সাব্বির আহমেদ বাবু
বিশ্ব অর্থনীতি যখন নতুন দিগন্তরেখায় তখন বিশ্ব মোড়লের সামনে নতুন একটি সমস্যা যেই সমস্যা সমাজের প্রতিটি স্তরে ছত্রাকের মতো দ্রুত বিরাজমান। আশু সমাধানের পথ খুঁজে দিশেহারা তখনকার সমাজপতিগণ। সেই সমস্যা বর্তমানে আমরা বলে থাকি শিশু শ্রম। মধ্যযুগ থেকে উপমহাদেশীয় মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ ছিল এই শিশু শ্রম সমস্যাটি। আমরা জাতি হিসেবে যতই গর্ব করি না কেনো আমাদের লজ্জাকর জায়গা হলো আমাদের আগামীকে আমরা সস্তা শ্রমে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দিচ্ছি। সারাদিন রাস্তাঘাটে, অলিতে গলিতে আন্দোলন আর সমাবেশে সোচ্চার হচ্ছি শিশু শ্রম বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার জন্য। দিনশেষে সেই আমরাই ঘরে প্রবেশ করে বাসার পিচ্চি মেয়ে/
ছেলেটিকে বলছি বাহির থেকে এলাম এক কাপ চা দিয়ে যা আর এই নোংরা কাপড়গুলো কেঁচে দিয়ে রোদে দিয়ে আয়। একবার ভেবে দেখছি না আমরা আমাদের নীতির কাছে নিজেকে কতটুকো লজ্জিত করছি। তারপরও বেখেয়ালি আমরা, আমাদের সত্ত্বা। ২০১৬ সালের ইউনিসেফ, হিউম্যান রাইটস এর এক যৌথ রিপোর্টে উঠে এসেছে কতটা ভয়াবহতম অবস্থানে আমাদের দেশের শিশু শ্রম ব্যবস্থা। সারা দেশে প্রায় ৭৮ লক্ষ শিশু কিশোর বিভিন্ন মেয়াদী শ্রমে নিজের শ্রম বিক্রয় করছে। এর মাঝে আটত্রিশটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা নির্বাচন করেছে ওই দুটি সংস্থা। যেগুলোর মাঝে এই শিশুদের সক্রিয়ভাবে শ্রম দিচ্ছে আমাদের দেশের শিশু। যার পরিমাপ আনুমানিকভাবে চল্লিশ-বিয়াল্লিশ লক্ষ শিশু। একবার ভেবে দেখুন কতটুকো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আমাদের আগামী প্রজন্ম।
শিশুশ্রম চালু রয়েছে যখন অগ্রসূচনায় পদার্পণ করেছে মানবসভ্যতা। তখন দাস প্রথা চালু ছিল সমগ্র দুনিয়ায়। শিশুদেরও দাস হিসেব ক্রয় করতো অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল মানুষ। তারপর তাদের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করতো মনিবেরা। শিশুদের প্রতি আগ্রহ বেশী থাকার কারণগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় কারন ছিল তাদের ভরণপোষণ খরচ কম লাগতো। তারা অল্পতে ভয় পাওয়ায় তাদের দিয়ে বেশী কাজ করিয়ে নেয়া যেতো। এভাবেই ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে লাগলো শিশুশ্রম সমগ্র বিশ্বে। আঠারো শতকের শেষ লগ্নে মানুষ যখন কলকারখানা বিস্তর বিকাশ এবং খনিজ সম্পদের মূল্যমান সম্পর্কে অবগত হয়েছে তখন শিশুশ্রম প্রেক্ষাপট ভয়াবহ রূপ নেয় আধুনিক বিশ্বে। খনির কাজের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে দাস বা শ্রমিক হিসেবে মালিকদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠে শিশু কিশোর।ভয়াবহ এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য তখনকার সময় সমাজপতি এবং সরকার গন শিশু শ্রম যে সামাজিক অবক্ষয়ের দূত তা তাদের বোধগম্য হয়।সেই কারণে গ্রেট ব্রিটেন সহ আমেরিকা, ইউরোপে শিশু শ্রম বন্ধের জন্য আইন করা হয়। ১৮০২ সালের শিশু শ্রম আইনে শিশুদের কর্মনীতিতে পরিবর্তন আনা হয়। যদিও তা সকল স্তরে প্রয়োগ সম্ভবপর হয়ে উঠেনি তখন। তারপর শতাব্দী পেরিয়ে পৃথিবী পা দিলো উনবিংশ যুগে। শিল্প, কারখানা, খনিজ সম্পদ আহরণের মাত্রা দিনকে দিন বৃদ্ধি লাভ করতে লাগলো। যার সুবাধে শ্রমের প্রয়োজন আরো বেশী করে দরকার হতে লাগল প্রগতিশীল দুনিয়ায়। সমাজকর্তাদের মাথা ব্যথা তখন মাথার বোঝা হয়ে দাঁড়ালো। সেই বোঝা না পারছে নামাতে না পারছে ধরে রাখতে। ক্রমান্বয় সেই অবস্থা ভয়াবহ থেকে ভয়াবহতম হয়ে উঠলো। মানুষ দেখলো মানুষের ঘৃণ্যতম আরেক রুপ। দাস প্রথা বন্ধ করে আধুনিক দাস প্রথা সমাজের সকল স্তরে জায়গা করে নিয়েছে। যখন সমগ্র আধুনিক বিশ্বে শোষণের আরেক নাম শিশু শ্রম তখন আমেরিকা, ইউরোপের প্রায় সকল দেশে বন্ধ করে দেয়া হলো শিশু শ্রম। সময় তখন ১৯৪০ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরর ধামামায় কাঁপছে বিশ্ব। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে গিয়ে সেই আইনকে আবারো বুড়ো আঙ্গুল প্রদর্শন করলো শোষক সমাজ। শ্রমের অত্যধিক চাহিদায় শিশুদেরকে আবারো নিয়ে এলো শ্রমের আওতাধীন। এভাবেই চলে গেলো আরো কয়েকটি দশক।
কয়েকটি আইন লক্ষ্য করলেই বুঝা যায় তখন কেমন গুরুতর ভাবে বন্ধ করার প্রয়াস নিয়েছিল শিশু শ্রম। “ন্যূনতম মজুরি অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী কিশোরসহ সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি প্রদানের নির্দেশ এবং নিয়োগকারী কর্তৃক ১৮ বছরের কম বয়সী শ্রমিককেও বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণের কম মজুরি প্রদান বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দোকান ও স্থাপনা আইন ১৯৬৫ অনুসারে দোকানে বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ১২ বছরের কমবয়সী শিশুনিয়োগ নিষিদ্ধ। এই আইন ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে শ্রমঘণ্টা । কারখানা আইন ১৯৬৫ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগদান নিষিদ্ধ করেছে ১৪ বছরের কম বয়সী কাউকে। কারখানার নারী শ্রমিকদের ৬ বছরের নিচে সন্তানদের লালন-পালনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির নির্দেশ দিয়েছে এই আইন। ‘শিশু আইন ১৯৭৪’এবং ‘শিশু বিধি ১৯৭৬’ এ সকল ধরনের আইনগত প্রক্রিয়াকালে শিশুর স্বার্থ রক্ষা করবে। এই আইনে বলা হয়েছে আলাদা কিশোর আদালত গঠনের কথা। ‘খনি আইন ১৯২৩’ অনুযায়ী খনিতে নিয়োগদান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ১৫ বছরের কম বয়সীদের।
রেলওয়ের কয়েকটি কাজে শিশুদের নিয়োগ এবং রেলওয়ে যানবাহনে অথবা কোন বন্দরের অধীন এলাকায় শিশুদের ভাসমান ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে ‘শিশু নিয়োগ আইন ১৯৩৮’।”
এইতো গেলো বিশ্ব শিশুশ্রম। এবার আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে শিশুশ্রম এবং শিশুশ্রম বন্ধের আইন, নিয়মনীতি কেমন সেটা না বলে পারছি না। বাংলাদেশ একাত্তর সালের দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতা লাভ করে। ভঙ্গুর অবকাঠামো ব্যবস্থা সেই সাথে অস্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য শিশু শ্রমীদের দিকে তাকানোর অবকাশ পায়নি স্বাধিনতার এক দশকের মাঝেও। অবশেষে বাংলাদেশে ১৯৮৬ সালে কার্যকরী করা হয় শিশুশ্রম বন্ধের আইন। ধীরে ধীরে সল্পোন্নত এই বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির ডালপালা গজাচ্ছে সেই সাথে নিত্য নতুন প্রক্রিয়ায় শিশুদের শ্রমকে কাজে লাগাচ্ছে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে। তারপর ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালে গৃহীত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১২-২০১৬) । তাতে অঙ্গীকার করা হয় ২০১৬ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসন করা হবে। এখন পর্যন্ত আশানুরুপ পরিবর্তন না আসায় রয়েছে নতুন পদক্ষেপ। ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮টি পেশাকে। আর ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম বন্ধের অঙ্গীকার করেছে সরকার
কিন্তু দিন যাচ্ছে শিশু শ্রম বাড়ছে বৈ কমছে না। আমরা জনমুখে স্লোগান দিচ্ছি টেকসই অর্থনীতিতে দাড় করাতে হলে শিক্ষিত সমাজ ব্যবস্থার প্রয়োজন আগে। কিন্তু নিজেদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে গিয়ে আমরা একবারও পিছন ফিরে দেখছি না আমাদের আগামী প্রজন্মের একটি বৃহত্তর অংশ ধুকে ধুকে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদেরই তৈরি করা শোষণ পিড়নের যাঁতাকলে। অনেকে এর কারন হিসেবে বলবে ছোট এই দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নিয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে বাসকারী জনসংখ্যা আধিক্য থাকায় এই শিশুশ্রম বন্ধ করার মতো অবস্থানে যায়নি আমাদের বাংলাদেশ। আসলেই কি তাই? আসলে সমস্যা হলো আমাদের মনোভাবের ভুল ধারনা। আমাদের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণীর মুনাফাখোর হায়েনা আমাদের প্রলুব্ধ করছে নগদ যা পাবে তাই নিবে। ভবিষ্যৎ কালে কী হবে তা ভেবো না। তাই শিশুদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের খেলার বয়সেই পরিচয় করিয়ে দেয় শ্রম আর টাকার সাথে। সমাজের এমন কোনো স্তর নেই যে স্তরে শিশুদের কে ব্যবহার করা হচ্ছে না শ্রমিক হিসেবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা যেদিকে থাকাই না কেনো সেই দিকে শিশুশ্রমের সমাহার দেখতে পাবো। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের আবাসিক হল থেকে শুরু করে ক্যন্টিন, ডাইনিং, চায়ের দোকান, রিক্সা চালকসহ প্রতিটি পেশায় শিশুদের ব্যবহার। কারণ, সবাই অর্থনীতি বোঝে। তাই কম বেতনে অধিক শ্রম খরিদ করে। আমাদের শিক্ষিত সমাজের দিকে অবস্থা আরো ভয়াবহতম। একবার ভেবে দেখুন পৌনে এক কোটি শিশু যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে হাত দিতো আমাদের পাশাপাশি তবে দেশের অর্থনীতি চাকা আরো বেগবান হতো কি না? যদি ঐ পৌনে এক কোটি শ্রমের জায়গা টুকো প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক শ্রম দিতো তবে দেশের বেকারত্ব হার আরো অনেক কম হতো। একদিকে যুবক বা প্রাপ্ত বয়স্ক দের হাতে অদম্য ভাবে এগিয়ে যেত দেশ অন্যদিকে দেশে তৈরি হতো দক্ষ সুশিক্ষিত একঝাঁক আগামী প্রজন্ম যাদের হাতে আমাদের তৈরি করা অর্থনীতির পতাকা থাকতো উন্নয়ন আর প্রগতির অনেক উর্ধ্বে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো যত সহজে কোনো আইন করে, তত সহজে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে না। যার একটি দৃষ্টান্ত শিশুশ্রম আইন। তবে এ শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে দেশের শিক্ষিত মানুষগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে।
যে বয়সে একটা শিশু স্কুলে যাবার কথা, সে বয়সে সে কাজ করে চায়ের দোকানে! এটা আমাদের জন্য বেশ লজ্জাকর একটি বিষয়। লেখক সাহেব বেশ চমৎকার উপায়ে কথাগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
আমাদের দেশটা যদিও উন্নয়নশীল,তবে ততোটা উন্নত হয়নি।দেশের মধ্যে অরাজকতা,বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।
শিশু শ্রম,নারী নির্যাতন, ধর্ষণ কোন কিছুই কমছে না।
যদিও একের পর এক আইন প্রণয়ণ চালু হয়েছে।
আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ছে,তবে পরিপূর্ণ জ্ঞানের মানুষ খুব কম।
শিক্ষিত মানুষেরাই অল্প টাকার বিনিময়ে শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
আর বড়দের দিয়ে কাজ করালে টাকা বেশি লাগবে।
ধনীরাই চায় আরও ধনী হতে।
শিশু শ্রম বন্ধ করতে আমাদের সচেতন হতে হবে।
বেশী–বেশি
কারন–কারণ
ধারনা–ধারণা
প্রতিষ্টানের– প্রতিষ্ঠানের
শুভ কামনা রইলো।
যথার্থ একটি প্রবন্ধ। আমরা কতো গর্ব করে মাথা উঁচু করে বলি আমাদের দেশ উন্নয়নশীল, কিন্তু কতোটা উন্নতির পপথে আমরা? নিজের বিবেককে হাতড়ে বেড়ালেও প্রশ্নের উত্তর মিলে না।
আজ খবরের কাগজে পড়লাম, বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় শিশুকে গরম পানি ছুঁড়ে মারা হয়। কতটা ভয়ানক ব্যাপার। শিশুটির কাছে একদল বখাটে বাকিতে সিগারেট নিতে চাইলে শিশুটি তাদের জানায় তার মামা না আসার আগে সে বাকিতে কিছুই দিতে পারবে না। এতে বখাটেগুলো ক্রুদ্ধ হয়ে চায়ের দোকানের গরম পানির কেটলির ফুটন্ত পানি ছুঁড়ে মারে শিশুটিকে। এতে তার গাল ও গলা পুড়ে যায়। ভাবা যায় কতোটা মর্মান্তিক? প্রথমত স স্কুলের পড়া বাদ দিয়ে দোকানে বসেছে এই বয়সেই তার উপর এমন পশুদের অত্যাচার। এর কোনো মানে হয়?
পৃথিবীর সকল শিশু বেড়ে উঠুক হাসিখুশিতে, বড় হোক প্রকৃত শিক্ষায়।
শুভ কামনা অনেক।
কতটুকো-কতটুকু
কেনো-কেন
বেশী-বেশি
কারন-কারণ
মত-মতো
রুপ-রূপ
কোন-কোনো (কোন দিয়ে প্রশ্ন বুঝায়)
এইতো-এই তো(হয়তো আর নয়তো শব্দ বাদে তো আলাদা বসে)
ভঙ্গুর-ভাঙা
কারন-কারণ
ধারনা -ধারণা
প্রতিষ্টানের-প্রতিষ্ঠানের
রিক্সা -রিকশা
ঐ -ওই
বয়স্ক দের-বয়স্কদের
বাহ্ বেশ ভালো লিখেছেন বলতে গেলে। সত্যিই যত আইন করা হচ্ছে, কিন্তু কোনোভাবেই কমছে না শিশুশ্রম। এই ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি নিজেদেরকেও সচেতন হতে হবে। অনেক সুন্দরভাবে ফুটে তুলেছেন ঘটনা প্রবন্ধে, আর বানানের দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।