#লেখিকাঃ জিন্নাত রিমা
.
ওহে রহিম, ওহে রহমান, এতটা নিষ্ঠুর তুমি!
টানা বর্ষণে ডুবিয়ে দিয়েছ ফসলি জমি।
দুইদিন ধরে খানাপিনা নাই আমারি ঘরে।
বউ ছেলেমেয়ে না খেয়ে রয়েছে পরে।
তুমি নাকি পালনকর্তা, তুমিই রিজিকদাতা।
তবে কেন অনাহারী মুখ দেখছি আমি পিতা।
বান্দা, হাসালে মোরে, অনাহারের কথা তুলিয়া ধরে।
এতটা বছর জুগিয়েছি অন্ন, শুকরিয়া করেছো কী ইবাদত করে?
প্রভাতে সূর্য ,রাত্রে চন্দ্র ,রোজই যে দিচ্ছে আলো ।
টানা বর্ষণের দোষ ধরেছো, আলো পেয়ে শুকরিয়া করেছো কী বলো?
বান্দা সুখে থাকলে, যাও মোরে ভুলে।
ক্ষীণ কষ্টে দোষ ধরো তুলে।
একিই তোমাদেরি স্বভাব?
ভুল করেছি প্রভু,সুখে থাকাকালীন তোমারে ভুলে।
দাও ক্ষমা করে, অণু সুখেও শুকরিয়া করিব দু’হাত তুলে।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
বান্দার অযৌক্তিক অভিযোগে আল্লাহর যৌক্তিক জবাব দিয়ে সুন্দর করেই রচিত হয়ে এই কবিতাটি কবি জিন্নাত রিমার হাত ধরে।
খুব ভালো লিখেছেন। এটা বাস্তব চিত্র। আমাদের সবার উচিত দুঃখে কষ্টে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া করা।
-‘ধন্যবাদ।
বাহ্,চমৎকার।
আসলেই আমরা মহান আল্লহর এতো নিয়ামত ভোগ করেও শুকরিয়া আদায় করি না।
অথচ আমাদের উচিৎ আল্লাহর ছোট ছোট নিয়ামতের পর্যন্ত শুকরিয়া আদায় করা।
-‘ধন্যবাদ।
এক কথায় চমৎকার একটি কবিতা। খুব সুন্দর। আমরা আল্লাহর নিয়ামতেই বেঁচে থাকি, তার দেয়া রিজিকেই আমাদের ক্ষুধা নিবারণ হয়, তার রহমতেই আমরা ভালো থাকি,কিন্তু তখন তাঁকে স্মরণ করতে আমরা ভুলে যাই, শুকরিয়া জানানোর কথা মনে থাকে না। কিন্তু আল্লাহ আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য একটু কষ্ট দিলেই আমাদের অভিযোগ শুরু করে দেই। তখন অভিমান করতে দেরি হয় না আমাদের। আল্লাহর প্রতিটি নিয়ামতের জন্য আমাদের শুকরিয়া জানানো উচিৎ। খুব সুন্দর লিখেছেন। ছন্দমিল ভালো ছিল।বানানও নির্ভুল।
পিতা এর পর প্রশ্নবোধক চিহ্ন হবে
কী-কি (কি আর কী এর ব্যবহার হয়তো আপনে জানেন না। কি ব্যবহার হয় হ্যাঁ কিংবা না করার ক্ষেত্রে। যেমন :শুকিয়ে করেছো
কী ইবাদত করে। এইখানে হ্যাঁ কিংবা না বলতে বুঝানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে কি হবে। কারণ কী ব্যবহার হয় উক্ত ঘটনা ব্যাখার করার ক্ষেত্রে। আরেকটা জায়গাতেও কি হবে। তবে কবিতা বেশ ভালো ছিল শুভ কামনা
-‘ধন্যবাদ।
মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আমরা মানুষরা বড়ই অকৃতজ্ঞ। আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের শুকরিয়া না জানিয়ে বরং ক্ষণিকের দুঃখগুলোই বড় করে দেখি এবং আল্লাহকে দোষারোপ করি।
তবে কবিতায় ক্রিয়াপদের চলিত ও সাধু রূপের মিশ্রণ করে ফেলেছেন। এইদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
পরে=পড়ে,
শুভ কামনা রইলো। 🙂
কী/কি ব্যাপারে ত্রুটি লক্ষণীয়।
.
তবে সবমিলে ভালো লেগেছে