লেখা: এস এন স্বাধীন (জুলাই, ১৮)
নিজ সন্তানের লাশ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হাসান সাহেব।
কি ভারী দেহখানি।
অথচ এই বাচ্চাটাকে কোলেপিঠে মানুষ করতে কতইনা চেষ্টা করেছিলেন তিনি, পারেননি।
হার্ট এ্যাটাকে মারা যাওয়া শামীম নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত ছিলো। এলাকায় উৎপাত না করলেও নেশা করবার সময় তার পাশে থাকা যেতো না কারণ যে কোন সময় যে কাউকে খিস্তি মারতো সে।
মা হারা দুটি সন্তান যখন বাবার সাথে দুপুরে ঘুমাচ্ছিলো, তখনও কি তারা বুঝতে পেরেছিলো যে, ঘুম থেকে উঠে তারা তাদের বাবার হৃদস্পন্দন ধ্বনি আর শুনতে পাবেনা। নাহ তারা জানতো না।
জানলে তারা আর ঘুমাতো না।
জানলে তারা বাবার শেষ নিঃশ্বাস পতনের শব্দ শুনে নিজেদেরকে ঠিক রাখতে পারতো না, পারতোনা চুপটি করে ঘুমাতে।
ঘুম থেকে উঠে যখন তারা তাদের বাবাকে ডাক দিলো তখন তার একদিকে হেলে পড়া মাথা দেখে প্রথমে ভেবেছিলো যে, বাবা হয়তো তাদের সাথে অভিনয় করছে কিন্তু এটা তো কোন অভিনয় ছিলোনা, বরং ছিলো এক চরম বাস্তবতা যেটাকে পাশ কাটিয়ে সামনে বাড়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
মসজিদ থেকে দাদা ফিরে আসলে দৌড়ে গিয়ে তার কাছে খবর দিলে সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে যান দাদা কিন্তু দাদা তো আর এই ছোট ছোট সন্তানদের মুখে বাবা ডাক শোনাতে পারেননি,মারা গেছে তাদের বাবা।
স্ট্রেচারে করে নিজ সন্তানের লাশ বয়ে আনাটা তার জন্য একদমই সহজ ছিলোনা কিন্তু করবেনইবা কি তিনি, যার সম্পর্কের বাঁধনের চেয়ে তো রবের দেয়ার মানুষ সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি, কি করার আছে তার?
যেই আল্লাহ তার বান্দাকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবার জন্য প্রস্তুত ব্যক্তিকে কিভাবে আটকে রাখা যায়?
যায় না।
সম্ভব নয় আটকে রাখা।
সব মায়ার বাঁধন ছিন্ন করেই নিকষ কালো এক ছোট্ট ঘরে যেতে হবে সবার যেখানে সেবা করবার জন্য আর মানব হাত অপেক্ষা করবেনা বরং তার জন্য অপেক্ষা করবে আরেক জগতের আল্লাহর সৃষ্টজীবেরা( ফেরেশতা) যেখানে ইনসাফের এক রত্তিও কমতি নেই।
সেখানকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণে মানব সাহায্যের পদ্ধতি চালু নেই।
এখান থেকে শুরু হবে সবার অনন্ত জীবনের পথচলা।
— — — — —
“আমার বাচ্চাটাকে মাফ করে দিয়েন “ অদৃশ্য কোন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যখন হাসান সাহেব এই কথা বলছিলেন বারবার, কবরস্থানের চারিদিকের নিস্তদ্ধ পরিবেশও মানুষের ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার মৃদু শব্দে ভারী হয়ে উঠেছিলো সেই মধ্য রজনীতে কিন্তু এই কান্না ফিরিয়ে আনতে পারবেনা আর সেই বাচ্চা দুটোর বাবাকে যিনি আজ কবরবাসী, দুনিয়াবাসী নন।
তিনি আজ এমন জগতের বাসিন্দা যেখানে তাকে কেউ নামাজের কথা বলবেনা অথচ দুনিয়াতে হয়তো নামাজে পাবন্দী করবার অভ্যাস ছিলো না তার।
ফেরেশতাদ্বয় প্রশ্ন করতে আসবার পর নামাজী বান্দাগণ মূহুর্তে উৎকন্ঠায় বলে উঠবে “ আমার নামাজ গেলো, আমার নামাজ গেলো “ কারণ সে যে দুনিয়ার এক নামাজী গোলাম যে তার রবের দেয়া নির্ধারিত সময়ে সালাতে দাঁড়াতে পারেনি,সেই ভয়ে সে তাড়াহুড়া করতে থাকবে, তখন তাকে আশ্বস্ত করা হবে এই বলে যে “ বরযখে নামাজের কোন বিধান নেই “।
সে কি এমন মুসলিম যে তার রবের নামের পর তার কাছে প্রেরিত রাসূলের নাম উচ্চারণ করতে পারবেনা?
সে কি এমন মুসলিম যে তার ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবার পর “ ইসলাম” শব্দটিও বলতে পারবেনা কারণ দুনিয়ার জীবনে হয়তো এই পবিত্র ধর্মের বিধানই ছিলো তার কাছে সবচেয়ে বেশী ব্যাকডেটেড অথচ আজ এই কবর জগতে কেবল এই ধর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে হচ্ছে তার যেটা ছিলো তার কাছে সবচেয়ে বেশি অযৌক্তিক একটা ধর্ম, যার বিধিবিধান মানবার মতো নয়।
দুনিয়ার জীবনে ইসলাম ধর্মের বিধান না মানলে কিংবা মানবার চেষ্টা না করলে আপনি কিভাবে আলমে বরযখে ( কবরের জগতে) সেই ধর্ম সম্পর্কিত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবেন, ভেবেছেন কি কখনো?
ভাবেন নি।
ভাববার সময় নাই আপনার, তাই না?
ভাববার সময় হবেইবা কিভাবে যখন আপনি দিবানিশি যাপন করেন শুধু প্রেমিকের আশায় যে আপনাকে ভালোবেসে শুধু গানই শুনাবে, কখনো নিঃশ্বাস বন্ধ হবার পরবর্তীতে কি হবে এর পরিণতি সম্পর্কে কখনো কিছু বলবেনা।
তার মুখে স্তুতি বর্ণিত হবে আপনার চুলের( মেয়ে) যে চুল আপনার সতরের অর্ন্তভূক্ত হলেও এ বিষয়ে আপনি ছিলেন নির্বিকার এই ভেবে যে “ ইসলাম চুল খোলা রেখে চলতে নিষেধ করেছে নাকি “ অথচ আপনার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ব্যক্তিবর্গের সামনে তা খুলে রাখার কোন বৈধতা আপনার জন্য নেই, আপনি তো এখনও নির্বিকার, তাই না?
সাধের দেহখানি সেদিন কতটা ভারী হবে, ভেবেছেন কি কখনো, যে ভারী দেহ স্পর্শ করবার অধিকার থাকবেনা আপনার আজকের ছেলেবন্ধুর, যে কিনা দুনিয়া জীবনে আপনার হাত ধরে কাটিয়ে দিতো বহু সময়,হয়তো শরীর স্পর্শে কম্পিত করতো বারবার।
— — — — —
নিঃশ্বাসটা বন্ধ হলেই সব হিসাব নিকাশ বদলে যাবে, যখন আর আপনাকে কেউ সতর ঢেকে চলতে বলবেনা বরং আপনাকে শুইয়ে দিবে তখন এমন এক মাটির ঘরে যেখানে দুনিয়ামুখী সংযোগের কোন ব্যবস্থা নেই। সেদিন আপনার হাত ধরে সান্তনা দেবার জন্য আজকের কথিত বয়ফ্রেন্ড / গার্লফ্রেন্ড আর এগিয়ে আসবেনা। দেখতে আসবেনা আপনার বাবা, মা, ভাই, বোন কিংবা নিকটাত্মীয় যাদের মধ্যমণি হয়ে ছিলেন কিন্তু আজ আপনার পরিচয় হলো “ মুর্দা “।
হে আল্লাহ, মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই।
ফেরেশতাদের সম্মুখে আপনাকে” রবের” স্বীকৃতি দিতে চাই যিনি “ মুহাম্মাদ ( সাঃ)” কে নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন এমন এক ধর্মের সুসংবাদ দিয়ে যার নাম হলো “ ইসলাম”।
সত্যিই বলেছেন, বর্তমানে ধর্মের কথা সবাই ভুলে যাচ্ছে।
শব্দসং্খ্যা ১০০০ এর চেয়ে ২/৩00 কম আছে।
যাই হোক,লেখাটায় বাস্তবতা আছে! শুভ কামনা।
হুম ভালো লাগলো। প্রথম দিক থেকে গল্প আকারেই সবটা বর্ণনা হয়ে আসছিল, কিন্তু শেষ দিকে এসে মনে হলো এটা কোনো হুজুর তার বয়ান শোনাচ্ছে। ইসলাম, ইহকাল, পরোকাল, জীবন, মৃত্যু এসব নিয়ে ওয়াজ করছে এমন মনে হলো। গল্পের যে একটা সুন্দর ফিনিশিং বা একটা তৃপ্তি সেটা কেন যেন আসলো না।
এই টপিকটাতেই গল্পটা আরও বড় করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে লেখা যেত। আর বানানেও বেশ ভুল।
কতইনা * কতই না
এ্যাটাকে* অ্যাটাকে
হৃদস্পন্দন* হৃৎস্পন্দন
পাবেনা * পাবে না
নিঃশ্বাস* নিশ্বাস
ছিলোনা* ছিল না
করবেনইবা* করবেনই বা
কিভাবে* কীভাবে
করবেনা* করবে না
মূহুর্তে* মূহূর্তে
উৎকন্ঠায়* উৎকণ্ঠায়
বেশী* বেশি
কিভাবে* কীভাবে
সান্তনা* সান্ত্বনা
কি ভারী দেহখানি। → কী ভারী দেহখানি!
না মূল শব্দ থেকে আলাদা বসে। যেমন – করে না, হয় না।
রত্তিও→ রতিও
সান্তনা→ সান্ত্বনা
….
ওয়েল, রাইটার প্রথম থেকে পড়তে পড়তে মাঝপথে যেসব বর্ণনা দিয়েছেন তা খুবই ভালো লেগেছে। যদিও বা তা হাদিসের বাণী ;
কিন্তু তারপরের প্যারায় যা লিখে গেছেন তা কেবল মাত্র প্রবন্ধ বলা চলে। গল্পটা মনে হচ্ছিল ঐ প্রথম প্যারাতেই শেষ করেছেন আপনি।
শেষদিকে ইতি টানা গল্পের মতো হয়নি।
আপনি বেশি বেশি গল্প পড়ুন, লিখুন। একদিন ঠিকই ভালো রাইটার হতে পারবেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল????
আলহামদুলিল্লাহ! খুব ভালো লিখেছেন।
ইসলাম ধর্মিয় দৃষ্টিকোণ থেকে লিখেছেন সেই হিসেবে ইসলামিক গল্প বলাচলে। প্রথম থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত ধারাবাহিকতা ছিলো সুন্দর কিন্তু শেষের দিকে তাড়াহুড়ো করে হয়তো একটু এলোমেলো করে ফেলেছেন। ফিনিশিং কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তাই অবশ্যই এ বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা দরকার।
বানান এবং পাশাপাশি শব্দের ব্যবহারে কিছু ভুল আছে।
বানান:
মূহুর্তে→ মূহূর্তে
উৎকন্ঠা→উৎকণ্ঠা
কিভাবে→ কীভাবে
সান্তনা→ সান্ত্বনা
পাশাপাশি শব্দের ব্যবহার :
পাবেনা * পাবে না
ছিলোনা→ ছিল না
করবেনইবা→ করবেনই বা
করবেনা→ করবে না
তবে সব মিলিয়ে সাজানো গুছানো লেখা ভালো লেগেছে ♥। শুভকামনা
ইসলামিক গল্প।
ভালো লেগেছে।তবে মাঝ খান দিয়ে অনেক বর্ণনা করছেন।
কুরআন হাদিসের আলোকে।
মনে হলো প্রবন্ধ।
বানানে ভুল আছে
এ্যাটাকে–অ্যাটাকে
নিঃশ্বাস–নিশ্বাস
মূহুর্তে–মুহূর্তে
সান্তনা–সান্ত্বনা
শুভ কামনা রইলো।এগিয়ে যান।
আরো ভালো গল্প লিখবেন সেই প্রত্যাশায় থাকবো।