নতুন জীবন
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,851 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখক:-S M Sahadat Hossen(কষ্টের ফেরিওয়ালা) । জুলাই, ১৮।
.
.
সামিরা রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছে। উদ্দেশ্য একটা সুরমা ব্রিজে যাওয়া। দৌড়াতে দৌড়াতে সামিরা এসে পৌঁছাল ব্রিজে। ব্রিজে দাঁড়িয়ে সামিরা লম্বা লম্বা নিশ্বাস নিচ্ছে, দৌড়াতে দৌড়াতে সে হাপিয়ে উঠেছে। সামিরা চারদিকে একবার মাথা ঘুরিয়ে তাকাল। এখন তেমন মানুষ দেখা যাচ্ছে ব্রিজে। এখন চারদিকে রাতের আঁধার নেমে এসেছে। সূর্য এখন নেই, সেটা অদৃশ্য হয়ে গেছে। হালকা আলো এখনও আছে। সামিরা কিছুক্ষণ বসল, ব্রিজের উপর। কিছুক্ষণ পর উঠে দাঁড়াল ব্রিজের দেয়ালে। এক দৃষ্টিতে সে পানির দিকে তাকিয়ে আছে। সামিরা আবার চারপাশে তাকাল কেউ তার দিকে তাকাচ্ছে না, সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। সামিরা একটা দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়ল। বলা যায় এটাই সামিরার জীবনের শেষ নিশ্বাস। জীবনের শেষ নিশ্বাসটা ফেলে সামিরা পানিতে লাফ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হল। যখনি লাফ দিতে যাবে ঠিক তখনি পিছন থেকে একটা ছেলের কন্ঠ ভেসে আসল সামিরার কানে। সামিরা পানিতে লাফ না দিয়ে ছেলেটার দিকে ঘুরে দাঁড়াল। একট হলুদ কালারের পাঞ্জাবি পরে সামিরার সামনে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সামিরা ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়ে চেনার চেষ্টা করল, কিন্তু চিনতে পারল না ছেলেটিকে।
– কে আপনি? আর আমাকে এভাবে থামালেন কেন?
– আমাকে চিনবেন না। আপনাকে থামালাম মানে ঠিক বুঝলাম না। আপনি ঠিক কী করতে যাচ্ছিলেন?
– নিজের জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছি।
ছেলেটি সামিরার কথা শুনে কিছুটা অবাক হল। সামিরার দিকে ভালো করে থাকাল ছেলেটি, দেখে মনে হল খুব সাধারণ একটা মেয়ে। সামিরার চোখে অশ্রু দেখতে ফেল ছেলেটি। ছেলেটি বুঝতে পারল মেয়েটির জীবনে কোন একটা বড় ধরনে কষ্ট লুকিয়ে আছে। তা না হলে কেউ এমনি এমনি আত্মহত্যা করে না।
– আচ্ছা আপনি কেন আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন জানতে পারি?
– না, আত্মহত্যার কারণ আপনাকে কেন বলব?
– তাও ঠিক, একজন অচেনা মানুষকে কেন কারণ বলবেন। আচ্ছা সমস্যা না, আপনি আত্মহত্যা করেন আমি পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি।
ছেলেটির কথা শুনে সামিরা কিছুটা অবাক হল।
– মানে? আপনি কেন দাঁড়িয়ে দেখবেন?
– আত্মহত্যা দেখতে আমার বেশ আনন্দ লাগে। অনেক দিন হল কারও আত্মহত্যা দেখি না।
– কিন্তু আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে তো আমি আত্মহত্যা করব না। আমি কারও সামনে আত্মহত্যা করতে পারব না।
– আচ্ছা ঠিক আছে আমি দাঁড়িয়ে থাকব না, যদি আপনি আপনার আত্মহত্যার কারণ বলেন, তাহলে আমি চলে যাব। আত্মহত্যা যখন করবেন মনটাকে পরিষ্কার করে আত্মহত্যা করেন। কোন কষ্ট থাকলে আমার সাথে শেয়ার করে আত্মহত্যা করেন।
সামিরা ছেলেটির কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। সে চুপ করে ভাবছে কী করবে সেটা। কিছুক্ষণ ভাবার পর সে ছেলেটিকে বলতে শুরু করল তার আত্মহত্যার কারণ,
” আমার নাম সামিরা চৌধুরী। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে আমি। একমাত্র মেয়ে বিধায় বাবা মার আদরে বড় হয়েছি। যখন যা চেয়েছি তখন তাই দিয়েছি, কোন দিন কোন কিছু অপূর্ণ রাখে নি। কখনও আমাকে কষ্ট কী জিনিস বুঝতে দেন নি। সব সময় হাসি খুশিতে রাখতে চেয়েছিলেন আমাকে। খুব সুন্দর এবং স্বাভাবিক ভাবে আমার জীবন চলে যাচ্ছিল। কলেজে যখন উঠলাম তখন আমার জীবনে আসে আকিব। খুব ভালোবাসতাম আকিবকে। জানি না আকিব আমাকে ভালোবাসত কি না। তবে ওর আচরণ দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পারতাম সে আমাকে ভালোবাসে। আকিব আর আমার ভালোবাসাময় জীবন খুব ভালোভাবে যাচ্ছিল। সেদিন ছিল আমার বিশতম বার্থডে। সেদিন রাতে না ঘুমিয়ে বসে ছিলাম আকিবের ফোনের অপেক্ষায়। ঠিক ১২ টার সময় আকিবের নাম্বার থেকে ফোন আসল। আমি খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি ফোনটা রিসিভ করলাম।
– একটু বারান্দায় আসবে?
– কেন?
– আস না একটু।
খুব আগ্রহ নিয়ে বারান্দায় গেলাম।
– এবার একটু রাস্তার দিকে তাকাও।
রাস্তার দিকে তাকাতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম। বেশ কিছু মোমবাতি দিয়ে হ্যাপি বার্থডে লিখা তার নিচে আমার নাম লেখা। এটা দেখে আমি এত বেশি খুশি হয়েছিলাম যে অন্য কোন জন্মদিনে আমি তত খুশি হয় নি। আকিবের এসব পাগলামি দেখে তার প্রতি ভালোবাসাটা আরও বেড়ে গেল।
.
প্রতিদিন আকিবের সাথে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেতাম। কখনও নদীর তীরে, আবার কখনও পার্কে। আকিবের সাথে কথা বা দেখা না হলে মনে হত সেদিনটা থমকে গেছে। অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে কাটত সারাটাদিন। বাবা মাকে বলেছিলাম আকিবের কথা। তারা আকিব সম্পর্কে খুঁজ খবর নিয়ে আমাকে বলল আকিব ছেলেটা ভালো না, আমার সাথে ছাড়াও তার না কি অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। সেদিন বাবা মার কথা বিশ্বাস করি নি। কেননা আকিবের প্রতি আমার পুরা বিশ্বাস আছে সে কোনদিন ওরকম ছেলে ছিল না।
.
এভাবে চলতে চলতে কখন যে দুইবছর পার হয়ে গেল বুঝতে পারি নি। এই দুইবছরে বাবা মা অনেকবার বলেছে আকিব সম্পর্কে। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনি নি। বাবা মাকে বলতাম,’ আকিব সে রকম ছেলে না, আমার সাথে ছাড়া তার আর কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক নেই’। কিন্তু বাবা মাও আমার কথা শুনে নি। একদিন বাবা আমাকে ডেকে বললেন,
– ছেলেটা যদি তোমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে তাহলে আমি কিছু বলব না, তুমি কালকেই ছেলেটাকে বিয়ের কথা বলবে যদি সে রাজী হয় তাহলে আমি মেনে নিব তোমাদের।
সেদিন বাবার কথায় খুব বেশি খুশি হয়েছিলাম। খুশি হয়ে আকিবকে কথাটা বললাম। ভেবেছিলাম আকিবও আমার কথাটা শুনে খুশি হয়ে রাজী হয়ে যাবে। কিন্তু আকিব আমার এই ভাবনা মিত্যা করে দিয়ে সে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। সেদিন জানতে পারি বাবা মার কথায় সঠিক ছিল সে আমার সাথে ছাড়াও আরও অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছে। সেদিন বুঝতে পারি আকিব আমাকে ভালোবাসে নি, আমার সাথে শুধু টাইম পাস করেছে। যদি বাবা মার কথা শুনতাম তাহলে আজ আমি এমন হতাম না। নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হচ্ছে এই রকম এক ধোকাবাজকে আমি এতদিন অন্ধের মতো ভালোবেসে এসেছি। ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে নিজের প্রতি। সেদিন যদি বাবা মার কথা শুনতাম তাহলে কোনদিনও আমি এই প্রতারক কে কখনও এত ভালোবাসতাম না। আজ বুঝতে পারছি কোন বাবা মা সন্তানের খারাপ চান না। জীবনটাকে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছিলাম বাবা মার কথা না শুনে। আসলে দোষটা আমার ছিল। আমি বুঝতে পারি নি কোন দিকে গেলে আলোর সন্ধান পাব, আর কোন দিকে গেলে অন্ধকারে তলিয়ে যাব। আমাকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিল আমার বাবা মা। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনি নি, তাই আজ আমি অন্ধকারে তলিয়ে গেছি। আকিব যখন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল তখন অনেক কষ্ট পেয়েছি। সেদিন থেকেই শুরু হল আমার কষ্টের জীবন। কারও সাথে ঠিক মতো কথা বলতাম না, ঠিক মতো খাবার খেতাম না। সবসময় শুধু একা বসে থাকতাম। কষ্ট থেকে বাঁচাতে চাচ্ছিলাম আমি, কিন্তু কষ্ট আমার পিছু ছাড়াছে না। আকিবকে ভুলার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না কোন ভাবেই। আকিবকে ভুলে থাকার জন্য আজ আমি এই আত্মহত্যা বেঁচে নিয়েছি। আত্মহত্যা করলে আকিবকেও ভুলে থাকত পারব, এবং কষ্টও আমার পিছু ছাড়বে।”
এতটুক বলে সামিরা থামল। তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। ছেলেটি এতক্ষণ চুপ করে সামিরার কথা শুনছিল। সামিরার কথা শুনে ছেলেটিরও খুব খারাপ লাগল।
– আপনার কথা শুনে আমারও খারাপ লাগছে। এবার আপনাকে কিছু কথা বলব আশা করি মন দিয়ে শুনবেন। প্রথমত আপনি ভাবছেন আত্মহত্যা করলে আপনি এই কষ্ট থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু আপনার ভাবনা ভুল আপনি কষ্ট থেকে বাঁচতে পারবেন না। এটা কোন কষ্টই না, আসল কষ্ট শুরু হবে মৃত্যুর পর। দ্বিতীয়ত আপনি কার জন্য আত্মহত্যা করছেন? যে আপনাকে নিয়ে একটুও ভাবে না তার জন্য? যে আপনাকে কষ্ট দিতে পেরে এখন খুশিতে আছে। যে এখন অন্য কোন এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলার চেষ্টা করছে, আর আপনার কথা যার এখন মনে নেই, তার জন্য আত্মহত্যা করছেন? দুই দিনের পরিচিত একটা মানুষের জন্য নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছেন। আর যে বাবা মা ছোট থেকে এখন পর্যন্ত আপনাকে ভালোবেসে এসেছে তাদের জন্য আপনি কি করেছেন? যে বাবা মা আপনাকে কোন দিন কষ্টে রাখে নি আপনার সব ইচ্ছা পূরণ করেছেন, তাদেরকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন? আপনি জানেন আপনি না থাকলে উনারা কত কষ্টে থাকে। আপনি বুঝবেন না আপনি তো অন্ধকারে বাস করেন। কেন বার বার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছেন? এই অন্ধকার থেকে বের হওয়ার সময় আপনার এখনও আছে। জীবনকে জীবনের মতো করে দেখেন দেখবেন জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর। বাহিরের দৃষ্টি দিয়ে পৃথিবীকে দেখছেন সে জন্য এমন হচ্ছে একবার অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে দেখুন, দেখবেন পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। জানি আপনি ঐ ছেলেটিকে অনেক ভালোবাসেন, তাকে ভুলতে কোন দিনও পারবেন না, তার দেওয়া কষ্টও ভুলতে পারবেন না। ছেলেটিকে ভুলে থাকতে আপনি আপনার বাবা মার সাথে সময় কাটান, বসে গল্প করুন, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এক সময় দেখবেন আপনি ছেলেটিকে ভুলে গেছেন। আচ্ছা আপনি মনে করে দেখেন তো কবে বসে আপনার বাবা মার সাথে গল্প করেছেন? অবাক হচ্ছি আপনাদের মতো সন্তানদের দেখে। যে বাবা মা এত ভালোবাসে তাদের কথা ভাবলেন না, আর যে ভালোবাসে না তার জন্য জীবন দিয়ে দিচ্ছেন? জানি আমার এই কথাগুলো শুনতে আপনার খারাপ লাগবে, তবুও আমার কিছু করার নেই। যা করবেন ভেবে চিন্তে কাজ করবেন। রাগের মাথায় কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না। যদি আপনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তাহলে সবচাইতে বেশি খুশি হবে আপনার বাবা মা। আর বাবা মাকে হাসি খুশিতে দেখার আনন্দটা কতটা বেশি সেটা হিসাব করা যাবে না। পৃথিবীতে যতগুলো মহৎ কাজ আছে তার মধ্যে বাবা মাকে খুশি রাখা অন্যতম। অনেক কথা বললাম এবার আমি আসি। ভালো থাকবেন। যে কথাগুলো বললাম সেগুলো নিয়ে একটু ভাবুন। আপনার নতুন জীবনের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।
কথাগুলি বলে ছেলেটি উঠে দাঁড়াল বসা থেকে এবং হাঁটা দিল সামনের দিকে। অর্ধেক যেতেই পিছন থেকে সামিরা ডাক দিল ছেলেটিকে,
– এই যে আপনার নামটা জানতে পারি?
– হিমু।
– আপনার মোবাইল নাম্বার বা ঠিকানাটা দিবেন প্লীজ?
– হিমুদের কোন মোবাইল এবং ঠিকানা থাকতে নেই, তারা যেখানে যাবে সেখানেই তাদের ঠিকানা।
হিমু আর কিছু না বলে হাঁটা দিল সামনের দিকে। সামিরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছেলেটির চলে যাওয়ার দিকে। সামিরাও আরও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে হাঁটা দিল বাসার দিকে। নতুন কোন এক জীবনের উদ্দেশ্যে।
.
.
>>>>সমাপ্ত<<<<

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৪ Comments

  1. Anamika Rimjhim

    লোক দেখা যাচ্ছে -লোক দেখা যাচ্ছে “না” হবে সম্ভবত।
    খুঁজ-খোঁজ*
    মিত্যা-মিথ্যা*
    বানানের দিকে নজর দিবেন। আর লেখায় উন্নতি কামনা করি।শুভ কামনা।

    Reply
  2. robiul hossain

    লেখায় এগিয়ে যান এই কামনা করি।

    Reply
  3. Jannatul Ferdousi

    হাপিয়ে→ হাঁপিয়ে
    দেখা যাচ্ছে ব্রিজে→ মাঝে না শব্দ ছুটে গেছে।

    হল→ হলো
    যখনি→ যখনই

    ফেল→ পেল

    নি শব্দের সাথে বসে।
    বার্থডে→ এখানে জন্মদিন কথাটাই লিখবেন।

    মিত্যা→ মিথ্যা
    কখনও→ কখনো

    উনারা কত কষ্টে থাকেন। → থাকেন(!)

    গল্পের থিম কমন হলেও এই রকম গল্পই অনেক সামিয়াকে অনুপ্রেরণা দিবে বাঁচতে। একজন কুলাঙ্গারের জন্য জীবন দিয়ে দিতে দ্বিধা জাগে না এমন অবুঝদের। তাদের জন্য সমবেদনা।
    মোটামুটি আপনার লেখা ভালো ছিল। তবে শেষটা হুট করেই যেন শেষ হয়ে গেল। আরেকটু উপস্থাপন বা গল্পটা যদি টুইস্ট এনে বড় করা যেত তবে ভাল লাগত। তবুও শুভ কামনা। ভবিষ্যতে আরো ভালো গল্প উপহার দিবেন সে প্রত্যাশায়।

    Reply
  4. Halima Tus Sadia

    গল্পটা মেয়েদের জন্য শিক্ষণীয়।

    কিছু দিনের পরিচয়ে সম্পর্ক গড়ে আমরা বাবা মা কে ভুলে যাই।
    আমাদেরকে ছোট থেকে বড় করলো অথচ তাদের কথা চিন্তা করি না।

    কিছু ছেলের জন্য জীবন নষ্ট করা বৃথা।
    গল্পটা কিছু মেয়েদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
    আকিবের মতো ছেলেদের ঘৃণা করাই ভালো।
    সামিরার জীবনে বড় অভিশাপ।

    বানানে ভুল আছে

    হাপিয়ে–হাঁপিয়ে
    ফেল–পেল
    কন্ঠ–কণ্ঠ
    দীর্ঘনিশ্বাস–দীর্ঘ নিশ্বাস
    মিত্যা–মিথ্যা

    দেন নি–দেননি
    রাখে নি–রাখেনি
    করি নি–নি

    নি মূল শব্দের সাথে হবে।
    আপনি এতে ভুল করছেন বেশি।

    শুভ কামনা রইলো।

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *