এক সময় ফিলিস্তিন ছিলো সৌন্দর্যের লীলাভুমি, ফিলিস্তিন ছিলো শান্তির ভুমি, ফিলিস্তিন ছিলো পবিত্র ভুমি। কিন্তু আজ! সেই পবিত্র ভুমি জলন্ত অগ্নিকুন্ড। বাতাসে নেই শান্তির ঘ্রাণ, আছে শুধু বারুদের গন্ধ। নেই ফুলের কোমল ছোঁয়া, আছে শুধু মৃত্যুর থাবা। নেই বসন্তের পাখীদের সুমধুর কোলাহল, আছে শুধু ট্যাংক কামানের দানবীয় গর্জন। এক কথায় ফিলিস্তিন এখন জীবিত মানুষের বাসভুমি নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য ফিলিস্তিন এখন বধ্যভুমি। কল কল ছল ছল রবে বয়ে যাওয়া নদীতে এখন বয়ে চলে রক্তের স্রোত। আজ যারা কিশোর ও তরুণ তারা বয়স্কদের কাছে শোনে ফিলিস্তিনিদের সৌন্দর্যের কথা, সুখ শান্তির কথা। কিন্তু তাদের চোখের সামনে নিষ্ঠুর বাস্তবতা হলো আগুন, মৃত্যু আর লাশ। চোখের পানি, কান্না আর আর্তনাদ। পথে পথে লাশ। ঘরে ঘরে কান্না। এখানে সেখানে আবরুহারা মা-বোনের আর্তনাদ। অবুঝ শিশুদের চোখেমুখে অজানা ভয় ভীতির ছাপ। এক কথায় ফিলিস্তিনে এমন কোন পরিবার নেই যারা কোন না কোন ভাবে ইসরাইলি বাহিনীর নরপশুদের হিংস্রতা ও পাশবিকতার শিকার হয়নি।
কিন্তু এখন আবার দৃশ্যের পরিবর্তন হয়েছে। ফিলিস্তিনে জিহাদের আযান ধ্বনিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-তরুণ মৃত্যু ভয় জয় করেছে এবং লাব্বাইক লাব্বাইক বলে শহীদী কাফেলায় শরীক হয়েছে। সারা ফিলিস্তিনে এখন একই আওয়াজ। শহীদী ঈদের সেনারা সাজ। জান নেবো গাজী হবো, জান দেবো শহীদ হবো। নদীর রক্ত স্রোতে এখনো ভেসে যায় লাশের পর লাশ। কিন্তু তা ভীরু কাপুরুষের নয়, শেরদিল মরদে মুজাহিদীনের শহীদী লাশ, ভেসে ভেসে যা পৌছে যায় জান্নাতের ঠিকানায়, হুর গিলমানের জলসায়। ফিলিস্তিন এখন শুধু ইসরাইলি শৃগালদের শিকারভুমি নয়, ফিলিস্তিন এখন আজাদি পাগল মুজাহিদীনের বিচরণভুমি। আশী বছরের বুড়ো দর্জি এতদিন পুত্রশোকে ছিলো বিপর্যস্ত, এখন সে-ই গর্ব করে বলে, তার দশ বছরের নাতি বলছে সে জিহাদে যাবে, শহীদ হয়ে জান্নাতে গিয়ে আব্বুর সাথে দেখা করবে। আবরুহারা বোন মর্জিনা এখন আর কাঁদেনা। এখনো চোখ থেকে তার অশ্রু ঝরে, তবে তা কোন ভয়াল রাতের বিভৎসতার কথা মনে করে নয়, পাহাড়ের চূড়ায় জানবাজি রেখে লড়াইরত তার চৌদ্দ বছরের কিশোর ভাই ইরফানের গৌরব কামনা করে। ওর এখন একটাই দুআ-আমার ভাইয়ের পিঠে যেন গুলি না লাগে। আমার ভাইয়ের বুক থেকে যেন রক্তের ফোয়ারা ছোটে। বিধবা গুলবানু এই সেদিন পুত্রকে বুকে আগলে রাখতে চেয়েছে। অথচ গতকাল রাতের অন্ধকারে দেখা করতে আসা মুজাহিদ পুত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরে সে বলেছে, আমার জন্য চিন্তা করিসনা মনা! হিম্মতের সাথে জিহাদ চালিয়ে যা। বেঁচে থাকলে দেখা হবে এখানে, আর না হয় সেখানে, তোর বাপ আমাদের ইনতিযার করছে সেখানে। মাত্র এক বছর আগে ধ্বংসের বিভীষিকার মাঝেও অনেক স্বপ্ন বুজে নিয়ে বিয়ের সাজে সেজেছিলো যে ষোড়শী কন্যা রাবেয়া, সে আজ মুজাহিদ দলের অধিনায়ক স্বামীর কাঁধে হাত রেখে বলে, জানেমান! তুমি এ যুগের গাযনবী, এ যুগের সালাউদ্দিন আইয়ূবী! আমি তেমার পাশে থাকবো চিরদিন।
এমন জিহাদী জযবা আর শহীদী জোয়ার এসেছে যে, জাতির মাঝে তাদের দাবিয়ে রাখবে ইসরাইলি নরপিচাশরা! না বন্ধু না। মুসলমানের ইতিহাস তা বলেনা। ওরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মার খেয়েছে অনেক খানে, অনেক বার। কিন্তু জেগে উঠে দুনিয়া কাঁপিয়েছে বারবার। সেই ইতিহাসেরই পুনরবৃত্তি হতে চলেছে ফিলিস্তিনে এবার। ফিলিস্তিনেই হবে ইসরাইলের চিতা বহ্নিমান। মুজাহিদের খুনে আরো ঘন লাল হয়ে পূর্ব দিগন্তে ঐ দেখো উঁকি দিয়েছে আযাদীর সূর্য। কোন ভাবেই কি তারা মুসলমানদের রুখতে পেরেছে? পারেনি। তারা নিরস্ত্র মুজাহিদীনের অগ্রযাত্রা রুখতে পারেনি, পারবেওনা। কেননা আল্লাহ বলেছেন-তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও।
মন ছুয়ে গেল।
বধ্যভুমি –> বধ্যভূমি*
আর গল্পের নিয়ম অনুয়াযী শব্দ সং্খ্যা ১-৩ হাজার হতে হবে।আপনার ৪৮৮..
এই ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখবেন আর পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
এটা গল্প ছিল নাকি প্রবন্ধ? গদ্য কবিতার মতো লেখাটা। আর প্রথম দিকে পড়ে তো মনে হচ্ছিল কোনো পত্রুকার নিউজ পড়ছি। গল্প পড়ার যে একটা তৃপ্তি তা যেন অনুভবই করতে পারিনি।
প্রতিযোগিতার নিয়মের মধ্যে হয়তো লেখাটি পড়েনি। অনেক ছোট্ট লেখা। এটাকে আরও বড় করে লিখলে মন্দ হতো না। বানানেও বেশ ভুল। যেমন,
লীলাভুমি * লীলাভূমি
বাসভুমি * বাসভূমি
বধ্যভুমি * বধ্যভূমি
ভুমি * ভূমি
অগ্নিকুন্ড * অগ্নিকুণ্ড
শহীদী * শহিদী
পৌছে * পৌঁছে
কাঁদেনা * কাঁদে না
আরো * আরও
লীলাভুমি→ লীলাভূমি
প্রথম তিনটি বাক্য এক সাথেই লেখা যেত। যেমন –
এক সময় ফিলিস্তিন ছিলো সৌন্দর্যের লীলাভুমি, শান্তির ভূমি, পবিত্র ভূমি।
অগ্নিকুন্ড→ অগ্নিকুণ্ড
ছল ছল, কল কল → ছলছল, কলকল
পৌছে→ পৌঁছে
প্রথম প্যারা গদ্য কবিতা লাগলেও পুরোটা পড়ে মনে হলো আর্টিকেল টাইপ লেখা। তভে লেখাটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
গল্পের নামকরন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রথমত আপনি সেখানেই ব্যর্থ “পরেচে ” এটা ভুল শব্দ। শব্দটা হবে “পড়েছে” । “নরপিচাশ” আরেকটি ভুল শব্দ, এটা হবে “নরপিশাচ”।
বানান:
লীলাভুমি → লীলাভূমি
জলন্ত → জ্বলন্ত
অগ্নিকুন্ড→ অগ্নিকুণ্ড
দুআ→ দোয়া
পৌছে → পৌঁছে
এছাড়াও আরো কিছু ভুল আছে।
শব্দের ব্যবহার :
*”ফিলিস্তিন ছিলো সৌন্দর্যের লীলাভুমি, ফিলিস্তিন ছিলো শান্তির ভুমি, ফিলিস্তিন ছিলো পবিত্র ভুমি। ” → এখানে বারবার ফিলিস্তিন লেখা শব্দের অপপ্রয়োগ হয়েছে, সর্বনাম এর ব্যবহারে আরো সতর্কতা অবলম্বন করুণ।
* কল কল → কলকল
* ছল ছল → ছলছল
এধরনের শব্দ ব্যবহারে আরেকটু সচেতন হতে হবে।
এজটা গল্পের শুরুতেই যদি পাঠক আকৃষ্ট না হয় তাহলে গল্প শেষ পর্যন্ত পড়ার প্রতি পাঠক আগ্রহ দেখাবেনা। প্রথম বাক্যেই বিরক্তি ধরে গেছে সর্বনাম এর ব্যবহার ঠিক মতো নাহওয়ায়। তবে এটা আর্টিকেল টাইপ লেখা একটা ঘটনা কেন্দ্রক আর্টিকেল। শুভ কামনা ♥
লেখাটা ভালো লেগেছে।
তবে এটা প্রবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছে।
শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে।
প্রতিযোগিতার গল্প একটু অন্যরকম লিখতে হয়।
বানানে ভুল আছে।
শহীদী–শহীদি
পুনরবৃত্তি–পুনরাবৃত্তি
লীলাভুমি-লীলাভূমি
পৌছে-পৌঁছে
কাঁদেনা–কাঁদে না
বধ্য ভুমি–বধ্যভূমি
বাসভুমি—বাসভূমি
শুভ কামনা রইলো।এগিয়ে যান।