর্দা না করার জন্য লুত (আঃ) এর জাতীকে আল্লাহ ধ্বংশ করেছেন। বর্তমানের ভূমিকম্প এবং শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে আল্লাহ বান্দাদের সতর্ক করছেন। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পৃথিবীর ধ্বংস খুবই সন্নিকটে। বড় বড় সাইন্টিস্টরা ও বলছেন হায়া লজ্জা না থাকায় এবং বেপর্দায় চলার কারণে বর্তমানে জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার এভনরমাল শিশু। এসব তো সব দুনিয়ার শাস্তি এছাড়া পরকালে তো বেপর্দার জন্য রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি। রাসূল (সা.) বলেছেন, বেপর্দা নারীরা জান্নাতের সুঘ্রাণ ও পাবেনা যা বহু দূর থেকেই পাওয়া যায়। ৮
তাই বলব হে ভাই ও বোনেরা আল্লাহ আমাদের উভয়ের জন্যই পর্দাকে ফরজ করেছেন। আর যারা প্রকৃত ঈমানদার নয়, যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তাদের এই কথা বলা আর না বলা একই। আল্লাহ বলেন, কাজেই তারা অল্প হেসে নিক, তারা প্রচুর কাঁদবে সেসব কাজের প্রতিফল হিসেবে যা কিছু তারা করছে। ৯
আমরা না জেনে বুঝে বহু পাপ করি। কিন্তু এখনও আমাদের তাওবাহ করার সুযোগ আছে। চিন্তা করুন সেই দিনের কথা যেদিন চোখের পানিতে সাগর বানালেও আল্লাহ আর কাউকে ক্ষমা করবেন না, যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার দরজা। সেইদিন আসার আগে ফিরে আসুন দ্বীনের পথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাহকারীদের ভালোবাসেন। ১০
★তথ্যসূত্র:
১. সূরা আন-নূর, আয়াত-৩০
২. মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯
৩. আহমদ হা/ ২২৮৬৬
৪. তিরমিযী সূত্র: মিশকাত পৃ: ২৮১
৫. সূরা নিসা, আয়াত -১৯
৬. সূরা আল আহযাব, আয়াত-৩৩
৭. সূরা আল বাকারাহ, আয়াত-৬, ৭
৮. সহীহ মুসলিম-২১২৭
৯. সূরা তাওবাহ, আয়াত-৮২
১০. সূরা বাকারাহ, আয়াত-২২২
ঠিক এই টপিক নিয়েই আমিও লেখা শুরু করেছিলাম, অল্প লিখে রেখে দিয়েছিলাম, পরে অন্য টপিকে লিখেছি, ভালোই হয়েছে লেখিনি
আর হ্যা আপনার লেখাও দারুন
প্রত্যেক নারীর পর্দা করা উচিৎ। পর্দা না করার জন্য নারী অনেক লোলুপ দৃষ্টির শিকার হচ্ছে
পড়লে-পরলে
পারিনা-পারি না
শুনে-শোনে
শুনুন-শোনেন
দোহাই-দোহায়
করছেনা-করছে না
করেনা-করে না
জিবনে-জীবনে
দেয় নি-দেয়নি(নি একসাথে বসে)
এমনকি-এমন কি
দেয় নি-দেয়নি
জিবনযাপন-জীবনযাপন
যাই-যায়
পাবেনা-পাবে না
করেনা-করে না(না অলেদা বসে)
ভালো ছিল পর্দা নিয়ে লেখা। তবে বানানে ভুলের মাত্রা বেশি ঠিক করে দিলাম। আর শুভ কামনা রইল।
আসসালামু আলাইকুম।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে আমার পড়ে।
তবে বানানে ভুলের পরিমাণটা একটু বেশিই হয়ে গেছে। আগামীতে আশা করি বানানের প্রতি আরও যত্নশীল হবেন।
আমি কিছু ভুল তুলে ধারার চেষ্টা করলাম:
এত – এতো
ফিগার টা – ফিগারটা
ঠোঁট গুলো – ঠোঁটগুলো
পারিনা – পারি না
রুচীতে – রুচিতে
থাকবেনা – থাকবে না
পর্দাশীন – পর্দাশীল
কিভাবে – কীভাবে
মত – মতো
উদ্দার – উদ্ধার
উচিতা – উচিত
করছেনা – করছে না
মার কে – মারকে
পুরুষদের ও – পুরুষদেরও
পুরুষজাতির – পুরুষ জাতির
বখটেদের ও – বখাটেদেরও
আপনার জন্য শুভ কামনা।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ ইসলাম বিষয়ক একটি প্রবন্ধ লেখার জন্য। এবং বিশেষ করে পর্দা নিয়ে লেখার জন্য।
পর্দার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভালো লাগল।
আজকে স্বাধীনতার নামে বেহায়াপনা চলছে। পর্দাশীল নারীদের কে খ্যাত বলে হেয় করা হচ্ছে। অতচ, ইসলামে এটার যথেষ্ট মর্যাদা আছে। আদেশ করা হয়েছে পর্দা করার জন্য। ফরজ বিধান।
কিন্তু, এটাকেই আমরা অসম্মানের কারন হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি। উপকারী অনেক কথাই লিখেছেন ।
শুভকামনা