আমার শৈশব
মোঃ সোয়াইব হোসেন
দুরন্তপনা আর অবাধ স্বাধীনতার দিন
শৈশব স্মৃতি ভাসে হৃদয়ে অমলিন।
সারা দিন হৈহুল্লোড়, আর ছুটাছুটি
পড়ালেখায় ছিলাম আমি,বেশ মোটামুটি।
মেতেছি পুকুর জলে, পাড়ার ছেলেগুলো মিলে
খেলেছি ছুঁই ছুঁই খেলা, আমার শৈশব বেলা।
পুকুর পাড়ের গাছে, লাফের মজা আছে
লাফ দিতাম জলে, মনের আনন্দ উচলে।
মাছে সমৃদ্ধ ছিল, বাংলার পুকুড়,খাল- বিল।
মাছ ধরতাম বিলে, ছেলে-মেয়ে মিলে।
পুকুর যখন সেচে, ছেলেরা সব এসে
হৈ চৈ করে পাড়ে, মাছের আমেজ বাড়ে।
সন্ধার কালে বাঁশ বনে, পাখির কোলাহল
হারিয়ে গেছে আজ, সেই পাখির দল।
ঘুড়ি উড়ানোর বিকালে, স্বচ্ছ আকাশ পানে
তাকাতাম একনাগাড়ে, ঘুড়িটা কখন কাটে।
মাটির প্রলেপ পুকুড় পাড়ে, কাদা মাখি,
ভেবে সেই দিনগুলো, এখনও জুড়াই আঁখি।
পাড়ার ফল গাছে, নজর ছিল বেশ
বন্ধুরা সব মিলে, করে দিতাম শেষ!
বাগান জুড়ে পাখির নীড়ে, উঠতাম আমি চড়ে,
সাদা বকের ছা গুলো, নিয়ে আসতাম ধরে।
জাম গাছের মগ ডালে, উঠতাম আমি বেঁয়ে
দাদী আমার রেগে, আসতেন আমায় ধেয়ে।
অবাধ স্বাধীনতার শৈশব, হ্নদয়ে দেয় দোলা
শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো, যায় না তো ভোলা।
মুক্তমনা হৈহুল্লোড়, মিষ্টি মধুর দিন,
আজও হৃদয়ে বাজে, ভূলব না কোনদিন।
ছড়ার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অন্তমিল। কিছু কিছু লাইনে অন্তমিল ছুটে গেছে।
ছড়াটি পড়ে আবার শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে।
ভূলব-ভুলবো
ছড়াটা অনেক ভালো ছিল, তবে অনেক জায়গাতে অন্ত্যমিলের অভাব, আবার ছন্দের অভাব ও মাত্রাও ঠিক নেই অনেক লাইনে। তবে পড়ে অনেক ভালো লেগেছে, শৈশব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। শুভ কামনা রইল
আসসালামু আলাইকুম। শৈশবের স্মৃতি নিয়ে দারুণ একটা লেখা। মাঝে মাঝে খাপছাড়া হয়ে গেছে, কিছু কিছু ভুলও রয়েছে। তবে সবকিছু মিলিয়ে খারাপ লাগেনি।
ভূলব – ভুলবো
ছা গুলো – ছাগুলো
আগামীর জন্য শুভ কামনা।
অসাধারণ লিখেছেন।
ছড়াটা পড়ে ছোট বেলার দুরন্তপনার কথা মনে
পড়ে গেল।
কতো হৈহুল্লোর, মজা,আনন্দ করেছি।
খুব মিস করি।
বানানের কথা অনেকেই কমেন্টে বলেছে।
আর বলতে চাই না।
শুভ কামনা রইলো।
ছড়াটা আপনার বেশ চিন্তাপ্রসূত মনের ফসল মনে হচ্ছে। অন্ত্যমিলে অল্প গড়মিল আছে। শুভকামনা।
দারুণ একটা ছড়া। একদম শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো। সারাদিন ছোটাছুটি, মাছ ধরা, কাদা মাখামাখি আরও কত কি!
অনে সুন্দর হয়েছে ছড়া।