গল্প লেখকঃ
মোঃ খালেদ সৌরভ
(মার্চ – ২০১৮)
—————————-
জন্ম হয়েছে খড়কুটার এক কুঁড়েঘরে। তখন ছিলো গ্রীষ্মকাল। গতকাল কাল বৈশাখীর ঝড়ে চালের কিছু অংশ নিয়ে গেছে উড়িয়ে। ফকফকা পূর্ণিমার চাঁদ আলোকিত করেছে ঘরটাকে। ওই পূর্ণিমার সাথে মিতালী করে ঘরের আলোকসজ্জা বাড়িয়ে দিল আরেকটি চাঁদ। বাবা আদর করে মেয়েটির নাম রেখেছিলেন পূর্নিমা। আকাশের পূর্নিমা আর সদ্যজাত পূর্ণিমা মিলে যখন ঘরটা আলোকিত করছিল ঠিক সেই সুন্দর মুহুর্তে মারা গেলেন পূর্ণিমার মা। কেন জানি আকাশের চাঁদটাকে গ্রাস করে ফেললো মেঘ। দাদি পূর্ণিমাকে অভিশপ্ত মেয়ে বলে আখ্যায়িত করে বললেন, এই মেয়ে এসেই আমার পরিবার ধ্বংস করা শুরু করেছে। তিন তিনটে নাতি জন্ম নিল আমার বউমার কিছু হল না আর…….
জানিনা নিষ্পাপ পূর্নিমার দোষ ছিলো কিনা!
কেটে গেল চারটি বছর। মাতৃস্নেহহীন ভাবে বেড়ে উঠেছিলো পূর্ণিমা। কে জানতো এই বয়সে এসে আবার পিতৃবিয়োগের সম্মুখীন হতে হবে পূর্নিমাকে!!!
একদিন হঠাৎ করে তার পিতার জ্বর হলো। তৃতীয় দিনের দ্বিপ্রহরে ঝরে পড়ল বাবা নামের ফুলটি। পূর্ণিমা সবেমাত্র পিতার হাত ধরে স্কুলে যাওয়া শিখেছিল। অতি আদরের মেয়েটিকে হাত ধরে মাঝেমধ্যে বাজারে নিয়ে যেতেন।
দিনটা বৃহস্পতিবার গোধুলি লগনে বাজার থেকে ফিরছিলাম। দেখি সদ্য যৌবনে পা দেয়া পূর্ণিমা দাঁড়িয়ে আছে তাদের পারিবারিক কবরস্থান থেকে একটু দূরে।
-কিরে পূর্নিমা এই অসময়ে গোরস্থানের পাশে কি করিস?
– (অসহায় চাহনি) দেখছিলাম।
– কি দেখছিলি?
– মেয়েদের নাকি কবরে যেতে নেই। আপনি কি গিয়ে একটু দেখবেন আমার বাবার বাম পাশে আরেকটা কবরের জায়গা হবে কিনা?
অঘোষিত মায়া
বইয়ের প্রিভিউ ,, বই : অঘোষিত মায়া লেখক :মাহবুবা শাওলীন স্বপ্নিল . ১.প্রিয়জনের মায়ায় আটকানোর ক্ষমতা সবার থাকে না। ২.মানুষ কখনো প্রয়োজনীয় কথা অন্যদের জানাতে ভুল করে না। তবে অপ্রয়োজনীয় কথা মানুষ না জানাতে চাইলেও কীভাবে যেন কেউ না কেউ জেনে যায়। ৩. জগতে দুই ধরণের মানুষ...
০ Comments