মা তুমিই সেরা
প্রকাশিত: অগাস্ট ২, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,963 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখা : বুনোহাঁস

মা দিবস উপলক্ষে অবনগর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে মা সমাবেশের আয়োজন করেছে। সকল ছাত্রছাত্রী আজ মা নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছে। এদিকে স্কুলের যাবতীয় কাজকর্মও শেষ হয়েছে প্রায়। রাতুল স্যার বক্তৃতায় পটু, তাই উপস্থাপনের ভার উনার উপরেই পড়েছে। মা নিয়ে সম্মানিত লেখকদের কিছু উক্তি দিয়ে তিনি অনুষ্ঠান শুরু করলেন। একে একে অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ আসন গ্রহণ করলেন। প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান স্যারও ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। সকল মায়ের প্রতি বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাতে আজকের এই আয়োজন। অনুষ্ঠানের শেষে সকল শিক্ষার্থী নিজের মায়ের পা পানি দিয়ে ধুবে। এর আগে রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর প্রতি ক্লাসের ফার্স্ট বয় আর গার্লরা নিজ মায়েদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখবে স্টেজে এসে। সকল কার্যক্রম সুন্দর নিয়ম মতোই হচ্ছে।
এক পর্যায়ে রাতুল স্যার দশম শ্রেণীর ফার্স্ট বয় তিহানকে মঞ্চে ডাকলো তার বক্তৃতা দেবায় জন্য। তিহান ধীরগতিতে মঞ্চের দিকে পা বাড়ালো। মাকে নিয়ে সেরা শব্দের গাঁথুনিতে বক্তৃতা দেয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন যাবত অনুশীলন করেছে। এই প্রথমবারের মতো সুযোগ ফেলো জন্মধাত্রীকে নিয়ে কিছু বলার।

  তিহান তার বক্তৃতা শুরু করলো স্বরচিত একটি কবিতা দিয়ে,

      আমার মা আমার ভালবাসা

দীর্ঘ গর্ভবাসের পর
যেদিন এসেছিলাম জননীর জরায়ু ভেদ করে
সকল কষ্ট মুখ বুঝে সহে
হাজারো গোলাপের হাসি
ফুটেছিল মায়ের মুখে।
এত কষ্ট মায়ের,স্বার্থক হয়েছিল
আমি দুনিয়াতে আসার পরে।
জন্মের পর প্রথম আমি দেখি তোমার মুখ,
সেটা দেখে আমি পাই কতই না সুখ।
আমার জান্নাত তুমি,ভালবাসা তুমি,
তুমি আমার দুনিয়া,চারদিক শুধু ধু ধু করে
তুমি মা না থাকলে।
জন্মের পর প্রথম যখন কেঁদে উঠি আমি,
দুগ্ধ পান করিয়ে কান্না থামাও ভাষা না বুঝে তুমি।
সেদিন বুঝেছি মা কি জিনিস
যার কারনে পৃথিবীতে আসা,আমার সবটা দিয়ে আমি করবো তোমার সেবা।
তুমি চাইলে জানটাও আমি দিবো হাসিতে হাসিতে,
গায়ের চামড়া দিয়ে তোমার মালা বেনে দিবো খুশিতে।
তবুও যেন তুমি কষ্ট না পাও আমার চোখের সামনে,
তুমি কষ্ট পেলে নিজেকে ক্ষমা করবো কেমনে?

এরপর বিস্তারিত বলা শুরু করলো, তিহানের মা ড.রুবাইদা আহসান, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের নিউরোলজিস্ট এবং সহকারী অধ্যাপক। নিজের মাকে নিয়ে দুটো কথা বলতে পেরে গর্বে তার বুক ফুলে যাচ্ছে। এদিকে ড.রুবাইদা আহসানের ঠোঁটেও চিকন হাসি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তিহান বলা শুরু করলো, আমার মা একজন ডাক্তার তিনি নিজহাতে পরম যত্নে যেমন মানুষের সেবা করেন ঠিক তেমনই আমি যখন অসুস্থ হই আমার মা আমাকে সেবা শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তুলেন। আমার মাকে আমি অনেক ভালবাসি। আমার জীবন ধন্য এমন একজন মানুষকে মা হিসেবে পেয়েছি বলে। একপর্যায়ে রাতুল স্যার তিহানের মাকে মঞ্চে ডেকে নিলেন। ড.রুবাইদা আহসান নিজের ছেলের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন। উপস্থিত সকলে করতালি দিয়ে উনাকে সম্মান প্রদর্শন করলেন। এরপর ড.রুবাইদা আহসানের হাতে সম্মাননা পত্র উঠিয়ে দিলেন প্রধান অতিথি। মঞ্চ ত্যাগ করছে মা ছেলে দুজনে। ড.রুবাইদা আহসান ভাবছেনন উনার জীবন আজ স্বার্থক। ঠিক এনাকেই মানায় তিহানের পাশে মা হিসেবে। উপস্থিত সবাই দেখছেন।

রাতুল স্যার এবার নবম শ্রেণীর ফার্স্ট বয় আহনাফকে মঞ্চে ডাকলেন। আহনাফ খুব সাধারণ এক মেধাবী ছাত্র। খুব সাদাসিধে তার চলাফেরা। মঞ্চে উঠেই এপিজে আবুল কালাম স্যারের বই থেকে মা নিয়ে কিছু লেখা পড়ে শুনালো। সবার মনোযোগ সে নিজের দিকে নিয়ে গেছে। তারপর নিজের মাকে পরিচয় করিয়ে দিলো, মিস. জাকিয়া সুলতানা হলেন আহনাফের মা। ২৫তম বিসিএস পাশ করে থানা নির্বাহী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এ ফাঁকে রাতুল স্যার জাকিয়া সুলতানাকে মঞ্চে ডাকলেন। বাসন্তী রঙের একটি শাড়ি দারুণ মানিয়েছে ইনাকে। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। ঠিক একজন যোগ্য মায়ের মতো দেখাচ্ছে। নিরবতা ছেয়ে গেছে পুরো জায়গায়। এবার আহনাফ মায়ের সম্পর্কে বলা শুরু করলো, আমার মা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি সবসময় আমাকে শিখিয়েছেন সময়ের মূল্য দিতে। আমার শিক্ষা জীবনে কোনদিন বাড়ির কাজ অসমাপ্ত রেখে ঘুমুতে যেতে দেয়নি আমার মা। সবসময় আমার লেখাপড়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন। আমাকে একজন সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমার মা। আমার মা আমাকে অনেক অনেক ভালবাসে। আমিও আমার মাকে অনেক বেশী ভালবাসি।
জাকিয়া সুলতানা আজ উপলব্ধি করতে পারছেন আহনাফকে ছেলে হিসেবে পেয়ে তিনি ধন্য। স্রষ্টার কাছে যেন আর কিছুই চাওয়ার নেই তাঁর। মায়ের প্রতি এমনন ভক্তি হাজারের মাঝে একটি দেখা যায়। জাকিয়া সুলতানা সম্মাননা পত্র নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করলেন। উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে মা ছেলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেন।

রাতুল স্যার এবার বক্সে মাকে নিয়ে লেখা একটি গান চালু করলেন। সকল ছাত্রছাত্রীর চোখের কোণে বেখেয়ালে জল জমা হলো। পুরো এলাকা নিরব। এর থেকে ভালো পাওয়া আর কি হতে পারে একজন মায়ের জন্য।

অষ্টম শ্রেণীর ফার্স্ট গার্ল ফারিহাকে মঞ্চে ডাকলেন রাতুল স্যার। ফারিহা তার বক্তব্য শুরু করলো মাকে নিয়ে লেখা বুনোহাঁসের একটি কবিতা দিয়ে,

মনে পড়ে তোমাকে
বুনোহাঁস।

সেদিন শুধু অঝোরে কেঁদেছিলাম,
বুলি তো ফোটেনি তখন।
যে মায়ের নাড়ী ছেঁড়া ধন আমি
সে মাকেই দেখতে পারিনি দুনয়ন ভরে আমি।
হরিণ ছানা বাঘের থাবা থেকে বাঁচতে দৌড়িয়ে মায়ের কোলে ঝাপটে পড়ে যেমন,
আমিও তো মা তোমার কোলে আশ্রয় খুঁজি তেমন।
মাগো,সাঁজবেলায় কেউতো অপেক্ষায় থাকেনা আমার,
কেউতো আর স্নান করতে ডাকেনা,
বুক ভরে কান্না আসে মনে পড়ে যখন তোমায়।
কাদাজলে খেলেছি বলে কেউ মারেনা,
খালি গায়ে ঘুমিয়ে পড়ি যখন কেউতো কাঁথা গায়ে দিয়ে দেয়না।
জানিনা,কোন অপরাধে বিধাতা আমার জীবন ডায়রি থেকে মা শব্দটি মুছে দিয়েছে,
আমার আদর কেন আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
আজও আমি হন্নি হয়ে খুঁজে বেড়াই তোমাকে
যদি কোথাও পাই খুঁজে!
তোমায় স্পষ্ট দেখতে পাই
যখন ঘুম এসে আমার চোখ বুজে।
আমি আকাশে তাঁরা গুনি,
গাছের পাতা গুনি,
মন দিয়ে পাখির গান শুনি
যখন মনে পড়ে তোমাকে।

মাকে নিয়ে কথা বলার আগেই ফারিহার দুচোখ থেকে অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়লো। কাঁপা কণ্ঠ তার ধীরেধীরে ভারী হয়ে উঠছে। তার মা আয়েশা সিদ্দিকা আকাশের তারা হয়ে গিয়েছেন প্রায় সাত বছর হলো। আজকের এই দিনটির জন্য হলেও ফারিহার মায়ের বেঁচে থাকা দরকার ছিলো তা বুঝা গেল তার শূন্যতা থেকে। বেঁচে থাকতে হলে যে মায়ের কতটুকু প্রয়োজন তা খুব বুঝা যাচ্ছে ফারিহার বক্তৃতা থেকে। একমাত্র এই মায়ের শূন্যতাই কোনোভাবে পূরণ করা যায় না। সবশেষে ফারিহা আকাশের দিকে তাকিয়ে মাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করলো একা। সকলে হাততালি দিতে ভুলে গেলো! সব আনন্দ মাটির সাথে মিশিয়ে দিলো ফারিহার চাপা আর্তনাদ।

কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর, মঞ্চ আবার গরম করে তুললেন রাতুল স্যার। এবার মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার কিছু কথা উঠিয়ে ধরলেন। আবার আগের পরিবেশ ফিরে এলো অনুষ্ঠানে। ওরকম থমথমে পরিবেশে যে কোনকিছুই ভালো লাগে না। রাতুল স্যার সপ্তম শ্রেণীর ফার্স্ট বয় সুহানকে ডেকে নিলেন।
হালকা গড়নের উজ্জ্বল শ্যামলা সুহান বক্তব্যের জন্য তৈরী হচ্ছে। তার মনে কোন দ্বিধা নেই। তার মা শিউলি শানু একজন শিক্ষিকা। মানুষ গড়ার কারিগর। নিজের মাকে নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে সুহানের। সে বলা শুরু করলো, আমার মা মানুষ হিসবে অনেক ভালো। আমাকে খুব যত্ন করে। মন খারাপ থাকলে কবিতা শুনিয়ে মন ভালো করে দেয়। খারাপ কাজ করলে খুব বকে আবার ভালো কিছু করলে অনেক আদর করে। এত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন সময় করে আমাকে পড়ায়। আমার জীবনের খুব বড় পাওয়া আমার মা। সবাই করতালি দিয়ে সুহানকে উৎসাহ দিলেন। রাতুল স্যারের ইশারায় শিউলি শানু মঞ্চে উঠলেন। ছেলের কাঁধে হাত রেখে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন তিনি। সভাপতির কাছ থেকে সম্মাননা পত্র গ্রহণ করে তাঁরা দুজন বিদায় নিলেন।

শেষ বক্তা হিসেবে রাতুল স্যার ষষ্ঠ শ্রেণীর ফার্স্ট গার্ল অরুণাকে ডাকলেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেও কোন সাড়া পাওয়া গেল না। অরুণা আজ অনুপস্থিত।
তাই শেষ বক্তা হিসেবে প্রাথমিক স্তরের পঞ্চম শ্রেণীর ফার্স্ট বয় তন্ময়কে ডাকলেন রাতুল স্যার। অজানা এক ভয়ে সারা মুখ চুপসে গেল তন্ময়ের। খুব গরীব ঘরের সন্তান সে। স্কুলের শার্টটাও ধোয়া নেই। আবার চুলগুলোও অনেক বেশি অগোছালো। ছোট হলেও ব্যক্তিত্ব তো সবারই আছে। ভয়ে ভয়ে মঞ্চের দিকে পা বাড়াচ্ছে তন্ময়। এদিকে তার মা সুলতানা পারভিনেরও লজ্জা হচ্ছে। সবার সামনে যে ছেলে তাকে পরিচয় করিয়ে দিবে তেমন যোগ্যতাও নেই। শুধুমাত্র তন্ময়ের মা ই তিনি। মাইক্রোফোন হাতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি কবিতা দিয়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করলো তন্ময়,

   মাকে জানাই

মা তুই করলি আমায় মানুষ
কণ্ঠে দিলি ভাষা
তোর দু চোখে স্বপ্ন রেখে
প্রথম আলোয় আসা।
কান্নাতে তোর কাঁদতে শিখি
আনন্দেতে হাসা
তোর আঁচলে অনন্তকাল
অপার স্নেহের বাসা।
সবার কাছেই রঙের ফানুস
পিতল-তামা-কাঁসা
মা তুই আমার অমূল্য ধন
সোনার খনি খাসা ।
এক দিনই নয় জনম জনম
দিস মা বাঁচার আশা
এই দিনে তাই,
তুই মাকে জানাই
অবুজ ভালবাসা।

আস্তে আস্তে সময় হচ্ছে পরিচয় করে দেবার। আবারও অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর কথা বলা শুরু করলো তন্ময়। এতক্ষণে ভেবে নিয়েছে বিধাতার শ্রেষ্ঠ দান মা সম্পর্কে কতটুকু বলা যায়। তুখোড় মেধাবী ছাত্র তন্ময় তার বক্তৃতা শুরু করার আগে মাকে পাশে ডেকে নিলো। সুঠান গড়নের সুলতানা পারভিন গিয়ে ছেলের পাশে দাঁড়ালেন। তন্ময় বলা শুরু করলো, মাকে নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা আমার হয়ে উঠেনি। আর এই স্বল্প সময়ে তা বলেও শেষ করা যাবে না। মায়ের দিকে আঙুল তুলে বললো, ইনি সুলতানা পারভিন। যিনি আমাকে দশ মাস দশদিন পেটে ঠাঁই দিয়েছেন এজন্য আমি বড়ই কৃতজ্ঞ। আমার মা একজন ডাক্তার তবে সবার সেবা করার জন্য না। আমার মা শুধুমাত্র আমার ডাক্তার। আমি অসুস্থ হলে মা সারারাত জেগে আমাকে সেবা করে সুস্থ করে তুলেন। আমার মা একজন মানুষ গড়ার কারিগর। আমাকে নিজ হাতে পড়ান। আমার জীবনের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আমার মা। এই ভদ্রমহিলা একজন ইঞ্জিনিয়ার। যিনি নিজহাতে গড়ে দিচ্ছেন আমার ভবিষ্যতের ভিত্তি। আমার মা একজন অতন্দ্র প্রহরী যিনি সারাক্ষণ আমার খেয়াল রাখেন। আমার মা ই হলো আমার পৃথিবী। আমার মা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। মা ছেলে দুজনের চোখ থেকেই অনর্গল পানি ঝরছে। সবাই একদম চুপচাপ। কোথাও কোন শব্দ নেই। উপস্থিত প্রায় সবার চোখেই অশ্রু ঝলমল করছে। তন্ময় বিদায় নিয়ে তার মা সুলতানা পারভিনের সম্মাননা পত্র নিয়ে মঞ্চ থেকে নামার সময় উপস্থিত সবাই তাদেরকে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সম্মান জানালো। আজ তন্ময়ের জন্যই মনে হলো অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছে।

বেঁচে থাকুক মায়ের প্রতি সকলের সুপ্ত ভালবাসা।

——-০——

লেখকঃ বুনোহাঁস।
বাকিহাটি, বক্সগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

১৮ Comments

  1. আফরোজা আক্তার ইতি

    মা এমন একটি শব্দ যা দুনিয়ার সকল শব্দের ঊর্ধে। যার মা নেই একমাত্র সেই ই বুঝে মা না থাকার যন্ত্রণা কত। আর সেই তো প্রকৃত ভাগ্যবান যে নিজের মাকে সর্বদা শ্রদ্ধার মণিকোঠায় রাখতে পারে, সুখের সিংহাসনে বসাতে পারে। খুব সুন্দর একটি গল্প। টাইপিং মিস্টেক ছাড়া বানানে তেমন কোন ভুল নেই। কবিতাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
    জন্মধাত্রী- জন্মদাত্রী হবে।
    সাঁজবেলা- সাঁঝবেলা হবে।
    শুভ কামনা রইল আপনার প্রতি।

    Reply
    • বুনোহাঁস

      আপনার মন্তব্যে আমি অভিভূত!

      Reply
  2. Arif Al Araf

    মা নিয়ে লেখা সর্বদাই সুন্দর হয় তা সে যত কাঁচা হাতের লেখাই হোক।তার ওপর লেখা পড়ে বোঝা গেলো আপনি ভালোই লেখেন।তবে সমালোচক হিসেবে কিছু ভুল ধরিয়ে দেই।
    ফেলো-পেলো
    জন্মধাত্রী-জন্মদাত্রী
    সাঁজবেলা-সাঁঝবেলা
    এবং বক্সের জায়গায় সাউন্ড বক্স লিখলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হতো।এছাড়া খুব বেশি একটা ভুল চোখে পরেনি।কিছু টাইপিং মিস্টেক আছে।আহনাফের মায়ের বেলায় একটা কথা বলেছিলেন।তার ভূষণ বর্ণনায় বলেছিলেন যোগ্য মা।আসলে কোন মা অযোগ্য নয়।মা সে তো মা।
    সর্বপরি লেখাটা ভালো লেগেছে।

    Reply
    • বুনোহাঁস

      মা যেমনই হোক, মা মাই! তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা অহংকার বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      Reply
  3. খোকন ইসলাম

    ভালো লাগলো

    Reply
    • বুনোহাঁস

      ধন্যবাদ ধন্যবাদ

      Reply
  4. Anamika Rimjhim

    দুই একটা বানান ভুল আছে দেখে নিয়েন।মা নিয়ে লেখা সব কিছুই সুন্দর হয়। মা শব্দটার পাশে মনে হয় শুধু “ভাল” শব্দটাই বসে 🙂
    শুভ কামনা।

    Reply
    • বুনোহাঁস

      ধন্যবাদ

      Reply
  5. Halima tus sadia

    ভালো লাগলো।
    সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন মাকে নিয়ে।
    এ দুনিয়াতে মাকে ছাড়া জীবনটাই যেনো থেমে যায়।ছোটকাল থেকেই একজন শিশুকে মানুষের মতো মানুষ করতে একমাত্র মায়ের অবদানই সবসবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
    যার মা নেই সেই বুঝতে পারে মা হারানোর ব্যথা।

    কবিতাগুলোও অনেক সুন্দর লিখছেন।বর্ণনাভঙ্গিও ভালো ছিলো।

    বানানেও তেমন ভুল নেই।
    ফেলো–পেলো
    বেশী–বেশি
    তৈরী-তৈরি
    অঝোরে–অঝরে
    যাবৎ

    যদিও সবার মা সবার কারিগর।তবে যার মা নেই সে এ কথাটা বলতে পারে না।বড়ই দুঃখের কথা।কষ্টগুলো চাপা সুরে রাখতে হয়।বলার মতো কিছু থাকে না।

    তবে গল্পটার শেষটা আরও সুন্দর করতেও পারতেন।

    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
    • বুনোহাঁস

      যে প্লটে গল্প সাজানো তাতে আর বাড়াতে মন সায় দেয়নি। ভবিষ্যতে খেয়াল থাকবে। অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

      Reply
  6. MH Shuvo

    গুড

    Reply
    • বুনোহাঁস

      ধন্যবাদ ভাই

      Reply
  7. Sajjad alam

    ভালো লেগেছে

    Reply
  8. Siddhartha Shankar

    লেখার পটভূমিটি খুব সুন্দর। আর মা শব্দটি সব তুলনা ও প্রশংসার উর্দ্ধে। নিচের বাক্যক্রম আর বানান সংশোধন গুলো করে নিলেই সব ঠিকঠাক। বাকি ভুলগুলো পূর্বেই অন্যেরা খুজে দিয়েছে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার পরবর্তী সকল লেখার জন্য! 🙂

    মা দিবস উপলক্ষে অবনগর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে(কলেজ*) মা সমাবেশের আয়োজন করেছে।
    সকল ছাত্রছাত্রী আজ মা(মাকে*) নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছে।
    ধুবে- ধোবে*
    বক্তৃতা দেবায়- দেবার*
    মুখ বুঝে- বুজে*
    নীরবতা- নীরব*
    হন্নি- হন্নে*
    আকাশে তাঁরা- তারা*
    এবার মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসার কিছু কথা উঠিয়ে(তুলে*) ধরলেন।
    তুই(এখানে তুই হওয়ার কথা কি?!) মাকে জানাই
    অবুজ(অবুঝ*) ভালবাসা।
    সুঠান(সুঠাম*)

    Reply
  9. sajjad alam

    প্রথমে কিছু ভুল ধরিয়ে দেই।
    .
    এই প্রথমবারের মতো সুযোগ ফেলো জন্মধাত্রীকে নিয়ে কিছু বলার।_____ (পেল, জন্মদাত্রী)
    .
    সেদিন বুঝেছি মা কি জিনিস___ (কী জিনিস)
    .
    কারনে___কারণে
    .
    গায়ের চামড়া দিয়ে তোমার মালা বেনে দিবো খুশিতে____ (বাক্যটা কেমন যেন মনে হচ্ছে, ঠিক মিলছে না। হয়তো এমন বুঝাতে চেয়েছেন, ‘গায়ের চামড়া দিয়ে তোমায় মালা বুনে দিবো খুশিতে।’)
    .
    ভাবছেনন____ ন এর ডাবল প্রয়োগ (টাইপিং মিসটেক)
    .
    বাসন্তী রঙের একটি শাড়ি দারুণ মানিয়েছে ইনাকে। __ (বাক্যটা নিজেই পড়ে দেখুন কেমন লাগছে। বাক্যটা এমন হলে মিলবে, ‘বাসন্তী রঙের শাড়িতে দারুণ মানিয়েছে উনাকে।’
    .
    বেশী___ বেশি
    .
    এর থেকে ভালো পাওয়া আর কি হতে পারে একজন মায়ের জন্য।___ (কী হতে পারে।)
    .
    কেউতো___ কেউ তো (হয়তো, নয়তো বাদে অালাদা বসবে।)
    থাকেনা___ থাকে না। (পূর্ববতী মূল শব্দের সাথে না যুক্ত হয়ে বসে না। যেমন: দেয় না, পারে না, ডাকে না।
    .
    সকলে হাততালি দিতে ভুলে গেলো! ____ গেল (গেলো শব্দের অর্থ ভিন্ন)
    .
    আমার মা মানুষ হিসবে অনেক ভালো___ (হিসেবে। টাইপিং মিসটেক।)
    .
    এক দিনই___ একদিনই
    .
    নামকরণটা যথার্থ।
    গল্পের থিমটা পুরাতন হলেও ঘষামাজা করেছেন বেশ। সেজন্য ভালো লাগলো।
    মাঝখানে একটু খাপছাড়া মনে হলেও পরে ঠিকই মনে হয়েছে।
    শেষটা নিয়ে আরেকটু ভাবতে পারতেন।
    সবমিলে ভালো লেগেছে।
    ভালো থাকুক সব মা।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  10. Rabbi Hasan

    লেগেছে। কিছু ভুল ত্রুটি আছে। উপরের কমেন্টগুলোতে ভুল ধরেছেন। লেখককে পুনরায় কস্ট দিব না

    Reply
  11. Mahbub Alom

    মা একটি ছোট্ট শব্দ।কিন্তু এর মাঝে রয়েছে হাজারো জানা অজানা ত্যাগ্,দুঃখ,সাহসিকতার গল্প।যেই গল্পের শেষ নেই।যেই গল্প ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।শুধু অশ্রুজল আর অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করা যায়,কে কার মাকে কতটুকু ভালোবাসে।
    বানানে কিছু ভুল আছে।
    তবে কবিতাগুলো চমৎকার লেগেছে।সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে।

    Reply
    • আরাফাত তন্ময়

      ধন্যবাদ

      Reply

Leave a Reply to আফরোজা আক্তার ইতি Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *