তাহসিন আহমেদ
তুমি বলতে, পতিদেবতা সবার একান্ত,
খুবই ব্যক্তিগত এবং নিজস্ব সম্পদ;
আমিও গলা মিলিয়ে বলতাম–
কোনো সন্দেহ নেই।
তবে আজ তুমি বলো,
পতিদেবতা আরো অনেকের হতে পারে।
আমি আবার কেমন করে তোমার সাথে,
দোনালা গলাটাকে মিলাতে পারি?
সে কী আমার বড্ড অপরাধ হয়ে যায় না?
তাই তো আর গলা মিলালাম না।
অনেকদিন পর ফিরে এসেছো,
উরুর ওপরে দখল নিতে চেয়েছিলে;
আমি প্রতিবাদ করেছি, বলেছি–
কাঠঠোকরা যেদিন আমাকে ঠুঁকড়ালো,
সেদিন তুমি কোথায় ছিলে?
আজকে আবার বাঁচাতে এসেছ কেনো?
সেদিন তো সব নিজের করেই নিলে।
আজ অনেকদিন পরে মনে পরে গেলো,
তুমি ছিলে জাতিগতভাবে ভাস্কর;
কল্পনার মূর্তি এঁকেছ নিখুঁতভাবে,
আর তৈরী করেছ দুমুখী কণ্ঠস্বর।
কবিতায় আপনার প্রতিভা আছেবেশ। টের পেলাম। অনেক ভালো লিখেছেন।পাঠেও বেশ তৃপ্তি পেলাম। বেশ বাস্তবিক একটি লেখা।
শুভ কামনা রইলো।
বেশ ভালো হয়েছে। কবিতার চরণে প্রিয় সঙ্গীর প্রতি অভিমান এবং তার অন্যায়ের প্রতিবাদ একই সাথে ফুটে উঠেছে। শব্দচয়নগুলো অসাধারণ।
ঠুঁকড়ালো শব্দটা ঠোঁকড়ালো হবে।
ভালো লেগেছে।কবিতার বর্ণনাভঙ্গী খুবই ভালো ছিলো।
বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।
পতিদেবতা সবার একান্ত,
এই পতিদেবতাটা বুঝলাম না।
কবি এখানে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
শুভ কামনা।
আপনাকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা @বুঁনোহাস
ঠুঁকরালো?????? আসলে আমি শিওর নই। ঠুঁকড়ালো মানিয়ে যাচ্ছে বলেই হয়তো ঠুঁকড়ালো লিখেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। @আফরোজা আক্তার ইতি
ভারতবর্ষে খুব সম্ভবত স্বামীকে পতিদেব বলা হতো। আমি এখানে পতিদেবতা বলতে স্বামীকেই বুঝিয়েছি। এটা কে কি মেটাফোর বলা যায় কি না ঠিক বলতে পারছি না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। @halima tus sadia
খুব সুন্দর ভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবি।
সাবলীল ভঙ্গি আর অসাধারণ শব্দচয়ন কবিতার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
চাপা অভিমান,প্রিয়জন থেকে ঠকা, অতঃপর নিজেকে শক্ত করে তোলা।সবমিলিয়ে মনমুগ্ধকর একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন আমাদের।
কবিকে জানাই শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।।