কিশোরীর চিঠি
প্রকাশিত: অগাস্ট ১১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,493 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

আবিদা সুলতানা উমামা

,

প্রিয় তিলোত্তমা,
ভাবিনি তোমাকেও কখনো লিখতে হবে। কিন্তু আজ লিখতে হচ্ছে। তোমার জন্য মনটা যে ভীষণ পোড়ে।
আমি জানি, তোমাকে ছেড়ে আসাতে তুমি মোটেও একা হয়ে যাওনি, যেমনটা আমি হয়েছি। হুট করে চলে আসাতে তোমার যে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই, সেও আমি জানি।
তবুও, আমি আবার ফিরতে চাই তিলোত্তমা। তোমার দেয়াল ঘেঁষে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরতে চাই।অতিষ্ঠ হতে চাই গ্রীষ্মের দুপুরে প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যামে আটকে থেকে। তুমি হয়তো রোজ রোজ আমাকে সবুজ ছায়া দিতে পারতেনা, কিন্তু গভীর রাতে জানালার পাশে পূর্ণিমার ভরাট চাঁদকে তো দেখতে দিতে।
কত দিন হলো, আমি চাঁদ দেখতে পাইনা!
এখানে সন্ধ্যে নামার সাথে একরাশ বিষণ্ণতা গ্রাস করে আমাকে।
রিকশার ক্রিং ক্রিং, ফুচকা ওয়ালার হাঁক-ডাক, আজানের সময় বাসার সামনের বুড়ো মুদি দোকানদারের ব্যস্ততা এখানে কোথায় দেখতে পাবো বলো?
আচ্ছা, আমি যদি কখনো ফিরি পুরোনো দিনগুলো কি আবার ফিরে পাবো তিলোত্তমা?
ওই ভেলপুরি ওয়ালাটা, যার কাছে রোজ রোজ ভেলপুরি কিনতে যেতাম। আমাকে কি চিনতে পারবে? একগাল হেসে বলবে, “মামা বহুদিন পরে আইলেন”?
আর বাসার গলির মাথার রিকশাওয়ালা, ওনারা কি আগের মতোই বলবে, “আইজকা মান্দাসায় যাইবেননা”?
কিংবা বাসার বিপরীতে বসে থাকা মহিলা ভিক্ষুকটা? মাথায় হাত বুলিয়ে আবার দু’আ করে দিবে কি?
বিশ্বাস করো তিলোত্তমা, আমি সত্যিই ফিরতে চাই।
তোমার জন্য যে এতখানি মায়া কখন জন্মেছে টেরই পাইনি। আচ্ছা তোমার কি মায়া হয় আমার জন্য? ইশ! আমি যদি ‘তুমি’ হতাম! তখন তুমি বুঝতে! এ মায়া নিরর্থক নয় তিলোত্তমা।
এ মায়া শৈশবের। এ টান কৈশরে পদার্পণের টান…।
ইতি,
তোমার মায়ায় জড়ানো এক কিশোরী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মা

মা

ইশু মণি বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে তাসবিহ্ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ায় অনবরত শব্দ হচ্ছে, বাসার সাথে লাগানো পেয়ারা গাছটার বিশাল বড় ডালপালা গুলো চালের উপর চলে এসেছে বারবার সেগুলো বারি খাচ্ছে যার কারণে শব্দ...

শখের পাখি

শখের পাখি

লেখিকা-উম্মে কুলসুম সুবর্ণা এই তো সেদিন মেলা থেকে বাসার ছোট্ট ছেলেটা আমাকে কিনে এনেছিলো। তখন তো ছানা পাখি ছিলাম এখন বুড়ো হয়েছি। বাসায় মোট ছয়জন থাকে। আগে ভাবতাম দুই রুমের ক্ষুদ্র ফ্ল্যাট এ এত গুলো মানুষ কিভাবে থাকতে পারে। পরে বুঝলাম এই সব কিছু ছেলের বউয়ের চমৎকার। অনেক...

যদি পাশে থাকো

যদি পাশে থাকো

তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...

৯ Comments

  1. Anamika Rimjhim

    কিছু স্মৃতি সুন্দর হয় 🙂

    Reply
  2. Halima tus sadia

    ভালো লাগলো।
    তবে কবিতার মতো হয়ে গেলো।
    যদি কিশোরী লিখে থাকে তাহলেতো তিলোত্তমা ছেলেকে বুঝানো হয়েছে।
    আমার জানামতে মেয়েদের তিলোত্তমা বলে সম্বোধন করে।
    পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়লে খারাপ লাগে।
    পুরনো দিনটি ছিলো মধুর।সেই সময়গুলো হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না।

    আইজকা মান্দাসায় যাইবেন না?
    মান্দাসা কথাটা বুঝলাম না।

    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
    • আবিদা সুলতানা উমামা

      তিলোত্তমা বলা হয়েছে ঢাকা শহরকে।
      একটু খেয়াল করে পড়লে বুঝতে পারবেন কোন মানুষকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। দেয়াল ঘেঁষে হাঁটার কথা বলা হয়েছে। আর “মাদ্রাসা” শব্দের নোয়াাখালী জেলার আঞ্চলিক শব্দ হচ্ছে “মান্দাসা”।
      ধন্যবাদ 🙂

      Reply
  3. Reba

    মোটামুটি ভালো লাগল

    Reply
  4. Reba

    গল্পাকারে লিখলে ভালো হতো

    Reply
  5. আফরোজা আক্তার ইতি

    সম্পূর্ণ গল্প/চিঠিটি পড়ে মনে হল এটা কোন কিশোর তার প্রিয়তমা কিশোরীকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে। এক্ষেত্রে গল্পটি এলোমেলো লাগছে। পুরনো স্মৃতি কেউ ভুলতে পারে না, মনের আড়ালে থেকে অতীতে ফিরিয়ে নিতে চায়। বানানে তেমন কোন ভুল নেই। মান্দাসা হবে না। সম্ভবত মাদ্রাসা হবে।

    Reply
    • আবিদা সুলতানা উমামা

      কোন কিশোর তার প্রিয়তমা কে উদ্দেশ্য করে লেখেনি বরং দীর্ঘকাল শহরে বেড়ে ওঠা এক কিশোরী তার প্রিয় শহরকে লিখেছে।
      তিলোত্তমা বলা হয়েছে ঢাকা শহরকে।
      একটু খেয়াল করে পড়লে বুঝতে পারবেন কোন মানুষকে উদ্দেশ্য করা হয়নি। দেয়াল ঘেঁষে হাঁটার কথা বলা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পারলে গল্পটা এলোমেলো লাগবেনা। আর “মাদ্রাসা” শব্দের নোয়াাখালী জেলার আঞ্চলিক শব্দ হচ্ছে “মান্দাসা”।
      ধন্যবাদ 🙂

      Reply
  6. Rabbi Hasan

    লিখেছে কিশোরী, খুব ভালো লিখেছে, তবে কিছু দাঁত ভাঙা শব্দ আছে, যেটা কিশোরীকে দিয়ে না লিখালেই ভালো হত

    Reply
  7. Mahbub Alom

    ভালো লেগেছে।কিছুটা আবেগ জড়ানো,তবে অনুভূতিগুলো ভালো লেগেছে।
    তিলোত্তমা ফিরে আসার অপেক্ষারত এক কিশোরী।তার স্বপ্ন বুনানো সেই আশা অবশ্যই পূরণ হবে।

    শুভকামনা রইলো।

    Reply

Leave a Reply to Anamika Rimjhim Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *