লিখাঃ Rakib Mahmud
নারীর অন্যতম এক সৌন্দর্য্য ফুটে ওঠে হিজাবে। একজন মুসলিম নারী নিজের পর্দাশীলতা রক্ষার কাজে হিজাব ব্যবহার করে থাকে। আর বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় হিজাব বেশ আলোচিত একটি পোশাক। সঠিক উপায়ে হিজাব পরিধান করা একজন মুসলিম নারীর জন্য একান্ত প্রয়োজন।
বেশ কিছু কারণে হিজাব বর্তমানে কিছুটা সমালোচিত পোশাক হিসেবেও পরিগনিত হচ্ছে। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সহজ ভাবে বলতে গেলে সঠিক উপায়ে হিজাব ব্যবহার না করার কারনেই এ পোশাকটি আজ সমালোচিত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে অন্যতম এক ফ্যাশনের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে “হিজাব”। আর কতিপয় রমণী আছে যারা হিজাবকে ফ্যাশন হিসেবেই ব্যবহার করছে।
মাথায় হিজাব পরার আগে নিশ্চিত করেন আপনার শরীরে শালীন পোশাক আছে কিনা। পরনে টাইট-ফিট টপস্ কিংবা জিন্স, গায়ে টাইট-ফিট জামা পরে মাথায় হিজাব পরার যৌক্তিকতা কতটুকু? আপনার পোশাক-ই যদি কারো চোখকে আকর্ষন করে, তাহলে এ হিজাব পরার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। হিজাব তো পরা হয় নিজেকে আড়াল করার জন্য, প্রদর্শন করার জন্য নয়।
তবে কিছু মানুষ হিজাবকে একটি ফ্যাশন্যাবল্ পোশাক হিসেবে গণ্য করে। যার কারনে অনেক হিন্দু মেয়েকেও হিজাব পরতে দেখা যায়। তাদের কাছে ওটা ফ্যাশন। এজন্যই তারা হিজাব পরতে পছন্দ করে। একজন মুসলিম ঘরের সন্তান হয়ে আপনিও যদি হিজাবকে স্টাইলিশ পোশাক মনে করেন, তবে আপনার জন্য রইলো তিরস্কার!
ধিক্কার জানাই তাদের, যারা মুসলমান ঘরের সন্তান হয়েও হিজাবকে ফ্যাশনের আওতায় নিয়ে গেছে। হিজাবের প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনোই ফ্যাশন হতে পারে না। যদি সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে এটা বরং ত্যাগ করা উচিত। অশালীন উপায়ে পোশাক কিংবা হিজাব পরিধানের ফলে অন্য ধর্মের মানুষ আপনার ধর্মকে ছোট করার সুযোগ পেয়ে যাবে আরো বেশি। অযথা এর দ্বারা কতিপয় মানুষের চোখে নিজের ধর্মকে ছোট করে করে কোনো লাভ নেই।
একটা কথা প্রচলিত আছে যে, এ সমাজের মানুষ যে কোনো বিষয়ের সমালোচনা করতে পটু। এটা পুরোপুরি মিথ্যা নয়, আবার সম্পূর্ণ সত্যও নয়। যে বিষয়ে কোনো ত্রুটি নেই, পাবলিক কেন সেটা নিয়ে সমালোচনা করবে? সমস্যা আছে বলেই সমাজের মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পায়। আপনি যদি সঠিক উপায়ে কোনো জিনিস ব্যবহার করেন, তবে কারো সাহস নেই আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করার। আর হিজাবের বেলায়ও এ নিয়ম প্রযোজ্য।
তবে হ্যাঁ, যার পজিটিভ দিক আছে, তার কিছু নেগেটিভ দিকও থাকে। আর আমাদের উচিত যে কোনো কিছুর নেগেটিভ দিক এড়িয়ে যাওয়া কিংবা সংশোধন করা। আর পজিটিভ দিক গ্রহন করে বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানো। কেননা নেগেটিভ বিষয় নিয়ে পড়ে থাকা সংকীর্ন মনের পরিচায়ক। তাই এ স্বভাব ত্যাগ করাই শ্রেয়।
আর সবচেয়ে বড় ব্যপার হলো, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আঘাত হানবে এমন কোনো কাজ আমাদের না করাই উত্তম। কেবল মাত্র এই একটি কাজের দ্বারা আপনি সমাজ, সমাজের মানুষ কিংবা সমগ্র দেশের মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠতে পারেন। তাই হিজাবের মতো ধর্মীয় পোশাক নিয়ে ফ্যাশন করে এর মান কমানোর চিন্তাটা না করাই বেটার হবে।
তাই সময় থাকতে আমাদের উচিত নিজেদের শোধরানো। সঠিক ব্যবহার করতে না পারলে ব্যবহার ত্যাগ করাই উত্তম। আর যদি ব্যবহার করতে চান, তবে অবশ্যই সঠিক উপায় অবলম্বন করে করা উচিত। এতে অন্তত কেউ আপনাকে নিয়ে কিংবা আপনার ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি বা মজা করতে পারবে না।
প্রবন্ধটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েরা হিজাবকে ফ্যাশন হিসেবেই ব্যবহার করে।
কারণ এতে সৌন্দর্য বাড়ায়।
তবে কিছু মেয়ে আছে মাথায় অষ্টপ্যাঁচ দিয়ে পুরো শরীরের ভাঁজ স্পষ্ট বুঝা যায়।
আমি মনে করি এ হিজাব পড়ার চেয়ে না পড়াই ভালো।
আপনি খুব ভালো কিছু কথা তুলে ধরেছেন।
তবে এ সমালোচনা থেকে কখনো রেহাই পাওয়া যাবে না।
কারণ এ হিজাব বাধার স্টাইল অতো সহজে দূর হবে না।
তাই আমাদের বুঝতে হবে।
ইসলামের পথে চলতে হবে।সঠিকভাবে পর্দা করতে হবে।
পর্দা যেনো ফ্যাশনের না হয়।
আকর্ষন–আকর্ষণ
সংকীর্ন–সংকীর্ণ
শুভ কামনা রইলো।
সুন্দর লিখেছেন। বর্তমানে মেয়েরা হিজাবকে পর্দার জন্য নয় বরং ফ্যাশনের জন্য ব্যবহার করে। অনেকে আবার চেহারায় অতিরিক্ত মেকাপ করে মাথায় হিজাব বাঁধে, যার জঅনঅন্য সবার দৃষ্টি তার উপরেই গিয়ে পড়ে। দুঃখের বিষয় এটি প্রথমে শুধু তরুণীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে এটিকে ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করছেন মধ্যবয়সী নারীরাও।
পর্দার এই অপব্যবহার আমাদের পরিহার করা উচিৎ দ্রুত।
বানানে কিছু ভুল আছে।
পরিগনিত- পরিগণিত।
কারনে- কারণে।
আকর্ষনে- আকর্ষণে।
শুভ কামনা অজস্র।
ওঠে-উঠে
কারনেই-কারণেই
পরিগনিত-পরিগণিত
আকর্ষন-আকর্ষণ
কারনে-কারণে
গ্রহন-গ্রহণ
বেশ ভালোই লিখেছেন বলতে গেলে। প্রথমে প্রবন্ধের নাম হিজাব দেখে ভেবেছিলাম কোনো মেয়ের লেখা হবে হয়তো, কিন্তু লিংকে ঢুকে দেখি নাম ছেলে লিখেছে। যাইহোক হিজাব নিয়ে আরো লেখার উচিত ছিল। হিজাব শুধু পরলেই হবে না সেটা দিয়ে মুখ ঢেকেও চলতে হবে। আর এই প্রথম শুনলাম হিন্দু মেয়েরাও হিজাব পরে। যদিও আমি কখনো দেখিনি পরতে, তাই বলতে পারছি না পরে কিনা। কিন্তু আরেকটু লিখলে ভালো হতো ।তবে সত্যি কথা বলতে আজকাল হিজাবকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ফ্যাশন ভেবে নিয়েছে। যাইহোক বানানের দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল