-আহমেদ সবুজ
একখানা জলরঙা নদী,
যে নদীতে নীল আকাশ আর শুভ্র মেঘের ছায়া পরে;
যে নদীতে হরিৎ বর্ণের কচুরিপানারা ভেসে বেরায়;
মৃদু বাতাসে মোলায়েম ঢেউ ওঠে যে নদীতে;
যে নদীতে এক ঝাঁক পোনা-মাছ দল বেধে নির্বিঘ্নে এপার ওপার ঘুরে বেড়ায়;
এমন একখানা নদী আমার চাই।
যে নদীর জল রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হয়নি;
যে নদীতে কারখানার বর্জ্যের স্তুপ নেই;
চামড়ার বর্জ্যের দুর্গন্ধ নেই যে নদীতে;
এমন একটা নির্মল নদী চাই।
যে নদীতে কংক্রিটের বাঁধ থাকবে না – সবুজ ঘাস আর কাশফুলে ভরে থাকবে নদীর পার।
যে নদীর বুকে বালি উত্তোলক ড্রেজার থাকবে না,
যে নদীর পার ঘেঁষে থাকবে বকুল আর হিজল গাছ।
মৃতদের রক্ত বয়ে বেড়াবে না যে নদী,
অনাকাঙ্ক্ষিত বেওয়ারিশ লাশ বুকে বয়ে বেড়াতে হবে না যে নদীর…
এরকম একখানা নদী আমার চাই।
কোনো বালি তোলা ঠিকাদারের সাথে কিংবা ট্যানারি মালিকের সাথে এ নদী আমি ভাগ করে নিতে পারবো না।
সে নদী একান্তই আমার,
নদীর ভাগ আমি কাউকেই দিতে পারবো না।
কবিতায় বর্ণনাভঙ্গি অত্যন্ত সুন্দর। পাঠক নিমিষেই কল্পনার নদীতে সাঁতরে যেতে পারবে। সুন্দর হয়েছে। এরকম মনোমুগ্ধকর, বিশুদ্ধ নদী সবারই কাম্য। কিন্তু আদৌ কি আমরা এরকম নদী পাব?
বানানে তেমন কোন ভুল নেই।
বেধে- বেঁধে।
Thankyou dear
অসাধারণ কবিতা।
লেখক কবিতায় একটি সুন্দর নদীর কথা প্রকাশ করেছেন।যে নদীতে থাকবে না কোনো রক্ত।থাকবে না কোনো দূষিত বর্জ্য।এমন একটা নদী পাওয়া বড়ই কঠিন।
তবে এমন নির্মল নদী লেখক তার মনের অজান্তেই পাবেন।বাস্তবে নয়।
শুভ কামনা রইলো।
অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটা।এমন নদী পাওয়া বড়ই কঠিন
বেশ চমকপ্রদ, আন কমন একটা টপিক।
কবিতায় কবি এক পবিত্র, নির্মল নদীর স্বপ্ন দেখেছেন।
বলেছেন তার আকাঙ্খার কথা।
খুব সুন্দর উপস্থাপন ছিলো।
ভালো লেগেছে।
শুভকামনা।।