ভার্চুয়াল পহেলা বৈশাখ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
লেখকঃ vickycherry05

 1,795 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05
লেখিকাঃ নুশরাত রুমু
মোবাইলের রিংটোনের শব্দে ধড়মড় করে উঠে বসল তৌসিফ। বনির ফোন এল। হাই তোলা চেপে গিয়ে কোনমতে বলল- হ্যালো দোস্ত। ওপাশের কথাটা শোনার আগেই কালবৈশাখীর মতো মা এসে বকা শুরু করলো। আমি এতক্ষণ ধরে ডাকছি তুই জাগলিনা। কি এক ঝুনঝুনি রাখিস সাথে, সেটার বাজনায় উঠে গেলি। কী জীবন শুরু হলো। কাগজের বই রেখে যন্ত্রের মধ্যে বই বের হয়েছে “ফেসবুক “!! পড়ালেখা লাটে তুলে ঐ পড়ে পড়ে তেনারা সারারাত হয়রান; সকালে ঘুম ভাঙতে কী কষ্ট —–। আকীকা করে হুজুর দিয়ে নাম রেখেছি তৌসিফ আলম। সেটা জবাই দিয়ে ফেসবুকে আইডি বানালি –” টর্নেডো আলম” কি কপাল আমার!! বকার ফাঁকে তৌসিফ বাথরুমে ঢুকলো। কত চিন্তা মাথায় এখন। আগামী কাল পহেলা বৈশাখ। কত প্ল্যান করেছে বন্ধুরা। মুখে একগাল দাড়ি হয়ে গেছে, জুলফিটা সেট করে সেলফি তুলতে হবে। বনিকে বৈশাখী পাঞ্জাবী কেনার কথা বলেছিল, বোধহয় সেটা জানাতেই ফোন করেছিল। মায়ের বকার ভাইরাসে সাউন্ড সিস্টেম এরর হয়ে গেল। মা এখনো বলে চলেছেন। জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির জেঠিমাকে দেখে কথায় আরো বলক উঠেছে। —আরে ভাবী শুনুন না আমরাও পড়াশুনা করেছিলাম,বৈশাখ পালন করেছি। আহা টাটকা ইলিশের কী স্বাদ!! তোদের মত মোবাইলে ইলিশের ছবি দেখে মন ভরাইনিরে বেকুবের দল। জেঠিমা মাথা নেড়ে সায় দিলেন। তারপর চাপাস্বরে গুপ্ত খবরটা দিলেন, জানেন ভাবী উত্তরের প্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার মেয়েটা নিচতলার ভাবীর কাছ থেকে শাড়ি ধার নিয়েছিল। একটু আগে ছাদে ছবি তুলছিল, আমার মেয়েকে দেখে বলল — আমার বৈশাখী শাড়ি। ফেসবুকে ছবি আপলোপ দেব —- মায়ের গল্পের সুযোগে দ্রুত রেডি হয়ে তৌসিফ বেরিয়ে গেল। বাকিটা শোনা হলোনা……।

সম্পর্কিত পোস্ট

মা

মা

ইশু মণি বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে তাসবিহ্ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ায় অনবরত শব্দ হচ্ছে, বাসার সাথে লাগানো পেয়ারা গাছটার বিশাল বড় ডালপালা গুলো চালের উপর চলে এসেছে বারবার সেগুলো বারি খাচ্ছে যার কারণে শব্দ...

শখের পাখি

শখের পাখি

লেখিকা-উম্মে কুলসুম সুবর্ণা এই তো সেদিন মেলা থেকে বাসার ছোট্ট ছেলেটা আমাকে কিনে এনেছিলো। তখন তো ছানা পাখি ছিলাম এখন বুড়ো হয়েছি। বাসায় মোট ছয়জন থাকে। আগে ভাবতাম দুই রুমের ক্ষুদ্র ফ্ল্যাট এ এত গুলো মানুষ কিভাবে থাকতে পারে। পরে বুঝলাম এই সব কিছু ছেলের বউয়ের চমৎকার। অনেক...

নীল কমলিনী

নীল কমলিনী

অনুগল্প: নীল কমলিনী লেখা: অনুষ্কা সাহা ঋতু . চন্দনের শেষ ফোঁটাটা দিয়েই মা ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন। ছোট বেলায় এমন কত সাজিয়েছেন আমাকে। তখন মুচকি মুচকি হাসতেন, আর আজ কাঁদছেন। মা টাও ভারি অদ্ভুত। আচ্ছা, তবে কি দুটো সাজের অর্থ ভিন্ন! কি জানি? . হঠাৎ শঙ্খ আর উলুধ্বনি ভেসে...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *