কমলাপুর থেকে রাজশাহী অভিমুখী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে বসলাম। কিছুটা ভিড় ঠেলে আমার জন্য নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসতেই খেয়াল করলাম আমার মানিব্যাগটি খোয়া গেছে। এটা বিরাট কোন ঘটনা না। কেননা,আমার মানিব্যাগ আর পকেটমারের হাতের মধ্যে তীব্র ধনাত্মক সহ-সম্পর্ক বিদ্যমান। যাইহোক, ট্রেন স্টেশন ছাড়লো। আমি চেহারায় একটা দুখী দুখী টাইপ ভাব নিয়ে বসে আছি। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। জুব্বা পরা একজন ১২/১৩ বছরের মাদ্রাসা ছাত্র এসে দাবী করলো, আমার সিটটা নাকি ওর। প্রমাণস্বরুপ সে তার টিকিটটা বের করলো। হুজুর সাহেবের টিকিট হাতে নিয়ে আমি অবাক বিস্ময়ে আবিস্কার করলাম এটাতো আমারই টিকিট যা কিনা মানিব্যাগ সমেত একটু আগেই হারিয়েছিলো। হুজুরকে পুছলাম, তা টিকিট আমার পকেট থেকে আপনার হাতে গেলো কিভাবে? হুজুরের জবাব দিলো সে নাকি এক স্যুট-বুট পরা ভদ্রলোকের নিকট থেকে টিকিটটি মাত্র ২০০ টাকায় কিনেছে। এক টিকিট দুই যাত্রী। হুজুর আর আমি এবার বিরাট ঝামেলায় পরলাম। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে কিছু অতি উৎসাহী যাত্রীদের আগমন ঘটলো। ঘটনার জন্য কেউ কেউ আমার নির্বুদ্ধিতা আবার কেউবা হুজুরের সেয়ানাগিরিকে দায়ী করলো। সিটের মালিক কে এ নিয়া দুই গ্রুপের বিরাট তর্কাতর্কি। তবে যাদের নিয়ে এই ঘটনার উদ্ভব সেই হুজুর আমি আমি নির্বাক। একটু পরেই টিকিট চেকার মহাশয়ের আগমন ঘটলো। উনি ঘটনা সবিস্তারে শ্রবণ করলেন। উনিও পরলেন বিপদে। টিকিট আমার কিন্তু প্রমাণ হুজুরের। শেষমেষ উনি বাকি রাস্তা ভাগাভাগি করে যাওয়ার ফায়সালা দিলেন। আমি বিমর্ষ মনে তা মেনে নিলাম। তামাশা এত দ্রুত মিটে যাওয়ায় যাত্রীদের কিছুটা হতাশ মনে হলো। টিটি মশাই, আমাকে বললো, আপনার কি কোন টাকাই অবশিষ্ট নাই?”> আমি: জ্বিনা
টিটি: ব্যাগে-ট্যাগে?
আমি: (কিছুটা বিরক্ত হয়ে) বললাম তো নাই।
এবার টিটি মশাইকে আমার চেয়েও বেশি বিমর্ষ মনে হলো। উনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সামনে অগ্রসর হতে হতে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতেই বললেন, ভাই, টিকিটগুলো বের করেন। টাকার নেশা বড় নেশারে পাগলা
লেখকঃ Moniruzzaman Sarkar
শয়তানকে পরাজিত করুন –
কোন এক দাওয়াতে এক ভাবী গল্প করছিলেন যে, এক মহিলা যখন তার Husband রাগ হয় তখন তিনি আয়াতুল কুরসি পড়েন আর তার স্বামী বিড়াল হয়ে যান । তখন আর এক ভাবী বললেন," ভাবী - আয়াতুল কুরসি পড়লে উনার স্বামী বিড়াল হন না বরং ঐ মহিলার সাথের শয়তানটা পালিয়ে যায়” । ভাবীদের এই...
Osadharon hoyce..carry on