লেখকঃ
FaRjana Neel
…………
সালেহা আর করিম বস্তিতেই তাদের বাস। সালেহা মানুষের বাড়ীতে পরিচারিকা’র কাজ করে আর তার স্বামী করিম রিকশা চালায়। এভাবেই তাদের জীবন চলতে থাকে। কখনো ভালো আবার কখনো খারাপ ভাবে থাকা। কিছু ধার-দেনাও আছে যেটা করিমের রিকশা কেনার সময় এক মহাজনের কাছ থেকে নিয়েছিল এখনো সেটা শোধ করতে পারেনি সুদে আসলে বেশ কিছু টাকা হয়েছে। কয়েকমাস পর তাদের ঘরে জন্ম নিল এক ফুটফুটে কন্যাসন্তান। করিম মেয়ের নাম রেখেছে মায়া। আজ মায়ার বয়স একমাস হল মহাজন এসে টাকার জন্য মারধর করছে করিমকে। এই অবস্থায় সালেহা মহাজনের হাতে পায়ে ধরে দুইদিনের সময় নেয়। রাতে সালেহা করিমকে বলে সে যে বাড়িতে কাজ করে তাদের কাছে যাবে পরদিন মায়াকে সাথে নিয়ে গেল সব শুনে তার মালিক জানায় তার অসুস্থ স্ত্রী’র কথা ভেবে সে টাকা দিতে পারে যদি সালেহা তার মেয়েকে দিয়ে দেয় তাদের সব কিছুই আছে নেই শুধু একটি সন্তান সালেহা সব শুনে বস্তিতে ফিরে গেলো এবং করিমকে সব বলল। তারা কিছুতেই এই অবস্থা মেনে নেবেনা তাদের বুকের ধনকে টাকার জন্য বিক্রি করবেনা। কিন্তু কাল যে মহাজন আবার আসবে সবদিক ভেবে সালেহা তার মেয়েকে দিতে রাজি হয়। সে ভাবে এভাবে বস্তির জীবনের চাইতে তার মেয়ের জন্য ওটাই ভালো। সে ভালোভাবে থাকতে পারবে লেখাপড়া শিখবে মানুষ হবে। পরদিন দলিলে টিপ শই দিয়ে মেয়েকে দিয়ে টাকা এনে মহাজনকে দিল। আর এভাবেই আবার চলতে লাগলো তাদের জীবন।
০ Comments