হিমান্দ্রি মেঘ AKRAMUL islam
::
::
ইচ্ছে করে পাখীর মতো ডানা মেলে উড়তে,
ইচ্ছে করে মনের সুখে বনে-বাদারে ঘুরতে।
ইচ্ছে করে রুদ্ধ দুয়ার দু’হাতে আজ খুলতে,
ইচ্ছে করে কষ্টগুলো অনায়াসে আজ ভুলতে।
ইচ্ছে করে ফুলের মতো কারও মনে ফুটতে,
ইচ্ছে করে ভোমর হয়ে ফুল বাগিচায় ছুটতে।
ইচ্ছে করে রঙ মেখে আজ সঙ সেজে বসতে,
ইচ্ছে করে ভুল করা সেই অংকগুলো কষতে।
ইচ্ছে করে মায়ের দেয়া বকুনি খেয়ে হাসতে,
ইচ্ছে করে দাদুর মতো তামাক খেয়ে কাশতে।
ইচ্ছে করে রথের মেলায় নাগরদোলায় চড়তে,
ইচ্ছে করে পাঁপড় ভাজায় শুকনো পেট ভরতে।
ইচ্ছে করে ভর দুপুরে খালের জলে ঝাপ দিতে,
ইচ্ছে করে লাটাই-সূতোয় রঙিন ঘুড়ি ওড়াতে।
ইচ্ছে করে ছিপ নিয়ে যাই পুকুরে মাছ ধরতে,
ইচ্ছে করে লাগাম ছাড়াই ঘোড়ার পিঠে চড়তে।
ইচ্ছে করে নাও ভাসিয়ে নদীর স্রোতে ভাসতে,
ইচ্ছে করে ফোকলা দাঁতে খিলখিলিয়ে হাসতে।
ইচ্ছে করে ঢিল মারি ঐ তেঁতুল গাছের শাখাতে,
ইচ্ছে করে পিড়িতে বসে ভাত খাই কলাপাতাতে।
ইচ্ছে করে ঘর পালিয়ে ভিজবো দারুন বৃষ্টিতে,
ইচ্ছে করে হালখাতাতে পেট ভরাবো মিষ্টিতে।
ইচ্ছে করে ছেলেবেলার দিনগুলোকে ফিরে পেতে,
ইচ্ছে করে খুশীতে নাহয় নতুন করে উঠবো মেতে।
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
লেখকের ইচ্ছাগুলো ছিলো সত্যিই মায়ামুগ্ধকর।
সবার মনেই এমন কিছু ইচ্ছে থাকে অামাদের। ফেলে অাসা দিনগুলো ফিরে পাবার তীব্র অাকাঙ্খা ফুটে উঠেছে লেখায়। খুব সুন্দর একটা ছড়া। কয়েকটা বানান ভুল অাছে,
পাখীর -পাখির
সূতোয় – সুতোয়
খুশীতে – খুশিতে
সত্যিই ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো আবার ফিরে পেতে ইচ্ছে করে।চমৎকার একটি ছড়া।আমরা চাইলেই আর সেই শৈশবকে ফিরিয়ে আনতে পারবো না।লেখকেকে যত্নের সাথে লেখা এই ছড়ার জন্য শুভকামনা।তবে মাত্রাগত দিক থেকে কিছু খেয়াল রাখা উচিত।কারণ এই রকম ছড়ায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ধারা বজায় রাখতে হয়।
বেশ কিছু অভিনব ইচ্ছা দেখতে পেলাম
ইচ্ছে গুলো সম্ভবত সমস্ত পাঠকের। ভাল লাগলোসুন্দরভাবে তুলে ধরাটা।