বিয়ের কয়েক বছর পর হঠাৎ আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে উঠলাম।মনযোগ দেয়া হয়না অনেকদিন নিজের উপর।চোঁখের নিচের জায়গাটা কেমন ফুলা ফুলা হয়ে গেছে।একি সেই আমি চিনতে কষ্ট হচ্ছে।সাংসারিক অভিজ্ঞতা বোধ হয় কতকটা পাল্টে দিয়েছে আমাকে।এই অভিজ্ঞতা বড়ই সম্মানের হয়তো,কিন্তু কতকটা স্বস্তির তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠে।
স্বামীকে বুঝতে হবে,তার অবাধ্য হওয়া চলবেনা,তার সমস্ত অবসাদে নিজেকে আপ্রাণ করে দিতে হবে,শ্বাশুড়ির মন জয় করা,বাকি সদস্যদের যত্ন করা,এসবের মাঝেই বিয়ে পরবর্তী জীবনটা আটকে যায়।সে গন্ডি আর মাড়ানো হয়না।বেলা শেষে নিজস্ব অবসাদ গুলো একান্তেই নিজেকে খায়।উঁকি দিয়ে সেগুলা দেখার ফুরসত মিলেনা কারো।
কারো চোঁখের তারায় চোঁখ রেখে দেখা হয়না থমকে যাওয়া স্বাধীনচেতা স্বপ্ন গুলো।কপালের টিপ বা অভিমান মাখা মুখ,মধ্যরাতের জ্বর,ঠান্ডা হয়ে আসা আঙুল,কারো সময় হয়না আমাদের জন্য।
তারপর এভাবেই একদিন চেতনে নিজেকে দেখে নিজেই চমকে উঠি আমরা।কোথায় গেল সেই কাজল টানা চোখ,সেই এলোমেলো চুল,হাতের কাচের চুড়ি,জেদি খেয়ালিপনা? সব কিছুতেই বার্ধক্য জমাট বাঁধা।
হঠাত মনে পড়ে যায় সে সব অর্জনের কথা,যা আজ ড্রয়ার বন্ধি।কত কি না করা হয়নি জীবনে।বলা হয়নি কত কথা,যা আজ অবাঞ্চিত।সার্টিফিকেট গুলা বের করে দেখি ঝাপসা হয়ে গেছে ধুলো জমে।এতদিনে হয়তো তারাও জেনে তাদের ও কাজ নেই এই সংসারে।
এত এত ত্যাগের ভীড়ে এই ত্যাগ টুকুন হয়তো কিছুই না।আবার ভাবি,সত্যিই কি কিছুই না?
হয়তো বা।কত টা স্বল্পস্থায়ী আমাদের খুশি,অভ্যেস,ভালোলাগা,ভালোবাসা।সব ই পাওয়ার পর ফিকে হয়ে যায়।যেখানে মেয়েদের জন্য আলাদা এবং নির্দিষ্ট করে women শব্দটা ব্যবহার করা হয় সেখানে এইসব হিসাব নিকাশ অযথাই।
লিখা: Mehtarin A Hiya
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
চোঁখের- চোখের
কাচের – কাঁচের
তারাও জেনে- তারাও জানে/ জেনে গেছে
ছোট হলেও মোটামোটি ছিল। বাক্য গঠনে কিছুটা এলোমেলো ভাব অাছে। যতি চিহ্নের পর স্পেস দিবেন।
শুভ কামনা
খুব ছোট প্রবন্ধ তবে গভীরতা ছিল যথেষ্ট, আর বানানের দিকে আর একটু যত্নশীল হলে ভালো হত