ইসরাত জাহান ইক্তা
লেখা- নাম্বারের মাপকাঠি
পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়া যায় কিভাবে? বলতে পারেন? আপনার উত্তর হয়ত এরকমই হবে যে, কায়িকশ্রম ও মেধাশক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করলেই একজন শিক্ষার্থী পাবে তার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট। জ্বী, আপনার এই যুক্তিকে একশভাগই সমর্থন করি। কিন্তু ঢাকা শহরে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে যেখানে পরীক্ষা মানেই দুর্নীতি। সেখানে তারা সপ্তাহে সপ্তাহে পরীক্ষা নেয় শিক্ষার্থীর ভালো জন্য নয়। বরং অর্থের জন্য। এখন আপনি সরকারি প্রতিষ্ঠান বলেন আর বেসরকারি সবখানেই এখন কোচিং ব্যবসা। ক্লাসে তো শিক্ষকরা এখন মোবাইল নিয়ে পরে থাকে। বলতে পারেন কেন? কারণ তারা যদি এখানেই ভালোমতো পড়ায় তাহলে কি আর কেউ তার বাসার দরজায় কলিংবেল টিপবে? কষাই এর মত বলবে আমার কাছে না পড়লে তোদের পরীক্ষায় নাম্বার দিবো না। কি আর করার, অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ১ম, ২য়,৩য় করার জন্য তো তার (শিক্ষকের) বাসায় যায়ই। সবাই যায় তার বাসায় কিন্তু যেতে পারেনা শুধু গরীবরা। ভাবছেন হয়ত ওদের ক্ষেত্রে মাফ? নাহ ওরা দারিদ্রের কারণে পড়তে পারেনা ওইসব শিক্ষক নামধারী কষাই এর কাছে তাই ওদের কপালে পরীক্ষায় ভালো নাম্বারও জোটে না। সারা বছর খেটে খেটে পড়ালেখা করেও যখন ভালো নাম্বার জোটেনা, তখন কি তারা আবার ভালো করে করে পড়তে যাবে? এভাবে সেই কষাইগুলো কি আমাদের দেশের প্রাণশক্তি তরুণদের ব্যাপক ক্ষতি করছেনা? উভয়পক্ষই এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যারা তার কাছে প্রাইভেট পড়ে, তারা ভাবে, এত কষ্ট করে পড়ার কি দরকার এমনি এমনিই তো ভালো নাম্বার পাচ্ছি আর পড়ার কি দরকার। এই চিন্তাভাবনা তাদের জ্ঞানের শিখা নিভিয়ে দিচ্ছে। ফলে তারা এই দেশের জন্য সম্পদ তো হতেই পারেনা বরং বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ভুঁড়ি ভুঁড়ি গোল্ডেন তাদের থাকেই কিন্তু কী মূল্য এসব গোল্ডেনের? অপরপক্ষে যারা সেসব কষাই এর কাছে পড়েনা তারা ভাবে, কি লাভ পড়ালেখা করে? পড়লেও ভালো নাম্বার পাইনা না পড়লেও পাবো না তাহলে পড়ার দরকার কি? এভাবে এসব কষাইরা যেভাবে দেশের অধঃপতন করছে, তা কারো চোখে পড়ছেনা। অভিভাবকরা ভাবে গোল্ডেন পাওয়া মানেই বুঝি সব। তাহলে এদেশের উন্নতি হবে কিভাবে? যে স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে সে স্বপ্ন তো একজন শিক্ষকই নষ্ট করে দেয়। সেসব শিক্ষকদের কাছে পরীক্ষার নাম্বারের মাপকাঠি মানেই তাদের কাছে প্রাইভেট পড়া।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার হাল অনেক খারাপ।
প্রবন্ধটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
বেশ জতিল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন এজন্য প্রথমেই ধন্যবাদ, তবে একটু অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে, এক্ষেত্রে আর একটু বড় হলে ভালো হত