মাদকাসক্তি ও বাংলাদেশ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,884 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখা : তানজিনা তানিয়া
.
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কৃত্তিমভাবে নিজের প্রকৃতিকে অপৃকৃতস্থ করতে শিখেছে। চেয়েছে রুক্ষ বাস্তবতা, দারিদ্র্য-দহন থেকে পালিয়ে উদ্যম কল্পনা আর ভ্রান্তিবিলাসে বুঁদ হয়ে থাকতে। নেশার জগতেও ঘটেছে রুপান্তর। এসেছে কোকেন, এসএসডি, হেরোইন,ইয়াবা আরও কত কি…..। এদের প্রত্যেকটির ক্রিয়া-প্রতিক্র
িয়া পৃথক ও দীর্ঘস্থায়ী। প্রভাবের ক্ষমতাও আলাদা আলাদা। মাদকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলো আফিম। পোস্ত নির্যাস থেকে কৃষকরা তৈরি করে কাঁচা আফিম। আর সেটা থেকে হয় মরফিন বেস। আফিম থেকেই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় হেরোইন। হেরোইন বিভিন্নভাবে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। ধূমপানের মাধ্যমে, ইনহেলারের মাধ্যমে, স্কিন পপিংয়ের মাধ্যমে, সরাসরি সেবনের মাধ্যমে ও মেইন লাইনিং পদ্ধতিতে হেরোইন গ্রহণ করে আসক্তরা।
মদ, গাজা, আফিম, চরস, ভাং এসব বেশ পুরাতন নেশাজাতীয় দ্রব্য। এগুলো এতই পুরাতন নেশাজাতীয় দ্রব্য যে, এগুলোর নাম অনেকেই জানে। নেশাজাতীয় এসব দ্রব্যের নাম অনেক আগে থেকেই আমরা জানলেও খুব বেশি নেশাখোরের নাম আমরা জানতাম না। কিন্তু এখন আমাদের আশাপাশেই প্রচুর পরিমাণ নেশাখোরের দেখা মিলে। উনিশ শতকের মাঝামাঝি বেদনা প্রতিরোধের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হত যে মাদক, সেটাই পরে ড্রাগ নামে পরিচিতি লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এই ড্রাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। পরে বেশকিছু উন্নত রাষ্ট্রে ড্রাগ উৎপাদনের মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের বিবর্তনে আন্তর্জাতিক সমাজব্যবস্থায় বহুমাত্রিক পরিবর্তনের প্রভাবে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মাদকদ্রব্যের আসক্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে মাদকাসক্তির বহুল প্রভাব বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইয়াবা নামের এক ভয়ংকর মাদকদ্রব্য বর্তমানে যুবসমাজের জন্য ভয়নাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার হাজার তরুণ এ নেশায় আসক্ত। এক জরিপে দেখলাম বছরে শত শত কোটি টাকার নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি হয় বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের শহর, গ্রাম সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়িয়েছে ভয়ংকর সব মাদকদ্রব্যগুলো। দেশের পরিণতি এজন্য দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য সেবনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুবসমাজ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও বেআইনি কাজে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে সমাজ চলছে ধ্বংসের দিকে। বাংলাদেশে মদ উৎপাদনকারী একমাত্র বৈধসাইলেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হলো দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানি। এ ছাড়াও অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। হেরোইন ভয়ংকর নেশাগুলোর একটি। বাদামি সাদা দুই রুপেই হেরোইন বিরাজ করছে। এই দুই-ই দেহের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। হেরোইন শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিঃশেষ করে দেয়। ক্রমশ ভোঁতা, অসাড় হয় মাদকাসক্ত ব্যক্তির মননশক্তি। আসক্তদের খিদে পায় না, ঘুম হয় না। হাসি-কান্নার বোধ থাকে না। ওজন কমে যায়।ধীরে ধীরে এক অস্বাভাবিক, জীবন্মৃত অবস্থায় পৌঁছে যায়। নিয়মিত নেশাখোরদের হঠাৎ ড্রাগ বন্ধ করে দিলে তার ফল আরও মারাত্নক হয়। শুরু হয় প্রচুর শারীরিক যন্ত্রণা। একে বলে “উইথড্রয়াল সিমটম”। এ অবস্থায় আক্রান্ত মানুষের হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঠিক সময়ে নেশার পুরিয়াটি না পেলে শুরু হয় “টার্কি পিরিয়ড” । তখন হাত পা কাঁপতে থাকে। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। শরীরে এক অসম্ভব খিঁচুনি শুরু হয়। চোখ নাক দিয়ে জল ঝরে। চিকিৎসা না করলে মৃত্যু ঘনিয়ে আসে।
যে ভয়ংকরতম মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে, তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। অবশ্য আশার খবর হচ্ছে যে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে সরকার বর্তমান সময়ের ভয়ংকর মাদকদ্রব্য ইয়াবা পরিবহণ, উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আইন পাশ করেছে। সরকার এই আইন বাস্তবায়নে যথাসাধ্য চেষ্টাও করে যাচ্ছে। সাধারণত মাদকদ্রব্য হচ্ছে এমন সব নেশাজাতীয় দ্রব্য যা গ্রহণে গ্রহণকারীর মধ্যে এক ধরণের মত্ততা জন্মায়। আমাদের দ্বীনের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) মাদকদ্রব্য সম্পর্কে বলেছেন যে, “আল খামরু মা খামারুল আখ্লা”। এর অর্থ হচ্ছে, মাদকদ্রব্য তাই, যা জ্ঞানবুদ্ধি লোপ করে। মাদকাসক্তি মূলত একটি স্নায়ুবিক ধারণা। এর প্রভাবে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা এ আচার-আচরণে অসঙ্গতি দেখা দেয়। অধিকাংশ মাদকাসক্তদের গাঁজা বা চরসের মাধ্যমে মাদকের প্রতি আকর্ষণ জন্মে। এবং তারপর তারা আস্তে আস্তে আরও বড় বড় নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। ইয়াবার অবস্থানটা আমাদের সমাজে এমনভাবে বেড়েছে যে, ইয়াবার প্রভাব অন্যান্য সব মাদকদ্রব্যকে ছাড়িয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষের মাদকাসক্তির প্রতি আকর্ষণ বিবিধ কারণে বেড়েছে। সহজলভ্য বিনোদন, নিষিদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন, মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সুষ্ঠভাবে ওয়াকিবহাল না থাকা, গার্জিয়ানের অসচতেনতা, হাতে অপ্রয়োজনীয় অর্থ থাকা, পারিবারিক বিশৃঙ্খলতা, মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি, নৈতিকতার অবক্ষয় এগুলো মাদকাসক্তির প্রধান কারণ। সাধারণত বন্ধু বা আশেপাশের মানুষের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে একজন স্বাভাবিক মানুষ মাদকের কাছে ভীড়ে। সহজ কথায় বলতে গেলে সঙ্গদোষে পড়ে। আর এক, দুই বা তিন দিন মাদক গ্রহণ করলে মাদকের প্রতি একটা আকর্ষণ জন্মে যায়। আর সেই আকর্ষণের মোহ থেকে আসক্ত ব্যক্তির বের হয়ে আসা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। নতুনত্বের প্রতি মানুষের চিরন্তন নেশা, নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের দুনির্বার আকর্ষণ ও আপাত ভালো লাগার বশবর্তী হয়েও অনেকে মাদকদ্রব্যের ব্যবসায়ীদের পেতে রাখা ফাঁদে নিরুপায় কীট-পতঙ্গের মতো ধরা দেয়। বর্তমান তরুণ প্রজন্ম ও সভ্যতা যে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সমস্যার সম্মুখীন, তার জন্য মাদকদ্রব্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। মাদকদ্রব্যের কারণে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক সমস্যার দরুণ অবনতি ঘটছে। ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। বর্তমানে মেয়ের বাবারা একটি মাদকমুক্ত ছেলে খোঁজে নিজের মেয়ের জন্য। কিন্তু আশ্চর্য ব্যপার হচ্ছে যে, এটা খোঁজে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদকাসক্তির ফলে একজন ব্যক্তির আচরনে যে বিরুপ প্রতিক্রিয়াগুলো লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠে, তা হচ্ছে তার আচার-আচরণে পরিবর্তন, রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়া, বেশিরভাগ সময়ই গুছিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হওয়া, খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়া, মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, দায়িত্ব বা কাজে অমনোযোগ, হঠাৎ আড্ডাপ্রিয় হয়ে উঠা, খরচ বৃদ্ধি, শারীরিক অবনতি প্রভৃতি। বর্তমানে প্রায়ই পত্রিকা খুললে দেখা যায় যে, নেশার খরচ যোগাতে মাদকাসক্ত ব্যক্তি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এমনকি খুন-খারাবি করতে পর্যন্ত পিছপা হয় না। নেশাখোর সন্তানের বাবা- মাকেও সন্তানের এই অধঃপতনের জন্য মারাত্নকভাবে ভুগতে হয়। টাকা পয়সার জন্য নেশাখোরেরা বাবা মায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে। ঘর থেকে টাকা না পেলে চুরি করে ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয়। বাবা-মায়ের টাকা রাখার জায়গা থেকে গোপনে টাকা নিয়ে যায় এরা। যখন নেশাখোরদের নেশা করতে ইচ্ছা করে তখন তারা বিবেকহীন হয়ে পড়ে। ঘরের টাকা দিয়ে বাবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে সেটা তাদের মাথায় থাকে না।
ভদ্র ঘরের ছেলেরাও এই ভয়ংকর নেশার পাল্লায় পড়ে ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য কর্মে লিপ্ত হয়ে বাবা মায়ের মান-সম্মানে আঘাত হানে। একটা সুখের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য একজন নেশাখোর সদস্যই যথেষ্ট। এই মাদকদ্রব্য সন্ত্রাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
এসবের বাহিরেও মাদকদ্রব্যের আরেকটি ভয়ংকর নেতিবাচক দিক হচ্ছে, মাদকাসক্তের মাধ্যমে এইচ আই ভি এইডসসহ বিভিন্ন যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
মাদকাসক্তি একটি সাসাজিক সমস্যা। আর সব ধরণের সামাজিক সমস্যা নিরসনের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে জনসচেতনতা ও সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ। অবৈধ মাদক পাচার ও মাদকাসক্তি যে একটি ভয়াবহ সমস্যা, সে সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগনের সচেতনতা থাকা আবশ্যক। বর্তমান বিশ্বে মাদকদ্রব্য বিক্রির মূল্যমান লক্ষ লক্ষ মিলিয়ন ডলার। এই ভয়াবহ কথাটিকে মাথায় রেখেই মাদক নির্মূলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলা প্রয়োজন। যদিও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও সেবাদানের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিষন্ত্রণ অধিদপ্তর একাধিক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা করে আসছে, তবুও এটি যথেষ্ট নয় মাদকাসক্তের সংখ্যার তুলনায়।
সম্প্রতি জানা গেছে যে,মাদক পরীক্ষা করা যাবে ৫ সেকেন্ডেই।
যুক্তরাজ্যের ‘ইন্টেলিজেন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’ একটি উন্নতমানের মাদক শণাক্তকারী ডিভাইস তৈরি করেছে। এটি ব্যবহার করে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমেই রক্তের মাদক জানা যাবে। এজন্য সময় লাগবে মাত্র পাঁচ সেকেন্ড।
রক্তে মাদক আছে কি না তা মাত্র পাঁচ সেকেন্ডেই জানাবে স্ক্যানারটি। এ জন্য হাসপাতালেও যেতে হবে না, স্ক্যানারটির নির্দিষ্ট স্থানে আঙুল রাখলেই সেই ব্যক্তির রক্তে গাঁজা, কোকেন বা হেরোইনের উপস্থিতি জানা যাবে।
মাদকভেদে ৮৬ থেকে ৯২ শতাংশ নির্ভুল ফলাফল জানাতে পারে যুক্তরাজ্যের ‘ইন্টেলিজেন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্টিং’-এর তৈরি স্ক্যানারটি। এই স্ক্যানারটির ব্যবহার বাংলাদেশ সরকারকে মাদক নির্মূলে সাহায্য করতে পারে।
বর্তামানে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনে আরও কঠিন পদক্ষেপের মাধ্যমে অচিরেই মাদক নির্মূলে না নামলে দেশ এই মাদকাসক্তের বিষে বিষাক্ত হয়ে যাবে, আর আমরা হয়ে যাব বিষাক্ত জাতি।

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৪ Comments

  1. mohasina

    খুব‌ই বাস্তব

    Reply
  2. Md Roni

    এই প্রবন্ধটি পড়ে একজন মাদকাসক্তও যদি সচেতন হয়, তবুও স্বার্থক লিখাটা। মাদকাসক্ত খুব ভয়াবহ হয়ে উঠছে দিনকে দিন।

    Reply
  3. Asha lota

    বর্তমান সময়ের প্রক্ষেপটে লিখা বাস্তবিক প্রবন্ধ

    Reply
  4. Tasnuva Parvin

    মাদকের ভয়াবহ ছোবলে ছেয়ে যাচ্ছে চারপাশ। এর থেকে মুক্তির প্রয়োজন।

    Reply

Leave a Reply to mohasina Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *