প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিপর্যয়
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
লেখকঃ vickycherry05

 1,553 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05
২৬/০৪/১৭ইং
এম এম মুন
আদিম অজ্ঞতার অন্ধকার সমাজের অন্ধকারের ঘোর উপেক্ষা করিয়া,জাতি ক্রমে ক্রমে উন্নয়নের পরশ বুলাইয়া সমাজকে করিয়াছে আধুনিক ও আলোকময়। জাতির বহু সাধনার ফল হিসাবে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন ঢের আধুনিকতার পরখ করিতে পারিতেছি। সবমিলিয়ে এটা বলিতে পারিতেছি যে শিক্ষা-দীক্ষায়,আচার-ব্যবহারে,জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও কলা-কৌশলে একবিংশ শতাব্দীতে আসিয়া আমরা ঢের আধুনিক ও বুদ্ধিমান জাতি। ঠিক এমনই সময়ে,জাতি তাহাদের ভালো-খারাপের সকল দিকগুলি সুস্পষ্ট বুঝিতে পারিয়াও স্বজ্ঞানে আবার আদিম অজ্ঞতার অন্ধকারকে কাছে ডাকিয়া আকড়াইয়া ধরিয়া বাঁচিবার জন্য তৎপর হইয়া উঠিতেছে,এমনটাই বোধহয় পরখ করিতে পারিতেছি। আদিম অজ্ঞতার অন্ধকারকে কাছে ডাকিয়া আকড়াইয়া ধরিয়া বাঁচিবার জন্য তৎপর,এই কথার কেন্দ্রবিন্দুতে দন্ডায়মান রহিয়াছে বর্তমান সময়ের আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-ব্যাবস্থার বিপর্যয় বিষয়ক কিছু কথা। আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে জাতি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লইয়া ইতোমধ্যে একখানা মঞ্চনাট্য তৈরি করিয়া বসিয়াছেন এবং অবিরত যে যাহার খুশি মত অভিনয় করিয়া চলিতেছে সেই নাট্য মঞ্চেখানায়। বিশেষ করিয়া এই নাট্য মঞ্চখানায় গ্রামাঞ্চলের হাজার-হাজার অভিনেতা-অভিনেত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়া যাইতেছে। নাটকের পরিসর ক্রমে ক্রমেই ব্যাপক আকার ধারন করিতেছে এবং বেশ সাড়াও পাওয়া যাইতেছে। নাটকের অভিনয়কারীদের নানান রঙ-বেরঙ্গের অভিনয় দেখিয়া পারিবারিক দর্শকবৃন্দ যে কতখানি তৃপ্তি পাইতেছে তাহা আমার মত অধমের অনুমান করিবার মত কোন সাধ্যি নাই, হয়তো কোনদিন সাধ্যি হইবে কিনা এই বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রহিয়াছে। বর্তমান সময়ে, গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকগনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যাপারে অজ্ঞতার হার খুবই সীমিত এবং সমাজে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা যে অপরিহার্য এই বিষয়েও তাহারা যথেষ্ট জ্ঞাত রহিয়াছেন বিগতদিনের তুলনায়।তাই গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৯৫ শতাংশ শিশুরা বর্তমান সময়ে স্কুলমুখী, আর শিক্ষার ব্যাপারে সমাজের এমন উন্নয়ন,অগ্রগতি ও সচেতনতা সম্ভবপর হইয়াছে সরকারী বিভিন্ন সহযোগীতা ও অভিভাবকগনের পর্যাপ্ত আগ্রহ থাকিবার জন্যই। কিন্তু সকল সহযোগীতাই যেন আজ অব-মূল্যায়িত আর আগ্রহ যেন আধারের দিকেই কেবল ধাবিত হইবার উপক্রম। স্কুলে যাইবার মত বয়স হইলেই অভিভাবকগন বহুত উৎফুল্লভাবেই ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাইয়া থাকেন এবং ছেল এবং ছেলেমেয়েদের ভালো লেখাপড়া করাইবার জন্য তাহারা বই-পুস্তক লইয়া দিন কয়েক বেশ লাফালাফিও করিয়া থাকেন।
যখন পাঠ্য বইয়ের দু-চারখানা ছড়া-কবিতা ছেলেমেয়েরা কন্ঠস্থ,মুখস্থ ও ঠোটস্থ করিয়া কন্ঠে, মুখে, ঠোটে ফুটাইয়া তোলে, ঠিক তখনই অভিভাবকগন মনে মনে ভাবিতে থাকেন পড়ালেখায় আমার সন্তানের ঢের ভালো মাথা রহিয়াছে।ভালো মাথা থাকিবার সুবাদে অভিভাবকগন দিন-কয়েক এর মধ্যেই ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ঘরোয়া পরিচর্যা হইতে ক্রমে ক্রমে নিস্তেজ হইয়া পড়েন এবং একটা পর্যায়ে আসিয়া অবসরকে চির-বরন করিয়া লন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় মূলত: ঘরোয়া পরিচর্যার গুরুত্ব অপরিসীম,যাহা হইতে শিশু বয়সেই শিশুরা চরম বঞ্চিত হইয়া থাকে, আর এই বঞ্চিত হওয়া হইতেই শিশুদের শিক্ষাজীবনের গলদ শুরু হইয়া থাকে। কিন্তু ছেলেমেয়েদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাইবার ব্যাপারে অভিভাবকগনের তেজ যাহা রহিয়াছে,তাহা একেবারে কমও নয় বটে। আবার অনেক সময় দেখিতে পাওয়া যায় যে অভিভাবকগন নানা অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করা সত্বেও ছেলেমেয়েদের জন্য অন্যের দেখাদেখি দু-চারখানা প্রাইভেট পড়া ঠিক করিয়া দিয়া যথাসাধ্য খরচ বহন করিতে থাকেন। প্রাইভেট পড়া হইতে ছেলেমেয়েরা কি অর্জন করিতেছে, প্রাইভেট পড়া ছেলেমেয়েদেরকে কি দিতেছে এ বিষয়ে অভিভাবকগনের খোজ-খবর রাখিবার ইচ্ছে একেবারেই যেন হুশহীন। তাহারা ভাবিয়া থাকেন যে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাইবার জন্য নিয়মিত খরচ বহন করিলে, প্রাইভেট পড়া ও স্কুলে পাঠাইলেই তাহাদের সমস্ত দায়িত্ব-কর্তব্যর অবসান হইয়া থাকে। তাহারা এ ও ভাবিয়া থাকেন যে নিয়মিত শ্রেণি বদল করিয়া ও কোন রকম পাশ করিয়া কয়েকখানা সনদপত্র জোগাড় করিতে পারিলেই সে বিদ্যান হইয়া থাকে,কিন্তু পাশ করিলেই যে বিদ্যান হওয়া যায় না এমনটা তাহারা মানতেই নারাজ। এহেন পরিস্থিতিতে এটা বলিতে পারিতেছি যে “কড়াইতে তৈল রাখিয়া, চুলা সাজাইয়া, আগুনের ব্যবহার না করিয়াই ফসফস শব্দ শুনিবার আশে মন আগ্রহ ভরে ধীর অপেক্ষা করিতেছে।” অনেক অভিভাবকগন আবার স্ব-ইচ্ছায়ই মেয়েদেরকে নামমাত্র লেখাপড়া করাইবার জন্য স্কুলমুখী করিয়া থাকেন। কোন মতে শ্রেণী বদল করিয়া মোটামুটি একখানা সনদপত্র জোগাড় করিবার আশে। কারন,ঐ সনদপত্র নামক কাগজখানার দোহাই দিয়া ভালো ঘরের কোন পাত্রে সহিত নিজেদের কন্যার সমন্ধ ঘটাইবার ফন্দি আটার কৌশলমাত্র।ছেলেদের ক্ষেত্রেও নানান অদ্ভুত উদ্দেশ্য মনে সঞ্চার করিয়া অভিভাবকগন প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুদেরকেই নামমাত্র স্কুলমুখী করিয়া থাকেন।
অন্যদিকে,শিক্ষক-শিক্ষিকাগনও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশের হার বাড়াইবার জন্য ব্যাকুল প্রায়। ইহার কারন হইলো ৮০% ছাত্রছাত্রী পাশ করাইতেই হইবে অন্যথায়,শিক্ষক-শিক্ষিকাগনের জবাবদিহি করিতে হইবে উপরওয়ালাদের নিকট।অথচ,বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন পাঠদানে রহিয়াছে যথেষ্ট গোড়ামি। পরীক্ষার সময়ে দেখিতে পারা যায় যে, ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্নপত্রের, প্রশ্নগুলোর সাথে পরীক্ষার হলে বসিয়াই প্রথম পরিচিত হইতেছে। ইহার কারন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের পাঠদানে বৈষম্য যাহা হইতে পাঠগ্রহণ হয় অপর্যাপ্ত এবং বাড়িতে পড়ালেখায় যথেষ্ট অমনোযোগ ও অভিভাবদের চরম বেখেয়াল। প্রাথমিক পর্যায়ের কেন্দ্র পরীক্ষায় দেখিতে পারা যে শিক্ষকদের নকলের মৌখিক সহযোগীতা, ফটোকপি করা নকলপত্র ও উত্তরপত্রে উচ্চ নম্বর দান করিয়া কম হইলেও ৩.০০ গ্রেডে পাশ করাইয়া ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক স্তরে পাঠাইবার লক্ষ্য থাকে এবং সে লক্ষ্য যথেষ্ট পূরনও হইয়া থাকে। এমন করিয়া কিশোর জীবন হইতেই ভন্ডামি করিবার সুযোগ পাইয়া, ভন্ডামির একটা চরম অভিজ্ঞতা লইয়া আগামীর দিকে অগ্রসর হইতে থাকে জাতির কঁচিকাঁচা আগামী। প্রবাদ আছে,”কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ,পাকলে করে ঠাস ঠাস।” ঠিক তেমনই ঠাস ঠাস শব্দের হাতছানি যেন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বর্তমানে বিরাজমান বোধহয় তাহাই সুস্পষ্ট লক্ষ্য করিতে পারা যাইতেছে। তাহারা ক্রমে ক্রমে বড় হইতে থাকে,সাথে সাথে ভন্ডামির মাত্রাও প্রবল হইতে থাকে এবং সময় সুযোগমত প্রয়োগ করিয়া করিয়া মেট্রিক ক্লাসে আসিয়া উপস্থিত হইয়া থাকে। এখান হইতেও শিক্ষকদের ভন্ডামি ও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যক্তিগত চরম ভন্ডামির যথাযথ প্রয়োগ করিয়া কম হইলেও আবারো ৩.০০ গ্রেডে পাশ করিয়া উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রজীবন শুরু করিয়া থাকে। চরম ভন্ডামির অভিজ্ঞতা থাকিবার সুবাদে এবং শিক্ষকদের সহযোগীতায় বা তাহাদের অমান্য করিয়া জোর-জুলুমে একদিন শূন্য জ্ঞান লইয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করিয়া কর্ম জীবনে পদার্পণ করিয়া থাকে। এদের মধ্যে হইতেই একদিন দেখিতে পারা যাইবে যে অনেকেই ক্ষমতা বা টাকার জোরে শিক্ষক রুপে কোন শ্রেণিকক্ষে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর হিসাবে উদিত হইবে। তাহারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কতটা শিক্ষা দিতে পারিবে! কি শিক্ষা দিবে! কেমন করিয়া জাতির ভবিষ্যৎ গড়িবে! আজ এহেন পরিস্থিতিতে এই প্রশ্ন যেন বারবারই জাগিয়া ওঠে মনে।
গুনীজন বলিয়াছেন “শিক্ষাই জতির মেরুদণ্ড।” এ বাক্যে শিক্ষাকে মানবদেহ নামক একখানা আজব মেশিনের চরম শক্ত-পোক্ত মেরুদণ্ড নামক একখানা যন্ত্রাংশের সহিত তুলনা করা হইয়াছে। মেরুদণ্ড নামক একখানা সচল যন্ত্রাংশ ব্যতীত মানবদেহ নামক মেশিনখানা একেবারেই অচল। বর্তমান সময়ে জাতির শিক্ষা নামক মেরুদণ্ড খানা চরমভাবে গুনপোকায় গ্রাস করিয়া দূর্বল করিয়া রাখিয়াছে, যাহাতে একটা পর্যায়ে আসিয়া দেখিতে পারা যাইবে যে জাতির মেরুদণ্ড খানার বহিরাংশ ডের ফিটফাট রহিয়াছে কিন্তু ভিতরাংশ একেবারেই জনশূন্য সদরঘাটের মত হইয়া গিয়াছে। যাহার ভয়াবহ পরিণাম হইতে শত চেষ্টা করিয়াও জাতি শক্তিভরে দাড়াইতে পারিবে বলিয়া আমার যথেষ্ট সংশয় মনে বিধিয়া রহিয়াছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার এহেন পরিস্থিতিতে এটা নিশ্চিত বলিতে পারা যাইতেছে যে,জাতি আগামীতে চরম মেধা শূন্যতায় কাতরাইবে,যদি পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবকগন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যাপারে সু-জাগ্রত হইয়া না ওঠেন। মূলত:ছাত্রজীবন হইলো আগামীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করিবার কিছু শুভক্ষণ মাত্র। যাহা অশুভ ভাবেই ব্যবহার করিয়া চলিতেছি যত্রতত্র। শিক্ষা ব্যবস্থার এহেন বিপর্যয়ে এটাও বলিতে পারা যাইতেছে যে,বর্তমান সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে এক ধরনের ফ্যাশনের মত ভাবিয়া থাকেন অভিভাবক,শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী সকলেই। সনদপত্র চাই আর জ্ঞান না হইলেও চলিবে। তবে এই ধরনের ভন্ড, জ্ঞানহীন, জ্ঞান শূন্য মস্তিষ্ক ওয়ালা শিক্ষিতদের অশিক্ষিত বলিবার মত দুঃসাহসও কারো হইবেও না বটে। কারন তখন সনদপত্র খানা তাহাদের চরম প্রমান হিসাবে জাহির হইবে। ভাবিয়া দেখেন আজকের শিশুরাই জাতির উজ্জল আগামী।আজকে যদি শিশুদেরকে আমরা সুশিক্ষায় না গড়িয়া, কুশিক্ষায় ও ভন্ডামিতে মত্ত করিয়া রাখি এবং বড় করিয়া গড়িয়া তুলি, তাহা হইলে আমাদের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ কতখানি যে শোচনীয় হইবে তাহা অনুমান করিতে পারাটাও বড়ই মুশকিল হইয়া দাড়াইবে। সর্বোপরি জাতির কাছে এটা প্রত্যাশা করিতেছি যে,আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গুনপোকার গ্রাস করা মেরুদণ্ডের মত একখানা নড়বড়ে মেরুদণ্ড লইয়া দাড়াইতে যাইয়া হুমরি খাইয়া যেন মাটিতে কভু না লুটাইয়া পরে। তাহারা যেন সচল একখান মেরুদণ্ড লইয়া সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত হইয়া,সোজা হইয়া দাড়াইতে পারে আমাদের দেশ ও সমাজের বুকে জাতির কর্ণধার হইয়া। এ ব্যাপারে সকলেই সচেষ্ট থাকিয়া জ্ঞানহীন ও মেরুদণ্ডহীন এই ভন্ড শিক্ষাকে যেন চিরতরে বিদায় করিয়া দিতে সক্ষম হইতে পারি।

সম্পর্কিত পোস্ট

ঈদের ঈদ

ঈদের ঈদ

লেখক: রাসেল আহমদ রস (জুন - ২০১৮) ............ মেয়ে: আব্বু এই নতুন জামা আমার জন্য? বাবা: হ্যাঁ মা, এইটা তোমার জন্য! সুন্দর না? মেয়ে: তোমারটা আর আম্মুরটা কই? বাবা:...

আপনাকে কি “বাবা” ডাকতে পারি?

আপনাকে কি “বাবা” ডাকতে পারি?

লেখকঃ Shopno Balika (এপ্রিল - ২০১৮) ............... অনেকদিন হলো রিকশা চালাই। নানা রকম প্যাসেঞ্জার ওঠে। মাঝে মাঝে খুব অদ্ভুত প্যাসেঞ্জার পাই। এই যেমন গত বছরের ঘটনা। সীটে বসেই কেমন অস্থির হয়ে গেলো মানুষটা। মনে হচ্ছিলো কিছু একটা নিয়ে খুব পেরেশানিতে আছে বেচারা। প্রায়...

স্বপ্নার স্বপ্ন

স্বপ্নার স্বপ্ন

গল্প লেখকঃ Md Si Rana (এপ্রিল - ২০১৮) ............... বিলাশপুর গ্রামের এক দরিদ্র ভ্যানচালকের মেয়ে স্বপ্না। প্রচণ্ড বুদ্ধিমত্তার অধিকারী স্বপ্না। ছোটবেলা থেকেই ওর স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া। এত গরিব ঘরের মেয়ে হয়েও এই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখার জন্যই মূলত ওর ডাকনাম স্বপ্না।...

২ Comments

  1. Md. Farid Ahmeed

    বাস্তবতা

    Reply
    • M M Mun

      অশেষ ধন্যবাদ

      Reply

Leave a Reply to M M Mun Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *