আহমেদ জনি
টেনশন যদি থাকে মনে, মন বসে না কাজে
টেনশন ছাড়া মানুষ নাই, এ সমাজের মাঝে!
পকেটমারের টেনশন, কখন খাই ধরা..
গনধোলাই মাফ হবে না, পরবে পিঠে কড়া।
কারোও আছে ওপারের, কখন যাই মরে,
লাশটা ভাই পরে থাকবে অন্ধকার ঐ ঘরে।
আমল তেমন নাই, কি হবে মোর উপায়,
যদিও আমি পাই পার, মহান আল্লাহ কৃপায়।
কারও আছে জায়গা-জমি, কারও সাংসারিক
কারও কাছে ভাগ্য গুনে, থাকে সর্বদিক।
ছাত্রদের আছে বেশ, পড়াশুনার টেনশন
চাকরীজীবি মানুষের, চিন্তায় থাকে পেনশন।
ধনীর বেশ টেনশন, আরো চাই গাড়ী-বাড়ী,
নেতার হল ক্ষমতা, প্রয়োজনে মারামারি।
চোরের রাতে নাই ঘুম, করি কেমনে চুরি,
অন্যের মাল খেয়ে খেয়ে বাড়াই কেমনে ভুঁড়ি।
বৃদ্ধ বয়সে বাড়ে টেনশন, এই বুঝি আমি শেষ!
কখন জানি খোদার ডাকে, চলে যাব কবরদেশ।
টেনশনের নাই শেষ, একটা শেষে একটা শুরু
টেনশন সব করতে করতে, আজ হয়ে গেলাম বুড়ো।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা। যা বাস্তবে সাথে খুব মিল আছে। টেনশন ছাড়া দুনিয়াতে কেউ নেই। কারো টাকার,কারো জমির,কারো মৃত্যুর ইত্যাদি। খুব ভালো লাগলো কবিতাটা পরে। অনেক শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ। ভালো মন্তব্য করার জন্য। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।
ছোট্ট একটা কবিতা হলেও বাস্তবতার এক বিশাল দিক তুলে ধরেছেন কবিতায়। প্রত্যেক মানুষেরই টেনশন থাকে। যদিও কেউ কারোটাই বুঝতে পারে না। ধনী লোকেদের থাকে ধন সম্পদ চুরির টেনশন, গরীবদের থাকে দু’মুঠো ভাতের টেনশন। ছাত্রদের থাকে পড়ালেখার, বেকারদের থাকে চাকরির টেনশন। পৃথিবীটা চলছেই টেনশনের উপর, তাই সবাই একই চক্রে বাঁধা।
শব্দগুচ্ছ ও ছন্দমিল গুলো বেশ ভালো ছিল। বানানেও তেমন কোন ভুল আমার নজরে পরে নি।
গনধোলাই- গণধোলাই।
এ যেন সহজ স্বীকারুক্তি।সত্যিই টেনশন এর নেই কোন শেষ।শুভকামনা আপনার জন্যে✌