খেয়ার চর
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০১৮
লেখকঃ vickycherry05

 2,814 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05

গল্প লেখকঃ
জেসমিন আফরিন স্মৃতি
(মার্চ – ২০১৮)
………………

ছোটবেলা থেকে চর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চলগুলোর প্রতি খুব বেশি আগ্রহ প্রকাশ পেতো, আর প্রত্যেকবার বাবার সাথে বাবার কোনো কাজে বায়না ধরা থেকে পিছিয়ে থাকতাম না কখনই। নিজের এলাকার চর,অথচ এখনো যাওয়া হয়নি। খেয়ার চর।জামালপুর জেলার একটা ছোট্ট চর। সাধু ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় দ্বীপ। দক্ষিণাঞ্চলে এমন বহু দ্বীপ আছে, যা কোনদিন মানচিত্রে উঠবে না। বহু ছোট চরের একটি খেয়ার চর। ঐ গন্তব্যে পৌঁছার জন্য আমি আর বাবা পথে। দৈনিক সন্ধ্যা কাগজের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথম এ চরের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিশে আছে এর ইতিহাস।

বৈশাখ মাসের গোধূলি বিকেল। কেরায়া নৌকায় করে যখন দ্বীপের প্রায় কাছাকাছি চলে এলাম, প্রায় চিৎকার করে আঞ্চলিক ভাষায় বলে ওঠে
_সার ওই দ্যাহেন একটা চর।

রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে গাঢ় অথচ মোটা কাঁচের চশমার পেছনে লুকানো চোখ দু’টো দিয়ে বাবা ওদিকটায় তাকাবার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন, আমি অবশ্য গভীর দৃষ্টিতে দর্শণ করছিলাম যতটা দৃষ্টি যায়। পশ্চিমে হেলানো সূর্য নদীর জলে হাজার রবির জন্ম দিয়েছে ইতিমধ্যে। রবিরশ্মি যেমন আঘাত হানছে অসংখ্য রবিকণা তেমন আঘাত হানছে। কেরায়া মাঝির ‘ওই চর’ আর দেখা হল না। ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে বিজ্ঞের মতো প্রশ্ন করলাম
কতক্ষণ লাগবে..?
ঘণ্টা খানেক।

বুঝলাম বেশ দূরের পথ। সন্ধ্যাও নেমে যেতে পারে, ভয় পেতে লাগলাম। সাথে বাবাও বেশ চিন্তিত, ফিরবো কখন, শান্ত্বনা দিতে চাইলাম বাবাকে
– চরে থাকোনের মতো কোন জায়গা আছে..?
একগাল হেসে পৌঢ়ত্বের কাছে হার মানা মাঝি জবাব দেয়
– থাকোনের জায়গা পাইবেন কই? খেয়ার চরে মানুষ থাকে নাকি?
– তাহলে?
– বেলাবেলি ফিরা আইতে অইবো।

এবার বুঝলাম এবং নিশ্চিত হলাম, ঘণ্টাখানেক দূরের পথ বলে মাঝি যে কথা বলেছিল সে পথটুকু যেতে ততটা সময় লাগবে না।

আয়ান অবশ্য বলেছিল স্টিমার থেকে নেমে খেয়ার চরে পৌঁছাতে সাকুল্যে এক ঘণ্টা লাগতে পারে, যদি উজান বাইতে না হয়। সে হিসেব মতে তিনটে নাগাদ পৌঁছাতে পারবো বলে ভাবতে চাইছি।

এ চরের ইতিহাসটুকু জানতে চাইলাম আমি আর বাবা মাঝির কাছে।

৪৭ সালের কোন এক সময় অবশ্যই ১৪ আগষ্টের পর, খেয়া বিবি আশ্রয় নেয় সন্ধ্যা নদীর এক নাম না জানা চরে। অন্যভাবে বলা যায়, তখনো চরটির নামকরণ হয়নি।দেশ ভাগ হয়ে গেল। খেয়া বিবি সকলের অলক্ষ্যে আশ্রয় নেয় সেখানে। সাথে তার প্রাণের সখা মাজিদ হায়দার। ওদের সম্পর্ক পাকিস্তানে কেউ মেনে নিবে না ভেবেই ওদের ঐ গোপন মিশন। ওরা এসেছিল সাগর পাড় থেকে। এখন আর কেউ জানেনা ওরা মূলত কোন এলাকার বাসিন্দা ছিল।

মুসলিম প্রধান পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ ক্ষমতার ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। লোকাল লিডাররাও কেন্দ্রীয় নেতাদের তোষামোদ আরো বেশি ব্যস্ত। সে কারণে অসময়ে ঐ জমির খবর তখন তেমন কেউ নেয় নি। তাছাড়া চরটি তখন ডুবো ডুবো অমাবশ্যা আর পূর্ণিমার জোয়ারে চর ডুবে যায় নদীর ঘোলা জলে। তাই কারো নেক নজর নেই ওদিকে, আমার খেয়াল একটু বেশিই।

দিন কাটে কালের হিসেব পার হয়ে যায় অনেকগুলো বছর। দেশ রাজনীতি অর্থনীতি কোন কিছুই খেয়া বানু আর মাজিদের জীবনপথে প্রভাব ফেলতে পারে নি।

মাজিদ খেটে খাওয়া মানুষ। দিন মজুরীর কাজ করে দিন গুজরান করে, চরের মাঝে একটা খড়ের ঘর তুলে সংসার শুরু করেছিল অনেক আগেই, ওরা এখন তিনজন। সংসারের সীমানা বাড়ে নি।খেয়া বানু শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহর কাছে।নবাকে নিয়ে ওদের সংসার ভালোই যায়।

ভরা অমাবশ্যা-পূর্ণিমার জোবায় পানি বাড়লো ওরা মাচা বানিয়ে দিন কাটায়। নবা জানতে চায়
_মা আমরা এইহানে ক্যান?
_এইটা আমাগো বাড়ি।
ক্যামনে আইলা নদীর মদ্যি?
আল্লাহ দিসে।

নবা বাবা-মা দু’জনকেই ভালোবাসে। প্রকৃতি নবাকে দূরন্ত বানায়। প্রায় সময় ওকে দেখা যায় নদীর জলে। ফিরবে মাছ নিয়ে। জাংলা দিয়ে মাছ ধরার কৌশল সে বাবার কাছে শিখেছে। একথা শুনে আমারো মনে পড়লো গ্রামে যখন বাবা ছুটিতে আসতো নদীতে বর্ষাকালে কতইনা পানি জমতো সেই সাথে মাছ ধরার জন্য বাবা জাংলা(মাছ ধরার চাঁই) বানাতো, রাতে নদীতে রেখে আসতো আর পরদিন সকালবেলা বাবার পিছু পিছু আমিও নদীতে ছুটতাম, এ কারণে দাদি কতশত বকেছে হিসেব নেই। মাইয়্যা মানুষ কেরে বনদে ছুটবো? মাছ ধরার জন্য কেনে নদীর দিক দোড়ন লাগবো শিয়ান মাইয়্যা, তখন আমি ষষ্ঠ কি সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম।

শুকনার সময় লাউ গাছ, কুসির গাছ আর নানান পদের সবজি চাষ করে নবা।এতকিছুর পর ওর একটা দুঃখ আছে। সেই দক্ষিণে কাউখালী, পশ্চিমে গাববাড়ি, পূর্বে আমড়াজুড়ি আর উত্তরে জলাবাড়ি, কোনটাই তার দেখা হয় নি। নিজের বাড়ি সম্পর্কে নবার বাবা মাজিদ বলে
– আমাদের বাড়ি খেয়ার চর।
একদিন খেয়া বানু জানতে চায় স্বামীর কাছে
– তুমি এইডারে খেয়ার চর কও ক্যান?
তোমার লাইগা এই চর আমি পাইছি। এত বছর অইল, কেউ আহে নাই দখল করতে। এইডার মালকিন তুমি। তাইতো এইডার নাম খেয়ার চর।

নবা মায়ের কাছে জানতে চায়
– মা,তোমার নাম খেয়াবানু হইলো ক্যান?
– তোর নানায় নাম রাখছিলো।
নবা মায়ের কথায় হাসে। আবারো জানতে চায়
– আমার নানা- নানি কই?
– হেরা হেই দক্ষিণে থাকতো। এহন মনে অয় নাই।
– তুমি আর যাইবা না?
– তৌফিক নাই রে বাবা। বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
মাজিদ একদিন বলেছিল
– খেয়া,তুমি বাপের বাড়ি যাইবা না?
– ক্যামতে?
ধর আমি যদি লইয়া যাই?
– না,তা অইবো না। তুমি গেলে তোমারে আস্তা রাখবো না, আমি তোমারে হারাইতে পারুম না।

এরপর কখনোই খেয়া বানুকে বাপের বাড়ি যাবার কথা বলেনি মাজিদ। সে জানতো নিজের বাবা-মা বহু আগেই কলিকাতা চলে গেছে। অবশ্য সে কারণে কখনোই তার দীর্ঘশ্বাস বের হয় নি।
নবা একবার বাবার কাছে আবদার করেছিল কাউখালী যাবে বাবা বলেছিল
– দেশ স্বাধীন হইলে যাবি।
স্বাধীন মানে কি জানতে চাইলে সে বলেছিল
আমাগো মতন যহন পুরা দেশটা হইবো। বিদেশীরা আমাগো উপর মাতুব্বরী করতে পারবো না।

মূর্খ নবা বাবার কথার মানে বুঝতে পারে নাই। খেয়াবানু কিন্তু ঠিকই বুঝেছিল। মাজিদ তাকে কিছু না বললেও দেশের খোঁজ খবর রাখে। খেয়া বানুর মনটা গর্বে এক হাত ফুলে যায়। ও হাসে, মাজিদ এইট পর্যন্ত পড়েছিল।

অঘ্রান মাস। বিকেলবেলা থেকেই আকাশে মেঘ। পানি বাড়তি। মাজিদ বা খেয়া বানুকে এ নিয়ে ভাবতে দেখা যায় না। বাইশ তেইশ বছর ধরে ওরা এমনি দেখে আসছে। নবার মনে ভয় লাগে। অঘ্রাণ মাসে আকাশে মেঘ থাকবো ক্যান? জল বাড়লেও এতটা বাড়ার কথা না। রাত বাড়তেই পানিও বাড়তে থাকে। এবারে মাজিদ আর খেয়া বানুও ভয় পেয়ে যায়। মাচাং বানাতে ব্যস্ত হয়ে যায় ওরা,সময়ে কুলায় না। শেষে, ঘরের চালে আশ্রয় নেয় ওরা। খেয়ার চরে বড় কোন গাছ নেই। সেজন্য ওদের আফসোস ছিল না। মাজিদ ভাবতো, বড় বড় গাছ হলেই সরকারি লোকের চোখে পড়বে আর চর চলে যাবে সরকারপক্ষের দখলে। আজ পানি বাড়ার গতি দেখে ভয়ে ভয়ে সে ভাবছে বড় গাছ থাকলে ভালো হতো। তিনজনের একটা আশ্রয় হতো। সারারাত শংকায় কেটে গেলো। কোনমতে বেঁচে রইল ওরা। খেয়া বানু বহুদিন পর নামাজ পড়ে। নবা, সে আর কি করে, তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। কখন মেঘ কেটে সূর্য উঠবে সেই আশায়। এরপর থেকে মাজিদ বিকল্প বাসস্থানের চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। খেয়া বানু সায় দেয় না। তবে নবার জন্য মায়া ছাড়ে খেয়া বানু। নবাকে পাঠিয়ে দেয় মিয়ার হাটের একটা কাঠের গোলায়। মাজিদের আশা, নবা যেন ভালো থাকে। খেয়াবানুর আশা, নবা কাজ করে অনেক টাকা জমিয়ে এই চরে বড় ঘর বানাবে। সরকার এই চর নিলেও যেন কিনে রাখতে পারে সে। তারপর নবার ঘরে আসবে একটা সুন্দরি বউ। সে হবে শ্বাশুড়ি, আরও পরে দাদি। ছোট সোনার সংসার আনন্দে হাসিতে ভরে রাখবে আরেক নবা। একদিন গভীর রাতে নবা বাড়ি আসে। সাথে জনা চারেক বেটা ছেলে। মায়ের কাছে মিছা বলেনা নবা।
-মা দেশে যুদ্ধ শুরু হইছে। পীরবসাব আমাগো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতাছে।পাকিস্তানিরা বাঙ্গালি মারতাছে। খেয়াবানুর মাথায় ঢোকেনা কিছু। সে বুঝতে পারে না। পাকিস্তানতো একটা দেশ। তারাও তো এ দেশের লোক। নিজেরা নিজেগো মারবো ক্যান? তবে ছেলে যখন যুদ্ধ করছে, মায়ের মত যুদ্ধের পক্ষেই। তাছাড়া বাবা খুশি হয় যে, স্বাধীনতার কথা কদিন আগেও নবা বুঝতো না,সেই ছেলেই এখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে। সে প্রতিজ্ঞা করে যুদ্ধের পক্ষে তারা কাজ করবে।

খেয়ার চরে পৌঁছাতেই চোখ দুটো ভরে গেল। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বড় কোন গাছ নেই। সবুজ গাছ আর মাঝে মধ্যে দু’এক গোছা বিচালি,মাঝি নৌকা বেঁধে রেখে আমাদের সঙ্গে নিল। তিনজনে হাঁটছি। সে বলে যাচ্ছে…. – যুদ্ধের সময় খেয়া বানুর বাড়িতে মুক্তি বাহিনীর ক্যাম্প হইছিলো। আমড়াঝুড়ির হাশেম চেয়ারম্যান খবরটা কাউখালী থানায় জানাইয়া দিছিল। রাজাকারের বাচ্চা আছিল বেডা।
– তার মানে ওর বাবাও রাজাকার ছিল?
– না ভাই আফামনি।হের বাবাতো আরো আগেই মরছিল। তয় রাজাকারগো রাজাকারের বাচ্চা কইতে ভালো লাগে।
-তারপর?
-খবর পাইয়া কাউখালী আর স্বরূপকাঠি থেইকা গানবোটে মিলিটারিরা আইলো,লগে বহুত রাজাকার। পুরা চরডা দখল কইরা ফালাইলো।
-মুক্তিবাহিনীরা কোথায় ছিলো?
আমি বলার আগেই বাবা এটা বলল।
-হগ্গলেই চোরা ডুব দিয়া গাববাড়ির দিকে পালাইছিল। দিন ভর পুরো খেয়ার চরে কাউরে পায় নাই পাক আর্মি,কেবল খেয়া বানুকে ছাড়া। হাশেম চেয়ারম্যানের ভাষ্যমতে ক্যাপ্টেন বুঝতে পারে পুরো চরটা খেয়া বানুর। একাই মুক্তিযুদ্ধে ক্যাম্পটা সে চালাইতো। কিন্তু কোন মুক্তি ধরতে না পারায় ক্ষোভে গুলি করে হাশেম চেয়ারম্যানকে মেরে ফেলে মিলিটারিরা। মাঝির ভাষায়
-কুত্তা হাশেমের লাশ অনেক দিন খানেক সন্ধ্যা নদীতে ভাসছিল। জোয়ার ভাটায় এই নদীতেই আওয়া-যাওয়া করছে। অন্য কোন হানে যায় নাই।
-খেয়া বানুর কি হলো?
-কুত্তার বাচ্চারা খেয়া বানুরে মাইরা একটা খুঁডি পুইতা ঝুলাইয়া রাখছিল। কথাগুলো বলে মাঝি চোখ মুছলো। তয় দেশ স্বাধীনের পর হগ্গলে মিল্লা নবারে লইয়া হের মায়ের হাড্ডি গুলান ওই-ই হানে কবর দিছিল। না, দেশ স্বাধীন হবার পর নেতা গোছের কেউ খেয়ার চরে আসে নি। কোন সৌধ নির্মিত হয় নি খেয়া বানুর কবরে। তবে সার্ভে বিভাগ যখন এই চরটিকে তালিকাভুক্ত করে তখন সরকারের খাতায় এর নাম স্থায়ীভাবে হয়ে যায় খেয়ার চরে। কিভাবে হলো এই নামকরণ? মাঝির ভাষায়- -একদিন লাল নিশান উড়াইয়া একখান ইস্প্রিট বোট আইলো। সায়েবরা কি জানি কওয়া কওয়ি করলো। হেই সময় খেয়া বানুর কবরের সামনে বওয়া আছিল হের স্বামী। আধ পাগলা তহন। সায়েবরা যখন জিগাইলো তোমার নাম কি? চরের নাম কি? তহন হের খালি একখান কথা -খেয়াবানুরে,তোর চর আইজ থেইক্কা সরকার লইয়া গেলো রে। কতাডা কইয়াই হেও মইরা গেল। সূর্য ডুবো ডুবো। পাশাপাশি দু’টো সমাধি। কোন সৌধ নেই। শান্তিতে চির নিদ্রায় শায়িত খেয়াবানু আর মাজিদ। তাদের ছেলে নবা আর আসে না এ চরে। নীরব হয়ে থাকতে গিয়ে চোখের কোণায় জলের উপস্থিহি অনুভব করলাম। সেই সাথে শুনতে পেলাম তীক্ষ্ণ চিৎকার- খেয়াবানুরে, তোর চর আইজ থেইক্কা সরকার লইয়া গেল রে…..!!!!

সম্পর্কিত পোস্ট

অঘোষিত মায়া

অঘোষিত মায়া

বইয়ের প্রিভিউ ,, বই : অঘোষিত মায়া লেখক :মাহবুবা শাওলীন স্বপ্নিল . ১.প্রিয়জনের মায়ায় আটকানোর ক্ষমতা সবার থাকে না। ২.মানুষ কখনো প্রয়োজনীয় কথা অন্যদের জানাতে ভুল করে না। তবে অপ্রয়োজনীয় কথা মানুষ না জানাতে চাইলেও কীভাবে যেন কেউ না কেউ জেনে যায়। ৩. জগতে দুই ধরণের মানুষ...

আমার জামি

আমার জামি

জান্নাতুল না'ঈমা জীবনের খাতায় রোজ রোজ হাজারো গল্প জমা হয়। কিছু গল্প ব্যর্থতার,কিছু গল্প সফলতার। কিছু আনন্দের,কিছু বা হতাশার। গল্প যেমনই হোক,আমরা ইরেজার দিয়ে সেটা মুছে ফেলতে পারি না। চলার পথে ফ্ল্যাশব্যাক হয়। অতীতটা মুহূর্তেই জোনাই পরীর ডানার মতো জ্বলজ্বলিয়ে নাচতে...

ভাইয়া

ভাইয়া

ভাইয়া! আবেগের এক সিক্ত ছোঁয়া, ভালবাসার এক উদ্দীপনা, ভাইয়া! ভুলের মাঝে ভুল কে খোঁজা, আর ভালবাসার মাঝে ভাইকে খোঁজা, দুটোই এক কথা! ভুল তো ভুল ই তার মাঝে ভুল কে খোঁজা যেমন মূর্খতা বা বোকামি। ঠিক তেমনি ভালবাসার মাঝে ভাইকে খোজাও মূর্খতা! আমার কাছে ভাইয়া শব্দটাই ভালবাসার...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *