লেখা:-Ayesha asa
আজকেও রোশনীর মামি রোশনী কে খানিক টা কথা শুনিয়ে দিলো।
এ আর নতুন কি?
নিত্যদিনই কিছু না কিছু নিয়ে দুচারটা বাকা -ত্যাড়া কথা শুনিয়ে দেয়।
তা শুনে রোশনীর চোখের কোণে বিন্দু বিন্দু জল গুলো আর জমে থাকেনা, তা গড়িয়ে নিচে পড়ে আনমনেই।
ছোট বেলায় কোন এক দুর্ঘটনায় বাবা মাকে হারিয়ে মামার কাছেই বেড়ে ওঠা।শৈশব কৈশর পেরিয়ে আজ যৌবনে পা দিয়েছে রোশনী।
মামা তাকে খুব ভালোবাসলেও মামির চোখের বালি হয়ে ওঠে।
রোশনীর মামি তাকে সর্বদা আপদই ভেবে থাকে।
মামা রোশনী কে যথেষ্ট ভালোবাসে আর তার খেয়াল রাখে।
রোশনীর বিয়ের বয়স হয়েছে তাকে একটা সু পাত্রের হাতে তুলে দিতে পারলে রোশনীর মামা যেন একটু নিশ্চিন্ত হতে পারবে।
ছোট বেলা থেকেই রোশনীর মামাই রোশনীর মা বাবা।যদিও তার মামি মুখ ফুটে অনেক কিছুই বলেনা, কিন্তু বুঝতে পারে তার মামির আচরণে,যে রোশনীর ওপর তার মামি কতটা বিরক্ত।
,
,
সময় চলে যায় তার নিয়মে,রুপে গুণে কোন অংশেই কম নয় রোশনী, চারদিক থেকে বিয়ের সমন্ধ আসে,তার মামাও একটু টেনশনে পড়ে যায়
কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিলে ভালে হয়। অনেক ভেবে তার মামা ঠিক করে সৎ,চরিত্রবান যোগ্য এরকম কোন ছেলের সাথে বিয়ে দিবে, একটু নিশ্চিত হয় তার মামা, এই ভেবে যে মেয়েটা যদি সুখি হয় তাতেই তার মামার আশা পুর্ণ হবে, বাবা মা মরা মেয়ে কোনদিন একটু সুখের নাগাল পেলোনা, তার মামার ইচ্ছে অনুযায়ী বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হলো।
কিন্তু ওই যে ভাগ্য বলে একটা কথা আছে, ভাগ্যের লিখন কি আর মুছে দেয়া যায়।
যে সময় তাদের মাঝে বিয়ের আয়োজন শুরু হলো ঠিক সে সময় রোশনীর মামার একমাত্র ছেলেটার কোন এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লো। মোটামুটি সচ্ছল ব্যক্তি রোশনীর মামা, অনেক টাকা পয়সা ফুরিয়ে ও যখন আশার আলো দেখলোনা, বিপত্তি টা বাধলো তখনই, তার সেই মামাতো ছোট্ট ভাইটির জটিল কোন অসুখ সারতে আরো অনেক টাকা দরকার,ইতিমধ্যে রোশনীর মামা জমানো অনেক টাকা-পয়সা ফুরিয়ে দিয়েছে এ বাবদ,সামনে মেযেটার বিয়ে রোশনীর মামা চোখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখলোনা।
,
পাশের গ্রামে এক ধনী ব্যক্তির একমাত্র ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসলো রোশনীর জন্য,ছেলেটি দুশ্চরিত্র,নেশা করে, বিনিময়ে অনেক টাকা দিতে চাইলো,
এই বিয়ের প্রস্তাব রোশনীর জন্য অনেক আগেই এসেছিল, তার মামা কিছুতেই রাজি নয়, জেনে শুনে মেয়েটাকে তো আর আগুনে নিক্ষেপ করতে পারেনা।
কিন্তু এরকম একটা জটিল পরিস্থিতি তে নিজের ত্যাগ ছাড়া কোন উপায় দেখলোনা রোশনী।
তার মামার কথা মত সুযোগ্য পাত্রকে বিয়ে করতে গেলে যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে বসতে হবে, আর তাতে জমানো টাকা গুলো ছাড়াও মামা ঋণ করতে বাধ্য হবে এদিকে ভাইটার কঠিন অসুখের সাথে মৃত্যু শয্যায়।
তাই পাশের গ্রামের দুশ্চিরত্র ছেলেটিকে বিয়ে করতে রাজি হলো।
তার মামা জানলে অনেক কষ্ট পাবে আর কিছুতেই মেনে নিবেনা, সেটা রোশনী জানে কারণ রোশনীর মামা তাকে নিজের ছেলে মেয়ের চাইতেও বেশি ভালোবাসে।
”
”
বিয়ে হয়ে গেলো রোশনীর, দুশ্চিরত্র একটা ছেলের হাতে নিজেকে সপে দিলো জেনে শুনেও,
পরদিন তার মামির ঘরের আলমারিতে রেখে এলো অনেকগুলো টাকা আর একটা চিরকুট—–
যাতে লেখা ছিলো,,,,,
“”সালাম নিবেন মামি, আমি জা নি আমার এ কাজটা মামা মেনে নিবেনা কিছুতেই, বাবা মাকে হারিয়ে এ পরিবারেই আমার বেড়ে ওঠা তাই চাইনা আবার নতুন করে কাউকে হারাতে, যদি ও বাচাঁ -মরা আল্লাহর হাত।তবে আমরা তো চেষ্টা করতে পারি, আমার আপন বলতে কেউ নেই আপনারা ছাড়া, আর ছোট ভাইটিকে আমার নিজের ভাই মনে করি, আমার তো এর থেকে বেশি কিছু করার সাধ্য নেই।তাই সব জেনেও এরকম একটা ছেলেকে বিয়ে করলাম। উদ্দেশ্য খারাপ ছেলেটাকে যদি ভালো করতে পারি,আর আল্লাহ ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়াত দিতে পারে,আর এই টাকা গুলো নিয়ে ভাইয়ের চিকিৎসা করাবেন।
আমার জন্য কিছু চাইনা শুধু দোআ ছাড়া””
চিরকুট টা পড়ার পর রোশনীর মামি অবাকের চেয়ে ও বেশি হতবাক,কারণ যে মেয়েটিকে দিয়ে সব কাজ করিয়ে নিতো কারণে অকারণে অপয়া বলে গালি দিত,এমনকি খেতে পর্যন্ত দিতো না ঠিক মত।
আজ সেই মেয়ে অপরের জন্য এ কেমন আত্নত্যাগ করলো।
একটা দুশ্চিরত্র ছেলেকে জীবনসঙ্গী করলো।
রোশনীর মামির চোখ থেকে নিরব অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
এ অশ্রু দুঃখের নয়,আর না হারানোর।
বিষণ অপরাধ বোধ হচ্ছে তার, নিজের প্রতিই নিজের রাগ হচ্ছে।
গড়িয়ে পড়া অশ্রু গুলো অপরাধ বোধের,অনুশোচোনার।।
অনেক সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। গল্পে বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে।আমাদের সমাজে এমন অনেক মেয়েই অন্যের সুখের জন্য নিজের স্বার্থকে ত্যাগ করছে। শুধু মেয়েরাই নয়,ছেলেরাও আত্মত্যাগ স্বীকার করছে নানা কারণে।
গল্পের থিমটা সুন্দর। তবে বানানে অনেক ভুল। বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
দুচারটা- দু’চারটা।
বাকা- বাঁকা।
কৈশর+ কৈশোর।
সমন্ধ- সম্বন্ধ।
ভালে- ভালো।
পুর্ণ- পূর্ণ।
বাধলো- বাঁধলো।
সপে- সঁপে।
আত্নত্যাগ- আত্মত্যাগ।
বিষণ- ভীষণ।
অনুশোচোনা- অনুশোচনা।
রোশনী কে – রোশনীকে
খানিক টা – খানিকটা
নতুন কি? – কী?
দুচারটা – দু’চারটা
বাকা – বাঁকা
ভালে – ভালো (সম্ভবত টাইপিং মিস্টেক)
পুর্ণ – পূর্ণ
মেযেটার – মেয়েটার
বাচাঁ – বাঁচা
জা নি – জানি
অনুশোচোনার – অনুশোচনার
বিরাম চিহ্নের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
ভালো লিখেছেন। ভবিষ্যতে আরো ভালো লেখা পাবো ইনশাল্লাহ্।
শুভ কামনা রইল।
সুন্দর।
কাঁচা হাতের লিখা মনে হচ্ছে।
বানানের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিলো।
বারবার রোশনির নাম উল্লেখ গল্পের সৌন্দর্যহানি ঘটিয়েছে।
পরের বার বিষয় গুলা খেয়াল রাখবেন।
থিমটা ভালো ছিলো, তবে আরও সুন্দর উপস্থাপন করার প্রয়োজন ছিলো।
শুভকামনা আপনার জন্য