চন্দ্রনাথের চুড়ায়
‘ভ্রমণ প্রথমে তোমাকে নির্বাক করে দেবে তারপর তোমাকে গল্প বলতে বাধ্য করবে।’ কথাটি ইবনে বতুতার।
আসলেই তাই! নানান জায়গায় ঘুরছি ফিরছি আর নিজের ভেতর গল্প সাজাচ্ছি অহরহ।
কিছুদিন আগে ঘুরে আসলাম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড় থেকে। তাই এবারের গল্পটা এই পাহাড়কে নিয়েই। সীতাকুণ্ড পাহাড়কে চন্দ্রনাথ পাহাড় নামেও ডাকা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শহরের পূর্বে অবস্থিত এই চন্দ্রনাথ শৃঙ্গ প্রায় ১১৫২ ফুট অথবা ৩১০ মিটার উঁচু এবং চট্টগ্রাম জেলার সর্বোচ্চ স্থান।
অনেকবার পাহাড় দেখা হলেও পাহাড়ের শৃঙ্গে চড়ে মাথার কাছাকাছি মেঘ আর আকাশ দেখা হয়নি কখনো। তাই বন্ধুদেরকে বলা, এবার চল পাহাড় দেখতে যাই। ক্লাস-পরীক্ষার ব্যস্ততাও কম ছিলো তাই একদিন কয়েকজন একসাথে বসে পরিকল্পনাও করে ফেললাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভ্রমণের এই জায়গা নিয়ে একেকজন এমন মত দাঁড় করালো! চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠা নেহাত দুঃসাহসিক চিন্তা! ভয়ংকর রকমের খাড়া সিঁড়ি আর আঁকাবাঁকা দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে উঠতে গেলে মাঝপথে গিয়েই আবার ফিরে আসতে হবে! না না মেয়েরা ওখানে পারবেই না!
এরকম নানান বাহানায় কয়েকজন গেল পিছিয়ে, কয়েকজন পড়লো বাদ। শেষমেশ দেখা গেলো আমরা চারজন মাত্র মেয়ে অনড় আছি যে আমরা ট্র্যাকিং করবোই। আর যাইহোক এতদিন ধরে শুনে আসা চন্দ্রনাথ পাহাড়ের রূপ লাবণ্য উপভোগ করার সুযোগ এবার হারাচ্ছি না। শুধু যে পাহাড়ের সবুজ অরণ্যই হাতছানি দিচ্ছে তা নয়, এই পাহাড়ে আছে বেশ কিছু মন্দির, আর ছোট ছোট ঝর্ণাধারা।
গুগল, ফেসবুকের বিভিন্ন ট্যুর গ্রুপ থেকে চন্দ্রনাথের টুকটাক বিবরণ দেখে নিলাম চারজন। আমি মনে করি, কোনো ভ্রমণে গিয়ে চূড়ান্ত উপভোগ আর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আগে থেকেই সেই জায়গা সম্বন্ধে টুকটাক বিষয়গুলো মাথায় গেঁথে নেওয়া খুব জরুরী একটা বিষয়। পাহাড়ে ট্র্যাক করার কঠিন বিবরণ পড়ে আমরা চারজনই যে মনে মনে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে উঠছিলাম তা বোধ করি আমাদের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো। তবুও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাহাড় এবার দেখাই চাই।
পরিকল্পনা অনুযায়ী দিন নির্দিষ্ট হলো। কুমিল্লা থেকে একদিনের ট্যুর তাই খুব ভোরেই রওনা দেবো বাসে করে। ব্যাগ গুছিয়ে রাখলাম রাতেই, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে ভুললাম না। বিশেষ করে স্যালাইন আর পানির বোতল। ভোর ৬ টার আগেই চারজন জড়ো হলাম বাস কাউন্টারে। প্রিন্স সৌদিয়ার ৬ টার বাসের টিকিট কেটেছি, উঠে পড়লাম বাসে। মনের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছিলো খুব। কারণ এই প্রথম পাহাড়ে ট্র্যাক করবো তার উপর কোনো গাইড ছাড়াই চারজন মেয়ে যাচ্ছি শুধু। ঝুঁকি না নিলে জীবন চেনা যায় না এই মতাদর্শে বিশ্বাসী আমি, তাছাড়া মেয়ে হওয়ায় যে বাঁধাধরা কিছু নিয়মের মধ্যেই থাকতে হবে সেটাও গুঁড়িয়ে দিতে ইচ্ছে হয় খুব। যাইহোক মূল কথায় আসি। ভোরের হিম হাওয়ায় শরীর জুড়িয়ে আসছিলো। বাসের জানালা দিয়ে চারপাশের বিস্তৃত সবুজ আর সাদা মেঘের নীলাকাশ দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম সীতাকুণ্ড বাজারে। ঘড়িতে তখন ৯:২০ মিনিট। বাজারে ছোট ছোট অনেকগুলা রেস্তোরা দেখে ঢুকে পড়লাম একটাতে। হালকা কিছু খাবার খেয়ে ব্যাগেও ঢুকিয়ে নিলাম কিছু। পানির বোতল নিলাম আরেকটা। যদিও ব্যাগ হালকা রাখতে হবে যতটা সম্ভব কিন্তু পাহাড়ের চূড়ায় সবকিছুর দাম খুব চড়া, দ্বিগুণ দাম রাখে সবকিছুর।
সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি করে দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছালাম পাহাড়ের পাদদেশে। এ দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মনে হলো সীতাকুণ্ড যেন মন্দিরের শহর। রাস্তার দুই দিকেই বিভিন্ন ধরনের মন্দির নজর কাড়বে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, এই ছোট্ট এলাকায় প্রায় আড়াইশোর বেশি মন্দির আছে। এবং আমরা যে পাহাড়ের চূড়ায় চড়তে যাচ্ছি সেখানেও নাকি দুটি শিব মন্দির আছে। আগ্রহটা আরও বেড়ে গেল ১২০০ ফুট চন্দ্রনাথের চূড়ায় চড়ার।
পাদদেশে পৌঁছে প্রত্যেকে ১টা করে বাঁশ নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে নিলাম হাজার ফুটের অধিক পথ পাড়ি দেয়ার। এতসব করতে প্রায় ১০টা বেজে গিয়েছে চন্দ্রনাথ অভিযান শুরু করতে। তারপর যতই উপরের দিকে উঠছি ততই যেন মুগ্ধ হচ্ছি। কিছুক্ষণ পর পর চূড়াটা ক্ষণিকের জন্য দেখা দিচ্ছিলো আর শক্তি পাচ্ছিলাম যে ওখানটাতে যেতেই হবে।
প্রথমদিকে তেমন কষ্ট না হলেও তিনশো ফুট থেকে আপনাকে উঠতে হবে খাড়া পাহাড় বেয়ে। কখনোবা চলতে হবে এক পাশে পাহাড়ের গা ঘেঁষে আর অন্য পাশে খাদ নিয়ে। একবার পা ফসকালেই পড়তে হবে ২৫০-৩০০ ফুট নিচে। কোনও কোনও জায়গায় পথটা এতটাই সরু যে, দুজন মানুষ একসঙ্গে উঠা-নামা করা প্রায় অসম্ভব। মাঝে মাঝে পাওয়া যাবে প্রাচীনকালের তৈরি সিঁড়ি। কে কত সালে সে সিঁড়ি কেন বানিয়েছেন সাথে আছে তার নামফলকও। চারদিকে নিরব-নিস্তব্ধ। মাঝে মাঝে শুনতে পাচ্ছিলাম চেনা-অচেনা পাখির ডাক। দেখেছি ঝরনাও।
কিন্তু দুই তৃতীয়াংশ উঠার পর প্রায় সবাই হাঁপিয়ে গিয়েছিল। দুই একজন বলেও বসেছে আর যাওয়া লাগবেনা। একজন রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে বসে গেছে মাঝপথেই, বমি করে খারাপ অবস্থা। মাথায় পানি দিয়ে বুঝাচ্ছিলাম একটু বিশ্রাম নিক, তারপর ভালো লাগলে উপরে উঠবো নাহয় ফিরেই যাবো। আমাদের আশেপাশে আরো গ্রুপ ছিল যারা মাঝপথেই বসে গেছে। কিছুক্ষণ পর বান্ধবী কিছুটা সুস্থ বোধ করলে বললো চূড়ায় না উঠে তো ফিরছিনা। তাই আমরাও স্বীয় শক্তিতে এগুতে লাগলাম এবং শেষ পর্যন্ত দেখাও পেলাম সেই অমায়িক রূপলাবণ্যের।
প্রায় ঘন্টা দেড় পর আমরা পৌঁছলাম প্রথম পাহাড়ের চূড়ায়। সেখানে রয়েছে শ্রী শ্রী বিরূপাক্ষ মন্দির। মন্দিরে অবস্থানরতরা জানালেন, এটা তাদের শিব দেবতার বাড়ি। প্রতিবছর এই মন্দিরে শিবরাত্রি তথা শিবর্তুদশী তিথিতে বিশেষ পূজা হয়। এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। যেটি শিবর্তুদর্শী মেলা নামে পরিচিত। এই মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য সাধু এবং নারী-পুরুষ যোগদান করেন। পাহাড়ে এবারের মেলা চলে ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর পাহাড়ের নিচে মেলা চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে।
কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে রওনা হলাম চন্দ্রনাথ পাহাড়ের দিকে। সেখানেই রয়েছে আরো একটা মন্দির আছে যেটির নাম চন্দ্রনাথ। বিরূপাক্ষ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরের ১৫০ ফুট রাস্তার প্রায় ১০০ ফুটই উঠতে হবে খাড়া পাহাড় বেয়ে। সেখানে নিজেকে সামলে রাখা অনেকটাই কষ্টকর। অবশেষে খাড়া পাহাড় বেয়ে মাটি থেকে ১২০০ ফুট উপরে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠলাম আমরা।
সীতাকুণ্ডের সর্বোচ্চ উঁচু পাহাড় চন্দ্রনাথে দাঁড়িয়ে আমিরা রীতিমতো হৈ হুল্লোড় শুরু করলাম। এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে শেষমেশ আমরা পৌঁছে গিয়েছি আকাঙ্ক্ষিত এই চূড়ায়। চূড়া থেকে চারপাশে তাকিয়ে যেন স্তব্ধই হয়ে গিয়েছিলাম, দেখেছি একদিকে সমুদ্র আর অন্য দিকে পাহাড়ের নির্জনতা। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম উঁচু-নিচু পাহাড়ের সবুজ গাছপালার দিকে। এখানে প্রশান্তিতে জুড়িয়ে যাবে চোখ।
কিছুক্ষণ প্রকৃতির এই রূপ অবলোকন করে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম সবাই। যদিও চোখ দিয়ে দেখা এই সৌন্দর্য মুঠোফোনে আবদ্ধ করা যায় না তবুও এই নয়নাভিরাম সবুজ সমারোহ যেন গ্যালারিতে না রাখলেই নয়!
পাহাড় থেকে নিচে নামার সময়ও মুগ্ধ হয়েছি আমরা। কারণ, এই পাহাড়ের দুটি রাস্তা রয়েছে। আপনি যদি আগে বিরূপাক্ষ মন্দির হয়ে উঠেন সেটা হবে আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, চন্দ্রনাথ মন্দির থেকে নামার রাস্তার সিড়ির ধাপগুলো অনেক বড় বড়। এই পথে উঠতে গেলে আপনি খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাবেন। আর নামতে গেলে আপনি পাবেন দুই পাহাড়ের মাঝের সুরঙ্গ রাস্তা। এখানে সব সময়ই বাতাস থাকে। যা আপনার ক্লান্ত দেহকে এক মুহূর্তেই শীতল করে দেবে। এবং এই পাহাড় থেকে নিচে নামা একদম সহজ। যদিও হাইটফোবিয়া থাকায় ভয়ে আমার দম আটকে যাচ্ছিলো বারবার, তবুও এই যে ভয় ভয় এডভেঞ্চার এটাও নেহাত কম সুখ না!
পাহাড় থেকে নেমে আমরা একটা হোটেলে পৌঁছাই। পেটের ক্ষুধায় তখন কাহিল অবস্থা। সেখানেই ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়েছি মোরগপোলাও। ১৪০ টাকার প্লেট হিসেবে যথেষ্ট ভালো ছিলো। পেটপুরে খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছি সেখানেই। তারপর সিএঞ্জি রিজার্ভ করে শহরের আশেপাশের কিছু মনোরম জায়গাতে ঘুরেফিরে সতেজ হয়ে উঠেছিলাম আবার বিকালের বাতাসে। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য এটাকে একদিনের আদর্শ ট্যুরও বলা যায়।
যাতায়াত :
কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনে ও বাসে যাওয়া যায়। তবে আমরা গিয়েছি বাসে। আসা যাওয়ার বাস খরচ পড়েছে ৪৮০ টাকা। ফেরার পথে সীতাকুণ্ড বাজার থেকেই বাসে সিট পেয়েছি সরাসরি।
দুই বেলার খাবার আর শহরের ভেতর টুকিটাকি ঘুরাঘুরি মিলিয়ে মাত্র ৯০০ টাকার মধ্যেই আমরা সফল একটা ট্যুর শেষ করে ফিরেছিলাম।
সাবধানতা প্রসঙ্গে যা বলবো :
পাহাড়ে ওঠার সময় শুকনো খাবার ও পানি রাখবেন সঙ্গে। সাথে অবশ্যই স্যালাইন। পাহাড়ি রাস্তায় বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে উঠবেন। পাহাড়ে আগুন জ্বালাবেন না। রাস্তায় কিছু দোকান পাবেন, দোকানিদের ব্যবহার ভালো। কিন্তু পণ্যের দাম দ্বিগুণ। একা কখনো পাহাড়ে যাওয়া উচিত না।
এডভেঞ্চারপ্রেমী হওয়ায় স্মৃতির পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের এই ভ্রমণটি।
সি এন জি, সিঁড়ি বানানগুলো এভাবে হবে। ভালো লিখেছেন। ভ্রমণকাহিনী পড়লে নিজেরও সেই জায়গাতে ভ্রমণ করতে ইচ্ছা করে।
শুনে-শোনে
কখনোবা-কখনো বা
নাহয়-না হয়
সিড়ির-সিঁড়ির
অনেক জায়গাতে কমা ব্যবহার করা জুরুরী হলেও ব্যবহার হয়নি। আবার অনেক জায়গায় কারণের পর কমা ব্যবহার হয়েছে যা না দিলেও চলে। পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। পাহাড়ের বুকে উঠার ইচ্ছে আমারও আছে, কিন্তু ভয় করে। কারণ জীবন গেলে তো আর ফিরে আসবে না। কিছু বানান ভুল ছিল দেখে নিবেন শুভ কামনা রইল।
ভ্রমণ কাহিনি পড়লে সেই জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে।
সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
অসাধারণ লিখেছেন
বানানে কয়েকটা ভুল।
শুভ কামনা রইলো।
আসসালামু আলাইকুম।
অনেক ভালো লেগেছে পড়ে। ভ্রমণ মানেই মজা, আনন্দ, হৈ হুল্লোড় আর জ্ঞান লাভ করা। যদিও তেমন একটা ভ্রমণ করা হয় না তবু বেড়াতে কার না ভালো লাগে না।
চিহ্নের ব্যবহারে সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গায় দেখলাম এবং এর আগে (।) ব্যবহার করা হয়েছে। এটা কি কোনো নতুন নিয়ম? আমার আসলে জানে নেই এই ব্যাপারে।
না যুক্ত হয়ে বসে না। যেমন –
লাগবেনা – লাগবে না
ফিরছিনা – ফিরছি না
মাঝপথেই – মাঝ পথেই
মাসজুড়ে – মাস জুড়ে
এত – এতো
সিড়ির – সিঁড়ির
ঘুরেফিরে – ঘুরে ফিরে
সিএঞ্জি – সিএনজি
যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আগামীতে নিশ্চয়ই আরও ভালো হবে।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
দিন দিন ভ্রমণ কাহিনী পড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। যেটাই পড়ছি, নতুন কিছু জানছি।
সীতাকুণ্ডের অপর নাম চন্দ্রনাথ, এটা জানা ছিলো না। সীতাকুণ্ডে ঘুরার শখ আছে অনেক দিন থেকেই। আপনার পোস্ট থেকে কিছু আন্দাজ পেলাম, যদি কখনো যাই, সহায়ক হবে।