#প্রকৃতি_কন্যা_সিলেট_ভ্রমণ
লেখা:অধরা রোদেলা
অনেকদিন ধরেই প্ল্যানিং হচ্ছিলো আমাদের ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে..কিন্তু কয়েকজনের এই সমস্যা ঐ সমস্যা করে যাওয়া হচ্ছিলো না।১০ জন ছিলাম আমরা ফ্রেন্ড সার্কেলে..তো একদিন জুন মাসের ১১ তারিখ আমরা ক্লাস শেষ করে দুপুর ১২ টার দিকে একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি।হঠাৎ একটা ফ্রেন্ড বললো ও নাকি কালকে খালার বাড়ি সিলেট যাবে একটা জমির কাগজ দিতে।সেখান থেকেই সবাই শুরু করলাম সিলেট যাওয়ার প্ল্যান।ফ্রেন্ড সার্কেলের দুইজন বাদ গেলো ওরা নাকি যাবে না।যেহেতু ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা অনেক আগে থেকেই ছিলো তাই টাকার চিন্তা করতে হয় নি কাউকে সবার কাছেই সঞ্চিত ছিলো।সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতেই সিলেট রওনা দিবো।আমরা ছিলাম ৫জন মেয়ে ৩জন ছেলে।আমরা এই ৫ জন মেয়ে বেশ সাহসী তাই রাতে যাওয়া নিয়ে এতো সমস্যা হয় নাই আর ফ্যামিলীর কারোর খুব একটা প্রবলেম ছিলো না বিকজ তারা আমাদের এই ফ্রেন্ড সার্কেলের ব্যাপারে ভালো করেই জানে বাধা দিলেও লাভ নাই।
দুপুর ২টার দিকে বাসায় এসেই ব্যাগপ্যাক করা শুরু করে দিলাম।শুরুতেই একটা ডাইরী নিয়ে নিলাম।আমার আবার টুকটাক জিনিস নোট করে রাখতে ভালো লাগে।ড্রেসগুলো আয়রন করলাম।এয়ারফোন,হেডফোন,পাওয়ার ব্যাংক,সানস্ক্রিন ক্রিম,ছোট্ট ডিজিটাল ক্যামেরা,সাধারণ আরেক জোড় স্যান্ডেল,সাজগোজের টুকিটাকি জিনিস,ছাতা,মোবাইলটা ভাইয়ার চার্জার দিয়ে চার্জ দিয়ে আমার চার্জার ব্যাগে ভরে ফেললাম(আমার আবার বেড হ্যাবিট আছে চার্জার অলওয়েজ ভুল করে ফেলে যায় তাই আগেই নিয়ে নিলাম)একটা ওয়াটার বোতল নিয়ে নিলাম।রাতের বেলা যেহেতু যাবো সাথে একটা চার্জার লাইটও নিয়ে নিলাম যদিও ফোনের ফ্লাশ লাইট ছিলো।
বাসা থেকে রওনা দিলাম ৭টার দিকে সবাই একত্রিত হতে ৭:৩০টা বেজে গেলো ৮:০০টার ট্রেনে উঠে পড়লাম সবাই।যেহেতু হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো তাই এক ফ্রেন্ডের মামার সাহায্যে শোভনে সিট পেলাম।আবিদ নামের একটা ফ্রেন্ড আছে সে গিটার এনেছে..গিটার দিয়ে গান গাইতে আরম্ভ করলো।আমরা সবাই ও যোগ দিলাম”এমন যদি হতো আমি পাখির মতো উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ”আরও অনেক গান গাইলাম আর আড্ডাবাজি করলাম।আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে আবার ব্রিলিয়ান্ট মানে ওভার ব্রিলিয়ান্ট কয়েকজন আছে।তারা সিলেটের আদি কাহিনী আরম্ভ করলো।সিলেটের আদি নাম ছিলো”শ্রীহট্ট”।কোনো এক তুর্কি সেনাপতি এ অঞ্চল ঘুরে তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় বলেছিলো “শীতলাচল”তার থেকে “সিলোহাটি” আর এভাবে ধীরে ধীরে নানা পরিবর্তনের ধারায় উৎপত্তি হয় “সিলেট”নামের।আর সিলেট বিভাগ হিসাবে প্রতিষ্ঠাতা পায় ১৯৯৫ সালের ১ আগস্ট।সিলেটে আমাদের দেশের অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেন।যেমন:বাংলা সাহিত্যের যাদুকর সৈয়দ মুজতবা আলী জন্মগ্রহণ করেন সিলেটে।৩৬০ আউলিয়ার দেশ সিলেট।সিলেটকে নাকি দ্বিতীয় লন্ডনও বলা হয়।এভাবে নানা বিষয়ে আলোচনার পর অল্প একটু ঘুম দিয়েই সকাল ৬:৩০টার দিকে অনেক প্রতিক্ষিত সিলেটে পৌছালাম।তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো।আর হ্যাঁ সিলেট ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময় কিন্তু বর্ষাকাল।বর্ষাকালেই সিলেটের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।আমরা ৮ জনের মতো হওয়ায় ফ্রেন্ডের খালাবাড়িতে আর উঠি নাই।তবে উনারাই হোটেল এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আর সাথে একটা গাইডের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।উনি অনেক দক্ষ ছিলেন কোথায়,কীভাবে পুরো শহরটা সুন্দর করে দেখা যাবে এ ব্যাপারে।অনেক হেল্পফুল ছিলো লোকটা।হোটেল থেকে আমরা সোজা চলে গেলাম রাতারগুল সেখানে পানিতে ডুবে থাকা নৌকা করে ঘুরলাম।রাতারগুল সত্যিই দেখার মতো একটা জায়গা পানির উপরে নৌকায় করে ভাসছি আমরা আর চারদিকে সবুজ অরণ্য কি যে ভালো লাগছিলো!তারপর সেখান থেকে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ওয়াচ টাওয়ারে উঠে রাতারগুলের এরিয়াল দৃশ্য দেখতে লাগলাম মুগ্ধ নয়নে।ওয়াচ টাওয়ার থেকে রাতারগুলের ৩৬০ডিগ্রী ভিউ পাওয়া যায়।সেখান থেকে চলে গেলাম বিছানাকান্দি।সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় যাকে বলে বিস্নাকান্দি।বিছিয়ে রাখা সুন্দর জায়গা।বিছানাকান্দি গোয়াইনঘাট হাদার বাজার হয়ে যেতে হয়েছিলো।গোয়াইনঘাট পর্যন্ত আসলাম হাওর অঞ্চলের চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখতে দেখতে।গোয়াইনঘাট এর পর শুরু হয় প্রচন্ড রকমের খারাপ রাস্তা এমন অবস্থা যে এক ঝাঁকি শেষ হতে না হতেই আরেক ঝাঁকি খাওয়ার জন্য লাফিয়ে উঠতে হয়।পাহাড়ের মধ্যে দূর থেকে দেখা যায় মায়াবতী ঝর্ণা।দেখে মনে হয় ভ্যানগগ বা রেমব্রান্ট এর আঁকা কোনো শিল্পকর্ম।আঁকাবাকা পথ যেন আর শেষ হয় না।কানে বাজে রবার্ট ফ্রস্টের,”But I have promises to keep and miles to go before I sleep”সবশেষে পৌছালাম বিছানাকান্দি…এর সৌন্দর্য দেখে এতক্ষণ যে ঝাঁকি খেয়ে আসলাম তা ভুলেই গেলাম।সেখানে স্বচ্ছ পানিতে পাথরের সাথে মিতালী করে পানিতে ঝাপিয়ে পড়লাম তারপর ক্ষুধা বাড়িয়ে চলে গেলাম হাদার পাড়ে গনী মিয়ার বিখ্যাত ভুনা খিচুরী খেতে।পেট ভরে খেয়ে এরপর গেলাম পান্থুমাই ঝর্না দেখতে।কিন্তু এ পান্থুমাই ঝর্ণা দূর হতে দেখা যায় কিন্তু থেকে যায় ছুঁয়ে দেখতে না পারার আক্ষেপ।কেননা এটা ভারতের বর্ডারে পড়ে গেছে।তারপর দৃশ্যটা হৃদয় ভিজিয়ে দেখে সারাদিনের রোমাঞ্চকর স্মৃতি নিয়ে ফিরে এলাম সিলেট শহরে।এরপর হোটেল ফিরে ডিনার করে নিলাম আর মনের সুখে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে দিলাম শান্তির ঘুম।
দ্বিতীয় দিন-
সবার আগে আমি আর আমার দুইজন ফ্রেন্ড সবার আগে ঘুম থেকে উঠলাম।বাহিরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করলাম।সিলেট শহরটার আবহাওয়ায় বেশ রোমান্টিক রোমান্টিক ভাব।সকাল ভোর হওয়াতে চারদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ।শুনতে বেশ ভালো লাগছিলো।অনেক কৃষককে দেখলাম ভোর বেলায় তাদের কর্মব্যস্ত মুখর দিন শুরু করে দিয়েছে।হাটাহাটি করে আবার হোটেলে ফিরে আসি।তারপর সকালের নাস্তা শেষ করে ১০টার দিকে চলে গেলাম লালাখাল।নিজের চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না পানি এতো স্বচ্ছ হতে পারে আর পানির কালার দেখে মনে হচ্ছিলো কেউ পানিতে নীল বিষ মিশিয়ে দিয়েছে।তারপর সেখান থেকে চলে গেলাম জাফলং।জাফলং ও কোনোদিকে কম নয় সৌন্দর্য এর দিক থেকে।জাফলং ঘুরে আমরা চলে গেলাম সংগ্রামপুন্জ্ঞী ঝর্নায় সেখানে দেহ মন ভিজিয়ে ঝর্নার পানিতে গোসল করে পিয়াইন নদীর তীরেই দুপুরের খাবার খেলাম।সেখানে থেকে সোজা জিরো পয়েন্টে সবুজের মাঝে কিছু ছবি তুলে চলে গেলাম তামাবিল(বাংলাদেশ ভারত)সেখানেই কিছুক্ষণ সময় সবাই হৈ-হুল্লোর করে সন্ধ্যায় আবার ফিরে এলাম শহর সিলেটে।এসে ফ্রেশ হয়ে সিলেটের বিখ্যাত পানসী হোটেলে জম্পেস একটা ডিনার করলাম।এরপর চলে গেলাম ক্বীন ব্রীজ সেখানে দাঁড়িয়ে সুরমা নদীর কলকল ধ্বনী শুনলাম আর অজান্তেই গেয়ে উঠলাম সেই প্রিয় গান”আমার পরাণ যাহা চায়”পাশেই আমজাদের ঘড়ির ঢং ঢং ঘন্টা ধ্বনী শুনে হোটেলে ফিরেই ফ্রেশ একটা ঘুম দিলাম।
তৃতীয় দিন-
সকালের নাস্তা শেষে চলে গেলাম সোজা শাহ জালাল (রা:) এর মাজারে পাশেই কিংবদন্তি চিত্র নায়ক সালমান শাহ্ এর কবর।তারপর সেখান থেকে গেলাম শাহ পরান (রা:) এর মাজারে।ওখান থেকে ফিরে এসে দুপুরে সিলেটের বিখ্যাত”পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টে”খেলাম সিলেটের বিখ্যাত খাবার”সাতকড়া মাংস ভূনা”দিয়ে গরম গরম ভাত।সাতকড়ার স্বাদ আর স্মেলটা অমৃত ছিলো।তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই ঢুকে পড়লাম হাসন রাজার যাদুঘরে।সেখানে হাসন রাজার দুইটা গান শুনলাম “নেশা লাগিল রে”আর আরেকটা মাটির পিন্জিরার মাঝে বন্দী হইয়া রে” গান দুইটা শুনে চলে গেলাম মালনী ছড়া চা বাগানে আর প্রাণভরা প্রশান্তি নিয়ে লাক্কাতুরা চা বাগানের ছোট্ট পাহাড়ে দাঁড়িয়ে সবাই ফানুশ উড়ালাম আর বর্ষাবিলাস সিলেট ট্যুর ২০১৮ কে বিদায় জানালাম তারপর রাতের ডিনার করলাম ঐ ফ্রেন্ডের খালার বাসায় করলাম।আর রাত ১০:০০টার ট্রেনে উঠে পড়লাম তবে সিটগুলো শোভনেরই ছিলো।সিটে বসেই কানে হেডফোন গুঁজে দিলাম কান দিয়ে গান শুনছিলাম আর চোখ বুজে সিলেটে কাটানো সময়গুলো আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো বিচরণ করছিলাম।
আমাদের ট্যুরটা ছিলো এরকম:
১ম দিন:রাতারগুল-বিছানাকান্দি-পান্থুমাই ঝর্ণা
২য় দিন:লালাখাল-জাফলং-সংগ্রামপুন্জ্ঞী ঝর্ণা-জিরো পয়েন্ট-তামাবিল-ক্বীন ব্রীজ
৩য় দিন:হযরত শাহজালাল(রা:)এর মাজার-হযরত শাহ পরান(রা:)এর মাজার-হাসন রাজার যাদুঘর-মালনী ছড়া চা বাগান-লাক্কাতুরা
খরচ জনপ্রতি:
১ম দিন:
ঢাকা-সিলেট:২৭০টাকা(শোভন-ট্রেন)
সিলেট বাস স্ট্যান্ড থেকে অম্বরখানা:২০টাকা জনপ্রতি
হোটেল ভাড়া:১০০০টাকা(জনপ্রতি)
লেগুনা রিজার্ভ(৩০০০টাকা+৫০টাকা নাস্তা):১৯০টাকা(জনপ্রতি)
রাতারগুলে নৌকা ভাড়া(২নৌকা ১০০০টাকা):৯৫টাকা(জনপ্রতি)
বিছানাকান্দিতে ট্রলার ভাড়া(১৫৫০টাকা):১০০টাকা(জনপ্রতি)
২য় দিন:
লেগুনা ভাড়া-(৩০০০টাকা +১০০টাকা):১৯৫টাকা(জনপ্রতি)
লালাখাল বোট ভাড়া(১০০০টাকা):১২৫টাকা(জনপ্রতি)
জাফলং ইন্জিনচালিত নৌকা ভাড়া:৭০টাকা(জনপ্রতি)
৩য় দিন:
রিজার্ভ মাইক্রো(২০০০টাকা):২৫০টাকা
অম্বরখানা থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন:২০টাকা(জনপ্রতি)
সিলেট-ঢাকা:২৭০টাকা(শোভন-ট্রেন)
সর্বমোট~২,৬০৫টাকা
খাওয়া-দাওয়ার মোট খরচ:(৩০০০টাকার মতো)
সতর্কতাঃ
*সিলেট এ ঘুরতে হলে আপনার সময়কে অনেক প্রাধান্য দিতে হবে,এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো এক মাথা থেকে আরেক মাথা।তাই সময়ের মেইন্টেইন করাটা অনেক জরুরী।
*সিলেট ট্যুর এর বাজেট পুরোটাই নির্ভর করে আপনার বারগেইন করার উপর।সিএনজি,নৌকা,রিক্সা যাই হোক বারগেইন করবেন।
*বিছানাকান্দি পাথরগুলোতে পা ফেলার আগে দেখে পা ফেলবেন।এগুলো অনেক পিছলা টাইপের।
*বিছানাকান্দিতে প্রতি ২ মিনিটে আপনি কোন না কোন অফার পাবেন।ভুলেও ওই ফাদে হাত-পা কিছুই দিবেন না।
*বিছানাকান্দিতে মেয়েদের মেকআপ অনেক কম দামে পাওয়া যায়।কিন্তু সব নকল।
*রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের গাছ,লতাপাতা তে অযথা হাত না দেয়াই ভালো।বিছা,বিষাক্ত প্রাণী থাকতে পারে।
*লালাখালের পানির গভীরতা অনেক।কেউ পানিতে নামতে চাইলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে নিবেন।
হোটেল ব্যবস্থা:সিলেট শহরের নাইওরপুল,দরগাগেইট,অম্বরখানা এলাকায় অনেক ভালো মানের হোটেল রয়েছে।৩০০থেকে ৩০০০টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দসই হোটেল।এছাড়া নলজুড়ি উপজেলায় সরকারি ডাকবাংলো রয়েছে,পূর্ব অনুমতি নিয়ে এখানে রাত্রি যাপন করা যায়।সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভাড়া ৫০০টাকা আর সাধারণের জন্য ভাড়া ১৫০০টাকা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ:প্রতিটি স্পট এর পানি স্বচ্ছ ও পরিষ্কার।কেউ যদি সিলেট যান দয়া করে ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলবেন না।ইভেন রাস্তা বা অন্য কোথাও না।সিলেট অনেক পরিষ্কার শহর দয়া করে নোংরা করবেন না।খুব সহজেই একটা ২৫০/৫০০মি.লি এর খালি বোতল রাখতে পারেন।সারাদিন এর জন্য ওইটাই ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
চমৎকার লিখেছেন।
ভ্রমণ কাহিনিতে সিলেটের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
ভালো লাগলো।
সিলেট অনেক সুন্দর জায়গা।
সিলেট সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।
বানানে কিছু ভুল
যায়-যাই
হয় নি–হয়নি
পৌছায়–পৌঁছায়
শুভ কামনা রইলো।
বানানের প্রতি একটু যত্নশীল হবেন। ভ্রমণকাহিনী বেশ উপভোগ্য করে উপস্থাপন করেছেন তবে অযথা ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে বাংলা শব্দ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন, বিকজ- কারণ।
যতিচিহ্নের পরে স্পেস হবে।
আপনার বেশকিছু বানান ভুল আছে। যেমন ডাইরী-ডায়েরি, আয়রন-আয়রণ । দাঁড়ি ব্যবহারের পর স্পেস দিবেন। কাহিনীটা ভালো লিখেছেন। সিলেট ভ্রমণের ইচ্ছা আমার অনেকদিনের।
ঐ-ওই
হয় নি-হয়নি
ডাইরি-ডায়েরি
ঝাপিয়ে-ঝাঁপিয়ে
হাটাহাটি-হাঁটাহাঁটি
অনেক ভালো লাগল পড়ে আর অনেক কিছু জানতে পারলাম ।আসলে একটা সুন্দর্য্য দেখার জায়গাই সিলেট । তবে কেন জানে মনে হচ্ছে লেখা মাঝে সব তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। যাইহোক বাংলা কাহিনী মাঝে ইংরেজি ব্যবহার না করা উত্তম। বানান কিছু ভুল আছে দেখে নিবেন শুভ কামনা রইল।
আসসালামু আলাইকুম। কিছু কথা:
অনেক সুন্দর করে সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনো সিলেট যাওয়া হয়নি। কিন্তু ভ্রমণ কাহিনীটা পড়ে যতোদূর বুঝতে পেরেছি তা হলো সিলেট সত্যি খুব সুন্দর জায়গা।
লেখনীতে কিছু কিছু ভুল রয়েছে যেগুলো না থাকলে আরও সুন্দর হতো। নিচে ভুলগুলো লক্ষণীয় :
ভ্রমণ কাহিনীতে কোথায় থেকে কোথায় যাওয়া হলো সেই স্থানটা উল্লেখ করলে খুব ভালো হয়। কিন্তু সিলেটে যাওয়ার সময় যাত্রাটা কোথায় থেকে শুরু করলেন সেটা ঠিক উল্লেখ নেই। দিলে ভালো লাগতো।
চিহ্ন ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে।
এক লাইন শেষ হলে আর এক লাইনে যাওয়ার আগে (।) এর পর স্পেস হয় যেটা ব্যবহার করা হয়নি। আগামীতে খেয়াল রেখে লিখবেন আশা করি।
কি/কী এর ব্যবহারে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। আশা করি পরবর্তীতে খেয়াল রেখে লিখবেন।
অন্যান্য ভুলগুলো নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম :
কয়েকজনের – কয়েক জনের
হয় নি – হয়নি
ফ্যামিলীর – ফ্যামিলির
ব্যাগপ্যাক – ব্যাগ প্যাক
ডাইরী – ডায়েরি
আরেক জোড় – আরেক জোড়া
সবাই ও – সবাইও
পৌছালাম – পৌঁছালাম
খালাবাড়িতে – খালা বাড়িতে
হাটাহাটি – হাঁটাহাঁটি
ধ্বনী – ধ্বনি
ইংরেজি শব্দগুলো বাংলায় লিখে ব্যবহার না করলে ভালো হয়। যেমন –
বিকজ, হেল্পফুল।
আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
আমার অনেক বন্ধুরা দেখে এসেছে সিলেট, অনেক শুনেছি। যাওয়ার ইচ্ছা আছে খুব।
আপনার বর্ণনা যদিও অল্প, তবুও অনেক কিছু জানলাম।
লেখার হাত সুন্দর আছে। আরেকটু ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।