গল্প লেখকঃ
Moniruzzaman Sarkar
(মার্চ – ২০১৮)
……………
আজ নাবহানের মনটা খারাপ। এটা বিরাট কোন সমস্যা না। মন থাকলে তো মন খারাপ হবেই। গরু- ছাগলের তো আর মন খারাপ হয় না ( হয়তো হয়, সেটা অন্য ব্যাপার)। সমস্যা হলো মন খারাপের কারনটা সে কোনভাবেই আবিস্কার করতে পারছে না। যাইহোক, পুরোনো অভ্যাসবশত সে নদীর পাড়ে গাছের ছায়ায় একাকী বসে আছে। ভর দুপুর। চরময় নদীর সাদা বালু চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দিচ্ছে। চোখকে কিছুটা বিশ্রাম দেয়ার জন্যই সে উপরের দিকে তাকালো। কাক বাবাজী মনে হয় আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো। একেবারে অব্যর্থ নিশানা। মেজাজ খারাপের ষোলকলা পূরন করা আর কি। ঠিক এমন সময় এক ৫/৬ বছরের একটি পিচ্চি মেয়ে এসে বললো…
-ভাইজান পাঁচটা টাকা দেন।
– (কিছুটা বিরক্ত হয়ে) কি করবা?
– মালাই বরফ খামু
-( নাবহান ১০ টাকা বের করে দিয়ে বললো) আমার জন্যও একটা আনো।
– মেয়েটা মালাই আইসক্রিম না এনে সবুজ রঙের দুটো আইসক্রিম নিয়ে ফিরলো।
– দুইটাই খেতে পারবা? – মেয়েটা ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
– মেয়েটা দুইহাতে দুইটা আইসক্রিম নিয়ে পরম তৃপ্তি সহকারে কামড় দিচ্ছে। রং মাখানো সস্তা আইসক্রিম পিচ্চিটার ছোট্ট ঠোঁট আর জিহ্বাটাকে রঙীন করে দিয়েছে। -অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই সবুজ ফ্রগ পরে আসা মেয়েটাকে আজ পরীদের মতো দেখাচ্ছে।ডানাকাটা পরী।
– এত সুন্দর দৃশ্য নাবহান কখনোই দেখেনি। কখনোই না….
আসলে, সবখানেই সুখ ছড়িয়ে রয়েছে। অনুভব করার মাঝেই তার সার্থকতা 🙂
Valo laglo. but too small….
Onek sundor. Carry on vai 🙂