লেখা: ফারিয়া কাউছার
,
সকালেই রবিউলের বিবাদ বেঁধেছে তার বাবার সাথে। তার বন্ধু-বান্ধবের বাবারা কতই না উন্নত। কিন্তু সেলিম সাহেব এখনও আদি গ্রামীণ লোকগুলোর মতই। পড়ালেখা কম করেছেন। কিন্তু গোঁ কম নয়। রবিউল সবসময় থেকেছে তার বাবার বিরুদ্ধে হয়ে। তা অবশ্য তার অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ। তার বাবার এতটুকু জানা নেই। রবিউলের সবকিছুতে দ্বিমত পোষণ করা যেন তাঁর নিত্য দৈনন্দিন স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সেলিম সাহেব এখনও আগেকার বাবাগুলোর মত সন্তানদের যার-তার সাথে মিশতে দেন না। বিশেষ করে মেয়েদের সাথে রবিউলের সহপাঠী হিসেবেও কথা বলা তার একদম অপছন্দ।
রবিউল ফুঁসছে আর ভাবছে, সে তো আর কোন খারাপ পথে যাচ্ছে না। সকালে তাঁর সাথে কলেজে যাবার সময় পথে ক্লাসমেট মিতুর সাথে একটুই তো কথা হল। সেই থেকে তিনি বাজারে যাওয়া অবধি রবিউলকে রাস্তায় বকেই গেলেন।
দিন দিন তাঁর এই আচরণ রবিউলকে অতিষ্ঠ করে তুলছে।
সকালের কথাটা না হয় ভোলা যায়। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগের কথা কী করে ভুলে রবিউল? তার কিশোরী বোনকে কত তাড়াতাড়িই না সংসার করতে ঠেলে দিয়েছে! বাবার বিবেক বোধ কোথায়? তিনি কি জানেন না, এখন সেই যুগ আর নেই?
রবিউল ভাবছে, এইভাবেই চলতে থাকলে তার পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটবে। অন্তত ছেলেদের সাথে তো মিশাই যায়। আর মাসুমের কী দোষ? সে সামান্য সিগারেট খায় জেনে এত উতলা হবার কী ছিল? সে সহপাঠী হিসেবে তার সাথে না হয় একটু চলাফেরা করত, তাই বলে তার গর্দান ধরে এইভাবে শাসিয়ে তাকে দিয়ে ছেলেটির সাথে না চলার ওয়াদা করানোর মানে কী? ব্যস, অনেক হয়েছে। স্বাধীনতা পেতে হলে তার কাছে দূরে কোথাও যেতে হবে। হ্যাঁ, একটা ভাল উপায় পেয়েছে সে। সেলিম সাহেব সর্বদা চেয়ে এসেছেন, রবিউল যেন ভাল করে পড়াশোনা করে। সে ভাল কিছু করে দেখাতে পারলে সেলিম সাহেব খুবই তৃপ্ত হবেন। সম্ভবত রবিউল যাই চাইবে, তাই দেবেন। রবিউল কল্পনা আঁটল, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে বড় কিছু একটার আবদার করবে সেলিম সাহেবের কাছ থেকে।
সেই থেকে মন লাগিয়ে সে পড়াশোনা চালিয়ে গেল। একবার লক্ষ্য স্থির করলে, গন্তব্যে পৌঁছেই ছাড়বে, এরূপ ছেলে রবিউল।
সে এইচ.এস.সি পরীক্ষা চুকালো। পড়ালেখায় পূর্বে থেকেই তার নামডাক। তার ওপর দিন রাত এক করে পড়ায় সে সন্তুষ্টির ফলাফল এনেছে।
সেলিম সাহেব ছেলের ভাল ফলাফলে খুশিতে একাকার। অতঃপর সেই সুযোগটা এল যার জন্য রবিউল কতই না প্রতীক্ষা করেছে। সে তার বাবাকে বলে বসল, “আব্বা, আমি ভাল কোন জায়গায় পড়তে চাই। শহুরে খালাম্মার বাসায় গিয়ে পড়াশোনা চালালে কেমন হয়?”
সেলিম সাহেব স্থির ভঙ্গিতে তার দিকে একবার তাকালেন। ছেলে এখন বোঝদার হয়েছে। তার মতে দ্বিমত পোষণ করার কোন কারণ পাচ্ছেন না। তবু তাকে যেন নাগালে রাখতে চান। তিনি কোন জবাবই না দিয়ে স্ত্রীকে বুঝালেন, যেমন করেই হোক, রবিউলের মত পাল্টাতে। সে যেন শহরে যাবার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে।
তার মা এসে ছলছল চোখে একবার তাকালেন রবিউলের দিকে। তিনিও দেখে এসেছেন, বর্তমান যুগের সাপেক্ষে রবিউল অধিক পরিমাণে শাসিত হয়। কিন্তু সেলিম সাহেবও যে আপন স্থলে সঠিক!
শামীমা তবু তাকে একবার বোঝালেন। কিন্তু সে কিছুই বুঝতে চায় না। পরে তিনিও ভেবে দেখলেন, তাঁদের ছায়ার নিচে সে বড় হয়েছে। খারাপ কিছুতে সে সহজেই জড়াবে না। তাছাড়া সে আপনদের কাছেই তো থাকবে। তিনি এই কথা একবার সেলিম সাহেবের কাছে পেড়ে দেখলেন। অনেক জোরাজুরি শেষে তিনি রাজি হলেন।
রবিউল পাড়ি জমালো নতুন এবং স্বাধীন একটি জীবনের উদ্দেশ্যে। তার খালাতো ভাই জিসানও সবে তার সাথে পরীক্ষা দিয়ে শেষ করেছে। পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি নেবার এটাই ভাল সময়।
রবিউল পড়তে বসলে ছেলেটি তাকে ডেকে বাহিরে নিয়ে যেতে চায়। রবিউল পড়ায় মনোযোগ দেয়। গ্রামের বাড়িতে সে সন্ধ্যার পর যে বাসা থেকে বেরই হত না। সে সময়গুলো পড়াতে লাগিয়ে দিত। রবিউল বেশ কয়েকদিন নিষেধ করে গেল তাকে। এরপর তার একটু বিরতি নিতে মন চাইল। বাবার নিয়ম-কানুনের খোলস থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই সে এখানে এসেছিল। এই ভাবতেই রবিউল বেরিয়ে পড়তে শুরু করলো জিসানের সাথে। রাতে সে বন্ধুদের সাথে আড্ডা জমায়। রবিউলকে তার বন্ধুগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তার খালাম্মা বা খালাব্বা কোনকিছুতেই তাদের কিছু বলে না। রবিউল দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আগে কেন এল না এই জগতে? তার মত ছেলেরা কতই না স্বাধীন!
রবিউল ধীরে ধীরে পড়ালেখা থেকে বিরতি নিতে থাকে জিসানের বলায়। সে বলে, পড়ালেখার জন্য দুটো মাস সময় আছে। সবে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন নিজেকে নিয়ে ফুর্তি করার সময়।
রবিউলও ভেবে দেখল, কথাটা মন্দ নয়। তার কলেজ জীবনের সহপাঠীরা এরূপ পরিকল্পনা করেছিল। রবিউলের বাধা হয়ে দাঁড়াত তার মা-বাবারা। কিন্তু এখন এখানে কেউ দেখছে না।
চলতে থাকল রবিউলের দিনকাল। এরই মাঝে একদিন টের পেল জিসান তার গ্যাং এর সাথে মিলে সিগারেট পান করে। এই কথা গোপনভাবেই জেনেছিল। সে সরাসরি জিসানের কাছে প্রকাশ করায়, জিসান উল্টো বলল তাকে একবার স্বাদ নিয়ে দেখতে। রবিউল উৎসাহ জাগলো। কিন্তু ধোঁয়াটা সে সইতে পারছে না। তার ওপর হারাম কিছু পান করলে চল্লিশ দিন যাবৎ কোন ইবাদত কবুল হবে না। সে নিজেকে বুঝাল, মাদকে আসক্ত হওয়া খারাপ কাজ। প্রথমদিন হয়ত খারাপ লাগবে। পরে কখন এদের দলেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে টেরই পাবে না।
রবিউল নিজেকে সংযত রাখার জন্য দুয়েকদিন যাবৎ তাদের এড়িয়ে চলল। কিন্তু আজকাল সিগারেট কোন ছেলেই না পান করে! ভেবে সে আবার নিয়মিত তাদের সাথে থাকতে শুরু করল। আরেকদিন সে জানতে পেল, তারা লুকিয়ে নেশা করে। জিসানও এতে অন্তর্ভুক্ত জেনে রবিউল এসে নির্দ্বিধায় তার খালাকে সবই উগলে দিল। তার খালা জিসানকে এতও ছাড় দেননি যে, সে নেশা করলে আপত্তি হবে না। সেই নিয়ে জিসান আর তার পরিবারের মাঝে গোলযোগ বেঁধে গেল। জিসান দেখা গেল তার মায়ের ওপর হাত তুলতেও দ্বিধা করলো না। অথচ তার মা তার জন্য কতই না অর্থ ব্যয় করে।
পরিবেশ শান্ত হতে দিন কয়েক লেগে গেল। রবিউলের সাথে জিসানের কোন যোগাযোগ নেই। জিসান তাকে পাত্তা দেয় না বলে রবিউল একাই নিজের পড়াশোনা চালাতে লাগল। প্রয়োজনের ভেতরেই তার বাহিরে আসা-যাওয়া। এরই মাঝে সে খেয়াল করল খালাতো বোন মমতাজ, কলেজ ফাঁকি দিয়ে কোথায় যেন যায়। রবিউলের মনে সংশয় জাগলেও খালাকে জানানোর সাহস জুগাচ্ছে না। সে পর পর একই জিনিস প্রত্যক্ষ করে গেল। মমতাজ দুয়েকটি ছেলের সাথে প্রায় মিশে। এতদিন গ্রাম্য জীবন কাটায় রবিউল বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পারছে না। এমতাবস্থায় সে ভাবল, স্বয়ং মমতাজের সাথে গিয়ে কথা বলবে। যেদিনই সে সিদ্ধান্ত নিল, জানতে পেল, মমতাজ কলেজ থেকে ট্যুরে যাচ্ছে।
রবিউল দ্বিধায় পড়ে গেল কিছু জানাবে কিনা। তার কারণে আগেই অনেক গণ্ডগোল বেঁধেছে। সে এখানে স্বাধীনভাবে পড়াশোনা চলমান রাখতে চায়। কিন্তু জিসান কী মমতাজ, সবাই তার আপন। তারা যৌবনের লালসায় পরিজনের কাছ থেকে লুকিয়ে কীই না করে বসে! শেষে একই সিদ্ধান্তে আবার সে উপনীত হল। যাই হোক, মমতাজ তার বড় হলেও ছেলেগুলোর কথা একবার জিজ্ঞেস করে দেখবে। রবিউল তার পড়ায় মন বসাতে পারছিল না। কেবল এইসব কথাই তাকে ভাবাচ্ছে। সে অপেক্ষা করতে থাকল মমতাজের।
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়। তার বেশ অবাক লাগল, তারা গ্রামে থাকতেও এই ধরনের ট্যুরে গেছে। কিন্তু এত দেরিতে তো কখনো ফেরেনি। রবিউল একবার কী ভেবে বাহিরে গেল। ফাঁকা রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে ভাবছে, সে যেমনটা চেয়েছে তার কিছুই হচ্ছে না। বরঞ্চ এই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে জিসানের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভেঙেছে। এখনও দুটো মাস তো পেরোয়নি। এরই মাঝে শূন্যতা অনুভব করা কেমন অস্বাভাবিক ঠেকছে তার কাছে। পথিমধ্যে সে এক বড় ভাইকে দেখতে পেল মনে হয়। ভাল করে তাকিয়ে দেখল, মমতাজের ব্যাচের কাইছার ভাই। মসজিদে ছেলেটির সাথে রবিউলের প্রায় দেখা হয়। এই ছেলের ওইসব ট্যুরে যাওয়ার কথা নয়। কেননা এখানকার ট্যুরগুলো অত্যাধুনিক। ছেলে-মেয়েদের মাঝে বাধা-ব্যবধান থাকে না। সবাই মেলামেশা করে। রবিউলকে দেখে কাইছার নিজ থেকে কথা বলল।
“এত রাতে এখানে কী করছ? এশা এর নামাজ পড়েছ?”
“জি, পড়েছি, বাসায়।”
“ওহ, এখন সময় কাটছে না বুঝি?”
“তাই ধরে নিন।
আচ্ছা, মমতাজ আপুকে তো চেনেন, তারা কোথায় ট্যুর করতে গেছেন?”
“ট্যুর? কিসের ট্যুর?”
“ওই যে আপু সকালে গেল।”
“কোন ট্যুরের আয়োজন করা হয়নি আমাদের ব্যাচে।
শোন, জায়গাটায় তুমি নতুন। আরও কত না চমক দেখবে! তাদের দেখাদেখিই কিছু করে বসিয়ো না। নিজের অন্তরকে সবসময় সংযত রাখবা। নিজের চলায় মনোযোগ দাও। যাও, বাসায় চলে যাও। তার ফুর্তি শেষ হলে ফিরে আসবে। এর আগেও তার সম্বন্ধে অনেক কথা কানে এসেছে।”
কাইছারের কথা শুনে যেন রবিউলের মাথা খানিকটা ঘুরে উঠল। কী শুনছে সে! দুনিয়া এত কেমনে এগিয়ে গেল? বিয়ের আগে কীসব হচ্ছে এখানে? নিজের আপন খালাতো বোনও এসব জিনায় শামিল!
নাউজুবিল্লাহ্ পড়তে পড়তে সে বাসার দিকে ফিরে গেল। এর শহরে তার এখন দম ঘুটে আসছে। শ্বাস নিতে গিয়েও বারংবার ভাবছে, এই দূষিত বায়ুটা তার কোন ক্ষতি করবে না তো!
যৌবনের এত লালসা যুবক-যুবতীদের ওপর এত ভর করে তা তার জানা ছিল না। সে বাল্য বিবাহকেও সমর্থন করত না। কিন্তু এহেন সময় সে বিড়বিড় করতে লাগল, তোমাদের এই শহরে প্রতিটা ঘরে আমার পরিবারের মত লোক থাকা উচিত। প্রত্যেকের ঘরে একজন সেলিম উল্লাহ্ থাকা উচিত। তাঁরা সন্ধ্যা শেষে তোমাদের সৌন্দর্যকে ঘরেই ঝলকাতে দেবে, তোমাদের ন্যায়পরায়ণতা শেখানোর মাধ্যমে। তোমাদের শেখাবে, কেমনে নিজেকে সংযত রাখতে হয়। তাঁরা থাকলে তোমাদের মত মেয়েরা বাহিরে কয়েক পুরুষের সাথে মেলামেশা করার স্থলে সংসারে ব্যস্ত হওয়াতে বাধ্য করত। এই শহরে তোমরা অসহায়। অসহায় তোমরা, তোমাদের এমন কেউ নেই। আমি কত সৌভাগ্যবান। আমাকে এমন শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, তাঁদের কাছ থেকে দূরে এসেও নিজের নীতির বিসর্জন দিইনি। চাই না তোমাদের মত স্বাধীনতা, চাই না তোমাদের এই শহর।”
রবিউল রুমে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে কাপড় গোছানোতে লেগে পড়ল। তার খালা কিছুই আঁচ করতে পারলেন না। জিজ্ঞেস করলেন, “কী করছিস? ব্যাগ কেন গোছাচ্ছিস?”
“কাল গ্রামে চলে যাব।”
“ও কী? কেন?”
“এমনিই। এই জায়গাটা আর ভাল লাগছে না।”
“আমি তো শুনেছি তুই এখানে আসার জন্য লাফিয়েছিলি।”
“তা বটে। কারণ এই জায়গা সম্বন্ধে জানতাম না। মানুষগুলো সম্বন্ধেও জানতাম না।”
“কেন? মানুষে কী হয়েছে?”
“মানুষ আর যুগ দুটোই খারাপ হয়েছে। অত্যধিক কী আর বলব! আমি জিসান বা মমতাজ আপুর মত আর কারো মুখখানা দেখে নিজের নজর লুকিয়ে ফিরতে চাই না। আমার গ্রামেই বরং চলে যাই। সেখানে শালীনতার অভাব নেই।”
রবিউলের সাথে তিনি আর কোন কথা বললেন না। কেবল থমকে দাঁড়িয়ে রইলেন রবিউলের মুখে মমতাজ নাম শোনার পর থেকে।
(সমাপ্ত…)
জি-জ্বী*
এল-এলো*
নিত্য দৈনন্দিন শব্দ দু’টো একসাথে ব্যবহার করা যায়না।
গল্পটা পড়ে বলতে পারি যে খুব সুন্দর গুছিয়ে এনেও শেষটা ভাল ভাবে করতে পারেননি। রবিউলকে দিয়ে অন্তত জিসানের পরিবারে একটা সমাধান দিয়ে শেষ করতে পারতেন। তাতে শিক্ষণীয়ও কিছু থাকত বলে আমি মনে করি।যাই হোক,শুভ কামনা।
“খালাব্বা ” অদ্ভুত শব্দ। আর বানানে এবং পাশাপাশি শব্দের ব্যবহারের কিছু ভুল পূর্ববর্তী কমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ত্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে থিম ভালো ছিলো কিন্তু লেখার সুন্দর্য থিমের চাইতে নিম্ন মানের। তবে ভালো চেষ্টা ছিলো। শুভ কামনা♥
তাঁর→ তার (সম্মানীদের ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু হয়)
গল্পটা মোটামুটি ভালোই লেগেছে আমার কাছে। তবে উপস্থাপন আরেকটু ভালো হতে হত। আপনার লেখার হাত ভালোই বলা চলে। এভাবেই লিখতে থাকুন, ভবিষ্যতে ভালো লেখা উপহার দিতে পারবেন।
শুভ কামনা।
গল্পটা ভালো লেগেছে।
রবিউলের মতো অনেক ছেলে আছে শহরে পড়াশোনা করতে এসে খারাপ পথে চলে যায়।যার ফলে রেজাল্ট খারাপ হয়।
গ্রামের ছেলে গ্রামেই ভালো।
জিসান,মমতাজ পাপ কাজে লিপ্ত।একসময় বুঝবে।তবে কিছু করার থাকবে না।
রবিউলের বাবার মতো সব বাবার এমন শাসন দেওয়া উচিৎ।তবেই সন্তান খারাপ পথ থেকে বিরত থাকতে পারবে।
অবশেষে রবিউল ভালো কাজ করছে।
বানানে ভুল আছে
তার কাছে–তার কাছ থেকে
শহুরে-শহরে
এল-এলো
জি-জ্বী
এরূপ-এরুপ
খালাব্বা শব্দটা কখনো শুনি নাই।
শব্দটা মানায় নাই।
লেখকের জন্য শুভ কামনা।
থিম ভালো থাকলেও লেখার মান ভালো না। আরেকটু গুছিয়ে সুন্দর করে এন্ডিং দিলে ভালো হত।