তুহিন আহমেদ
মা মাগো সকল ভালোবাসা তোমারই জন্য ,
দিয়ে জন্ম আমায় করেছ অনেক ধন্য ।
যখন আমায় করেছ ধারণ ঐ ওরশতলে ,
কত লাথি-গুতো দিয়েছি তোমায় নানা খেলার ছলে।
দিনের পর দিন রাতের পর রাত রয়েছ না ঘুমিয়ে ,
বিছানায় রয়েছ পড়ে আমার যন্ত্রণায় কাতর হয়ে।
এত কষ্ট যন্ত্রণার পরে ও দেখে আমার মুখ ,
ভালোবাসার চুমু এঁকে ভুলে গিয়েছ অতীতের সব দুখ।
জন্মের পরে ও দেইনি শান্তি এক মুহূর্ত ,
তবুও দিয়েছ বুকের দুধ যখনি রয়েছি ক্ষুধার্ত ।
বুকের মাঝে রেখেছ আমায় অতি আদরে ,
নির্ঘুম রাত কেটেছে কত ভেজা এক কাপড়ে।
কত রাত শুনিয়েছ ঘুম পাড়ানি গান ,
সদা প্রস্তুত দিতে তোমায় এই অধম প্রাণ ।
শত ঝড় বৃষ্টিতে করেছ রক্ষা তোমার আভায়,
জীবনভর নিয়োজিত থাকবো তোমারই সেবায়।
সৃষ্টিকর্তার মায়ায় বাঁধা শুতো অদ্ভুত এক নাড়ীর টানে,
করিবোনা এমন কিছু যা আঘাত হানে তোমার সম্মানে।
আমার অস্তিত্ব রয়েছ হৃদয়ে ,
সদা তৈরী লুঠিতে তোমার পায়ে ।
শত অভাব অনটনের মাঝেও কষ্ট বুঝতে দাওনি আমায়,
অনেক ভালোবাসি মা ভালোবাসি তোমায় ।
মায়ের তুলনা হয় না। সন্তানের প্রতি যে কর্তব্য মা পালন করে তা সত্যিই কোনদিন কোনকিছুর বিনিময়ে শোধ হবার নয়।
ওরশতলে–> ঔরসতলে।
নাড়ীর টানে–> নারীর টানে।
ঔরষতলে আর ওরশতলে অর্থের দিক দিয়ে এক ।
নাড়ী মানে হৃদয়
নারী মানে মহিলা বা মেয়ে লোক
মায়ের কোনো তুলনা হয় না। মা নিয়ে কবিতা লিখতে গেলে তা কখনো শেষ হওয়ার নয়।
ভীষণ ভালো লাগলো।
অসাধারণ কবিতা।সত্যি মায়েরা নিজেরা সারাজীবন কষ্ট করেন যান সন্তানের জন্য।যার ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না।শুভকামনা