বগুড়া মহাস্থানগড়
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 3,025 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

.
ভ্রমন: বগুড়া মহাস্থানগড়
লেখা: সাজ্জাদ অালম বিন সাইফুল ইসলাম
ক্যাটাগরি: ভ্রমন
.
.
২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার বিড়ম্বনার কথা কমবেশি সব মানুষেরই মনে অাছে। অামি ছিলাম তার ভুক্তভোগী। এক মাসে শেষ হওয়া পরীক্ষা শেষ হতে সময় লাগলো অাড়াই মাস। বেশ ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত হয়ে গেলাম সকলেই। সবাই মিলে ঠিক করলাম কোথাও ঘুরতে গিয়ে মনটা ফ্রেশ করে নিবো। তবে শর্ত হচ্ছে যেখানে যাই না কেন এক রাত থেকে পরদিন যেভাবেই হোক ট্রেনে অানন্দ-উল্লাস করতে করতে বাড়ি ফিরবো। যেই ভাবা সেই কাজ। সকলেই রাজি হয়ে স্থান ঠিক করলাম বগুড়া মহাস্থানগড়। জায়গা নাম শুনে মনটা একটু খারাপই হলো বটে, কিন্তু সকলের সামনে না কথাটা বলতে পারলাম না। অাসলে মহাস্থানগড় মাজার অাগেও গিয়েছিলাম। তবুও সকলের কথা ভেবে রাজি হয়ে গেলাম।
নির্দিষ্ট দিনে সকলেই টার্মিনাল বাস স্টান্ডে উপস্থিত হলাম। বাড়িতে থাকার সুবাদে আমাকে তেমন কোনো কাজ করতে হয়নি। বাকি দশজন মিলেই রান্নাবান্না করে নিয়েছে। অামি শুধু অানন্দ করবো আর খাবো। অনেকদিন সবাই মিলে এমন করে ঘুরতে যাওয়া হয়নি।
বাস ছেড়ে দিলো। আমরা যে যার মতো এয়ারফোন কানে লাগিয়ে বাসের বাতাসের সাথে গান শুনতে লাগলাম। বাইরের দৃশ্যগুলো অনেকবেশিই মনটা কেড়ে নিচ্ছিলো অামার। কত অপূর্ব সব দৃশ্য। সোনালী মাঠ পেরিয়ে ছোট ছোট বাড়িগুলো অনেক বেশিই মোহিত করছিলো অামাকে। তার মাঝে অাঁকা-বাকা উদ্দেশ্যহীন পথ বলে দিচ্ছে, ‘অামার কোনো শেষ নেই।’
টানা দু’ঘণ্টা পর কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে গেলাম। বাস থেকে নেমেই সাথে করে নিয়ে অাসা সুস্বাদু খাবারগুলো সবাই মিলে সাবাড় করে দু’দলে ভাগ করে মহাস্থানগড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে লাগলাম। প্রথমে মাজার দেখে মন ভরলো না অামার। কারণ এই মাজারটা অামি অাগেও দেখেছি। এখানকার কর্মকাণ্ড অনেকটা শির্ক-বিদঅাতে ভরপুর। মানুষেরা না বুঝে ইচ্ছেমতো মাজারের অাশেপাশে সেজদা দিয়ে নিজের মনের সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার কথা ব্যক্ত করছে। অথচ তারা জানে না এসব কর্মকাণ্ড ইসলামের বিপরীত কর্ম। হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রঃ) ভালো মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত হলেও তার এসব চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা নেই। কারণ তিনি তো মৃত। অার মৃত মানুষ কখনো কাউকে কোনোভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারে না। কেননা অাল্লাহ তায়ালা কুরঅানে বলেছে,
‘তোমরা মৃত ব্যক্তিকে কোনো কথা শোনাতে পারবে না।’
মাজারের অাশেপাশে নানান নাটকীয়তা দেখে দক্ষিণ দিকে হাঁটা দিলাম। অামার মনে হলো এখানে একটি রাত কীভাবে কাটাবো অামরা?
অামাদের দেখা তো প্রায় শেষ। কিন্তু পরে যা দেখলাম তা সত্যিকার্থে মনে রাখার মতো। দক্ষিণ ইটের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দূর চলে অাসলাম। রাস্তাগুলো ছোট হলেও তার কারুকার্য মনটা কেড়ে নেয়। নিচের দিকে বিভিন্ন ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো অঙ্কিত দৃশ্য।
সামনের দিকে যেতেই একটা মসজিদ চোখে পড়লো। সবাই মিলে অাসরের নামাযটা অাদায় করে নিলাম। মুয়াজ্জিন সাহেবকে বলে এমন ছিমছাম জায়গায় রাতটা কাটানোর বন্দোবস্ত করলাম। মসজিদ থেকে বের হয়ে কিছুদূর যেতেই চোখে পড়লো মহাস্থানগড় যাদুঘর।
বিশ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ঢুকে পড়লাম সবাই। অনন্য স্মৃতি এই যাদু। কতকাল পূর্বের স্মৃতিগুলো জমা হয়ে অাছে এখানে। যাদুঘরের সবথেকে অাকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে মুদ্রা, সে কালের মুদ্রা। এছাড়াও বিভিন্ন মূর্তি, তৎকালীন হাতের লেখা, অারবী লেখা ইত্যাদি দেখতে পেলাম।
যাদুঘরের ঠিক বিপরীত দিকে গোবিন্দ ভিটা। ধ্বংসশেষ জায়গাগুলো এখন সংস্কার করা হচ্ছে। বিশেষ স্থানগুলোর অাশেপাশে ফুলের গাছ লাগিয়ে সুশোভিত করে তোলা হচ্ছে। গোবিন্দ ভিটা থেকে পশ্চিমের দিকে হাঁটা দিলাম। অামরা জানি না সামনে কী অাছে। তবে সবাই ঠিক করে নিয়েছি সামনে যাই থাকুক না কেন অাশপাশটা ভালো করে ঘুরে দেখব। শেষপর্যন্ত সেটাই হলো। মাটির তৈরি বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। বাড়িগুলো শেষপ্রান্তে কিছু ধানী জমি দেখতে পেলাম। জমিগুলো পাশেই পাহাড়ের মতো উঁচু স্থান। অাশোপাশে অনেক জঙ্গল ও বাঁশঝাড়। আমরা সাহস করে সেদিকে সাবধানের সাথে গেলাম। এত উঁচুতে উঠে নিচের দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছে নদী এটা। পানি না থাকার সুবাদে ধানের চারা লাগানো হয়েছে।
একজনকে অামাদের এদিকে অাসতে দেখলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম,
‘ভাই এটা কি নদী? নাকি এমনিতে নালা?’
উনি বললো,
‘ভাই এটা কালিদহ সাগর। তবে এখন পানি নেই। অাগে এটা সাগর নামেই ছিলো। এখানে বেশিক্ষণ থাকবেন না, সাপ বের হতে পারে।’
বলেই লোকটা চলে গেল। অামরাও সাপের ভয়ে দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করলাম।
এবার অাগের পথটা পরিবর্তন করে অন্যদিক দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। চারদিক তখন অন্ধকার হতে শুরু করেছে। বিকেলবেলা ফটো নাকি খুব সুন্দর ওঠে। সেজন্য সবাই ফটো তুলতে লাগলাম। গতবার অাসার চেয়ে এবার এখানে এসে যেন মনটা ভরে গেল। সেইবার শুধু মাজার ছাড়া অার কিছু দেখাই হয়নি। মহাস্থানগড়ে যে এতকিছু দেখার মতো অাছে তা সত্যিই অামার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। কিছুদূর পরের দেখলাম জিউৎ কূপ। কূপ নামে অাখ্যায়িত করা হলেও এখন অার সেই কূপ নেই। অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পরে অাছে। জমা হয়ে অাছে ডাস্টবিনের মতো অনেক ময়লা।
জিউৎ কূপ দেখে সামনে এগিয়ে যেতেই বড় একটা পাথর চক্ষুগোচর হলো। এগিয়ে গেলাম পুরো টিম। সাইনবোর্ডে লেখা অাছে, ‘দুধ পাথর।’ নামটা বেশ লাগলো অামার কাছে। দুধ পাথরের ইতিহাস অামাদের অজানাই থেকে গেল।
অাশেপাশের দোকানগুলো থেকে অনেককিছু কিনে ফেললাম। উপরের বর্ণিত স্থানগুলোর পাশাপাশি অারও দেখলাম শীলাদেবী ঘাট, ভাসু বিহারসহ বেশ কয়েকটি মাজার। যে মাজারগুলো মাহমুদ বলখী এর শিষ্যদের।
রাতে মহাস্থানগড়ের এমন দৃশ্য দেখবো ভাবতেই পারিনি। পুরো মাজার নানান রকমের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। চারদিকে লাল-নীল-হলুদ বাতি যেন তার রূপ সৌন্দর্যে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছিলো।
এশার নামায পড়ে খেতে গেলাম হোটেলে। বাপরে! এক পিচ মাছ ষাট টাকা নিলো। সকলের মেজাজই গরম। সবকিছু ঠিকই চলছিলো কিন্তু এখানকার হোটেলওয়ালারা ডাকাতের মতো ব্যবসা করছে। তবুও পেটকে তো অার ফাঁকা রাখা যায় না। খেয়ে-দেয়ে মসজিদে গেলাম ঘুমাতে, যেখানে অাসরের নামায অাদায় করেছিলাম। মুয়াজ্জিন সাহেব অামাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। রাতটা কাটিয়ে সকালে ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। অারও অনেককিছু দেখার বাকি অাছে যে!
সকালের খাবারটা মাজারের পাশে সস্তা হোটেল থেকে খেয়ে নিলাম। মাত্র পচিঁশ টাকায় অনেক ভালো খেলাম যেন। দেড় প্লেট ভাত, ডাল, ভাজি, একটা করে ডিম। অাফসোস করতে লাগলাম এই ভেবে যে রাতে কেন এখানে এসে খেলাম না।
মাজারটা ভালো করে অারেকবার দেখে বেড়িয়ে পড়লাম বেহুলা-লক্ষিনদরের বাসরঘর দেখার জন্য। ইতিহাসে বেহুলা-লক্ষিনদরের অনেক কাহিনীই পাওয়া যায়। রাস্তায় যেতে যেতে চোখে পড়লো পদ্মাবতী বাড়ি, চাঁদ সওদারের বাড়ি, নেতাই ধোপানীর বাড়ি। বাসরঘরের সামনে গিয়ে বুঝলাম ভেতরে তেমন কিছু নেই। বাইরে থেকে যা ভেতরেও ঠিক তেমন। টাকা নষ্ট না করে স্টেশনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালাম। ফিরতে হবে যে!
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রেন অাসলো। লোকাল ট্রেন! বগুড়া থেকে রংপুরের দুরত্ব যে কতটা সেটা আমি বলতে পারব না। জীবনের প্রথম ট্রেন ভ্রমন ছিলো এটা অামার। এর অাগে কখনো ট্রেনে চড়া হয়নি। খুব উত্তেজিত অামি, তেমনি একটু ভয়ও করছিলো। প্রথমে সিট পেলাম না। দাঁড়িয়ে রইলাম। দু’টা স্টেশন বাদে টিটি জায়গা করে দিলেন। বাপরে! হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। সকাল সাড়ে এগারোটায় ট্রেনে উঠেছিলাম, ট্রেন ঝকঝক করে চলছে তো চলছেই। জুমঅার নামাযটা সেদিন অার পড়া হলো না। ট্রেনে সবাই মিলে খুব মজা করছিলাম। মাঝে মাঝে টিটিও এসে অামাদের সাথে যোগ দিচ্ছিলেন।
বাইরে মেঘ করতে শুরু করেছে। ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। চারদিকটা অন্ধকার হয়ে গেল। বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার ফোনও এসেছে।
ট্রেন থেকে যখন নামলাম মোবাইলে দেখলাম তখন সাড়ে পাঁচটা বাজে। রংপুরেও বৃষ্টি হচ্ছে।
মহাস্থানগড় ভ্রমনে কিছু টিপস:
(১) শুধু মাজার দেখে চলে অাসবেন না। চারদিক ভালো করে ঘুরবেন, তাহলে বেশি মজা পাবেন।
(২) দামী হোটেলে ঢুকে খাবার খাবেন না, তাহলে ঠকবেন। সস্তা হোটেলে খাবেন, তাহলে সস্তা হোটেলে খাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে। তবে ঠকবেন না অাশাকরি।
(৩) পকেটে টাকা না থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। মাজার থেকে অনেক ভালো খাবার পাওয়া যায়। গরুর গোস্ত বা ছাগলের গোস্ত দিয়ে খিচুরি অন্যতম।
(৪) মাজার ঢুকার পূর্বে যে দোকানগুলো অাছে খবরদার তাদের ফাঁদে পা দিবেন না। তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা নানান রকম উপকরণ বিক্রি করার চেষ্টায় রত থাকবে।
(৫) মাজারে কোনো প্রকার টাকা দিবেন না। কারণ বেশিরভাগ টাকাই মুয়াজ্জিন সাহেব মেরে দেয়। যা অামি নিজ চোখে দেখেছি।
.
পরিশেষে বলতে পারি, বগুড়া মহাস্থানগড় ভ্রমন অামার জীবনের অনন্য একটি ভ্রমন। সময় করে ঘুরে অাসতে পারেন এই স্থান থেকে। অবশ্য বাড়ি ফেরার পর অাম্মু অনেকগুলো গালি সহ্য করতে হয়েছিলো। তাতে কী! মজা তো অনেক করেছি। যা অাজীবন গেঁথে থাকবে অামার হৃদয়ে।
(সমাপ্ত)

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৭ Comments

  1. সুস্মিতা শশী

    চমৎকার উপস্থাপ। আমার ওখানে যাওয়া হয়নি। আপনার বর্ণনা পড়ে দেখার ইচ্ছে জাগলো।

    Reply
  2. Tanjina Tania

    তুমি পিচ্চি একটা ছেলে হলেও যে কোনো বিষয় বেশ গুছিয়ে লিখতে পারো। এর আগেও তোমার একটা ভ্রমণ কাহিনী পড়েছিলাম। ওটার মতো এটাও চমৎকার। মহাস্থানগরের কথা অনেক শুনেছি লোকমুখে। কখনও আমিও যাবো।

    Reply
  3. Md Rahim Miah

    শুনে-শোনে
    ওঠে-উঠে
    সর্বশেষ বলা যায় ভ্রমণ কাহিনী মাঝে এটাই সেরা। তবে পর্যটকদের জন্য আরেকটা জিনিস লিখে দিলে ভালো হত, মাজারে সিজদা করা হারাম ও শিরক। তাই সিজদা না করা মাজারে গিয়ে। যাইহোক পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে, শুভ কামনা রইল অনেক

    Reply
  4. Halima tus sadia

    চমৎকার লিখেছেন।
    ভ্রমণ কাহিনি পড়লেই যেতে ইচ্ছে করে।
    খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।
    বর্ণনাভঙ্গি ভালো ছিলো।
    একসময় ঘুরে আসবো।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  5. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম।
    অনেক সুন্দভাবে সবকিছুর বর্ণনা তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো উপস্থাপন। খুব ভালো লেগেছে আমার। তবে বানানের দিকে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে।
    সবকিছু মিলিয়ে ভালো ছিল।
    শুভ কামনা।

    Reply
  6. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম।
    বেশ সুন্দরভাবে সবকিছুর বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। খুব ভালো লেগেছে পড়ে। তবে ভ্রমণ কাহিনীতে ভ্রমণ বানাটাই যদি ভুল লেখেন তাহলে কি ভালো দেখায়।
    বানানের প্রতি আরো যত্নবান হতে হবে।
    আপনার জন্য শুভ কামনা।

    Reply
  7. Nafis Intehab Nazmul

    লেখার মান অসাধারণ। আমি মহাস্থানগড় দেখে যত টা না মজা পেয়েছি, আপনার লেখা পড়ে বেশি ভালো লাগল।
    বর্ণনাভঙ্গি দারুণ।
    মহাস্থানগড়ে সবথেকে খারাপ লেগেছিলো মাজারে সিজদা করা দেখে। আপনি সেটাও কিছু টা তুলে এনেছেন।
    এর আগেও মহাস্থানগড়ের ভ্রমণকাহিনীপ পড়েছি, বাট অনেক লেখকই মাজারে সিজদা নিয়ে কিছু বলেনি। মাজারে সিজদা করা নিয়ে আরেকটু বলা দরকার ছিলো।
    শুভকামনা

    Reply

Leave a Reply to Tanjina Tania Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *