লেখা: জাহিদুল ইসলাম (জুলাই, ১৮)
কক্সবাজার সি বিচে বসে সাগরের উতাল-পাতাল মন মাতানো ঢেউ অবলোকন করছি। হঠাৎ কোথা থেকে এক আগন্তুক এসে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। পেছন থেকে মধুর কণ্ঠে আহ্বান করছে। জাহিদ, জাহিদ? ঢেউ অবলোকন করায় ছেদ পড়লো। পেছন ফিরে তাকালাম। যা দেখলাম তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অপরূপ সুন্দরি এক রমনী হাসিমাখা মুখে এদিকেই এগিয়ে আসছে। আমি পুরোপুরি অবাক হলাম। সত্যি সত্যিই আমার পাশে এসেই উপবিষ্ট হল। সুমধুর কণ্ঠে আরেকবার উচ্চারণ করলো, —-জাহিদ, কেমন আছো?
–কে আপনি?
–তুমি দেখছি এখনো আগের মতই আছো।
–পরিচয় না দিলে চিনবো কিভাবে?
–আমি প্রীতি।
–কোন্ প্রীতি?
–অনেকদিন আগের ফেসবুক ফ্রেন্ড।
.
এখন আর চিনতে বাকি রইল না। এই সেই মেয়ে যাকে আমি দুইবছর আগে নীল জগৎ থেকে কালোর জগতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটি খুব জ্বালাতন করতো আমায়। খুব বিরক্ত লাগতো তাকে। সহ্য করতে পারতাম না। তাই প্রথমে মেসেজ ব্লক করি, অতঃপর সোজা ব্লক লিষ্ট! প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আর কখনও কথা বলবো না। সেও বলেছিল কথা বলবেই। আজ আমার প্রতিজ্ঞার কাছে হার মানলাম। কারণ প্রীতিকে আমি কখনো দেখিনি। সে আমার ছবি দেখেছে তাই চিনতে অসুবিধা হয়নি।
.
অনেক মেসেজ দিত, রিপ্লাই না দিলে আরও বেশি দিত। কেন একদিন মন খারাপ ছিল, বিরক্ত হয়ে মেসেজ ব্লক করে দেই। সে আমার পোস্ট এর কমেন্টে অনুরোধ করতো ব্লক ছাড়ানোর জন্য। বন্ধুদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে থাকি। এই মেয়েটি কে? কেন ব্লক করেছিস? কী হয় মেয়েটি? এমন বিব্রতকর প্রশ্ন করতো সবাই। খুব সহজেই রেগে যেতাম। অনেকটা বাধ্য হয়েই ব্লক করে দেই। অন্য আইডি থেকেও এমন করতো। অবশেষে সবগুলো আইডি ব্লক করে দেই। আসলে কী চায় মেয়েটি? তখন কিছু বুঝতাম না। আজ বুঝলাম।
.
মেয়েটি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে, ইচ্ছা করেই সে রাগাতো, আমাকে রাগিয়ে মজা নিতো। কিন্তু আমি তো মজার লোক ছিলাম না। তাই সত্যি সত্যিই রেগে যেতাম। আমি খুব রাগি।
.
–আমি এখানে জানলে কিভাবে?
–ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে।
–(আমার চোখ উপরে উঠে গেল) কী?
–হুম।
–আমার ফ্রেন্ডলিস্টে তুমি এখনো আছো?
–হুম, ফেইক একাউন্ট। কারণ তুমি আমার সবগুলো একাউন্ট ব্লক করে দিছো। এটা থেকে যদি পরিচয় দিতাম তাহলে এটাও হয়তো ব্লক করে দিতে।
কথা গুলো শুনে কান্না পাচ্ছে। মেয়েটি এত ভালোবাসে আমায়? আমার সাথে কথা বলার জন্য, যোগাযোগ রাখার জন্য কত কিছুই না করেছে। কিন্তু বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলেছি।
.
পেছন থেকে কে যেন আমার কাঁধে হাত রাখলো। তাকিয়ে দেখি সানজিদা।
–আরে সানজিদা? তুমি কখন এলে?
–এইতো।
–বসো, এই মেয়েটির নাম প্রীতি। দুইবছর আগের ফেসবুক ফ্রেন্ড। প্রীতি? এই হলো তোমার ভাবী। (পরিচয় করিয়ে দিলাম) সম্প্রতি আমরা বিয়ে করেছি। তাই কক্সবাজার হানিমুনে এসেছি।
.
প্রীতির চোখ দুটি ছলছল করছে মনে হচ্ছে জল বেরিয়ে আসবে। কিছু না বলেই হঠাৎ নিয়ে চলে গেল। খুব তাড়াতাড়িই চোখের অগোচরে মিলিয়ে গেল।
অনেক আশা নিয়ে এসেছিল কিন্তু হতাশ হয়ে চলে গেল।
জীবনটা এমনই। চাওয়া থাকে অনেক, কিন্তু পাওয়া হয়ে উঠেনা।
শব্দসং্খ্যা নিয়মের চেয়ে কম আর গল্পে নতুনত্ত্ব তেমন নেই।শুভ কামনা।
সি বিচে না লিখে সমুদ্র সৈকত লিখলে ভালো হতো, এতে গল্পের মান কমে না, বরং বাড়ে।
সুন্দরি→ সুন্দরী
হল→ হলো।
মতই→ মতোই
কিভাবে→ কীভাবে
…
প্রিয় রাইটার, প্লিজ বেশি বেশি গল্প পড়ুন। এতে গল্প কীভাবে লিখতে হয়, কেমন করে সুন্দর গল্প লেখা যায় তা জানতে পারবেন। আপনার এই গল্প প্রতিযোগিতার বাইরেই শুদু নয় এটাকে গল্পই বলা চলে না।
তবে আগামীতে আপনার ভালো গল্প পাবো বলে মনে করি। সে প্রত্যাশায় থাকলাম।
শুভ কামনা
ভালো লিখেছেন।
প্রীতির জন্য খারাপ লাগলো।
তবে প্রীতির মনের কথাগুলো বুঝা উচিত ছিলো জাহিদের।একটা মেয়ে এতো পাগল কিসের জন্য সে কি কোন দিন বুঝে নাই।অবশেষে প্রীতি কষ্ট পেলো।সে জানতো না জাহিদ যে বিয়ে করে ফেলেছে।
সব চাওয়া তো পূর্ণ হয় না।তেমনি প্রীতির চাওয়া ও হয় নাই।
গল্পটা ছোট হয়ে গিয়েছে।
প্রতিযোগিতার গল্প আরেকটু বড় দরকার ছিলো।
বানানে ভুল আছে
সুন্দরি-সুন্দরী
শুভ কামনা রইলো।