জান্নাতুন না’ঈম
রাতের আঁধারে চাঁদের শিয়রে গম্ভীরা রাগ বাজে,
কোথাকার কোন লক্ষী পেঁচা বিরহীনি ডাকে কাঁদে।
শুভ্রতা মাখা মেঘেদের দল হাতছানি দিয়ে যায়,
নিশা চন্দনা অরুপ-রতনা চোখ মেলে শুধু চায়।
ঝিরিঝিরি সুরে কারা গায় যেনো গীত ওই মধুপবনে
ঘুমের চাদরে আলোক জ্বালো প্রেম-পুণ্যের স্মরণে।
ইছামতী তীরে রাখালের ওই ঢেউ-টলমল বাঁশরী,
বনবিছুটির লতায় লতায় গিয়াছে সঞ্চারি।
প্রাণের আকুতি তারি সাথে মিশে টুপটুপ করে ঝরে,
দুইটি আঁখির পলক পড়েনা ভাসে শুধু হিয়া-জলে।
কেমন প্রহর,কোন সে লগন কেন তব আঁখিজল।
দুইটি গন্ড আকুলিয়া হয়ে নীরবেই ঝুঁকে,নয় ছল!
সময় কাটিয়া যায়,সিজদা তাহার ফুরায় না আর
সারাদিন যতো ক্লান্তি’র ঝুড়ি করেছে শরীরে ভার-
হোক তবু,এই শান্ত মিলনে,
মহান প্রভু আছেন সাধনে।
আজ সকল বেদনা;
দুঃখ যত দিনমান ভরি পাবে জানি সান্ত্বনা।
তাইতো একান্তে,না বলা যত বুলি জমিয়ে হৃদয় প্রাচীরে,
জীবনের এই চলার পথে করেছি পাপ হয়তো বা ভুলে।
আমি জানিনা,কিছু বুঝিনা– তুমি জ্ঞানের মশাল জ্বালো-
বুঝায়ে,শিখায়ে প্রজ্ঞা আভায় রাঙিয়ে আমায় তোলো।
তাহাজ্জুদের সালাতে তোমার গুণগাণ শত গাই,
জানি জানি কভু, তবু সে সকল শেষ হবার নাই।
আমি শ্রান্ত,ক্ষতে বিক্ষত,এক পাপী যে ছন্নছাড়া
কাফেলা তোমার ছুটিয়া গিয়াছে অসহায় দলহারা।
কত মহিমাময়ী নারী!প্রভু নাওগো আমায় নাও-
তাঁদের দলের হই বা শিশিরফোটা!
প্রমত্ত জল,বারিধারার একটুখানি ছটা!
আলহামদুলিল্লাহ।
কি সুন্দর লেখার ধারা। খুব খুব ভালো লেগেছে। এরকম ছন্দের মিল খুব কম কবিতায় পেয়েছি
চমৎকার।কবি তার কবিতায় সকল ভুলের জন্য তাহাজ্জুদের সালাতে ক্ষমা চেয়েছেন।প্রভুর গুণগান গেয়েছেন।কবির এই চাওয়াগুলো আমার মতো অধমেরও চাওয়া।আল্লাহ উভয়ের চাওয়াকে কবুল করুক।কবিতাটি ভালো লেগেছে।শুভকামনা