~আয়েশা সিদ্দিকা
.
শ্বাশত দীপ্তক বিরাজমান প্রিয় ফজর,
বইয়ে দাও আলোর ঝরনা তুমি বিশ্বচরাচর।
.
কী এক অপূর্ব বিকিরণ এ রশ্মির,
পূর্ব জুড়ে কী রুপের বাহার!
কুসুমাস্তীর্ণ বর্ণ মেখে এ নূর
দিচ্ছে উঁকি থেকে মেঘের পাহাড়।
.
এ মুহূর্তে দীপ্তিকরের প্রতিবেশি অম্বরমালা,
পক্ষীকূলের মত আড়মোড়া ভেঙে জেগে যেন যায়!
ছিটকে পরা প্রভা দালান কার্নিশে চোখ মেলে ঝুলে
অন্দরমহলে প্রবেশানুমতি চায়,
নারকেল পাতাগুলো আরেকটু নত হয়
স্রষ্টার অশেষ প্রশংসায়।
.
দূরের মকতব থেকে ভেসে আসে পবিত্র কিছু কণ্ঠস্বর
নিশ্চুপ শহরে জানান দিয়ে নিঃস্বার্থ শত ভক্তি,
হিজাব পরিহিতা ছোট্ট টলমলে শিশুটির চাহনি দেখে
টলে পরে ঘোর নাস্তিকেরও নড়বড়ে যুক্তি।
.
এ ক্ষণের দ্যুতি দেয় ঠিক ঈদের নতুন পোশাকের মতো আনন্দ,
অথবা মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া দেখা পাশ্চাত্যগামী পথিকের সেই মুগ্ধতার সুখের মতো!
এ বিস্ময় দেখতে বিহ্বল চায়ের কাপে ভীরুপদক্ষেপে ওঠা ধোয়াকুণ্ডলী,
মহান দর্শক একসাথে কবুল করে নিচ্ছেন বিহঙ্গ ও বিরহিণীর প্রার্থনা যত।
.
দৃঢ় প্রত্যাশায় আকাঙ্ক্ষাগুলো না ফেরার
আমিও দু’হাত তুলি নিয়ে আবদার,
‘প্রিয় তপ্তলৌহ রঙা উজ্জ্বল ঊষার কারিগর!
উন্মাদিনীর মত করছি করজোর
বইয়ে দিন আলোর বরষায় আপনি
শূণ্য, কলুষ হৃদয় কাননগুলোর ঘর।’
.
~সমাপ্ত~
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
অনেক সুন্দর আর ভালো লাগার মত কবিতা। শব্দচয়ন আর ছন্দমিল খুবই সুন্দর। ফজরের আযানে যখন ঘুম ভাংগে তখন খুবই ভালো লাগে। হালকা আলোয় ঘর আলো হতে থাকে। এসময় ওযু করে আল্লাহর ইবাদাতে বসলেই মন ভভালো হয়ে যায়।নতুন দিনের শুরু হয় নতুনভাবে। বানানে তেমন কোন ভুল নেই।
প্রতিবেশি- প্রতিবেশী।
প্রবেশানুমতি এই শব্দের চেয়ে প্রবেশের অনুমত শব্দটাই বেশি ভালো লাগতো।
ধোয়া- ধোঁয়া।
বাহ্,চমৎকার।
প্রতিটি চরণে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন।
আমরা এক আল্লাহর অনুগত বান্দা।তারি অসংখ্য নিয়ামতে আমরা এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
কবি পরিবেশের নানা কর্মসাপেক্ষে কবিতায় তার অবুভূতি লিখেছেন।খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
অসাধারণ কবিতা।পড়ে ভালো লাগলো।
কবিতার ভাবার্থ গভীর।
কবিতার ছন্দগুলো মিল নেই।
সূর্যের অপূর্ব বিকিরণ পূর্ব আকাশে কতোই সুন্দর দেখায়। হিজাব পরহিতা ছোট্ট শিশুটিকে সুন্দর লাগে।
সকালে মকতবের আওয়াজ বড় মধুর।
আল্লাহ তায়ালা কতো সুন্দর করে এ ধরণী সৃষ্টি করেছেন।
কতো সুন্দর করে সাজিয়েছেন।
বানানে তেমন ভুল চোখে পড়েনি।
ঝরনা–ঝরণা
বরষায়–বর্ষায়
শুভ কামনা লেখিকার জন্য।
কয়েক জায়গায় মতো লিখেছেন আবার কয়েক জায়গায় মত লিখেছেন।
মত’গুলো মতো হবে। মতো বা মত দুটোরই অালাদা অর্থ আছে।
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটাও অসাধারণ।
লেখনীর হাতও বেশ পাকা। কবিতায় রসকসও আছে।
.
সবথেকে ভালো লাগা বিষয় হচ্ছে কবিতার বিষয়বস্তু স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
সবমিলে অসাধারণ।
শুভ কামনা রইলো।