শূণ্যতা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
লেখকঃ vickycherry05

 2,014 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05

মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম

 

তুমি সত্যিই বলেছিলে একদিন স্বামী সংসার পেয়ে হয়তো তোমায় মনেই থাকবে না। এখন খুব কমই মনে পড়ে তোমায়। বিয়ের এক দেড় মাসের মধ্যে অনেক মনে পড়ছিলো। আস্তে আস্তে সংসারের ঝামেলায় ভুলতে বসেছি তোমায়। আজ অনেক দিন পর তোমায় হঠাৎ অনেক মনে পড়লো। কেন জানি বারবারই তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে। অনেক চেষ্টা করলাম ডায়রীতে লেখা সবগুলা নাম্বারেই কল দিলাম কিন্তু সবগুলাই বন্ধ। ফেসবুকেও খুজলাম, তোমার নামটাই খুজে পেলাম না। আজ কেন মনে পড়ছে, জানো? আজ কিন্তু বারই নভেম্বর। তোমার জন্মদিন। ভাবলাম তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। কিন্তু কি কপাল দেখো তোমার সাথে কথাই বলতে পারলাম না। আচ্ছা, তুমি হয়তো আর আগের মতো নেই। হয়তো বিয়ে করছো… ছেলেমেয়েও হয়েছে। হয়তো এখন অনেক কিছু বুঝো। আমার সাথে তো অনেক পাগলামি করতে, এখন কি এমন করো না কি? কি রাগ যে ছিলো? অযথাই আমার সাথে রাগ করতে। আর বাবু বললে খিল খিল করে হেসে দিতে। কই যে যেতো তোমার এতো রাগ। আর রাত গভীর হলেই ফোন দিতে। ঘুম থেকে জেগে কথা বললে না কি তোমার অনেক ভালো লাগে। তাই বেশির ভাগ কল ঘুমের মধ্যেই দিতে। জানো তোমার কথা আমি রেখেছি, তুমি বলেছিলে  আমার মেয়ে হলে যেন তার নাম রাখি আখিঁ । আমার মেয়ের নাম আখিঁই রেখেছি। মাঝে মাঝে মেয়ের চোখে কাজল দেই, আর ভাবি তুমি কত আপন ছিলে আমার। আর আমি তোমায় আদর করে ডাকতাম আমার চোখের কাজল। কিচ্ছুই বুঝতে না আমায় ছাড়া। জানো, আমি চোখে কাজল দেইনা, কেন জানি কাজল দিলেই তোমার কথা অনেক মনে পড়ে আর কান্না আসে। আচ্ছা, তোমারও কি আমার কথা মনে পড়ে? তুমি তো বলতে জীবনের প্রথম প্রেম কখোনো ভুলা যায় না। হয়তো মনে রেখেছো। না হয় আমার চেয়ে ভালো মেয়ে বিয়ে করে ভুলেই গেছো। দেখো আমি আজও ভুলিনি তোমায়। তোমার দেয়া, সেই ডায়রীটা, তোমার দেওয়া সেই ছবিটা আজ খুব যত্নে রাখা আছে। যখন খুব মনে পড়ে তখন লুকিয়ে ছবিটা দেখি, আর ভাবি হয়তো অনেক বড় হয়ে গেছো। তোমায় দুষ্টামি করে পিচ্ছি বলতাম, আর এখন হয়তো দুই-একটা পিচ্চির বাপ। জানো, স্বামী সংসার, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে অনেক ব্যস্ত থাকি কিন্তু যখন একা থাকি তখনই সেই আগের পাগলামি শুরু হয়ে যায়। খুব কথা বলতে ইচ্ছা করে, তোমার সেই দুষ্ট হাসিটা খুব মিস করি। ফোনে আমি হাসতে বললে হাহা করে হাসতে। ওটা আমার যা ভালো লাগতো। জীবনে এতো কিছু পাওয়ার পরও তোমায় না পাওয়া শূন্যতাই রয়ে গেল। আচ্ছা, আমি তো দেখেছিলাম তোমার দাড়ি অনেক ছোট ছোট। এখন বুঝি অনেক বড় হয়েছে তাইনা? দেখো সময় কিভাবে চলে যায় আজ বার বছর হয়ে গেলো। কি এক মায়া যে তোমার মাঝে। এক বছরের প্রেম আজ বার বছরেরও ভুলতে পারেনি। হয়তো আর কোনদিন পারবোও না। দেখো কত কথা লেখলাম, অথচ, তুমি কেমন আছো সেটাই জানা হলো না। হয়তো ভালোই আছো… দোয়া করি সবসময়ই ভালো থাকো। সেই কখোন থেকে লেখছিলাম তোমায় নিয়ে। ফজরের আজান কানে না আসলে টেরই পেতাম না, সকাল হয়ে গেছে। যাই নামাজ পড়তে হবে। ভালো থেকো….

সম্পর্কিত পোস্ট

মা

মা

ইশু মণি বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে তাসবিহ্ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ায় অনবরত শব্দ হচ্ছে, বাসার সাথে লাগানো পেয়ারা গাছটার বিশাল বড় ডালপালা গুলো চালের উপর চলে এসেছে বারবার সেগুলো বারি খাচ্ছে যার কারণে শব্দ...

শখের পাখি

শখের পাখি

লেখিকা-উম্মে কুলসুম সুবর্ণা এই তো সেদিন মেলা থেকে বাসার ছোট্ট ছেলেটা আমাকে কিনে এনেছিলো। তখন তো ছানা পাখি ছিলাম এখন বুড়ো হয়েছি। বাসায় মোট ছয়জন থাকে। আগে ভাবতাম দুই রুমের ক্ষুদ্র ফ্ল্যাট এ এত গুলো মানুষ কিভাবে থাকতে পারে। পরে বুঝলাম এই সব কিছু ছেলের বউয়ের চমৎকার। অনেক...

নীল কমলিনী

নীল কমলিনী

অনুগল্প: নীল কমলিনী লেখা: অনুষ্কা সাহা ঋতু . চন্দনের শেষ ফোঁটাটা দিয়েই মা ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন। ছোট বেলায় এমন কত সাজিয়েছেন আমাকে। তখন মুচকি মুচকি হাসতেন, আর আজ কাঁদছেন। মা টাও ভারি অদ্ভুত। আচ্ছা, তবে কি দুটো সাজের অর্থ ভিন্ন! কি জানি? . হঠাৎ শঙ্খ আর উলুধ্বনি ভেসে...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *