#লেখাঃ_মোহাম্মদ_বখতিয়ার_গালিব_বিজয়
ডিসেম্বরের শেষের দিকে হঠাৎ করেই ফুফাতো ভাই আকিব ভাইয়াকে কল দিয়ে বললাম,”ভাইয়া আসতেছি। এবার কোথায় যাবা ঠিক করো।”
মানুষ মাত্রই ভ্রমণপ্রিয়,এটা আমার ধারণা। আকিব ভাইয়া এবং আমি দুজনই ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। হাতে কিছু টাকা আসলে হয়তো বই কিনি কিংবা সময় সুযোগ ঠিকঠাক ভাবে মিললে ব্যাগপত্র গুছিয়ে দুজন বেরিয়ে পড়ি ঘুরে বেড়ানোর জন্য।
বিকেলেই আকিব ভাইয়াদের বাসায় গিয়ে উঠলাম। রাতেই সব পরিকল্পনা শেষ করে ঘুমাতে গেলাম। আমরা মূলত যে জায়গায় যাবো এই জায়গাটা উপভোগ করার সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো খুব সকালে কিংবা পড়ন্ত বিকেল থেকে সন্ধ্যার আগে পর্যন্ত। তাই আমাদের লক্ষ্য হলো বিকেল ৩ টার মধ্যে যাতে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতে পারি।
রাতে নেটে ঘাটাঘাটি করে আমাদের ভ্রমণস্থল সোনাগাজী সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিলাম।
গবেষক আবু হেনা আবদুল আউয়াল লিখেছেন,
“সোনাগাজী ভূঞা নামে এক লবণ ব্যবসায়ী উপকূলীয় অঞ্চলের লবণ ব্যবসার জন্য একটা বাজার স্থাপন করেন। এই বাজার তার নামে পরিচিতি অর্জন করে। এ বাজারকে কেন্দ্র করেই সোনাগাজী থানার পত্তন। ধারণা করা হয় সোনাগাজী ভূঞা ছিলেন বারো ভূঞাদের কোন এক ভূঞার উপবংশের বিশিষ্ট ব্যাক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “যদ্দুর জানা যায়, ফেনীর দক্ষিণে মুগল আমলের শেষ দিকে যুগিঁদিয়া ও আমিরগাঁও নামে দু’টি পুলিশি থানা স্থাপিত হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে থানা দু’টি অনত্র্য সরিয়ে ১৯৮৬ সালে একক ভাবে সোনাগাজী থানা নামকরণ করা হয়।”
বিশিষ্ট কবি ও ঐতিহ্য গবেষক এরশাদ মজুমদার তার একটি বাড়ি একটি ইতিহাস প্রবন্ধে বিভিন্ন দলিল, দস্তাবেজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য পর্যালোচনা করে ফেনীর দক্ষিণে সোনাগাজী উপজেলার আহমদপুর গ্রামের আমির উদ্দিন মুন্সী বাড়ির অধিবাসীগণ সোনাগাজী ভূঞার পুর্বপুরুষ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
*******
সকালে নাস্তা করে আকিব ভাইয়া সহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র গুছিয়ে বাস স্টেশনে যেতে যেতে দশটা বেজে গেল। সাড়ে দশটায় ফেনীর লালপোল থেকে একটা পাবলিক বাসে উঠে পড়লাম। পাবলিক বাসে টাকা কম খরচ হবে বলেই উঠলাম। আর আমাদের মতো বেকারদের,যারা তখনো বাবার টাকার উপর ভরসা করে চলতাম, তাদের জন্য ভাঙ্গাচোরা পাবলিক বাসে বসে কোথাও যাওয়ার একটা আলাদা মজা আছে।
জোরারগঞ্জ গিয়ে বাস থেকে নেমে পড়লাম। এই এলাকায় এবারই প্রথম এলাম বলে আমি কিছুই চিনতে পারছি না। আকিব ভাইয়া কয়েকবার এসেছে বলে তিনিই একমাত্র ভরসা। রাস্তা পার হয়ে ওপারে গেলাম,তারপর একটা মোড় ঘুরলাম।
মোড় ঘুরতেই চমকে উঠলাম,আরে এ,যে চট্টগ্রাম টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়! বিশাল ক্যাম্পাস! ভিতরে ঢুকার অনুমতি নেই বলে বাউন্ডারীর বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। শুনেছিলাম দেশের প্রথম টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এটি। সামনাসামনি দেখার আবেগটা তাই একটু বেশিই ছিলো।
সময় তখন দুপুর বারো’টা। আর দেরী না করে আবার একটা সিএনজিতে করে চলে আসলাম সোনাগাজী উপজেলা সদরে।
সোনাগাজীর দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এখানেই রয়েছে ইরি বোরো ধানের উপর গবেষণার জন্য একমাত্র প্রতিষ্ঠান ‘সোনাগাজী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’। এখানে কর্মরত আছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ। সোনাগাজী বাজার সংলগ্ন স্থানে রয়েছে হাঁস নিয়ে দেশের একমাত্র গবেষণাগার ‘আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার’। পাশেই রয়েছে ভেড়ার লোম দিয়ে তৈরী উন্নত ধরণের কার্পেট বুনন শিল্প।
সদর থানার শর্শদি গ্রামে পূর্ববঙ্গের স্বাধীন সুলতান ফখরুদ্দিন মুবারক শাহে্র দ্বিতীয় রাজধানী ছিলো। সে সময়কার কিছু কিছু নিদর্শন আজও নাকি বিদ্যমান। শর্শদিতে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহে্র প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও হাম্মাম খানাও আছে। এটা শুনলাম আকিব ভাইয়ার কাছে।
কিন্তু এসব কিছু ঘুরে ঘুরে দেখতে হলে পুরো দুই দিন সময় লাগবে। তাছাড়া আমরা এতোসব কিছু ঘুরে দেখার উদ্দেশ্যে আসিওনি। জানতামও না,এতো কিছু।এখানে এসেই দেখলাম।
অন্য একসময় আসবো; এসে ঘুরে দেখবো বলে মনকে শান্তনা দিলাম।
আমাদের উদ্দ্যেশ্য মুহুরী প্রজেক্ট। তাই সোনাগাজীতে একটা রেস্টুরেন্টে কিছু খেয়ে আবার সিএনজিতে করে চলে গেলাম বাদামতলী।
সিএনজি থেকে নেমেই দেখলাম,দূরে তিন পাখাওয়ালা একটা ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়লো, এটা বায়ুকল।
বাদামতলী থেকে রিক্সা অথবা সিএনজি করে মূল প্রজেক্টের কাছে যাওয়া যায়। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম হেঁটেই রওয়ানা দিবো।
আকিব ভাইয়া আর আমি কথা বলতে বলতে এগোতে থাকলাম। রাস্তার দু’পাশে ষড়ভূজাকার ব্লক বসানো। তার ফাঁকে ফাঁকে ঘাস উঠেছে। রাস্তাটা সমতল থেকে ১০-১৫ ফুট উঁচু। রাস্তায় তেমন যানবাহন নেই। মাঝে মাঝে স্থানীয়দের গরু, ছাগল নিয়ে এদিক ওদিক যেতে দেখলাম। মাঝে মাঝে দু’একটা সিএনজি
আসছে-যাচ্ছে। প্রচন্ড রোদ,সাথে প্রচন্ড বাতাস। সবমিলিয়ে চমৎকার একটা মনধাঁধানো পরিবেশ!
রাস্তার দুপাশে অনেকগুলো বাঁধ দেওয়া পুকুর,আর হ্যাচারী দেখতে পেলাম। এখানকার মৎস খামার গুলোও দেখার মতো। রাস্তার দু’পাশে মাইলের পর মাইল চর জমেছে। ভূ-স্বামীরা সেগুলো দখল করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে একেকটা অংশ।
প্রায় ২-৩ কিলোমিটার হাঁটার পরও মনে হলো,বায়ুকলগুলো আরেকটু সামনে। আরেকটু হাঁটলাম। মনে হলো আবারও একই দূরত্ব। এবারে খানিকটা বিরক্ত হয়ে একটা সিএনজিতে চড়ে বসলাম। দুজনের পাঁচ করে দশটাকা ভাড়া দিয়ে প্রজেক্টের একদম সামনে চলে গেলাম।
বিশাল বড় স্লুইস গেটটা দেখে অন্যরকম একটা অনুভূতিতে ভরে উঠলো মন। তবে পানির তেষ্টা পেয়েছে ভীষণ। একটা দোকানে ঢুকে পানি খেয়ে নিলাম। তারপর স্লুইস গেটের উপরে উঠলাম। প্রচন্ড বাতাস! যেন উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯৮৭ সালে নির্মিত মুহুরী সেচ প্রকল্পের ৪০ গেট বিশিষ্ট রেগুলেটর ও ক্লোজার ড্যাম(স্লুইস গেট) দেখতে সত্যিই আকর্ষণীয়।
ফেনী নদী, মুহুরী নদী, কালিদাস, পাহালিয়া, সম্মিলিত প্রবাহকে আড়ি বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে, ৪০ গেট বিশিষ্ট একটি কাঠামো তৈরী করে ফেনী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, সোনাগাজী, ফুলগাজী এবং চট্টগ্রাম এর মিরসরাই উপজেলার কিয়দংশ এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমানো ও আমন মৌসুমে অতিরিক্ত সেচ সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল মুহুরী সেচ প্রকল্প। সিডা, ইইসি, বিশ্বব্যাংক এর সহায়তায় জাপানের সিমুজু কোম্পানি ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেচ প্রকল্প নির্মান করেন। এটি দেশের বৃহত্তম মুহুরী সেচ প্রকল্প।
নদীতে নৌকার সারি, মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণের দৃশ্য ভ্রমণপিয়াসী মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো।
ঘুরে ঘুরে দেখলাম পুরোটা। এখানে ওখানে দাঁড়িয়ে,বসে ছবি তুলতে থাকলাম।
মুহুরী সেচ প্রকল্পকে ঘিরে গত আড়াই দশকে গড়ে উঠেচে বিনোদন পিকনিক স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুহুরী রেগুলেটরের চারপাশে বাঁধ দিয়ে ঘেরা জলরাশি, মাছের অভয়ারণ্য, পাখির কলকাকলি, বাঁধের দু’পাশে নিচ থেকে পাথর দিয়ে বাঁধানো এবং উপরে পরিপাটি দূর্বাঘাসের সবুজ সজীব বিছানা।
এছাড়া নদীর পাড়ে সবুজ বনানী ঘেরা মায়াবী পরিবেশ,শীতকালে অতিথী পাখির আগমন এবং তাদের কলকাকলী যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শীতকালে গিয়েছিলাম বলেই অতিথী পাখির দেখা আমিও পেয়েছি।
বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এই এলাকায় চিত্তাকর্ষক নৈসর্গিক শোভা আর মনোমুগ্ধকর অসংখ্য দৃশ্য বিদ্যমান। প্রতিবছর শীত মৌসুমে দেশী-বিদেশী অসংখ্য পর্যটক এবং পিকনিক পার্টির আগমন ঘটে এখানে।
ঘুরতে ঘুরতে স্লুইস গেটের ওইপাশের নিচু জমিটাতে নেমে পড়লাম। দেশের একমাত্র বায়ুকল ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় অবস্থিত। একদম সরাসরিই দেখলাম। বায়ুকলের পাশেই ভেড়ার বিশাল খামার। দেখতে মনে হয় যেন,ছাগলকে কম্বল পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘুরতে ঘুরতে স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে কথা বললাম। তারপর পিকনিক স্পটের পাশেই একটা টং দোকানে ঢুকলাম আমি আর আকিব ভাইয়া। টং দোকানে চা খাওয়ার অনুভূতিটাও একটু বিচিত্র রকমের। সর্বোচ্চ পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করা বিদেশীরা, তাদেরই একজন বিদেশী ভদ্রলোককে দেখলাম ভাঙ্গাচোরা টং দোকানটাতে বসে নির্বিকারভাবে চা খাচ্ছেন। তার গলায় একটা ক্যামেরা ঝুলে আছে। থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, ফুল হাতা স্লিভলেস গেঞ্জি পরা।
আকিব ভাইয়া তখন অনার্স ১ম বর্ষে পড়তো,ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে। চা খেতে খেতে বিদেশি ভদ্রলোকের সাথে তিনি একরকম আড্ডাই জমিয়ে দিলেন। আমি কিছু কিছু বুঝলেও পুরোপুরি বুঝতে পারলাম না।
চা খেয়ে যখন বেরিয়ে এলাম তখন সন্ধ্যা নামবে নামবে করছে। আমার আরও একটু থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আকিব ভাইয়া বলল,সন্ধ্যার পর নাকি এখানেই হাইজ্যাক,ডাকাতি এসব হয়। এমনভাবে বলল,আমি খানিকটা ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে ওনার মুখের ভাব দেখে বুঝলাম,উনি মোটেও মজা করছেন না।
সোনাগাজী ও চট্টগ্রাম এর সাথে দ্বিমুখী সড়ক যোগাযোগ, ভৌগোলিক অবস্থান, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ; সবকিছু মিলিয়ে দারুণ একটা দর্শনীয় স্থান সোনাগাজী,মুহুরী প্রজেক্ট।
কিন্তু এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি রেস্ট হাউস ছাড়া থাকার আর কোনো
সু-ব্যবস্থা নেই। এতে দর্শনার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়। বিদেশী পর্যটকরা উপজেলা সদরের ডাকবাংলোয় থাকেন। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ নেই।
মন খারাপ হলেও আরো কিছু ছবি তুলে নিয়ে আবারও একটা সিএনজিতে চড়ে বসলাম। এবার যে আমাদের ফিরে যেতে হবে। সোনাগাজী,মুহুরী প্রজেক্টকে বিদায় জানিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম।
#তথ্যসুত্রঃ পরিবর্তন.কম
চমৎকার লিখেছেন।
বর্ণনাভঙ্গি ভালো ছিলো।দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সোনাগাজি সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
বানানেও তেমন ভুল নেই
শান্তনা–সান্ত্বনা
উঠেচে–উঠেছে
শুভ কামনা রইলো।
হুম
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ সবাইকে
ধন্যবাদ আপু
নতুন জায়গা সম্পর্কে জানলাম, ভ্রমণের সুন্দর বর্ণনাশৈলী ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু
সোনাগাজী একবার যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু একটা ঝামেলার কারণে যেতে পারিনি। এটা পড়ে জানলাম জায়গাটা সম্পর্কে।
ব্যাক্তি-ব্যক্তি
যদ্দুর-যতদূর
এতোসব-এতসব
তেষ্টা- তৃষ্ণা
ওনার-উনার
আরে বাবা এইখানে দেখছি তথ্য আর তথ্য। যাইহোক অনেক ভালো ছিল । সেখানে কখনো যাওয়া হয়নি, তাই জানিও না এইসব বিষয়, তবে পড়ে অনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল
আসসালামু আলাইকুম। ভ্রমণ কাহিনী সম্পর্কে কিছু কথা :
ভ্রমণ কাহিনীটা পড়ে সোনাগাজী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। বেশ সুন্দরভাবে সোনাগাজীর বর্ণনা তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে পড়ে। তবে কিছু কিছু ভুল রয়েছে যা না থাকলে আরও সুন্দর হতে পারতো। নিচে ভুলগুলো লক্ষণীয় :
ভ্রমণপ্রিয় – ভ্রমণ প্রিয়
দুজন – দু’জন
কোন – কোনো
ব্যাক্তি – ব্যক্তি
অনত্র্য – অনত্র
ঢুকার – ঢোকার (বেশি ভালো লাগতো)
ধরণের – ধরনের
সবমিলিয়ে – সব মিলিয়ে
মনধাঁধানো – মন ধাঁধানো
দুপাশে – দু’পাশে
খামার গুলোও – খামারগুলোও
দশটাকা – দশ টাকা
উঠচে – উঠছে
অতিথী – অতিথি
মুগল – মোগল (মে বি)
যতি চিহ্নের পর স্পেস দিয়ে পরের শব্দ লিখতে হয়। কিন্তু তা করা হয়নি। আগামীতে খেয়াল রেখে লিখবেন আশা করি।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
সোনাগাজী নামটা এই প্রথম শুনলাম। আপনার বর্ণনাভঙ্গিও দারুন। সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। ছোট একটা ইতিহাস ও জানা হলো। হয়তবা কোন একদিন চলে যাবো ঘুরতে।
তবে শেষে যে কথাটা বললেন, ৬ কক্ষ বিশিষ্ট রুম ছাড়া আর সু ব্যবস্থা নাই। এটা আমাদের দেশের অধিকাংশ পর্যটন এলাকার একই অবস্থা। রাস্তাঘাট নাই, থাকার ব্যবস্থা নাই। এই সমস্যা গুলোর কারণে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র অচেনা রয়ে গেছে, কাউ না যাওয়ার কারনে।
ধন্যবাদ সবাইকে
Thank you all