লেখা : তানজিনা তানিয়া
.
আজ সকালে মেঘ এসেছে দিনটা বড় কালো,
বিজলীর আলোয় মেঘলা আকাশ আলোকিত হয়ে গেল।
ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে দিনটা।
শীতল হাওয়ায় ভরছে মনটা।
সব ভুলে তাই ছুটে যে যাই বৌলা বিলের ধারে।
হালকা বাতাস বইছে যে আজ।
বিলের পাড়ে পড়ছে যে বাজ।
মাঝে মাঝে পড়ছে যেন নিজের আশেপাশে।
বিলের শাপলা আজকের দিনে দুলছে হওয়ায় হাওয়ায়।
খালবিল সব বৃষ্টির ফোঁটায় ভরবে কানায় কানায়।
ঝাউ গাছেরা মৃদু হাওয়ায় দুলছে এঁকেবঁকে।
ফাগুনের নবমঞ্জুরি যেন জেগেছে চারিদিকে।
হঠাত করেই থমকে গেল মেঘ-বৃষ্টির এই খেলা।
আকাশ জুড়ে দেখা গেল কমলা রোদের খেলা।
এবার গেলাম গাবতলাতে রোদ লাগাতে গায়।
এত পাখি গাবতলাতে কি করে হায় হায়!
এত এত পাখি দেখে ভরে গেল প্রাণ।
ইচ্ছা হলো তাদের নিয়ে গাইতে একটা গান।
মনটা আমার সেই মুহূর্তে হয় বড় উচ্ছ্বল।
বুলবুলিকে শুধাই ওরে থাকিস কোথায় বল?
তুই কি ভোরে সবার আগে করিস কোলাহল?
সাদাকালোর দোয়েল রে তুই কোথায় রে বল যাস?
তুই কী খোকার ফেলে রাখা দুধ মাখা ভাত খাস?
ওরে টিয়া পাখনা মিলে উড়িস কত আর?
গা জুড়ে তোর ছড়িয়ে আছে সবুজ সমাহার।
ওহে কোকিল গা’টা তোর দেখতে ভীষণ কালো।
তবুও যে তুই সুরের রাজা, বনের মাঝে আলো।
টুনটুনি তুই দেখতে ছোট, গায়ে রেশম পাখা।
কী কারণে বলনা রে তোর একা একা থাকা?
ময়না পাখি কয়না কথা রাগ করেছে আজ।
কিসের এত কিচিরমিচির, কিসের এত নাচ?
ঘুঘুরা আজ দল বেঁধে সব করছে মজার খেলা।
মেঘের পরে রোদ আসাতেই বসলো পাখির মেলা।
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
অনেক ভালো লেগেছে ছড়াটা। প্রকৃতি আর পাখিদের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগল পড়ে।
বানানেও তেমন কোন ভুল নেই। ছন্দমিলগুলো চমৎকার।
শুভ কামনা।
চমৎকার একটি ছড়া।অন্তমিল এবং মাত্রার দিকে বেশ-কম হয়েছে।তাই পড়তে কেমন কেমন লাগছে।শুভকামনা♥
ছন্দমিল তেমন ভালো হয়নি। আর আপনার লেখাটা কবিতার মতো হয়ে গেছে।
আমি এটাকে পরিপূর্ণ ছড়া বলতে পারলাম না।
শুভ কামনা।
অসাধারণ লিখেছেন আপু।
চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন।
মেঘের দিনের ঠান্ডা আবহাওয়াটা সত্যিই খুব ভাল্লাগে।
পরে হলদে রোদ উঠলে আকাশের রংটাই বদলে যায়।
পাখির কিচিরমিচির, মধুর সুর হ্নদয়টা নাড়িয়ে তুলে।গ্রামের এ দৃশ্যগুলো খুবই মনোরম।
বানানেও কোন ভুল নেই।
হঠাত–হঠাৎ
শুভ কামনা রইলো।