৩৬০আউলিয়ার দেশে কয়েকদিন
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,684 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

★৩৬০ আউলিয়ার দেশে কয়েকদিন
লেখা: জাকিয়া ইসলাম

বাবা বদলির তিন বছরের মধ্যে অসংখ্যবার সিলেট ভ্রমণের প্ল্যান করা আর প্ল্যান ক্যানসেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও অবশেষে চলে এলো সেই সুবর্ণ সুযোগ। সেই সাথে অনেক প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্খা এবং কল্পনার পর আমার কুড়ি বছরের জীবনে প্রথম ট্রেন ভ্রমণ। বাবা সরকারি চাকরির সুবাদে সিলেট থাকে তিন বছর হয়েছে। এই প্রথম আমরা পরিবারের সবাই মিলে ট্রেনে করে সিলেটে বাবার কাছে যাবো। তাই আমাদের ভাই-বোনদের খুশির অন্ত নেই। সবাই মিলে লেগে পড়লাম সিলেটের এতিহ্য এবং দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে।

সিলেট উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর। এটি সিলেট জেলার অন্তর্গত। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাই মূলত সিলেট শহর হিসেবে পরিচিত। প্রকৃতির বিচিত্র লীলাভূমি বলেই যে সিলেটকে শ্রীভূমি বলা হয় তা যেমন সত্যি, তেমনি সূফি-দরবেশ-দেব-দেবী তথা প্রাচীন পৌরাণিক বিশ্বাসের অমলীন স্পর্শধোয়া ভূমির পবিত্রতার প্রতীক হিসেবেও সিলেটকে শ্রীভূমি বলা হয়। বর্তমান সিলেটের পূর্বনাম ছিলো শ্রীহট্ট। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১ আগষ্ট সিলেট দেশের ষষ্ঠ বিভাগ হিসাবে মর্যাদা পায়।

যেহেতু আগে কখনো ট্রেনে চড়া হয় নি, তাই মনের মধ্যে কাজ করছিল এক ধরণের ভয় আর উত্তেজনা। আমরা সবাই আম্মু, বড় আপ্পি, বড় ভাইয়া, মেজ ভাইয়া, ছোট্ট ভাইয়া ও অনেক ছোট আর ছোট দুই বোন সবাই সবার ব্যাগপ্যাক, ট্রলি, প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র নিয়ে ২০.০৯.১৫ তারিখ রবিবারে কুমিল্লা রেল স্টেশনে বেলা ১১:২০ হাজির হয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ে ১১:৫৬ মিনিটে হুইসেল বাজিয়ে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশনে এসে থামলে, মানুষজন যে যার আসন খোঁজতে ব্যস্ত। আমরা সবাই মানুষের ভীড় ঠেলে নিজেদের সিট শোভন শ্রেণির কোচ-ঠ খোঁজে নিয়েছিলাম। আমাদের মোট সাতটি আসন ছিল এবং আসন নং: ২৫-২৬ এ, আমি বসেছিলাম জানালার পাশে। কুমিল্লা স্টেশনে ট্রেন খুব বেশি দেরি না করেই আবার চলা শুরু করেছে। মনের মধ্যে এক অদ্ভুদ ভালো লাগা কাজ করছিল আর ভাবছিলাম এভাবে চলতে চলতে কোনো একসময় সব স্টেশন ছাড়িয়ে সিলেট স্টেশনে পৌঁছে যাবো আমরা। আমরা সবাই চাতক পাখির ন্যায় বাহিরের প্রকৃতির মাঝে তাকিয়ে ছিলাম। ট্রেনে মুখোমুখি চারটা আসনে দুটো করে চারটি জানালা রয়েছে।

ঝিক্ ঝিক্ শব্দে ট্রেন ছুটে চলছেতো চলছে। মনে হচ্ছিল ট্রেনটা বুঝি সব কিছুকে পেছনে ফেলে ছুটে চলছে অজানার পথে। তখন আমার শামসুর রাহমানের ট্রেন কবিতার চয়ন মাথায় ঘুরছিল আর আমি বিড়বিড় করে কবিতা আবৃতি করছিলাম একটু পরে আমার ছোট দুই বোনও আমার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলল…
“ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে
রাত দুপুরে অই।
ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই ?”
ট্রেনের ঝক ঝক শব্দে আমাদের কবিতার ছন্দ আর সুরের পতন ঘটেছে। দেখতে দেখতে ট্রেন আখাওড়া, কুলাউড়া সহ অনেক গুলো স্টেশন অতিক্রম করে বিরামহীন এঁকে-বেঁকে ছুটে চলছে গন্তব্যের পথে। ট্রেনের ভিতরে অনেক রকমের হাক-ডাক দিয়ে হকার এটা সেটা বিক্রি করছে। আমরাও ঝালমুড়ি, চানাচুর বানানি, আমড়া, আচার অনেক কিছু খেয়েছি। সেই সঙ্গে ছিল আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে কে জানালার পাশে বসবে এই নিয়ে খুঁনসুটি।

ভাবতে অবাক লাগে পৃথিবী কী বিচিত্র জায়গা! ট্রেনের মাঝেই আমি প্রথম দেখলাম মানুষ কিভাবে নতুন পদ্ধতিতে জীবিকার পন্থা তৈরী করে নিয়েছে। কি করে একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ জীবিকার জন্য সহমর্মিতার আশ্রয় নিতে পারে! মহিলাটি একটি লিফলেট ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীর কাছে দিচ্ছিল আর তাতে লিখা ছিল….
প্রিয় ভদ্র মহোদয়গণ, আমি একজন গরীর এতিম সন্তান। আমাদের সংসারে, আমরা তিন বোন ও এক ভাই। আমি বড়, আমার বাবা নেই। আপনাদের কাছে কিছু লজেন্স বিক্রি করার জন্য হাত বাড়াচ্ছি। তাই দয়া করে, আপনারা আমার কাছ থেকে ২টি লজেন্স ৪টাকায় ক্রয় করে, আমাকে এবং আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দিন।
কাগজ খানা পড়ে, দয়া করে ফেরত দিন।
আমার জানা, দেখা এবং জ্ঞানের পরিধি ক্ষুদ্র তাই হয়তো একটু বেশি অবাক হয়েছিলাম। তখন আমার সেন্ট অগস্টিন এর উক্তিটি মনে পড়েছিল “পৃথিবী একটা বই আর যারা ভ্রমণ করে না তারা বইটি পড়তে পারে না”।

উঁচু-নিচু চা বাগান আর সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে কি সুন্দর ভাবে ছুটে চলছে যান্ত্রিক সরীসৃপটা তার পেটের মাঝে কিছু মানুষকে নিয়ে। আমি যখন এক মনে চা বাগান দেখায় ব্যস্ত তখন ট্রেনের ঝক্ ঝক্ শব্দের মাঝে মানুষের হইচই একটু বেশি শোনা যেতেই তাকিয়ে দেখি একদল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ট্রেনে চাঁদাবাজি করছে। আমারতো ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ কারণ আমি আগে এরকম করে চাঁদাবাজি করতে সরাসরি দেখি নাই, যদিও নাটক-সিনেমাতে দেখেছি। ওরা চলে যাওয়ার পরও আমি আমার ছোট বোনের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছিলাম।
সময় আর মানুষ পৃথিবীর এই দুটো জিনিস আমাকে বরাবরই বিস্মিত করে। এতো রঙ-বেরঙ্গের মানুষ কারো সাথে কারো মিল নেই! আর সময় বড়ই অদ্ভুত। সব কিছু চোখের পলকে বদলে দেয়। বদলে দেয় পরিবেশ, পরিজন, কাছে থাকা মানুষসহ সবকিছু।

ট্রেনের মধ্যে খুব সহজেই হাঁটাহাটি করা যায়, জানালা দিয়ে বাহিরে মাথা বের করা যায়, জানালার বাহিরে হাত রাখলে শীতল বাতাসের স্পর্শ মনকে ছুঁয়ে যায়। বিশাল নীল আকাশের নিচে সবুজ ছোট-বড় চা বাগান, রাবার বাগান, লেবু বাগান দেখতে দেখতে মিষ্টি রসে ভরপুর আনারস খেতে দারুন মজা আর ট্রেনের ঝক্ ঝক্ শব্দ তৈরী করে এক অন্য রকম অনুভূতি। হয়তো জীবনের প্রথম ট্রেনে চড়েছিলাম বলেই খারাপ লাগা মুহূর্তগুলোও ভালো লাগায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ৭ ঘন্টা ট্রেনে থাকার পরও আমরা ছিলাম ক্লান্তিহীন। বিকেলের কনে দেখা আকাশের রক্তিম সূর্য আমাদেরকে বিদায় জানিয়ে পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার দৃশ্য ট্রেন থেকে দেখতে এতো সুন্দর লাগবে তা আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নি। সব কিছু ছাড়িয়ে গ্রামগঞ্জ হারিয়ে ট্রেন ০৬:০০ বাজে এসে থেমেছে আমাদের অপেক্ষাকৃত গন্তব্যে…সিলেট রেল স্টেশন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রেলস্টেশন যেটি সিলেট শহরে অবস্থিত। ছাতক এবং ঢাকা , উভয় দিক থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মিটারগেজ রেলপথের সাথে সংযুক্ত।

বাবা আমাদের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা করছিল, দীর্ঘ একমাস পর বাবার সাথে দেখা। সবার সাথে কুশল বিনিময়ের পরে একটি হোটেলে বসে হালকা নাস্তা করে নিয়েছি। অতপর পূর্বে ঠিক করা মাইক্রোতে চেপে রওনা দিলাম গেস্ট হাউসের উদ্দেশ্যে, আরো এক ঘন্টা লাগবে গেস্ট হাউসে পৌঁছাতে। পথে বাবা সব কিছু দেখাচ্ছিল বটেশ্বর বাজার, এম.সি কলেজ, জালালাবাদ স্কুল এন্ড কলেজ। দেখতে দেখতে গাড়ি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টের প্রজাপতি গেইটের সামনে থামল। পূর্বে থেকেই বলে রাখায় গেইটে তেমন প্রশ্ন করে নি…সুন্দর প্রজাপতির পাখার মত বলে এর নাম প্রজাপতি গেইট। গাড়ি একবারে মেসের সামনে থামলে আমরা ট্রলি, ব্যাগপ্যাক, পানির কন্টিনার আর সব জিনিসপত্র নিয়ে নামলাম। গেস্ট হাউসটা পাহাড়ের উপরে ১,২,৩ করে সিড়ি টপকিয়ে রুমে ঢুকলাম। সবাই ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম আর কথা হচ্ছিল যে কাল কোথায় প্রথমে ঘুরতে যাব। রাতে খাবারের পর ক্লান্তিতে বিছানায় গা এলিয়ে কখন নিদ্রা নগর পাড়ি জমিয়েছি বলতেও পারবো না। সকালে ফজরের নামাযের পর বাবার সাথে আশেপাশের জায়গা দেখতে ঘুরতে বের হয়েছি, তখন চারদিকে আলো ছড়িয়ে সূর্যি মামা উঠে পরেছে। সিলেট ক্যান্টনমেন্টে সামরিক বাহিনীর সবকিছু একত্রে যেমন: সি.এম.এস, সি.এস.ডি, সি.ডাব্লিও.সি আর সব ইউনিট সমূহ। আমরা হাই স্কুল, আর্মিরা যেখানে প্যারা জাম্প দেয় সেই মাঠ, কিছু সংখ্যক সৈনিককেও দেখলাম মর্নিং ওয়াক করতে।

চা নাস্তা খাওয়ার পর ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই শুরু হল বৃষ্টির। সিলেটে ঘন ঘন বৃষ্টি হয় তাই আমরা বাসা থেকে তিনটি ছাতা নিয়েছিলাম। বৃষ্টি কমতে কমতে ঘড়ির কাটা ১১:০০ ছুঁয়েছে। সব জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে গাড়ি ছুটে চলছিল জাফলং এর পথে। জাফলং প্রকৃতির কন্যা হিসেবে পরিচিত। সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে জাফলং সবার শীর্ষে অবস্থিত। সিলেট এর গোয়াইনঘাট উপজেলার ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা প্রকৃতির দানে রুপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। সিলেট থেকে জাফলং এর দুরত্ব মাত্র ৬২ কিলোমিটার। পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ পানির ধারা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু উঁচু পাহাড়ে সাদা মেঘের খেলা জাফলংকে করেছে অনন্য। একেক ঋতুতে জাফলং একেক রকম রুপের প্রকাশ ঘটায় যা পর্যটকদেরকে ভ্রমণের জন্য সারাবছরই আগ্রহী করে রাখে।
বৃষ্টি শেষে আকাশটা অনেক সুন্দর ছিল। গাড়ির জানালার কাঁচে বৃষ্টির জলের ফোটা লেগেছিল তা দেখতে অপরূপ লাগছিল। চলার পথে রাস্তার দুইপাশের সবুজ মন মাতানো দৃশ্য, কখনো পাহাড়, কখনো খাল-বিল দেখা যাচ্ছিল, উচু-নিচু রাস্তায় গাড়ি এগিয়ে চলছে। জাফলং যাওয়ার পথে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ভারতের বড় বড় উচু কালো পাহাড় আর পাহাড় হতে চলমান ঝর্নাধারা দেখতে। গাড়ি থেকে একজন একটা ঝর্নার দেখা পেলে চিৎকার করে সবাইকে দেখাচ্ছিল। ঝর্নাগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না আকাশ মেঘলা থাকার কারণে। মনে হচ্ছিল যেন পাহাড় থেকে ধোঁয়া উড়ছে, মেঘগুলো পাহাড়ের সাথে মিশে যাচ্ছিল, পাহাড়ের মাঝে কিছু ছোট ছোট ঘর-বাড়ির দেখা মিলছিল। রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য ছোট বড় চা বাগানকে অতিক্রম করে ছুটে চলছিল আমাদের গাড়ি। আমি অনেক সুন্দর দৃশ্য স্মৃতিস্বরুপ ক্যামেরায় বন্দি করে রেখেছি। আর ছোট বোন বাবার পাশে বসে রাজ্যের প্রশ্ন করছিল। ঝর্ণা কে বানালো? কোথা থেকে পানি আসে? ঝর্ণার কাছে যাওয়া যাবে কি না? বাবা বিরক্তহীনভাবে এক এক করে ওর সব অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিল।
যদিও রাস্তা প্রথম দিকে ভালোই ছিল, খারাপ রাস্তার দেখা পেলাম অনেক পরে। কোনো নিয়মের পরোয়া না করেই ছোট্ট বাচ্চারা রাস্তা থেকে পাথর টুকাচ্ছে, পাশে পুরুষ মহিলা একত্রে গর্ত করে পাথর বাহির করছে। বেলা ১:৩০ মিনিটে আমরা জাফলং পৌঁছে গেলাম। যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। এত খারাপ অবস্থা নদীর পাথর বোঝাই করা কতগুলো ট্রাক, পাথরের স্তুপ, কিছু স্থানে গর্ত করা, নদীতে পানি থই থই, নদীর নিচের পাথর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না আর নদীর মাঝখানে পাথর বোঝাই করা কিছু নৌকা ছিল। সচরাচর আমরা টেলিভিশনে যেই জাফলং দেখি তার বিন্দুমাত্র সৌন্দর্য্য আমার চোখে পরে নাই। বাবা বলল বর্ষার সময় তাই নদীতে এত বেশি পানি। ভাইয়া বলেছে নদীর ওপারে চা বাগান আর মনিপুরী গ্রাম আছে আমাদেরকে নিয়ে যাবে কিন্তু বাবা আর ড্রাইভার আংকেল রাজী না হওয়ায় আমাদের আর যাওয়া হল না, অনেক মন খারাপ হয়েছিল। পরে জিরো পয়েন্ট গিয়ে মন ভালো হয়ে গেছে। জাফলং থেকে বিদায় নিয়ে আমরা তামাবিল আর লালাখাল যেতে চাওয়াতে বাবা বলল আরেকবার আসলে এই দুই যায়গায় নিয়ে যাবে।

বিকেলের দিকে আমরা গিয়েছিলাম সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের হরিপুর উতলারপার এলাকায়। ১৯৫৬ সালে গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে প্রথম কূপ খননকালে এখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় অনুসন্ধানে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রপাতি ভূগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ স্থানে আর কূপ খনন করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের পর ভূমিধ্বসে সেখানে একটি গভীর পুকুর সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পানিতে সর্বদা বুদ বুদ দেখা যায়। যেখানে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালালেইে পানিতে আগুন ধরে যায়। আমরাও আগুন ধরিয়েছিলাম। পুকুরের পাশে অবস্থিতি একটি টিলাভূমিও পোড়ামাটির আকার ধারণ করে আছে। সে টিলায় ৫০ বছরেও কোন লতাপাতা গজায়নি। ওই স্থানে মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ওই ফাটল দিয়েই গ্যাস উদ্গীরণ হচ্ছে, যা আশপাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে।

তেল কোম্পানি নাইকো গ্যাস উত্তোলনের জন্য টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডে ২০০৫ সালে খনন কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে খননকালে ওই বছরের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দু’দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে খনন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দু’দফা অগ্নিকান্ডে ৩ বিসিক গ্যাস পুড়ে যায় এবং কমপক্ষে ৫২ বিসিক রিজার্ভ গ্যাস ধ্বংসসহ টেংরাটিলা গ্রাম ও বাজার, আজবপুর, শান্তিপুর, কৈয়াজুরি ও গিরিশনগর গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিস্ফোরণের পর থেকে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, বাজার,
ফসলের জমির ফাটল ও নলকূপ দিয়ে নিয়মিত গ্যাস উদগিরণ হচ্ছে। ২০০৫ সালের পর টেংরাটিলা এলাকায় নতুন করে আর কূপ খনন হয়নি।

রাতে আমরা শাহজালালের মাজারে গিয়েছিলাম। হযরত শাহজালাল (রঃ) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত দরবেশ ও পীর। তিনি ছিলেন ওলিকুল শিরোমণি। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বুরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার এবং এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (রঃ) ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। কেউ কেউ সিলেটকে পূণ্যভূমি অভিধায়ও অভিহিত করেন। হযরত শাহজালাল (রঃ) এর দরগা চত্বরের উত্তর দিকে একটি পুকুর রয়েছে। এ পুকুরে রয়েছে অসংখ্য গজার মাছ। এসব মাছকে পবিত্র জ্ঞান করে দর্শনার্থীরা ছোট ছোট মাছ খেতে দেয়। পুকুরের পশ্চিম কোণে ছোট মাছ বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। মাজারের ভিতরে গিয়ে আমি অনেক অবাক হলাম পাগলের অভাব নাই দেখে। সবাই আজব ধরণের পোষাক পরে ভিক্ষা করছে কেউ আবার নেশা করে মাতাল হয়ে পরে আছে। রাতের আধারের কারনে গজার মাছের দেখা না পেলেও অনেক জালালি কবুতর দেখেছি। বাবা আর ভাইয়ারা ছোট বোনকে নিয়ে মসজিদে গেলে ওখানের খাদেম যেতে বাঁধা দিয়ে বলে মেয়ে মানুষকে নিয়ে মসজিদে যাওয়া নিষেধ। এটা শোনে বাবা বলল ওকি মেয়ে নাকি, ওতো পিচ্চি।বাবার এ কথাটা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছিল।

পরে গেলাম শাহ পরাণের মাজারে এটা তেমন জমজমাট না হলেও ভিক্ষুকের অভাব নাই। শাহ পরাণের মাজার সিলেট শহরের একটি পুণ্য তীর্থ বা আধ্যাতিক স্থাপনা । যা হচ্ছে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে মধ্যপ্রাচ্য হতে বাংলাদেশে আসা ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ জালালের অন্যতম সঙ্গী অনুসারী শাহ পরাণের সমাধি। এটি সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিম নগর এলাকায় অবস্থিত। শাহ জালালের দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ দুরত্বে শাহ পরাণের মাজার অবস্থিত। শাহ জালালের দরগাহর মতো এ মাজারেও প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার উপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহ পরাণের কবর। মাজার টিলায় উঠা নামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গনে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু দেখায়। এই সিঁড়িটি মোগল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়।

২২.০৯.১৫ তারিখ মঙ্গলবার সকালে নাস্তা শেষে আমরা সবাই বাসায় আসার জন্য রেডি হলাম। ট্রেনের টিকেট না পাওয়ার কারনে মাইক্রোতে করে যাবো বলে ঠিক হলো। রাস্তায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, লাউয়া ছড়ি জাতীয় উদ্যান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রীমঙ্গল চা বাগান দর্শন করে যাবো। গাড়ি চলছিল আর আমাদের গন্তব্য হল মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। আশেপাশের দৃশ্যগুলো অনেক মনোমুগ্ধকর ছিল। দেখতে দেখতে আমরা দুপাশে চা বাগানের রাস্তা দিয়ে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের গেইটের কাছে পৌঁছে গেলাম। গাড়ি পার্কিং করে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে দেখি পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে, রাস্তার দুপাশে ঘন জঙ্গল আমরা সামনে এগিয়ে চলছিতো চলছি। যত সামনে যাচ্ছি ঝর্ণার শব্দ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে যা শোনে আমার একটা কবিতা মনে হল….
“কুয়াশাভেজা এই সিগ্ধ ভোরের দিগন্তে উড়ে চলে যাব আমি গন্তব্যহীন”।
কিন্তু তখন ভোর ছিল না, রৌদ্রবিহীন দুপুরে মেঘলা আকাশ ছিল। একপাশ দিয়ে ঝর্ণার পানি যাচ্ছে অন্য পাশে সবুজ পাহাড়। নিচে বক, দোলনা, ডলফিন, মৎসকন্যা, হরিণ, ভাল্লুক ইত্যাদি ভাস্কর্য তৈরী করা ছিল যা ওখানকার সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে তুলেছে। প্রায় ২০মি: পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ঝর্ণার সাক্ষাত লাভ করতে সক্ষম হলাম। আমরা সবাই এত আনন্দিত ছিলাম জীবনে প্রথমবার ঝর্না দেখলাম আল্লাহ্ তা’আলার কী অপরূপ সৃষ্টি। আমরা এতই মুগ্ধ ছিলাম যে চোখের পলক ফেলতে ভুলে গিয়েছিলাম। ঝর্নার সাঁ সাঁ শব্দ আর ৫০০ কিউসেক গতিতে পানি পড়ছে। বর্ষার সময় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। স্রোত বেশি আর উপর থেকে পাথর পড়ার কারনে নিচে নামা নিষেধ ছিল।

প্রকৃতির অপরূপ লীলা নিকেতন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র জলপ্রপাত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। এটি দেখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক লোকের সমাগম ঘটে এখানে। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে জলরাশি এর গা বেয়ে অবিরাম ধারায় সাঁ সাঁ শব্দে নিচে পড়ছে। অবিরাম পতনের ফলে নিচে সৃষ্টি হয়েছে কুণ্ডের। আর কুণ্ডের প্রবাহমান স্রোতধারা শান্তির বারিধারার মতো মাধবছড়া দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাধবকুণ্ডের নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, শ্রীহট্টের রাজা গঙ্গাধ্বজ ওরফে গোবর্ধন পাথারিয়া পাহাড়ে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ শুরু করলে সেখানে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মাটির নিচে একজন সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। তখন তিনি ওই সন্ন্যাসীর পদবন্দনা ও স্তূতি করলে সন্ন্যাসী তাকে নানা উপদেশসহ মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশ তিথিতে তাকে এ কুণ্ডে বিসর্জন দিতে নির্দেশ দেন। সন্ন্যাসী বিসর্জিত হওয়া মাত্র তিনবার মাধব, মাধব মাধব নামে দৈববাণী হয়। সম্ভবত এ থেকেই মাধবকুণ্ড নামের উৎপত্তি। আবার কারও কারও মতে, মহাদেব বা শিবের পূর্বনাম মাধব এবং এর নামানুসারে তার আবির্ভাব স্থানের নাম মাধবকুণ্ড।

বিকেলে আমরা একটা চা বাগানের কাছে এসে গাড়ি থেকে নেমেছি। বাগানের ভিতরে ছবি তুলার সময় নিচে তাকিয়ে দেখি জোঁকে বাগান ভরা। বড় আপ্পির পায়ে উঠেছে আপ্পিতো ভয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চিৎকার করছিল পা থেকে সরাতে গিয়ে জোঁক হাতে উঠলে ওর চিৎকারের শব্দ ও দ্বিগুণ হল। আর আমরা ওর কান্ড দেখে অনেক হাসছিলাম। পথে আরো অনেক চা বাগান দেখলাম। মাগরিবের সময় হওয়ায় গাড়ি থামিয়ে নামায শেষে আবার চলা শুরু করলাম তখন চারদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে। আবার গাড়ি চলা শুরু হল চলার পথেই লাউয়া ছড়া পার্ক আর শ্রীমঙ্গলের চা বাগান পড়েছিল নেমে দেখতে পারি নাই রাত হয়ে যাওয়ার কারণে।

রাতের আকাশের তারা গুনতে গুনতে রাত ১২:১০ মিনিটে কুমিল্লাতে এসে পৌঁছেছি। ‘ভ্রমণ শেষে নিজ বাড়িতে ফেরার আগ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারে না ভ্রমণ কত সুন্দর ছিল।’

সম্পর্কিত পোস্ট

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

কুড়িয়ে পাওয়া রত্ন

অনন্যা অনু 'আমিনা বেগম' মেমোরিয়াল এতিমখানার গেট খুলে ভেতরে ঢুকতেই ওমরের বুকটা ধুক ধুক করতে শুরু করে। ওমর ধীর গতিতে ভেতরে প্রবেশ করে। চারদিকে তখন সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওমর গত রাতের ফ্লাইটে আমেরিকা থেকে এসেছে। সে এসেই সোজা আমিনা বেগম মেমোরিয়াল এতিমখানায়...

দাদাভাইকে চিঠি

দাদাভাইকে চিঠি

প্রিয় দাদাভাই, শুরুতে তোকে শরতের শিউলি ফুলের নরম নরম ভালোবাসা। কেমন আছিস দাদাভাই? জানি তুই ভালো নেই, তবুও দাঁতগুলো বের করে বলবি ভালো আছি রে পাগলী! দাদাভাই তুই কেন মিথ্যা ভালো থাকার কথা লেখিস প্রতিবার চিঠিতে? তুই কি মনে করিস আমি তোর মিথ্যা হাসি বুঝি না? তুই ভুলে গেছিস,...

৯ Comments

  1. সুস্মিতা শশী

    দুইবছর ধরে সিলেট আছি কিন্তু বেশি কোথাও যাওয়া হয়নি। তবে যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি তা নিঃসন্দেহে চমৎকার ছিল। সিলেটকে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

    Reply
  2. Tanjina Tania

    বাহ! লেখার ধরণ দারুণ। আমিও ৩৬০ আউলিয়ার দেশে গিয়েছিলাম। তবে শুধু প্রধান দু’টো মাজার দেখেই চলে এসেছিলাম। শুভকামনা আপনার জন্য।

    Reply
  3. Md Rahim Miah

    হয় নি-হয়নি
    দারুন-দারুণ
    পারি নি-পারিনি
    সিড়ি-সিঁড়ি
    কারনে-কারণে

    বাবা রে এত বড় ভ্রমণ কাহিনী, মনে হচ্ছে শব্দ সংখ্যা পার হয়ে গেছে। যাক সমস্যা নেই, অনেক ভালো লিখেছেন বলা যায়। কিছু বানান ভুল ছিল বলে দিলাম, শুভ কামনা রইল

    Reply
  4. Halima tus sadia

    চমৎকার লিখেছন।
    সিলেটের সৌন্দর্য দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন।
    বর্ণনাভঙ্গি খুবই সুন্দর।
    তবে খুব বড় হয়ে গেছে মনে হয়।
    কিছু বানান ভুল আছে।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  5. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম।
    যদিও অনেকটাই বড় হয়ে গেছে, তবে বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়লাম। বেশ ভালো লেগেছে আমার। গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন তাই আমার পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক অজানা কিছু জানাও হলো। তবে বানানে কিছু কিছু ভুল রয়েছে যা না থাকলে আরও বেশি সুন্দর হতো।
    আমি দুই একটা ভুল তুলে ধরলাম :
    হয় নি – হয়নি (নি যেহেতু আলাদা কোনো অর্থবোধক শব্দ না তাই যুক্ত হয়ে বসে)
    সিড়ি – সিঁড়ি
    কারনে – কারণে

    আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। এভাবেই লিখে যান।

    Reply
  6. Sumaiyyah sabeel

    সিলেট আমি দু’বার গিয়েছি, প্রকৃতির নিবিড় সংস্পর্শে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণকাহিনীতে সিলেটের সৌন্দর্য্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যদিও সব জায়গার বর্ণনা দিতে গিয়ে একটু বড় লিখে ফেলেছেন। একটু সময় আর যত্ন নিয়ে লিখলে বানান ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে। অনেক শুভকামনা রইল।

    Reply
  7. sumiyaah sabeel

    সিলেট আমি দু’বার গিয়েছি, প্রকৃতির নিবিড় সংস্পর্শে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণকাহিনীতে সিলেটের সৌন্দর্য্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যদিও সব জায়গার বর্ণনা দিতে গিয়ে একটু বড় লিখে ফেলেছেন। একটু সময় আর যত্ন নিয়ে লিখলে বানান ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে। অনেক শুভকামনা রইল।

    Reply
  8. Sumiyyah Sabeel

    সিলেট আমি দু’বার গিয়েছি, প্রকৃতির নিবিড় সংস্পর্শে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণকাহিনীতে সিলেটের সৌন্দর্য্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যদিও সব জায়গার বর্ণনা দিতে গিয়ে একটু বড় লিখে ফেলেছেন। একটু সময় আর যত্ন নিয়ে লিখলে বানান ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে। অনেক শুভকামনা রইল।

    Reply
  9. abdullah ajjiad

    সিলেট আমি দু’বার গিয়েছি, প্রকৃতির নিবিড় সংস্পর্শে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার ভ্রমণকাহিনীতে সিলেটের সৌন্দর্য্য চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যদিও সব জায়গার বর্ণনা দিতে গিয়ে একটু বড় লিখে ফেলেছেন। একটু সময় আর যত্ন নিয়ে লিখলে বানান ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে। অনেক শুভকামনা রইল।

    Reply

Leave a Reply to Halima tus sadia Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *