ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,911 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

এইচ এম জুবায়ের

“ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন”

সুন্দরবন বাংলাদেশের বনজ নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম।এমনকি সারা বিশ্বের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট-এর মধ্যেও অন্যতম।এটি দেশের সর্ববৃহৎ বনভূমি।তাই সুন্দরবন দেখার স্বাদ সবার মনেই জাগে।আর সেটা যদি হয় পানিপথে তাহলে তো কিছু বলার অপেক্ষায় রাখে না। ২০১৫ সালের কথা,ঈদের দুই-তিনদিন পর আমাদের জমানো টাকা দিয়ে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম নদীপথে আমরা খুলনা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ করবো।আর সাথে নদীর পাশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যও অবলোকন করবো।সেই সূত্রেই জীবনে প্রথমবারের মতো ১৫ বছর বয়সে সুন্দরবন নামক গভীর অরণ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল।

ট্রলার(ইঞ্জিন চালিত নৌকা) ওয়ালার সঙ্গে কথা বলার পরেরদিন খুব ভোরে আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়লাম ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। সকালের জন্য হালকা কিছু শুকনা খাবার নিয়ে ট্রলারে উঠে পড়লাম।

সূর্যের রক্তিম আভা প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ব্যস্ত আর অপরদিকে আমরা প্রকৃতির সেই সৌন্দর্য আরোহণ করতে মগ্ন। যেহেতু আমরা সকলেই প্রায় কাছাকাছি বয়সের তাই আনন্দ করতে কোন দ্বিধা হচ্ছিল না।খুলনার ভৈরব নদীর কিনারা ঘেঁসে দিঘলীয়া নামের যে উপজেলাটি আছে সেটা হয়তো একটা দ্বীপ।কারণ,এই উপজেলায় আপনি যেখান থেকেই যান না কেনো আপনাকে অবশ্যই নদী পার হতে হবে।এই উপজেলাটি যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখান থেকে আমরা রূপসা নদীর দিকে পানির পঙ্খীরাজে করে যেতে লাগলাম।
ঐখানে তিন নদীর মাথা একত্রিত হয়েছে।যার কারণে পানি সেখানে এসে ঘুরতে থাকে।ছোট ছোট নৌকা,ট্রলার ঐখানে পড়লে দিক বেদিক হয়ে পড়বে।

খুলনা থেকে রূপসা নদী দিয়ে অশান্ত প্রভাতক্ষণের আনন্দমুখর কোলাহলের মধ্য দিয়ে পানির পঙ্খীরাজ ছুটে চলল সুন্দরবনের উদ্দেশে।সবাই আমরা আনন্দ করে দু’একটা গানের তাল মিলাতে লাগলাম।

ও নদীরে…………….
একটা কথা শুধায় শুধু তোমারে।
বলো কোথায় তোমার দেশ,
তোমার নেই কি চলার শেষ।
ও নদীরে……….।

আমাদের মাঝে মাঝি ভাই(ট্রলার ওয়ালা)ও আমাদের সাথে গলা মিলালো।
এভাবে ৪-৫ ঘন্টা পানি পথে মজা করতে করতে চলে গেল।দুপুরের কোল ঘেঁসে আমরা আমাদের কাঙ্খিত উদ্দেশ্য সুন্দরবনের নদীতে গিয়ে পড়লাম।প্রকৃতপক্ষেই সুন্দরবন খুবিই সুন্দর। গাছগুলো সব একই রকম উঁচু।মহান শিল্পী আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁর সুন্দর শিল্পশৈলী প্রয়োগ করে এই অরণ্য সৃষ্টি করেছেন।আমার সামনে,ডানে, বামে যেদিকে যতদূর চোখ যায়, শুধু লম্বা লম্বা সবুজ গাছের সারি।উঁচু উঁচু গাছগুলো যেন দূর আকাশের কোল ছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত।মহান আল্লাহ আপন খেয়ালখুশি মতো নানা প্রকার গাছপালা, লতাগুল্ম ও তৃণ শস্য, ফুল-ফল দিয়ে এ অরণ্যকে সাজিয়েছেন। বনের মধ্যদিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য নদী-নালা জালের মতো বিস্তৃত হয়ে গোটা সুন্দরবন যেন প্রাকৃতিক উদ্যানে পরিণত হয়েছে। সত্যিই সুন্দরবনের অরণ্যের রূপে আছে এক নৈসর্গিক শোভা।অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবন তার উদার বক্ষে ধারণ করেছে অসংখ্য পশুপাখি।

সুন্দরবনের ছোট নদী দিয়ে আমরা আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে এগিয়ে চললাম।শুনশান নীরবতার মধ্যে আমরা পরিবেশটাকে বেশ কোলাহল বাড়িয়ে দিচ্ছিলাম।কেউ বাঘের মতো ডাকার চেষ্টা করছিল,কেউ অন্য পশুপাখি, যে যার মতো পরিবেশটাকে কোলাহলে আক্রান্ত করছিলাম।হঠাৎ করে দু’একটা গাছ নড়েচড়ে উঠলে আমরা সেদিকে মনোযোগ দিলাম।আমাদের ট্রলারটা সামনে যেতেই দেখা মিললো গাছের ডালে ঝুলতে থাকা বানরের সাথে।আমরা যে যার মতো বানরগুলোকে সমানে ভেঙিয়ে চলেছি।
বানরগুলো আমাদের ট্রলারের সাথে গাছের ডালে ঝুলতে ঝুলতে এগিয়ে গেল অনেকটা।
মাঝি ভাই হেসে বলল,বানর তো বানরদেরই পিছু নিবে,তাই না? আমরা সবাই হো হো করে হেসে উঠলাম।আরো কিছুটা দূর গিয়ে হরিণের দেখা।উত্তেজনার ঠেলায় আমরা সবাই ট্রলারের একপাশে এসে হইহুল্লোর করাতে অপরপাশ উঁচু হয়ে উল্টে যাচ্ছিল।তারাতারি আমরা কয়েকজন ট্রলারের অপর পাশে লাফ দিয়ে শুয়ে পড়লাম। আঁকাবাঁকা সরু পথে আমরা আরেকটু এগিয়ে গেলাম।মাঝিভাই বলল,তোমরা এইখান থেকে ভেতরে যেয়ে অল্প সময়ের জন্য ঘুরে তারাতারি চলে আসো।
মাঝিভাইয়ের বলতে বলতে উত্তেজনায় একজন লাফ দিয়ে দিলো। নরম কাঁদা বুঝতে পারেনি অনেকখানি পা আটকে গেলো।এবার আর উঠতে পারছে না!ঐখানে সব নরম কাঁদা,যার কারণে পায়ে জুতা ছিলো একেবারে আটকে আছে।অনেকক্ষণ পরে জুতার মায়া ত্যাগ করে কাঁদা থেকে বেরিয়ে উপরে উঠলো।আমরা সবাই জুতা ট্রলারে খুলে কাঁদা পাড়ি দিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করলাম। যে যার মতো গাছে উঠতে শুরু করে দিলাম।আসলেই মাঝিভাই তখন ঠিকই বলেছিল, বানর তো বানরদেরই পিছু নিবে। এখন এইখানে আমরা ঝুলাঝুলি করছি আর বানররা একটু আগে করছিল। আমাদের মধ্যে যারা একটু বুদ্ধিমান (মানে নেতা নেতা ভাব) তারা আমাদেরকে নিয়ে ভেতরের দিকে যেতে লাগলো।হঠাৎ করে পেছন থেকে পাতা নাড়িয়ে নাড়িয়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে হালুম হালুম করতে করতে কে জেনো আসছে মনে হচ্ছে। আমরা তো বেশিরভাগই সবাই ১৫ এর কাছাকাছি। আমাদের সামনে থেকে একজন বাঘ বাঘ বলে দৌঁড় দিল…….সাথে আমরাও হুতাশে দৌঁড় দিলাম। কিন্তু পেছনে কেউ একজন তাকিয়ে বলল,আরে এই বাঘের গোস্ত আজকে আমরা হালুম হালুম করে খাব।আমরা সবাই পেছনে তাকিয়ে দেখি আমাদের ভেতর থেকে একটা গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে।

কিছুদূর যেয়ে আমরা ছোট একটা গর্তের মতো দেখলাম।যার মধ্যে অল্প বৃষ্টির পানি জমা ছিল। আর সেখানে লাল লাল একধরনের কাঁকড়ার মতো কি যেন ছিলো।যা ইতিপূর্বে আমি বা আমরা কেউ কখনোই দেখিনি।কাঁকড়ার হয়তো কোন প্রজাতির হবে।ক্লাসের বই পড়ে অবশ্য জানতাম যে,সুন্দরবনে অনেক ধরনের অসংখ্য প্রজাতির অনেক পশুপাখি আছে।সেগুলো বাস্তবে দেখা,হাত দিয়ে ধরা আসলেই অন্যরকম একটা অনুভূতি। জঙ্গলের ভেতরের দিকে আমরা ঢুকে পড়ছি এমনসময় আমাদের ভেতর থেকে একজন আমাদের সবাইকে ডেকে বলল,আমার বড়বোন একবার কলেজ থেকে পিকনিকে জাহাজে করে এখানে এসেছিল।তার কাছে শুনেছি এখানে নাকি ডাকাত পড়ে।আমরা আর ভেতরে না যেয়ে চলো ফিরে যায়। ট্রলারওয়ালাকেও তো আমরা ভালোভাবে কেউ চিনি না।
আর এই সুন্দরবনে জলদস্যু,বনদস্যুরাও আছে।ওরা যদি আমাদের এখানে আটকে রাখে কেউ আমাদের কোন খোঁজ পাবে না।আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা তো এই জঙ্গল ভালো করে চিনিও না। যদি আমরা জঙ্গলের ভেতরে পথ হারিয়ে ফেলি! আর আমরা তো সবাই জানি সুন্দরবনে বাঘ আছে।
তারথেকে পরবর্তীতে আমরা আবার আসবো এখানে। এই মনোভাব নিয়ে চলো আমরা ফিরে যায়।তাছাড়া একঘন্টার মতো হতে চলল,আমরা জঙ্গলে ঢুকেছি।আবার বিকাল হতে শুরু করে দিয়েছে।সবাই চলো আমরা ফিরে যায়।

অপরিপূর্ণ, অতৃপ্ত হয়ে আমরা ফেরার পথ ধরলাম। কিন্তু আমাদের এখানে আসার বড় একটা উদ্দেশ্য ছিল বাঘের সাথে পরিচিত হওয়া।সে বিষয়টা পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো না।ভেবেছিলাম বাঘের সাথে দেখা সাক্ষাৎ না হলেও বাঘের পায়ের চিহ্নের সাথে অন্তত পরিচিত হবো।কিন্তু আমরা তো চিনিই না বাঘের পায়ের চিহ্ন কেমন!নাহলে হয়তো জঙ্গলের ভেতর থেকে সব পায়ের চিহ্নের উপর ডিটেকটিভগিরি চালানো যেতো।জঙ্গলের বাইরে বের হতে হতে আমাদের বিকাল হয়ে গেলো।এসে দেখি ট্রলারওয়ালা শুয়ে আছে।ডাক দিতেই বুঝলাম ওনি ঘুমিয়ে আছেন।কয়েকবার ডাক দেওয়াতে ওনি উঠে আমাদেরকে ট্রলারে তুলে একটু কড়া ভাবে বলল,এখানে দস্যুরা আছে,ওরা আমাদের মতো ট্রলারওয়ালাদের ধরে ট্রলার ভেঙে দেই,আটকে রেখে অনেক টাকা দাবি করে। তোমরা তারাতারি আসবে না?
আমরা কিছু না বলে হাত,পা ধুয়ে চুপচাপ বসে পড়লাম।

পানির পঙ্খীরাজ আবার তার ফেলে আসা পথে ছুটে চলল।আস্তে আস্তে প্রকৃতিতে আলো শেষে আঁধারে ঘনীভূত হতে আরম্ভ করল।পানিপথের পঙ্খীরাজগুলো তাদের চলাচলের সুবিধার্থে আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সবাই আবার সতেজতা ফিরে পেয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগলাম।আর জাহাজের কথা তো বলাই বাহুল্য। নদীতে গেলে জাহাজ দেখতে না চাইলেও জাহাজ চোখের সামনে দিয়ে শুধু ঘোরাঘুরি করবে।আর সুন্দরবনে যেতে গেলে পথিমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড তো দেখতেই হবে সাথে মোংলা বন্দরও দেখা হয়ে যায়।

ট্রলারের উপর আমরা সবাই শুয়ে শুয়ে আকাশের তারা গুনছি।কি সুন্দর করেই না আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীকে বানিয়েছে।মানুষের তৈরি কোন জিনিস তার মোকাবেলায় সামান্যও সময়ও কি দাঁড়াতে পারবে?অবশ্যই না,একেবারেই না।
সুন্দর নীলিমার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আর পরবর্তীতে রাত্রে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেয়ার অপেক্ষায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।নদীর পানির উতলে পড়া ঢেউ যেনো মাইকেল মধুসূদন দত্তের কপোতাক্ষ নদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কবি জীবনানন্দ দাশের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে ইচ্ছা করছে,
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা রায়।
রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে।
দেখিবে ধবল বক: আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে।

আবার আসিব ফিরে ……………।

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৬ Comments

  1. সুস্মিতা শশী

    এসব ভ্রমণকাহিনী পড়ে খুব আফসোস হয় যে আমি দেখিনি। লেখক চমৎকারভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। শুভ কামনা।

    Reply
  2. Tanjina Tania

    ও নদীরে…………….
    একটা কথা শুধায় শুধু তোমারে।
    বলো কোথায় তোমার দেশ,
    তোমার নেই কি চলার শেষ।
    ও নদীরে……….। গানটা শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে এই মুহূর্তে। এবার প্রতিযোগিতার সবগুলো ভ্রমণ কাহিনীই চমৎকার লাগছে। এগুলো পড়ে নিজেও লিখতে পারবো বলে মনে হচ্ছে। শুভকামনা আপনার জন্য।

    Reply
  3. Md Rahim Miah

    ঐখানে-ওইখানে
    উদ্দেশে-উদ্দেশ্যে
    শুধায়-শোনায়(গানের লাইনে ভুল হলে গানের মজাই থাকে না)
    খুবিই-খুবই
    তারাতারি-তাড়াতাড়ি
    ওনি-উনি
    হা হা হা পড়ে অনেক মজা পেলাম। যদিও বাস্তবে কখনো সুন্দরবন দেখা হয়নি, তবে টিভিতে অনেক দেখেছি আর অনেক শুনেছি। সবগুলো কথা বাস্তব কথা। পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে , আরোও তথ্য দিলে আরোও ভালো হত। শুভ কামনা রইল অনেক।

    Reply
  4. Halima tus sadia

    সুন্দরবন সম্পর্কে খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন।
    পড়ে ভালো লাগলো।অনেক কিছু জানলাম।
    বানানে কিছু ভুল আছে।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  5. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম।
    আমার সুন্দরবনে যাওয়ার খুব ইচ্ছা বরাবরই। ভ্রমণ কাহিনীটা পড়ে সেই ইচ্ছা যেন আরো এক ধাপ বেড়ে গেলো। অনেক সুন্দরভাবে সবকিছুর বর্ণনা তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে পড়ে। তবে ভুল রয়েছে বেশ কিছু। যা না থাকলে আরও বেশি সুন্দর হতো। নিচে ভুলগুলো লক্ষণীয় :
    যতি চিহ্নের পর স্পেস দিতে হয়। যা দেওয়া হয়নি।
    এক লাইন শেষ হলে আর এক লাইনে যাওয়ার আগে (।) এর পর স্পেস দিয়ে আর এক লাইন শুরু করতে হয়।

    নিদর্শনসমূহের – নিদর্শন সমূহের
    পানিপথে – পানি পথে
    সৌন্দর্য আরোহণ – সৌন্দর্য আহরণ
    কোন – কোনো
    ঘেঁসে – ঘেঁষে
    মাঝি ভাই (ট্রলার ওয়ালা)ও – মাঝি ভাইও (ট্রলার ওয়ালা)
    খুবিই – খুবই
    মধ্যদিয়ে – মধ্য দিয়ে
    হইহুল্লোর – হৈ হুল্লোড়
    তারাতারি – তাড়াতাড়ি
    এইখান – এখান
    নরম কাঁদা – নরম কাদা
    এমনসময় – এমন সময়
    বড়বোন – বড় বোন
    ফিরে যায় – ফিরে যাই
    ওনি – উনি
    সাাদা – সাদা
    ভেঙে দেই – ভেঙে দেয়

    আগামীতে বানানের দিকে খেয়াল রেখে লিখবেন।
    আপনার জন্য শুভ কামনা।

    Reply
  6. Nafis Intehab Nazmul

    কোনদিন দেখিনি সুন্দরবন, তবে খুব ইচ্ছে আছে দেখার,। এখন আপনার লেখা পড়ে তো দেখতে আরো ইচ্ছে করছে।
    দস্যু থাকার কথা টা কি আসলেই সত্যি? ভ্রমনে সমস্যা হবে তো তাহলে।
    বানানে অনেক ভুল।

    Reply

Leave a Reply to Halima tus sadia Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *