Prank শব্দটার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এই শব্দটার আভিধানিক অর্থ তামাশা, কৌতুক কিংবা দুষ্টামিপূর্ণ কৌশল বা ফাঁদ। অর্থাৎ, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে কিংবা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে মজা পাওয়াকে Prank বলা যায়।
মানুষকে বোকা বানানোর এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে prank(তামাশা) নামে তা প্রতিনিয়ত আপলোড করা
হচ্ছে ইউটিউব’সহ সামাজিক সব যোগাযোগ মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হওয়া, নাগালের কাছে কম্পিউটার – স্মার্ট ফোন- দামী দামী ক্যামেরা এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় আমাদের জীবন যতটা সহজ হয়ে উঠেছে তেমনিভাবে বাড়ছে প্রাংক এর মত এসব অনলাইন জটিলতাও।
কখনো কখনো মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে বোকা বানানো হচ্ছে। কেউ অন্ধ সেজে রাস্তা পারাপার হওয়ার জন্য সাহায্য চাইছে, যে সাহায্য করতে আসছে তাকেই বোকা বানানো হচ্ছে। কেউ কেউ ইলেক্ট্রিক খুটি ধরে শক খাওয়ার ভান করে পরে যাচ্ছে সবাই যখন তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসছে তখন হয়তো সবাইকে বোকা বানিয়ে বলা হচ্ছে এটা মজা করে করা হয়েছে। এমনই নানানরকম নতুন নতুন কৌশলে তারা প্রতিনিয়ত মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।
আপনাদের নিশ্চয়ই বাঘ আর মিথ্যাবাদী রাখালের গল্পটা মনে আছে? হয়তো এমন দিন আসবে মানুষ সত্যিই বিপদে পরে উদ্ধারের জন্য সাহায্য চাইবে কিন্তু কেউ ফিরেও তাকাবে না।
নকল পিস্তল, বোমা ইত্যাদি দিয়ে যাকে তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে।
নকল সাপ, মাকড়সা কিংবা তেলাপোকা দিয়ে স্কুল-কলেজগামী মেয়েদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এটা আসলে ইভটিজিং এরই একটা ভিন্ন রূপ। তাছাড়া এমনিতেই আমাদের সমাজে নারীকে নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হয় তার উপরে এসব যোগ হলে অবস্থাটা কেমন হবে তা নিশ্চয়ই ভেবে নিতে কষ্ট হচ্ছে না!
এইসব কথিত প্রাংক এখন তো এতটাই ভয়ানক আকার ধারণ করেছে যে, গাড়িতে কিংবা শরীরে ডিম ছুড়ে মেরে দৌড়ে পালাচ্ছে, জামা-কাপড় টান মেরে দৌড়ে পালাচ্ছে। কারো গায়ে নোংরা পানি কিংবা রং ঢেলে দিয়ে বলা হচ্ছে, “এটা প্রাংক ছিলো, ঐ দেখুন আমাদের ক্যামেরা।”
প্রাংক নামক এই বাজে ব্যাপার থেকে বাদ পড়ছে না বিদেশী পর্যটকেরাও! তাদেরকেও নানাভাবে
বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হচ্ছে। এতে করে পর্যটন খাতেও ক্ষতির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে প্রাংক নামক এসব অসুস্থ-মানসিকতা সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রই ফুটিয়ে তোলে।
প্রশাসনের উচিৎ ভুক্তভোগীদের পাশে থেকে এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া। যারা প্রাংক নামক এসব ভিডিওচিত্র ধারণ করার সাথে জড়িত তারা সকলেই প্রায় যুবক বয়সের। যুবকেরা এসব করতে প্রভাবিত হচ্ছে বিদেশী নানান ইউটিউব চ্যানেলের প্রাংক ভিডিও দেখে দেখে। তাই যুবকদেরই উচিৎ এসব থেকে বেরিয়ে এসে এমন কিছু করা যা থেকে দেশ এবং জাতি লাভবান হতে পারে। এসব ভিডিও চিত্র ধারণ করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে, এসব যারা করে তাঁদেরকে উৎসাহিত না করে বরং অনুৎসাহী করতে হবে।
আহমেদ সবুজ
যদি পাশে থাকো
তাসফিয়া শারমিন ** আজকের সকালটা অন্য রকম। সাত সকালে আম্মু বকা দিলো। মানুষের ঘুম একটু দেরিতে ভাঙতেই পারে। তাই বলে এত রাগার কী আছে ?একেবারে যে দোষ আমারও তাও নয়। মানুষ ঘুম থেকে উঠে ফোনে বা দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখে। কিন্তু আমি উঠি জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরের আলো দেখে।কে জানে...
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন। প্রাংক এখন একটা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার রাস্তায় নতুন ও পুরাতন সব ধরণের মানুষই এই প্রাংক হেনস্থার শিকার। স্থানীয় কর্মকতাদের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। ভালো লিখেছেন আপনি। শুভকামনা রইলো।
প্রাংক থামাতেই হবে। খুব সুন্দরভাবে এর উপস্থাপন করেছেন। লেখার মাঝে আপনি আপনার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
শুভ কামনা।