মোহাম্মদ জুনায়েদ
বাবা পড়া লেখাও করতেছিস না, কোন কাজও করতেছিস না। এইভাবে চললে খাবো কি বলতো? উফ! মা, আমরা জমিদারের বংশধর। আমাদের কাজ করা চলে নাকি? আর চাকুরী করা কি আমাদের সাথে যায়? তাহলে কি করবি বলে ঠিক করেছিস? কেনো কিছু করবো কেনো, আমাদের এখনো একটা চারতলা বিশিষ্ট বাড়ি আছে সেটা ভাড়া দিয়ে চলবো। তোর বাবাও একি কাজ করতেন। তোর দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে করে তোকে পড়িয়েছেন, আর সেই সম্পত্তির অবশিষ্টাংশ হিসেবে এই বাড়িটা আছে। এই শেষ সম্বলটুকুও কি রাখতে দিবি না। অন্তত তোর ভবিষ্যতের জন্য কিছু একটা কর। ওহ হো, বিরক্ত করো নাতো। আমাদের রক্ত জমিদারের রক্ত, কোথাও কাজ কিংবা চাকুরী করা আমাদের সাজে না। একদিন ভিক্ষে করে খেতে হবে মনে রাখিস। এই আমি বলে রাখলাম। মায়ের কথা কর্ণপাত করেনি সে। মা বাবা মারা যাওয়ার পর বসে বসে খাওয়া আর ডায়ালগ বাজি ছাড়া কিছুই করে নাই সে। বিয়ে করেছে, তার ঘরে আজ দুই সন্তান। বউ এর ভরণপোষণ আর সন্তানদের নানান চাহিদা মেটাতে গিয়ে বাবার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল সেই চারতলা বাড়িটাও বিক্রি করে দিয়েছে। অতঃপর সে আজ সত্যিই ভিক্ষুক। ভিক্ষা করার সময় এক ভদ্রলোক তাকে একটা দুই টাকার নোট ভিক্ষা দিলো। কিন্তু তার মুখ ফসকে বেড়িয়ে আসলো___ ” আমি জমিদার বংশের ছেলে, দুই টাকা ভিক্ষা আমাকে মানায় না”!!
০ Comments