লিখাঃ Rabbi Hasan
ছোট্ট ছেলে পড়ছে দেখো, আলিফ বা তা,
তাই না দেখে বড্ড খুশি,হয়েছে তার বাবা।
হঠাৎ করে উড়ে এসে , ধরলো তার মা কাঁধ,
চাকরি করতে চাইলে বাপু এসব পড়া বাদ।
আলিফ বা পড়তে গেলে ,সময় শুধু নষ্ট,
চাকরি নিতে গেলে তখন, হবে অনেক কষ্ট।
তাই তো বলি বাদ দাও , আলিফ বা তা,
এখন থেকে পড়বে শুধু, অ আ ।
এসব শুনে বাবা হলেন, বড্ড বেশি ক্ষুদ্ধ,
তাই তো এবার বউয়ের সাথে, লাগলেন তিনি যুদ্ধ।
আমার ছেলেকে আমি পড়াব, আমার ইচ্ছেমতো,
লক্ষ্য থেকে পিছপা হবো না, ঝগড়া করোই যতো।
আমার ছেলে বড় হয়ে, হবে বড় মাওলানা,
দোহাই লাগে শুভ কাজে, করো না আর মানা।
বটে, তোমার ছেলে একার,আমিই হলাম পর,
ভুলছো কেনো? আমিই হলাম তোমার ছেলের শিকড়!!
মাওলানা তো দুরে থাক, হবে না সে হুজুর,
কি দরকার বাপু,ওসব হয়ে সম্মান হারানোর।
দেখবে তুমি হবে ও, অনেক বড় পুলিশ,
সবসময় দেশের মানুষ,করবে সুপারিশ।
মাস শেষে পাবে যখন, মোটা অঙ্কের টাকা,
দেখবে তখন তোমার পকেট, থাকবে না আর ফাঁকা।
বাবা মশাই বড্ড রেগে, চিৎকার করে বলে,
এই যুগের পুলিশরা তো, ঘুষের টাকায় চলে।
তোমার ছেলেকে বড় হয়ে, ওসব বানাবে?
যখন-তখন দেশের মানুষ, অভিশাপ দিবে।
টাকা টাকা করে তোমার মাথা হয়েছে নষ্ট,
টাকার জন্য নিজের ছেলেকে করছো পথভ্রষ্ট।
ঝগড়া শুনে ছোট্ট ছেলের, পাল্টে গেল মন,
দৌড়ে গিয়ে ঘর থেকে, আনল বাবার ফোন।
বাবা-মা দেখছে বেশ,ছেলের ভবিষ্যৎ এঁকে,
ছোট্ট ছেলের মনটা এবার, মোবাইল ফোনের দিকে।
সমাপ্ত
মজার ছিল ।
লিখতে লিখতেই হাত আরও পাকা হবে। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপু, এভাবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ভালো লাগল।
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো।
বর্তমানে কিছু মা আছে তারা সন্তানদের আরবি পড়া থেকে বিরত রাখে। বড় হলে এটা বানাবে,ওটা বানাবে।তবুও মাওলানা বানাবে না।মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করবে না বলে।তাদের লক্ষ্য থাকে অন্যরকম।
কিন্তু বর্তমানে পুলিশদের অবস্থা বড়ই খারাপ।অবৈধ টাকা ইনকাম করে বড় লোক হয়।
সেটা কিছু বাবা মা সুখে, আরাসে বসে খায়।কিভাবে রোজগার করছে সেটা খেয়াল করে না।
কিন্তু সন্তানের মন থাকে সেই মোবাইলে।
আর বাবা মা ভবিষ্যত নিয়ে তর্ক বিতর্ক করে।
কবিতায় বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
শুভ কামনা রইলো।
সত্যি খুব লাগছে আমার। আপনাদের মতো বড় মাপের পাঠক+লেখক আমার কবিতার প্রশংসা করছে। অনেক বড় পুরস্কার
এক কথায় অসাধারণ একটা কবিতা।আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। ছন্দের মিল ও খুব সুন্দর হয়েছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, কবিতার মূল যেই বিষয় সেটাও খুব সুন্দর হবে। সবাই চায় তার সন্তান বড় হয়ে এটা হবে সেটা হবে,শুধু টাকা আর টাকা কামাবে। খুব কম মানুষই চায় তার সন্তান হাফেজ মাওলানা হোক,দ্বীনের পথে চলুক। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ছাড়া আর কিছুই বুঝে না বুঝতে চায় না। কবিতায় বানানে তেমন কোন ভুল নেই।
শুধু “ভবিষ্যত” শব্দটা “ভবিষ্যৎ” হবে। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু। ভুলটা আমি প্রথম থেকে ধরতে পেরেছি ।ৎ লিখেছিলাম পরে দেখি ত হয়ে গেছে এটা টাইপিং মিসটেক
ভবিষ্যত- ভবিষ্যৎ (নামের ক্ষেত্রে বানান ভুল সত্যিই কষ্টকর)
দুরে-দূরে
তবে পড়ে অনেক ভালোই লেগেছে। আসলে আমাদের সমাজে এইরকম পিতা বলতে গেলে অনেক কম আছে
ধন্যবাদ ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রথমটা ছিল টাইপিং মিসটেক।
আনন্দ পেলাম পড়ে, একটু বানানের দিকে নজর দিবেন,সুন্দর হয়েছে,শুভকামনা।
ধন্যবাদ, আপু। ভুল বানানটা প্লিজ ধরিয়ে দিন। আগামীতে শুধরে নিতে পারব।
বাহ্,খুব সুন্দর।
কবিতার ছন্দে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাবা-মার একেক পরিকল্পনা।
তবে বাবার লক্ষ্যটা সঠিক ছিলো।মায়ের এখানে বাঁধা দেয়াটা অসন্তুষ্টিজনক।
বাবা-মায়ের ক্রমশ ঝগড়া করাটা ছেলেমেয়েদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
তাই ঝগড়া নয়।শান্ত নয়নে সঠিক লক্ষ্য নিয়ে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করা।
কবিতাটা অনেক ভালো ছিলো।কবির জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
কিছু ভুল…..
লাগলেন তিনি যুদ্ধ।____ লাগালেন
.
ইচ্ছেমতো___ ইচ্ছে মতো
যতো___ যত
শিকড়___ শেকড়
কেনো___ কেন
.
কি দরকার বাপু,____ কী
.
কমা চিহ্নের ব্যবহার অতিরিক্ত হয়ে গেছে।
মাঝখানের অনেক জায়গায় কমা ব্যবহার করে অনর্থক হয়েছে বলে মনে করি।
.
আমি বলছি না যে ছেলেকে মাদরাসা বা অালেম বানাতেই হবে, আমি বলছি জীবনের পথে চলার মতো ইসলামী শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটা সুন্দর।
সবমিলে সুন্দর।