-মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম
.
বউটা বাপের বাড়ি গেছে
যেতে চাইনি আমিই জোর করে পাঠিয়েছি,
ওর মামাতো ভাইয়ের বিয়ে,
এদিকে জ্বরটাও হঠাৎ করে বাড়ছে..।
মাথায় পানি দিতে হবে,
একা তো উটতেই পারছিনা..
অবশ্য নীলা থাকলেও আমাকে একাই পানি দিতে হতো,
প্রেম এর বিয়ে হলে যা হয় আর কি…!
পাঁচ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলাম,
এখোনো আমার বাড়ি থেকে কেউ মেনে নেয়নি..!
নীলার বাড়ি থেকে যদিও মেনে নিছে,
তবে প্রেম এর বিয়ে যে বেশিরভাগ সুখ হয় না তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি..
আমি যদি একটা বলি তা হলে আমাকে ১০ টা বলে,
আম্মু না করছিলো প্রেম করে বিয়ে করতে তবুও গাওরামী করে করছিলাম..।
এখন মজা বুঝতেছি,
প্রেম এর মরা যে জলে ডুবে না এটাও টের পাচ্ছি,
একটা কিছু এনে দিতে বললে যদি বলি এখন টাকা নাই, পরে এনে দিবো..!
তাহলেই ঝাড়ি দিয়ে বলবে প্রেম করার সময় তো বলতা আকাশের চাঁদ এনে দিবা
এখন এসব পারবানা কেন..!
সবসময় ঝগড়া লেগেই থাকে
অথচ সংসারে কোন কিছুর অভাব নাই..!
আসল কথা কি জানেন.?
মা-বাবার মনে কষ্ট দিয়ে কখোনো সুখি হওয়া যায় না..!
যা আজ খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি..!
নীলার ভাই-বোনের জন্য এটা কিনবে সেটা কিনবে আর আমার ভাই-বোনের জন্য কিছু কিনলেই যত সমস্যা..
এতো শাড়ি কাপড় রেখেও তারপরও প্রতি মাসে তার মার্কেট করতে হবে…!
একদিন ঝগড়া ঝগড়ায় বলেই ফেলছিলাম দেখো তোমার এই সীমাহীন চাহিদা পূরন করা আমার সম্ভব না..।
যার ১২ টা শাড়ি তোলা থাকতে আবার শাড়ি কিনতে চায় সেতো আমার সংসার করতে আসেনি আমার গলায় ছুরি দিতে এসেছে..।
দেখো তুমি যদি এমনি থাকো তবে তোমার রাস্তা তুমি দেখো
আমার রাস্তা আমি…..
আমি এমনিতেই মা-বাবা, ভাই-বোনকে ছাড়া ভালো নেই,
তাছাড়া তার উপর তোমার এই অত্যাচার আর ভালো লাগে না…!
আচ্ছা আমি অত্যাচার করি যখন চলে যাচ্ছি,
হ্যালো নিলয়.?
আমার স্বামী আমাকে বাসা থেকে বের করে দিছে,
তুমি আমাকে এসে নিয়ে যাও..!
ফোনের আলাপ শুনে যে আমি আকাশ থেকে পড়লাম
বুঝতে পারলাম বিয়ের পরেও কারো সাথে সম্পর্ক ছিলো..!
তাহলে আমার সাথে প্রেম বিয়ে এগুলা টাইমপাস ছিলো..?
ও ওর ব্যাগ গোছাচ্ছে,
আর বলতেছে তোমার টাকার সব জিনিষ রেখে গেলাম
এগুলা নিলয় আমাকে কিনে দিছিলো..!
এগুলাই নিলাম,
আমি যেন মূর্তি হয়ে গেছি না নড়তে পারছি, না কিছু বলতে পারছি
হঠাৎ নিলয় এর ফোন হ্যালো নীলা আমি নিচে,
দাড়াও বাবু আমি আসছি,
যাওয়ার সময় বলে গেলো ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিও..!
হনহন করে ব্যাগটা নিয়ে চলে গেলো….
মূর্হতের মধ্যে কি হয়ে গেলো কিছুই বুঝতে পারলাম না..!
তবে এটা বুঝতে পারলাম একটা চরিত্রহীন নারীর সঙ্গে আমি এতোদিন সংসার করেছি…!
কেন জানি বেইমানটার জন্য একটু চোখের জলও জড়লো না
.
ভাবছি আম্মু-আব্বুর কাছে চলে যাবো,
গিয়ে পায়ে ধরে মাফ চাইবো,
মা-বাবা তো মাফ না দিয়ে যাবে কই…!
কালকে ডিভোর্স লেটারটা পাঠিয়ে দিবো..!
আর পিকআপ এসে জিনিষগুলা বাড়ি রেখে আসবো,
অফিস থেকে কয়েকদিনের ছুটিও নিবো..!
আম্মুকে অনেকদিন পর ফোন দিলাম,
সব শুনার পরে আম্মু বললো চলে আয় বাবা
আমার বাবার চাদ মুখটা কবে থেকে দেখি না..!
তোর পছন্দের মুরগির গোস্ত বোনা আর তেলাপিয়া মাছ ভাজি করবো…!
এতো ভালোবাসা রেখে কই যে হারিয়ে গেছিলাম,
তাই আমি বলি যত পারুন মা-বাবাকে ভালোবাসুন,
কারন, এই দুটি সম্পদ হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবেন না..!
.
-সমাপ্ত
মা
ইশু মণি বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে তাসবিহ্ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ায় অনবরত শব্দ হচ্ছে, বাসার সাথে লাগানো পেয়ারা গাছটার বিশাল বড় ডালপালা গুলো চালের উপর চলে এসেছে বারবার সেগুলো বারি খাচ্ছে যার কারণে শব্দ...
গল্পের থিম অত্যন্ত সুন্দর এবং গল্পের বর্ণনাও সুন্দর।তবে খুবই কাঁচা হাতের লেখা মনে হচ্ছে, আরো যত্ন নিয়ে লিখলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।বাবা মা এ পৃথিবীর সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ যা একবার হারালে আর কখনোই ফিরে পাওয়া যায় না,তাই যতক্ষণ এই সম্পদ কাছে থাকে তার মূল্য দেয়া উচিৎ। কোনভাবেই তাঁদের কষ্ট দেয়া উচিৎ না। খুব সুন্দর লিখেছেন, তবে বানানে প্রচুর ভুল।
চাইনি- চায়নি।
উটতেই- উঠতেই।
এখোনো- এখনো।
নিছে- নিয়েছে।
করছিলো- করেছিল।
গাওরামী- ঘাউড়ামি।
কখোনো- কখনো।
সুখি- সুখী।
পূরন- পূরণ।
চাদ- চাঁদ।
বোনা- ভূনা।
শুভ কামনা রইল।
উটতেই – উঠতেই
এখোনো – এখনো
হাড়ে – হাঁড়ে
জলও জড়লো না – ঝরলো না
চাদ – চাঁদ
দুটি – দু’টি
সুন্দর থিম। আরো ভালো লেখা আশা করছি।
শুভ কামনা রইল ভবিষ্যতের জন্য।
থিমটা ভালো ছিলো।
কিন্তু বেশ কাঁচা হাতের লিখা মনে হলো।
অনেক বানান ভূল, বিরামচিহ্নের অনুপস্থিতি, আপনার গল্পের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে ।
পরামর্শ রইল,পরের বার প্রতিযোগীতায় গল্প প্রেরণের আগে, নিজের গল্প নিজেই একবার যাচাই করবেন।
এতে সংশোধনীর সুযোগ থাকে।
নাম নির্বাচনে আরো সতর্ক থাকবেন।
শুভকামনা রইল।????