-MH Abir
জানালার ওপাশে সাদা লাল বকফুলের দিকে নিঃশব্দ চেয়ে ছিলে,
সেই মুহূর্তটা ফ্রেমে বন্দী করেছিলাম ভাগ্যিস!
দেওয়াল জুড়ে তোমার সেই অস্তিত্বটুকুই জ্বলতে থাকে কেমন।
খাবার টেবিলে তোমার শূন্যতা, রান্নাঘরে খুনসুটি করে না কেও,
শার্টের বোতাম লাগাতে গিয়ে কালো টিপ পরে কেও চোখে চোখ রাখে না,
খবরের কাগজ এনে বুকে গুজে না কেও,
ভোররাতে কানের পাশে এলার্ম ঘড়ি বাজিয়ে দিয়ে
কেও চিৎকার করে বলে না ‘এই,কফি দিবো?’
টাই বেঁধে দিতে গিয়ে অকর্মণ্য বলে উপহাস করে না কেও,
হাত ধরে টেনে নিয়ে ছাদে গিয়ে চাঁদের আলো গায়ে মাখতে বলে না কেও,
সাড়ে তিনটার রাতে হঠাত ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ বলে গুণগুণ করেনা কেও,
বিকেল হলে সোনালীর মোড়ে ফুচকা খাওয়ার আবদার করেনা কেও,
জানালার খিল ধরে বৃষ্টি গুণেনা আর কেও,
ব্যালকনিতে বসে রবীন্দ্রনাথ পড়তে গিয়ে কেদে ভাসায় না আর কেও,
একটুখানি খুক খুক করলেই কেও ধমক দিয়ে বলেনা
‘আবার ঠান্ডা লাগিয়েছো?’
আমার যে অস্তিত্ব টুকু নিয়ে বেঁচে থাকা, যখন রিদি’র খলখলানো হাসির শব্দ শুনি।
দিনরাত অফিস করে,যখন রুমে ঢুকে তার আবেগের গল্প শুনি,
‘বাবা বাবা,দেখো, দুষ্টু বিলাই টা না আমার পুতুলের বাসা ভেঙে দিয়েছে’
আমি কিছু একটা খুঁজে পাই তখন।
আশা? নতুন স্বপ্ন? না নিজেকে শান্তনা জোগানোর ব্যার্থ চেষ্টা?
ফোনের রেকর্ডিং টা বন্ধ করে চোখ বুজি।
‘বাবা’ ডাকটা থেমে যায় হঠাত,
ভেসে ওঠে চোখে তাদের হারিয়ে যাওয়ার স্টেশনের আকাশ।
একটা ঘুড়ি ছিলো,শালিক কিংবা চড়ুই উড়ে যাচ্ছিল দক্ষিণে, যাহোক,
এই বিষন্ন জীবন জুড়ে আজীবন শূণ্যতার শোকসভা।
চমৎকার কবিতা।
অনেক সুন্দর লিখেছেন।পড়ে ভালো লাগলো।
শব্দগুচ্ছও ভালো ছিল।
সত্যিই প্রিয়জনরা হারিয়ে গেলে জীবনটা বড় কষ্টের মনে হয়।তাদের ছাড়া প্রতিটা মুহূর্ত বিষাক্ত মনে হয়।
প্রিয়জন হারানো বেদনা বড় কষ্টের।
খাবর টেবিলের শূণ্যতা,নিজেকে পরিপূর্ণভাবে গুছিয়ে দেওয়ার শূণ্যতা।
মনটাতে ভেসে উঠে।মেয়ের সেই কথা মনের মধ্যে বেজে উঠে।
কবিতাটা পড়ে মনে হয় হ্নদয়টা ব্যথায় ভরে গেল।
বানানে ভুল আছে
হঠাত–হঠাৎ
বিলাই টা–বিলাইটা
শান্তনা–সান্ত্বনা
ব্যার্থ–ব্যর্থ
শুভ কামনা রইলো।
কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। কবি খুব যত্নের সাথে তার মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা, প্রিয়তমার প্রতি ভালোবাসা আর তার স্মৃতিকাতরতার এক দৃশ্য কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রিয় সঙ্গীর বিরহ আসলেই অনেক বড় কষ্ট। সেই সাথে যদি সন্তানও আকাশের তারা হয়ে যায়, তাহলে তো কষ্টের সীমাই থাকে না।
বানানে অনেক ভুল আছে।
গুজে- গুঁজে।
হঠাত- হঠাৎ।
করেনা- করে না।
ব্যার্থ- ব্যর্থ।
কেদে- কেঁদে।
খলখলানো- খিলখিল। হাসির ক্ষেত্রে এই উপমা বেশি চমৎকার।
শূণ্যতা- একবার শূণ্যতা লিখেছেন একবার শূন্যতা লিখেছেন।
বিষন্ন- বিষণ্ণ।
শুভ কামনা রইল।
কবিতাটি পড়া শেষে চোখের কোণে হঠাতই অশ্রু জমে গেল।
অসাধারণভাবে নিজের মনের বেদনাগুলোকে উপস্থাপন করেছেন কবি।
কবিতাটি মন ছুঁয়ে গেলো।প্রিয়হারানোর বেদনা আসলেই অনেক কষ্টে। শুভকামনা