হাফেজ আহমেদ রাশেদ
__________
আসসালামু আলাইকুম..
প্রিয় বোন কেমন আছো ?
আশা রাখি মাওলায়ে কারিমের
অশেষ অনুকম্পায় ভালো আছো।
আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ আমাকেও
ভালো রাখছেন সকলের দোয়ার বরকতে।
প্রিয় বোন,
আজ হৃদয়ে নিংড়ে পড়া দু’চার কথা তোমায় লিখছি। লেখাটি অন্তর চোখে দেখে পাঠ করে হৃদয়ে স্থান দিবে এই আশা রাখি! আজ আমি ক্লান্ত-শ্রান্ত। নারীত্ব বোধ, নারীকুলের মান মর্যাদা, শান-শওকত,এসব নিয়ে তাদের সুপথে চলার অজস্র দিকনির্দেশনা দিতে অনেক বলেছি, অনেক লিখেছি। অনেককেই বলতে লিখতে দেখেছি। কিন্ত সবই যেন পণ্ডশ্রম ছাড়া কিছুই নয়। তাই তোমাকে এই চিরকুট লিখার অভিপ্রায়,।তুমি নিজেকে খুবি সাচ্ছ্যন্দ বোধে আবরিত রাখছো পর্দার গহ্বরে,নিজেকে রাখছো সংযত, তুমিই একজন মর্যাদাপূর্ণ সতী নারী। গর্ববোধ করি আমি তোমায় নিয়ে তুমি আমার মুসলিম বোন।
তাই তোমাকেই লিখছি,
হে শ্রদ্ধেয়া,
তুমি নিশ্চয় দেখতেছো এ সমাজে কত নারী নিজেদের জীবন যাত্রা অবলীলাকর্মে চালিয়ে আগামী প্রজন্ম কে ঠেলে দিচ্ছে ধ্বংসের অগ্নিশিখায়।
প্রিয়বোন,
তুমি তোমার স্ব-জাতি বোনদের জানিয়ে দাও যে,লোকে অল্প দামে খেলনা খুঁজে কাজের বেলায় কিন্তু তা কিছুই নয়।
তাই তারা খেলনা হয়ে যেন নিজেদের করে না ক্ষয়।
গাছের কলা বিক্রি করতে ঢোল বাজাতে হয় না। খোসাহীন কলায় শুধু মাছিরা করে আনাগোনা। তুমি তাদের বাস্তব দেখিয়ে দাও। ওরা তোমার কথায় কর্ণপাত করবে আমার বিশ্বাস,তুমি ও যে একজন নারী।
হে বোন,
————
আমার এ চিঠি পাওয়া মাত্র কাল ক্ষেপণ না করে আহ্বান জানাও তোমার সেই বোনদের, যারা সংস্কৃতি নামের পাপিষ্ঠতার অপসংস্কৃতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নিজেরা হচ্ছে লম্পটের কুদৃষ্টিতে ধর্ষিতা,ধ্বংসের অতলে ডুবে যাওয়ার পূর্বে তুমি তাদের ডাঙ্গায় নিয়ে আসো,ধর্ষিতা বলায় তোমার কি খটকা লাগতেছে? প্রিয় বোন,
___ভুল কিছুই বলিনি। তুমি তাদের বুঝিয়ে দাও ওরা যখন তাদের রূপের বাহার দেখিয়ে অর্ধ-নগ্ন হয়ে রাস্তায় নেমেছে, ঠিক তখনি হয়েছে লম্পটের কুদৃষ্টিতে ধর্ষিতা।বেহায়াপনা অঙ্গ ভঙ্গীমায় যখন থেকে মেতেছে, তখনি হয়েছে লম্পটের ভাবনায় ধর্ষিতা। যদিও তারা এখনো নিজেকে পূত-পবিত্র মনে করে তা নিতান্তই ভুল এবং তাদের এহেন পরিস্থিতি বলে দেয় যে লম্পটের দৃষ্টিপট যখন ধাওয়া করবে তখন নিরাপত্তাবলয়েও শেষ রক্ষা হবে না। যার বহু নিদর্শন এখনো বিরাজমান। প্রিয়বোন সত্য কথা গুলো তেঁতো হলেও নিখাদ সত্য।তুমি তোমার বোনদের দেখিয়ে দাও কোরআন কী বলে,বুঝিয়ে দাও মহান স্বত্তা স্বর্গ দান করেছেন তাদের পদতলে,ইসলাম দিয়েছে তাদের সর্বোৎকৃষ্ট সম্মান। কিন্তু তারা যে তাদের মর্যাদাহানি করছে নিজ অপকর্মে।
ওরা রঙ্গিন চশমা পরে আছে, কারা তাদের সম্মানের নাম দেখিয়ে ভোগ আর ব্যবহার করছে,তা তারা অনুভব করতে পারছে না। কেমন সম্মানে ভূষিত? তারা বাজারের সল্প দরের পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীর নগ্ন রূপ। রাস্তাঘাট যেথায় সেথায় যেরূপ উলঙ্গ নারী টুপ। অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা ছাড়া কই আর কিছুই পায়নি তারা।
প্রিয়বোন,
________
অনেক বলার ছিলো সময় সল্পতায় লিখা সম্ভব হচ্ছে না। তুমি তাদের” দৈনিক সংবাদ পত্রের” দিকে ইন্দ্রিয় চোখ নয় অন্তর চোখে দেখতে বলো যে, কত শত নারী প্রতিনিয়ত তার নারী সত্ত্বা হারাচ্ছে। রাস্তার কুকুরের দল কিভাবে ছিঁড়ে খাচ্ছে তাদের,আবার কেউবা অপবিত্র কলঙ্ককর প্রেমময় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের সতিত্বকে পিষে মারছে।আর তাদের পাপিষ্ঠাতার কুফলে আজ শত সহস্র নবজাতকের রক্তমাখা দেহ ঐ নর্দমায় পড়ে আছে, শিয়াল কুকুরের খাবার হয়ে। এতো কিছুতেই কি তাদের গা শিউরে উঠে না ?
কম্পন সৃষ্টি হয় না তাদের অন্তরের গহীনে?
মননশীলতা কি একটু ও কাজ করে না তাদের মস্তিষ্কে?
আজকের মতো এইটুকু লিখলাম আগামীতে সময় হলে ইনশাল্লাহ আবার তোমায় লিখতে বসবো। আর হে এই পত্র পাওয়ার পর অনতিবিলম্বে তুমি তোমার দায়িত্ববোধে নেমে যেয়ো তোমার স্ব-জাতি বোনদের ধ্বংসের গহ্বর থেকে সুপথে নিয়ে আসার সাধনে।আর হে তোমার এ কাজে অনেকেই বাধা বিপত্তি করবে, অনেকেই খোশামোদ করবে তোমায় নিয়ে, তুমি তাতে ভ্রুক্ষেপ করো না।তোমারই প্রচেষ্টায় যদি একটি মাত্র বোনও কলঙ্ককর পাপিষ্ঠ জীবন থেকে ইসলামের সু-শীতল ছায়াতলে সচ্ছল জীবনাবৃতে আসে, তবেই পাবে তোমার প্রচেষ্টা আর তোমাকে আমার এ পত্র লিখার সার্থকতা।
পরিশেষে তোমার মঙ্গল কামনা করি ভালো থেকো সবাইকে নিয়ে সদা সর্বদা সর্বক্ষণ।
ইতি
তোমারি এক শুভাকাঙ্ক্ষী মুসলিম সহোদর,
“” হাফেজ আহমেদ রাশেদ
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
০ Comments